মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান — পরিবেশ তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ — পরিবেশদূষন — রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

Rahul

 আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ” অধ্যায়ের ‘পরিবেশদূষন‘ বিভাগের রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

পরিবেশদূষন — রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
পরিবেশদূষন — রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
Contents Show

বায়ুদূষণ কাকে বলে? বায়ুদূষণের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লেখো।

বায়ুদূষণ –

প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট কারণে, বায়ুমণ্ডলের কোনো গ্যাসীয় উপাদানের ঘনত্বের পরিবর্তনে বা অন্য কোনো ক্ষতিকর উপাদান মিশে জীবের ও পরিবেশের ক্ষতিসাধনের ফলে সৃষ্ট অবস্থাকে বায়ুদূষণ বলে।

বায়ুদূষণের কারণ –

বায়ুদূষণের অন্যতম দুটি কারণ হল –

  1. গ্রিনহাউস গ্যাস।
  2. SPM বা সাসপেনডেড পারটিকুলেট ম্যাটার।

নীচে এগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হল।

গ্রিনহাউস গ্যাস –

বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2), মিথেন (CH4), ওজোন (O3), ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFCs), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) প্রভৃতি গ্যাস তাপ বিকিরণে বাধা দিয়ে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। এদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। নানা কারণে বায়ুমণ্ডলে এইসব গ্যাস বৃদ্ধি পায়। এগুলি হল –

  • কার্বন ডাইঅক্সাইড – জীবাশ্ম জ্বালানি, কলকারখানার ধোঁয়া ও জৈববস্তুর দহনের ফলে বায়ুতে CO2 -এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। CO2 সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী গ্রিনহাউস গ্যাস।
  • ক্লোরোফ্লুরোকার্বনসমূহ (CFCs) – জেট ইঞ্জিন, রেফ্রিজারেশন শিল্প ও এয়ার কন্ডিশন শিল্পে, অ্যারোসল স্প্রে, ডিওডোর‍্যান্টে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন থাকে। এগুলি মুক্ত হলে বায়ুদূষণ ঘটে।
  • নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ – কৃষিকাজে ব্যবহৃত নাইট্রোজেনঘটিত সার ও শিল্পকারখানা থেকে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ মুক্ত হয়ে বায়ুদূষণ ঘটায়।

SPM বা সাসপেনডেড পারটিকুলেট ম্যাটার –

বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন ধরনের বস্তুকণা ভেসে বেড়ায়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – ধূলিকণা, পরাগরেণু, অণুজীব ধাতব কণা, ছাই, ধোঁয়া ইত্যাদি সূক্ষ্ম তরল বা কার্বন কণা যেগুলি বায়ুদূষণ ঘটায়, তাদের SPM বা সাসপেনডেড পারটিকুলেট ম্যাটার বলে। এই ভাসমান কণাগুলির ব্যাস 1 মাইক্রনের কম হলে, তাদের অ্যারোসল বলে।

গ্রিনহাউস গ্যাস ও গ্রিনহাউস প্রভাব কাকে বলে? বিভিন্ন প্রকার গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম, প্রভাব ও সৃষ্টির কারণ লেখো।

গ্রিনহাউস গ্যাস ও গ্রিনহাউস প্রভাব –

বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত যেসব গ্যাস তাপীয় বিকিরণে বাধা দান করে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি করে, তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। যেমন – CO2, CH4, CFCs ইত্যাদি। যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার সাহায্যে বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত CO2, জলীয় বাষ্প ও অন্যান্য কয়েকটি গ্যাসীয় পদার্থ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপকে মহাশূন্যে ফিরে যেতে না দিয়ে ভূপৃষ্ঠ ও তৎসংলগ্ন বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত রাখে, তাকে গ্রিনহাউস প্রভাব বলে।

গ্রিনহাউস প্রভাব
গ্রিনহাউস প্রভাব

গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টিকারী গ্যাসসমূহের নাম, প্রভাব ও সৃষ্টির কারণ –

গ্যাসের নামপ্রভাবসৃষ্টির কারণ
কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)এটি হল প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস। গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টিতে এই গ্যাসের ভূমিকা প্রায় 9-26 শতাংশ।জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, সিমেন্ট শিল্পজ, জ্বালানি গ্যাসের দহন।
মিথেন (CH4)বিকিরিত তাপ ধারণ করার ক্ষমতা CO2 -এর তুলনায় প্রায় 25 গুণ বেশি। গ্রিনহাউস প্রভাবে এর অবদান প্রায় 14-9 শতাংশ।কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন, কৃষিক্ষেত্রে কৃষিবর্জ্যের পচন।
ওজোন (O3)গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টিতে এর অবদান প্রায় 3-7 শতাংশ। তাপ ধারণ ক্ষমতা CO2 -এর প্রায় 10 গুণ।ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে CO, নাইট্রোজেন অক্সাইড প্রভৃতি দূষক আলোকের প্রভাবে O3 সৃষ্টি করে।
ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFCs)বিকিরিত তাপ ধারণ করার ক্ষমতা CO2 -এর তুলনায় প্রায় 10,000-20,000 গুণ বেশি। গ্রিনহাউস প্রভাবে এর অবদান প্রায় 13 শতাংশ।এয়ারকন্ডিশনিং শিল্প, রেফ্রিজারেশন শিল্প, ফোম উৎপাদন, অ্যারোসল উৎপাদন।
নাইট্রাস অক্সাইড (N2O)গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টিতে এর অবদান প্রায় 6 শতাংশ। এর তাপ ধারণ ক্ষমতা CO2 -এর প্রায় 275 গুণ।কৃষিকাজে N2 -সার ব্যবহার, জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, শিল্পে উৎপাদন।

অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্লবৃষ্টি কী? অম্লবৃষ্টির কারণ কী এবং ভারতের কোথায় কোথায় অম্লবৃষ্টি বেশি হয়?

অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্লবৃষ্টি –

বাতাসে ভাসমান সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2), নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2) প্রভৃতি গ্যাস বৃষ্টির, শিশির অথবা তুষারের সঙ্গে মিশে বিক্রিয়া করে গৌণ দূষক সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) প্রভৃতি তৈরি করে ভূপৃষ্ঠে নেমে এসে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতিসাধন করলে, তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্লবৃষ্টি বলে। অ্যাসিড বৃষ্টির pH মাত্রা সাধারণত 5.0 -এর নীচে হয়।

অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ –

মনুষ্যসৃষ্ট বায়ুদূষণ হল অ্যাসিড বৃষ্টির অন্যতম কারণ। শিল্পকারখানাগুলিতে বিভিন্ন জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে প্রচুর মাত্রায় NO2 এবং SO2 গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাসগুলি বাতাসের জলীয় বাষ্পের সঙ্গে বিক্রিয়া করে নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) এবং সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4) তৈরি করে এবং বৃষ্টির জলের সঙ্গে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে। এইভাবেই মনুষ্যসৃষ্ট কারণে অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটে।

ভারতে অ্যাসিড বৃষ্টির ঘটনা –

ভারতে মহারাষ্ট্রের চেম্বুর ও পুনে এবং কেরলের ত্রিবান্দ্রম -এ অ্যাসিড বৃষ্টির ঘটনা দেখা যায়।

পরিবেশের ওপর অম্লবৃষ্টির বা অ্যাসিড রেন -এর প্রভাব লেখো।

অনুরূপ প্রশ্ন, অ্যাসিড বৃষ্টিজাত দুটি ক্ষতি উল্লেখ করো।

পরিবেশের ওপর অম্লবৃষ্টির বা অ্যাসিড রেন -এর প্রভাব –

প্রাণী ও উদ্ভিদের ওপর প্রভাব –

অম্লবৃষ্টির ফলে বেশিরভাগ জলাশয়ের মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। স্থলভাগের গাছপালা, কৃষিজ ফসল ধ্বংস হয়। অম্লবৃষ্টির কারণে জলাশয়ের pH -এর মান যদি 4 -এর কম হয়, তবে ওই জলাশয়ের অধিকাংশ সজীর উপাদানের মৃত্যু ঘটে।

মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব –

অম্লবৃষ্টির ফলে মানুষের ত্বক ও কোশের অস্বাভাবিক ক্ষতি হয়। অম্লবৃষ্টির জন্য অ্যালুমিনিয়াম এবং তামা নির্মিত জলের পাইপ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং পানীয় জলের সঙ্গে মেশে এবং ওই জল পান করে বহু মানুষ পেটের রোগে ভোগে।

মাটির ওপর প্রভাব –

অম্লবৃষ্টির প্রভাবে মাটির অম্লত্ব বৃদ্ধি পায়, যার ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় এবং শস্যের ফলন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণী ও সূক্ষ্ম জীবাণুরা মারা যায়।

বনাঞ্চলের ওপর প্রভাব –

অম্লবৃষ্টির ফলে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যায়। শস্যক্ষেত্রের উৎপাদনও ভীষণভাবে হ্রাস পায়।

অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব-
অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব-

মার্বেলের কারুকার্যের ওপর প্রভাব –

অম্লবৃষ্টির ফলে মার্বেলের বা চুনাপাথরের তৈরি বিভিন্ন কারুকার্য, স্থাপত্য নিদর্শনগুলি, যেমন – ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ফতেপুর সিক্রি, তাজমহল, কুতুবমিনার, ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ভবন, সেন্ট পলস গির্জা ইত্যাদি ভীষণভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। অম্লবৃষ্টির প্রভাবে পাথরের যে ক্ষয়ীভবন ঘটে, তাকে ‘স্টোন ক্যানসার’ বলে।

বায়ুদূষণ দ্বারা ঘটিত ফুসফুসের নানা ধরনের রোগগুলি সম্বন্ধে লেখো।

বায়ুদূষণ দ্বারা ঘটিত ফুসফুসের রোগ –

দূষিত বায়ু প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। যেমন –

  • CO2, NOX প্রভৃতি বায়ুদূষক হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, ক্যানসার প্রভৃতি রোগ সৃষ্টি করে।
  • বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের নানা ধরনের ফুসফুসের রোগ দেখা দেয়।
  • কয়লাখনি থেকে নির্গত কার্বন কণা শ্রমিকদের ফুসফুসে একটি কালো রঙের আস্তরণ সৃষ্টি করে ব্ল্যাক লাং নামক রোগ সৃষ্টি করে।
  • অ্যাসবেসটস এবং সিলিকন শিল্পকারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ফুসফুসে অ্যাসবেসটস এবং সিলিকন কণা বায়ুর মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং যথাক্রমে অ্যাসবেস্টোসিস ও সিলিকোসিস রোগ সৃষ্টি করে।
  • অনেক-ক্ষেত্রে, বায়ুদূষণের ফলে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং স্থায়ীভাবে শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হয়, তাকে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা COPD বলে। অত্যধিক ধূমপানের ফলেও COPD হয়ে থাকে।

জলদূষণ কাকে বলে? এর কারণগুলি লেখো।

অথবা, মিষ্টি জলের উৎসগুলি কী কী ভাবে দূষিত হয় তোমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মতামত জানাও।

জলদূষণ –

প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট কারণে জলের সঙ্গে বিভিন্নপ্রকার বর্জ্য, দূষিত ও বিষাক্ত পদার্থ ইত্যাদি মিশে যাওয়ার ফলে জল যদি নোংরা হয় এবং জলের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটে এবং এর ফলস্বরূপ জলজ উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তাহলে তাকে জলদূষণ বলে।

জলদূষণের কারণ –

নানা কারণে জল দূষিত হয়ে থাকে। নীচে কয়েকটি কারণ আলোচিত হল।

কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য দ্বারা দূষণ –

গ্রামাঞ্চলে চাষের জন্য ব্যবহৃত কীটনাশক, আগাছানাশক, রাসায়নিক সার ইত্যাদি প্রধানত বৃষ্টির জলের সঙ্গে ধুয়ে গিয়ে নিকটবর্তী নদীনালা বা পুকুরের জলে মেশে এবং জলকে দূষিত করে। কৃষিতে ব্যবহৃত নাইট্রেট, ফসফেটজাতীয় রাসায়নিক সার থেকে ইউট্রোফিকেশন -এর মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।

কলকারখানার বর্জ্য দ্বারা দূষণ –

শহরাঞ্চলে কলকারখানার দূষিত বর্জ্য নদী, সমুদ্র ও বড়ো জলাশয়ে এসে মেশে এবং জলদূষণ ঘটায়।

কলকারখানার বর্জ্য দ্বারা জলদূষণ-
কলকারখানার বর্জ্য দ্বারা জলদূষণ-

জীবাণু ও গৃহস্থালির প্রাত্যহিক আবর্জনা দ্বারা দূষণ –

গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত জলে খাদ্যদ্রব্যের ফেলে দেওয়া অংশ, তরকারির পচা অংশ, মলমূত্র, সাবান, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি মিশে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি মিশ্রিত এই নোংরা জল নর্দমা, পয়ঃপ্রণালী দিয়ে নদ-নদী, হ্রদ, খাল বা সমুদ্রের জলে পড়ে ও দূষণ ঘটায়।

যথেচ্ছ ব্যবহারজনিত দূষণ –

বিভিন্ন জলাশয়ের জল, মানুষের যথেচ্ছ ব্যবহার, যেমন – মলমূত্র ত্যাগ, স্নান, বাসনপত্র ধোয়া, গবাদি পশুর স্নান বা কাপড় কাচার ফলে দূষিত হয় ও তাতে বিভিন্ন প্রকার জীবাণু জন্মায়।

ভারী ধাতু দ্বারা দূষণ –

ভৌমজলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মাটির নীচে জলস্তর স্বাভাবিকের থেকে অনেক নীচে নেমে যায়, যার ফলে জলে আর্সেনিক ও ফ্লুরাইডের ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং জলদূষণ ঘটায়।

জলদূষণের ফলাফল বা ক্ষতিকর প্রভাব সংক্ষেপে লেখো।

জলদূষণের ফলাফল বা ক্ষতিকর প্রভাব –

পরিবেশে জল দূষিত হলে তার ক্ষতিকর প্রভাব সমগ্র জীবজগতের ওপর পড়ে। ক্ষতিকর প্রভাবগুলি নীচে আলোচনা করা হল।

জীবাণুর প্রাদুর্ভাব ও রোগের সম্ভাবনা –

দূষিত জল পান করা, দূষিত জলে রান্না করা, হাত-পা ধোয়া বা স্নান করার ফলে মানুষের অনেক ধরনের স্বাস্থ্যহানি ঘটে থাকে। জলবাহিত কিছু রোগের নাম নীচের সারণিতে উল্লেখ করা হল।

কারক জীবের নামরোগের নাম
ভাইরাসভাইরাল হেপাটাইটিস A ও E, পোলিও, শিশুদের ডায়ারিয়া ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াটাইফয়েড, ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রি, কলেরা ইত্যাদি।
প্রোটোজোয়াআমাশয়, জিয়ার্ডিয়াসিস ইত্যাদি।
ক্রিমিজাতিয়টিনিয়াসিস, অ্যাসক্যারিয়েসিস ইত্যাদি।
  • পারদ, লোহা, নিকেল, তামা, ক্লোরিন প্রভৃতি মিশ্রিত জল থেকে বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ ও পেটের অসুখ হয়।
  • অধিক ফ্লুরিনযুক্ত জল থেকে অ্যালার্জি, বৃক্কের সমস্যা, প্যারালাইসিস, অস্থি বিকৃতি প্রভৃতি রোগ হয়।

ইউট্রোফিকেশন –

কাপড় কাচার ডিটারজেন্টে ব্যবহৃত ফসফেটজাতীয় রাসায়নিক বিভিন্ন জলাশয়ে গিয়ে জমা হয় ও সেখানে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটায়। এই ঘটনাকে ইউট্রোফিকেশন বলে। এর ফলে জলের গুণগতমান হ্রাস পায়। জল দুর্গন্ধযুক্ত, বিস্বাদ, পানের অযোগ্য হয়। এ ছাড়া শৈবাল নিঃসৃত টক্সিন অন্যান্য প্রাণীর মৃত্যু ঘটায়।

অন্যান্য –

  • দূষিত জল মাটিতে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণুকে ধ্বংস করে মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয়।
  • নদী, পুকুর বা সমুদ্রের জল দূষিত হলে মাছসহ বহু সামুদ্রিক প্রাণী মারা যায়।

মৃত্তিকা দূষণ কাকে বলে? মৃত্তিকা দূষণের তিনটি কারণ লেখো।

মৃত্তিকা দূষণ –

প্লাস্টিক, পলিথিন, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক, দৈনন্দিন আবর্জনা, ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি দূষক মাটিতে মিশে ভূপৃষ্ঠের ওপরে বিন্যস্ত মাটির স্তরের যে ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব বৈশিষ্ট্যের অবাঞ্ছিত ও ক্ষতিকর পরিবর্তন বা ক্ষয়সাধিত হয়, তাকে মৃত্তিকা দূষণ বলে।

মৃত্তিকা দূষণের কারণ –

বিভিন্ন কারণে মৃত্তিকা দূষণ ঘটে থাকে। এখানে মৃত্তিকা দূষণের তিনটি কারণ আলোচনা করা হল।

জীবাণু সংক্রমণ –

পৌর বর্জ্যের সঠিক ট্রিটমেন্ট না হলে তা মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়। তা ছাড়াও হাসপাতালের পরিত্যক্ত বর্জ্য কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য, পশুপালনক্ষেত্রের বর্জ্যতে অবস্থিত জীবাণু সরাসরি অথবা মশা, মাছি, ইঁদুর বাহিত হয়ে মানবদেহে রোগ সৃষ্টি করে।

হাসপাতালের বর্জ্য
হাসপাতালের বর্জ্য

রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রয়োগ –

অত্যধিক ফলন পাওয়ার জন্য কৃষিজমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক ইত্যাদি প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে মাটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন উপকারী জীব, যেমন – কেঁচো ও নাইট্রোজেন সংশ্লেষকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে মাটির স্বাভাবিক উর্বরাশক্তি নষ্ট হয় এবং কীটনাশকগুলি মাটিতে জমে মাটির অম্লতা বৃদ্ধি পায় এবং মাটি ক্রমে বন্ধ্যা হয়ে যায়।

অন্যান্য –

বিভিন্ন শিল্প থেকে নির্গত নানা রকম অম্লঘটিত বর্জ্য পদার্থ মাটিতে ফেলার ফলে মাটির অম্লতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়। কৃষিক্ষেত্রে অতিরিক্ত হারে জলসেচের ফলে মাটিতে লবণাক্ততার সৃষ্টি হয় ও মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়।

মৃত্তিকা দূষণের ফলাফল বা ক্ষতিকর প্রভাবগুলি লেখো।

অনুরূপ প্রশ্ন, জীববিবর্ধন একটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।

মৃত্তিকা দূষণের ফলাফল বা মৃত্তিকা দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব –

মৃত্তিকা দূষণের ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ করা যায়। এগুলি নীচে আলোচনা করা হল।

মানুষের ওপর প্রভাব –

মানুষের ওপর মৃত্তিকা দূষণের যেসব প্রভাব দেখা যায়, তা হল –

  • রোগজীবাণুর সংক্রমণ – মাটি দূষিত হলে মাটিতে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর প্রাদুর্ভাব বাড়ে। ওই জীবাণু খুব সহজে মানুষের দেহে প্রবেশ করার সুযোগ পায় এবং মানবদেহে বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি করে, যার ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, যেমন – টিটেনাস রোগ সৃষ্টি করে Clostridium tetani (ক্লসট্রিডিয়াম টিটানি), গ্যাস-গ্যাংগ্রিন রোগ সৃষ্টি করে Clostridium perfringes (ক্লসট্রিডিয়াম পারফ্রিনজেস), অ্যাসপারজিলোসিস রোগ সৃষ্টিকারী Aspergillus sp. (অ্যাসপারজিলাস) প্রভৃতি অণুজীব। এর সংস্পর্শে কর্ণকুহর, শ্বাসনালী প্রভৃতি স্থানে সংক্রমণ ঘটে।
  • খাদ্য উৎপাদন হ্রাস – মাটি দূষিত হলে, মাটির স্বাভাবিক উর্বরতা শক্তি ব্যাহত হয়। ফলে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমে যায়। পরোক্ষভাবে মানুষের খাদ্যের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ হয় না এবং মানুষ অপুষ্টিতে ভোগে অর্থাৎ, মৃত্তিকাদূষণ থেকে মানুষের মধ্যে অপুষ্টিজনিত ব্যাধির সৃষ্টি হয়।

জীববিবর্ধন –

খাদ্যশৃঙ্খল বরাবর নীচ থেকে ক্রমশ উচ্চতর পুষ্টিস্তরে জীববিবর্ধন দুটি ধাপে ঘটে থাকে। যেমন –

  • জৈবসঞ্চয়ন – কোনো দূষকের ক্রমবর্ধমান সঞ্চয়ের ঘটনাকে জীববিবর্ধন বলে। মৃত্তিকায় উস্থিত ক্রমক্ষয়হীন দূষকগুলি বাস্তুতন্ত্রের প্রতিটি খাদ্যশৃঙ্খলে পুঞ্জীভূত হওয়ার ঘটনাকে জৈবসঞ্চয়ন বলে। দূষকগুলি সাধারণত প্রাণীর মেদকলা বা অ্যাডিপোজ কলায় সঞ্চিত হয়ে থাকে।
  • পুষ্টির স্তরে দূষকের ক্রমপ্রবাহ – খাদ্যশৃঙ্খলে প্রতিটি পুষ্টিস্তর খাদ্য-খাদক সম্পর্কযুক্ত হয়। ফলে জৈবসঞ্চয়নে পুঞ্জীভূত দূষক ক্রমান্বয়ে উৎপাদক, প্রাথমিক খাদক, গৌণ খাদক, প্রগৌণ খাদক প্রভৃতি পথে জীবদেহে অধিক ঘনত্বে সঞ্চিত হয়। এর ফলে সর্বোচ্চ খাদকস্তরে দূষক ঘনত্ব সর্বাধিক হয় (নীচের রেখাচিত্র লক্ষণীয়)। কীটনাশক DDT -এর পুষ্টিস্তরে ঘনত্ব বৃদ্ধি জৈববিবর্ধনের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
পুষ্টির স্তরে দূষকের ক্রমপ্রবাহ
পুষ্টির স্তরে দূষকের ক্রমপ্রবাহ

শব্দদূষণের কারণগুলি লেখো। শব্দদূষণের ফলাফলগুলি আলোচনা করো।

শব্দদূষণের কারণ –

শব্দদূষণ বিভিন্ন কারণে ঘটে। নীচে কয়েকটি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।

যানবাহন –

যানবাহন হল শব্দদূষণের অন্যতম কারণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শহরাঞ্চলে যানবাহনের পরিমাণও ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলস্বরূপ শব্দদূষণও দিনের পর দিন ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব যানবাহন থেকে বেশি শব্দদূষণ ঘটে সেগুলি হল মোটর সাইকেল, মোটর গাড়ি, বাস, লরি, ট্রাম, টেম্পো ইত্যাদি। এরোপ্লেন, হেলিকপ্টার ইত্যাদি ওঠা ও নামার সময়ে ভীষণমাত্রায় শব্দদূষণের সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (CPCB বা Central Pollution Control Board) যানবাহনজনিত মাত্রা 70 dB নির্ধারণ করলেও বহু শহরে শব্দের মাত্রা অনেক বেশি।

শিল্প –

বিভিন্ন কলকারখানায় দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি থেকে সৃষ্ট আওয়াজ মারাত্মক শব্দদূষণ ঘটায়। ভারতে শিল্পক্ষেত্রে 8 ঘণ্টায় গড়ে সর্বাধিক 90 dB শব্দ সর্বোচ্চ সহনমাত্রা বলে নির্ধারিত। কিন্তু জাহাজ ও বিমান নির্মাণ, কাঠের মিল, খাদ্য উৎপাদন শিল্প, আসবাব নির্মাণ শিল্প, ধাতব পণ্য উৎপাদন শিল্পে এই সহনমাত্রার থেকে অনেক বেশি প্রাবল্যের শব্দ উৎপন্ন হয়। এর ফলস্বরূপ মারাত্মক শব্দদূষণ ঘটে।

অন্যান্য কারণ –

এ ছাড়াও বর্তমানকালে শব্দদূষণের অন্যতম কারণ হল শব্দবাজি ও লাউডস্পিকারের অযাচিত ব্যবহার। প্রাকৃতিক কারণ যেমন – ধস, বজ্রপাত প্রভৃতিও শব্দদূষণ ঘটিয়ে থাকে।

শব্দদূষণের ফলাফল –

মানুষের ওপর প্রভাব –

শব্দদূষণ মানুষের শ্রবণ ক্ষমতা এবং হৃৎপিন্ডের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। যেমন –

  • কানের ওপর প্রভাব – দীর্ঘদিন ধরে উচ্চশব্দ (100 dB) -র কারণে অন্তঃকর্ণের অর্গান অফ কর্টি (শ্রুতিযন্ত্র) -র রোমকোশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পায় বা বিনষ্ট হয়। একে ‘নয়েস ইনডিউস্ড হিয়ারিং লস’ (NIHL) বলে। NIHL দু-ভাবে মানুষের ক্ষতি করে –
    • উচ্চ প্রাবল্যের শব্দ এককালীন হঠাৎ শুনলে অন্তঃকর্ণের কক্লিয়া অংশের স্থায়ীভাবে শ্রবণ ক্ষমতা নষ্ট হয়, একে অ্যাকাউস্টিক ট্রমা বলে। যেমন – 150 dB -এর ঊর্ধ্বে বাজির শব্দ, বিস্ফোরণ প্রভৃতি।
    • সাধারণ শব্দের থেকে উচ্চ প্রাবল্যের কোনো শব্দ (85 dB) অনবরত শুনতে থাকলে শ্রবণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
  • হৃৎপিণ্ডের ওপর প্রভাব – উচ্চ প্রাবল্যের শব্দ হৃৎপিন্ডের ক্ষতি করে। যেমন –
    • উচ্চ প্রাবল্যের শব্দে স্বয়ংক্রিয় স্নায়ু ও ভেগাস স্নায়ুর উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায় ও হৃৎস্পন্দন বাড়ে।
    • 90 dB -এর ঊর্ধ্বে শব্দ হলে সিস্টোলিক রক্তচাপ যথেষ্ট বাড়ে।
    • অনবরত 60 dB -এর ঊর্ধ্বে শব্দ শুনলে হৃৎপিন্ডের মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এই রোগে হৃদ্‌পেশিতে আংশিকভাবে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গিয়ে পেশির কার্যকারিতা নষ্ট হয়।

অন্যান্য প্রাণীর ওপর প্রভাব –

শব্দদূষণ মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণীর ওপরে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। যেমন –

  • বধিরতা – 85 dB -এর ওপরে শব্দ হলে তা প্রাণীদের শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস করে।
  • প্রজননে বাধা – শব্দদূষণের ফলে বহু প্রাণী এবং পাখি প্রজননে অংশ নিতে পারে না। ফলে ওই প্রাণী ও পাখির নতুন অপত্য সৃষ্টিতে বাধা পায়।
  • ভ্রুণের বৃদ্ধি হ্রাস – ইঁদুরের ক্ষেত্রে দেখা গেছে উচ্চশব্দে ভ্রুণের বৃদ্ধি হ্রাস পায়।
  • মাস্কিং – পরিবেশের নানা শব্দ প্রাণীর আত্মরক্ষা, শিকার প্রভৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শব্দদূষণে সেগুলি শুনতে না পেলে (মাস্কিং) প্রাণীর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ” অধ্যায়ের ‘পরিবেশদূষন‘ বিভাগের রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে? প্রতিসরণের সূত্র দুটি লেখো।

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে? প্রতিসরণের সূত্রসমূহ

প্রতিসরাঙ্ক কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

প্রতিসরাঙ্ক কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?

কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে দেখাও যে আপতিত ও নির্গত আলোকরশ্মি পরস্পরের সমান্তরাল। অথবা, দেখাও যে, সমান কাচফলকের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মির শুধুমাত্র পার্শ্বসরণ ঘটে।

দেখাও যে, সমান কাচফলকের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মির শুধুমাত্র পার্শ্বসরণ ঘটে।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

তোমার জীবনের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

একটি গ্রামের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

অরণ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

র‍্যাগিং ও ছাত্রসমাজ – প্রবন্ধ রচনা

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে? প্রতিসরণের সূত্রসমূহ