আজকের আলোচনার বিষয় – দক্ষিণ ভারতে জলাশয়ের মাধ্যমে কৃষিকাজে জলসেচ বেশি কেন ব্যবহৃত হয়। এই প্রশ্নটি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের জলসম্পদ” বিভাগের একটি প্রশ্ন।
এই ব্লগ পোস্টে, আমরা দক্ষিণ ভারতে জলাশয় ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে সেচ প্রদানের পেছনের মূল কারণগুলি বিশ্লেষণ করব। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি।
দক্ষিণ ভারতে জলাশয়ের মাধ্যমে জলসেচ বেশি হয় কেন?
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে জলাশয় বা পুকুর রয়েছে। এর কারণ –
- এখানে শিলাস্তর খুব কঠিন বলে বৃষ্টির জল চুঁইয়ে মাটির খুব গভীরে পৌঁছাতে পারে না। তাই ভৌমজলের ভাণ্ডার খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়।
- শিলা কঠিন এবং ভূপ্রকৃতি বন্ধুর বলে খাল খনন করা সম্ভব নয়।
- দক্ষিণ ভারতের এসব অঞ্চলগুলি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে বলে সারাবছর নদীগুলি জলপ্রবাহ বজায় রাখে না।
কেবল বর্ষাকালে প্রচুর পুকুর খনন করে বৃষ্টির জল ধরে রেখে ওই জল কৃষিতে সেচকার্যে ব্যবহার করা হয়। এইসব কারণের জন্য দক্ষিণ ভারতে জলাশয়ের মাধ্যমে জলসেচ বেশি হয়।
ভারতের কোন রাজ্যে বাঁশের মাধ্যমে জলসেচ ব্যবস্থা চালু আছে
মেঘালয়ের পাহাড়ি গ্রামগুলিতে, 200 বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি অত্যাশ্চর্য জল সেচ ব্যবস্থা ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ব্যবস্থাটি, যা বাঁশের ড্রিপ সেচ নামে পরিচিত, প্রাকৃতিক উপকরণ এবং ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের একটি চমৎকার মিশ্রণ।
কূপের সাহায্যে জলসেচ ভারতের কোন অঞ্চলে বেশি দেখা যায়?
কুপের মাধ্যমে ভারতের উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি জলসেচ করা হয়।
উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি তাদের উৎস, প্রবাহ, পলি পরিমাণ, ব্যবহার এবং উদাহরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথক। এই পার্থক্যগুলি ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু এবং ভূতাত্ত্বিক গঠনের কারণে ঘটে। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদীগুলির মধ্যে পার্থক্যগুলি মুখস্থ করার চেয়ে, তাদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্যগুলি বুঝতে চেষ্টা করুন। একটি তুলনা করার টেবিল তৈরি করা আপনাকে মূল বিষয়গুলি স্পষ্টভাবে মনে রাখতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, ভারতের মানচিত্রে বিভিন্ন নদীর অবস্থান চিহ্নিত করার অনুশীলন করুন।