আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে ফিয়ার্ড ও ফিয়র্ড কি? ফিয়ার্ড ও ফিয়র্ড-এর মধ্যে পার্থক্য দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ফিয়ার্ড ও ফিয়র্ড কি? ফিয়ার্ড ও ফিয়র্ড-এর মধ্যে পার্থক্য প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
ফিয়র্ড
উপকূলীয় অংশে হিমবাহ সৃষ্ট সুগভীর উপত্যকা সমুদ্রজলে ডুবে থাকলে তাকে ফিয়োর্ড বলে।
ফিয়র্ড-এর বৈশিষ্ট্য
- খুব বড়ো, গভীর ও দীর্ঘ হয়।
- পার্শ্বদেশ খুব খাড়া হয়।
- উচ্চ অক্ষাংশে (উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি) বেশি দেখা যায়।
- উদাহরণ: নরওয়ের সোগ্নেফজোর্ড, গ্রিনল্যান্ডের কাঙ্গেরলুসুয়াফ ফিয়র্ড।
ফিয়ার্ড
উপকূলভাগে হিমবাহ সৃষ্ট অগভীর উপত্যকা সমুদ্রজলে নিমজ্জিত হলে তা হবে ফিয়র্ড।
ফিয়ার্ড-এর বৈশিষ্ট্য:
- ফিয়োর্ডের তুলনায় দৈর্ঘ্য কম।
- পার্শ্বদেশের ঢাল অপেক্ষাকৃত কম খাড়া।
- উচ্চ অক্ষাংশে (উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি) বেশি দেখা যায়।
- উদাহরণ: আইসল্যান্ডের Eyjafjörður, স্কটল্যান্ডের Loch Fyne।
ফিয়র্ড ও ফিয়র্ড-এর মধ্যে পার্থক্য
ফিয়োর্ড ও ফিয়র্ড-এর পার্থক্যগুলি হল —
বিষয় | ফিয়র্ড | ফিয়ার্ড |
ধারণা | উপকূলীয় অংশে হিমবাহ সৃষ্ট সুগভীর উপত্যকা সমুদ্রজলে ডুবে থাকলে তাকে ফিয়োর্ড বলে। | উপকূলভাগে হিমবাহ সৃষ্ট অগভীর উপত্যকা সমুদ্রজলে নিমজ্জিত হলে তা হবে ফিয়র্ড। |
দৈর্ঘ্য | ফিয়োর্ড খুব বড়ো, গভীর ও দীর্ঘ হয়। | ফিয়র্ডের দৈর্ঘ্য কম। |
ঢাল | ফিয়োর্ডের পার্শ্বদেশ খুব খাড়া হয় ৷ | এর পার্শ্বদেশের ঢাল অপেক্ষাকৃত কম হয়। |
আরও পড়ুন – মহাদেশীয় হিমবাহ ও উপত্যকা হিমবাহের মধ্যে পার্থক্য
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ফিয়ার্ড ও ফিয়র্ড-এর মধ্যে পার্থক্য। দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য এই বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফিয়ার্ড ও ফিয়র্ড দুটি ভিন্ন ভূমিরূপ যা হিমবাহের দ্বারা গঠিত হয়। দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য এই দুটি ভূমিরূপের মধ্যে পার্থক্য জানা গুরুত্বপূর্ণ।