ফিয়র্ড সম্পর্কে টীকা লেখ।

Rohit Mondal

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ফিয়র্ড সম্পর্কে টীকা লেখ।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “ফিয়র্ড সম্পর্কে টীকা লেখ।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ফিয়র্ড সম্পর্কে টীকা লেখ।
ফিয়র্ড সম্পর্কে টীকা লেখ।

ফিয়র্ড সম্পর্কে টীকা লেখ।

সংজ্ঞা – সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে গভীর উপত্যকার সৃষ্টি হয় এবং এই উপত্যকাগুলি নীচু বলে বরফযুক্ত হয় ও সমুদ্রের জল দ্বারা জলমগ্ন হয়ে পড়ে, জলমগ্ন উপত্যকাকে ফিয়র্ড বলে।

বৈশিষ্ট্য –

  • ফিয়র্ড হল হিমবাহকর্তিত উপত্যকা, যা সমুদ্রের জল দ্বারা প্লাবিত হয় ও সমুদ্রতলে অবস্থান করে।
  • এর শেষ প্রান্তে চৌকাঠ -এর মতো একটি বস্তু উপস্থিত থাকে।
  • কম গভীরতা বিশিষ্ট ও কম দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ফিয়র্ডকে বলে ফিয়ার্ড।
  • ফিয়র্ডের ঊর্ধ্বাংশে সমুদ্রের গভীরতা অধিক থাকায় ক্ষয়ের পরিমাণ বেশি।

উদাহরণ – সুইডেন, নরওয়ে ফিয়র্ডের সংখ্যা অনেক বেশি। নরওয়েতে অবস্থিত সোজনে ফিয়র্ড পৃথিবীর গভীরতম ফিয়র্ড।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

ফিয়র্ড কী?

ফিয়র্ড হল হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট গভীর উপত্যকা, যা সমুদ্রের জল দ্বারা প্লাবিত হয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এটি সাধারণত সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে দেখা যায়।

ফিয়র্ড কীভাবে তৈরি হয়?

ফিয়র্ড তৈরি হয় হিমবাহের ক্ষয়কাজের মাধ্যমে। হিমবাহ গলে গিয়ে গভীর উপত্যকা সৃষ্টি করে, যা পরে সমুদ্রের জল দ্বারা প্লাবিত হয়ে ফিয়র্ডে পরিণত হয়।

ফিয়র্ডের বৈশিষ্ট্য কী?

ফিয়র্ডের বৈশিষ্ট্যগুলো হল –
1. এটি হিমবাহকর্তিত উপত্যকা যা সমুদ্রের জল দ্বারা প্লাবিত হয়।
2. এর শেষ প্রান্তে চৌকাঠ -এর মতো একটি বস্তু থাকে।
3. ফিয়র্ডের ঊর্ধ্বাংশে সমুদ্রের গভীরতা বেশি থাকে, ফলে ক্ষয়ের পরিমাণও বেশি হয়।

ফিয়র্ড এবং ফিয়ার্ডের মধ্যে পার্থক্য কী?

ফিয়র্ড এবং ফিয়ার্ডের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল তাদের গভীরতা ও দৈর্ঘ্য। কম গভীরতা ও কম দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ফিয়র্ডকে ফিয়ার্ড বলে।

ফিয়র্ডের উদাহরণ দিতে পারেন?

হ্যাঁ, ফিয়র্ডের উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে –
1. সোজনে ফিয়র্ড (Sognefjord) – নরওয়েতে অবস্থিত, এটি পৃথিবীর গভীরতম ফিয়র্ড।
2. নরওয়ে এবং সুইডেন – এই দেশগুলোতে ফিয়র্ডের সংখ্যা অনেক বেশি।

ফিয়র্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ফিয়র্ড প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং পর্যটন শিল্পে এর ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়াও, ফিয়র্ড সমুদ্রের গভীরতা ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ফিয়র্ডের শেষ প্রান্তে কী থাকে?

ফিয়র্ডের শেষ প্রান্তে চৌকাঠ -এর মতো একটি বস্তু থাকে, যা ফিয়র্ডের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফিয়র্ডের গভীরতা কেমন হয়?

ফিয়র্ডের গভীরতা সাধারণত অনেক বেশি হয়, বিশেষ করে এর ঊর্ধ্বাংশে। উদাহরণস্বরূপ, সোজনে ফিয়র্ডের গভীরতা প্রায় 1300 মিটার।

ফিয়র্ড কোথায় বেশি দেখা যায়?

ফিয়র্ড সাধারণত নরওয়ে, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, কানাডা এবং আলাস্কার মতো ঠান্ডা অঞ্চলে বেশি দেখা যায়।

ফিয়র্ডের গঠন প্রক্রিয়া কী?

ফিয়র্ডের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয় হিমবাহের ক্ষয়কাজের মাধ্যমে। হিমবাহ গলে গিয়ে গভীর উপত্যকা সৃষ্টি করে, যা পরে সমুদ্রের জল দ্বারা প্লাবিত হয়ে ফিয়র্ডে পরিণত হয়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ফিয়র্ড সম্পর্কে টীকা লেখ।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “ফিয়র্ড সম্পর্কে টীকা লেখ।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তার দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – হিমবাহের বিভিন্ন কাজ ও তাদের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Rohit Mondal

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।