নবম শ্রেণি – বাংলা – স্বর্ণপর্ণী – টিক্‌ড়ীবাবার আশ্চর্য কাহিনিটি লেখো।

Rahul

সত্যজিৎ রায়ের স্বর্ণপর্ণী গল্পে টিক্‌ড়ীবাবা একজন আশ্চর্যজনক ব্যক্তি। তিনি একজন সন্যাসী, কিন্তু তিনি একজন চিকিৎসকও। তাঁর কাছে অনেক অলৌকিক ক্ষমতা আছে।

একদিন টিক্‌ড়ীবাবা প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর কাছে এসেছিলেন তাঁর শ্বাসকষ্টের চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তিনি টের পেয়ে যান যে ত্রিপুরেশ্বরেরই হার্টের সমস্যা আছে। তার কোনো চিকিৎসা না থাকার কথা বললে টিক্‌ড়ীবাবা তাঁকে সোনেপত্তী বা স্বর্ণপর্ণীর কথা বলেন।

চরকসংহিতায় এই গাছের উল্লেখ থাকলেও আধুনিক যুগে এই গাছড়ার হদিস কেউ পায়নি। কিন্তু বাবাজি জানিয়ে দেন যে, যুবা বয়সে যখন তিনি কাশীতে ছিলেন তখন তাঁর পাণ্ডুরোগ হলে দুটো সোনেপত্তীর শুকনো পাতা গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে দেন। তাতে তাঁর রোগও সেরে যায়।

টিক্‌ড়ীবাবা জানান যে, কসৌলি থেকে তিন ক্রোশ উত্তরে আছে এক চামুণ্ডার মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। সেই মন্দিরের পিছনে জঙ্গল, জঙ্গলে আছে ঝরনা, আর সেই ঝরনার পাশেই জন্মায় সোনেপত্তীর গাছ। এই গাছ যে হার্টের অসুখে কাজ দেবে তা টিক্‌ড়ীবাবা বলেন।

কিন্তু শঙ্কর বাবার অসুখ তখন শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে আর সেখানে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু বাবার শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান শেষ করেই শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর সন্ধানে যান, তা খুঁজে বের করেন এবং তার থেকেই তৈরি করেন মিরাকিউরল নামক আশ্চর্য বড়ি।

টিক্‌ড়ীবাবার আশ্চর্য কাহিনি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু আছে যা আমরা এখনও জানতে পারিনি। প্রকৃতির মধ্যে এমন অনেক অলৌকিক ক্ষমতা লুকিয়ে আছে যা আমরা এখনও আবিষ্কার করতে পারিনি।

স্বর্ণপর্ণী – সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

স্বর্ণপর্ণী গল্পে বর্ণিত টিক্‌ড়ীবাবার আশ্চর্য কাহিনিটি লেখো।

শুরুর কথা – স্বর্ণপর্ণী গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু তাঁকে টিক্‌ড়ীবাবার গল্পটি বলেছিলেন।
শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা – পেশায় ডাক্তার ত্রিপুরেশ্বরের কাছে টিক্‌ড়ীবাবা এসেছিলেন তাঁর শ্বাসকষ্টের চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তিনি টের পেয়ে যান যে ত্রিপুরেশ্বরেরই হার্টের সমস্যা আছে। তার কোনো চিকিৎসা না থাকার কথা বললে টিক্‌ড়ীবাবা তাঁকে সোনেপত্তী বা স্বর্ণপর্ণীর কথা বলেন।
চরকসংহিতায় গাছটির উল্লেখ – চরকসংহিতায় এই গাছের উল্লেখ থাকলেও আধুনিক যুগে এই গাছড়ার হদিস কেউ পায়নি। কিন্তু বাবাজি জানিয়ে দেন যে, যুবা বয়সে যখন তিনি কাশীতে ছিলেন তখন তাঁর পাণ্ডুরোগ হলে দুটো সোনেপত্তীর শুকনো পাতা গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে দেন। তাতে তাঁর রোগও সেরে যায়।
গাছটি জন্মানোর স্থান – টিক্‌ড়ীবাবা জানান যে, কসৌলি থেকে তিন ক্রোশ উত্তরে আছে এক চামুণ্ডার মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। সেই মন্দিরের পিছনে জঙ্গল, জঙ্গলে আছে ঝরনা, আর সেই ঝরনার পাশেই জন্মায় সোনেপত্তীর গাছ। এই গাছ যে হার্টের অসুখে কাজ দেবে তা টিক্‌ড়ীবাবাবলে দেন।
মিরাকিউরল বড়ি তৈরি – কিন্তু শঙ্কর বাবার অসুখ তখন শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে আর সেখানে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু বাবার শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান শেষ করেই শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর সন্ধানে যান, তা খুঁজে বের করেন এবং তার থেকেই তৈরি করেন মিরাকিউরল নামক আশ্চর্য বড়ি।

টিক্‌ড়ীবাবা একজন আধ্যাত্মিক মানুষ ছিলেন। তিনি প্রকৃতির সাথে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি প্রকৃতির অলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে জানতেন এবং তার ব্যবহার করতে পারতেন।

টিক্‌ড়ীবাবার কাহিনি আমাদেরকে প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখায়। প্রকৃতির রহস্য আবিষ্কারের জন্য আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

Please Share This Article

Related Posts

সারাংশ-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – সারাংশ

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-ক্রিয়া-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ক্রিয়া

ব্যাকরণ ও নির্মিতি-শব্দ ও পদ-বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া-অব্যয়-নবম শ্রেণী-বাংলা

নবম শ্রেণী – বাংলা – ব্যাকরণ ও নির্মিতি – অব্যয়

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নোড অব্ র‍্যানভিয়ার কি? এর গুরুত্ব লেখো।

স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক হল নিউরোন – এই উক্তিটির সাপেক্ষে যুক্তি দাও।

হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে একটি সাদৃশ্য ও একটি বৈসাদৃশ্য লেখো। হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে কাজের পার্থক্য লেখো।

নিউরোগ্লিয়ার বৈশিষ্ট্য লেখো। এর কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

CSF এবং মেনিনজেস -এর অবস্থান ও কাজ লেখো।