আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো গঙ্গা সমভূমিকে কী কী ভাগে ভাগ করা যায় এবং বিভাগগুলির অবস্থান সম্পর্কে। দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ”-এর “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।
গঙ্গা সমভূমির বিভাগ –
গঙ্গা সমভূমির ভূমিরূপ সমতল হলেও এখানকার বিভিন্ন অংশে বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা ও ভূপ্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে গঙ্গা সমভূমিকে তিনটি ক্ষুদ্রতর বিভাগে ভাগ করা যায় —
- উচ্চগঙ্গা সমভূমি
- মধ্যগঙ্গা সমভূমি
- নিম্নগঙ্গা সমভূমি
বিভাগগুলির অবস্থান –
বিভাগ | অবস্থান |
উচ্চগঙ্গা সমভূমি | পশ্চিমে যমুনা নদী থেকে পূর্বদিকে গঙ্গা-যমুনার মিলনস্থল এলাহাবাদ পর্যন্ত অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ সমতল এলাকা নিয়ে এই বিভাগটি গঠিত। |
মধ্যগঙ্গা সমভূমি | পশ্চিমে এলাহাবাদ থেকে পূর্বে রাজমহল পাহাড় পর্যন্ত মধ্যগঙ্গা সমভূমি বিস্তৃত। সুতরাং, উত্তরপ্রদেশের সমগ্র পূর্বভাগের সমতলভূমি এবং বিহারের অধিকাংশ অঞ্চল এই বিভাগের অন্তর্গত। |
নিম্নগঙ্গা সমভূমি | দার্জিলিং জেলার পার্বত্য এলাকা, তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল এবং পুরুলিয়া জেলা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বাকি অঞ্চল নিম্নগঙ্গা সমভূমির অন্তর্গত। |
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
গাঙ্গেয় সমভূমি প্রাচীন পলি যুক্ত অঞ্চল কি নামে পরিচিত?
গাঙ্গেয় সমভূমির প্রাচীন পলি যুক্ত অঞ্চলকে “ভোট-তরাই” বলা হয়। ভোট শব্দটি “বন্যা” থেকে এসেছে, যা এই অঞ্চলের নিয়মিত বন্যার কথা বলে। তরাই শব্দটি “পাদদেশ” থেকে এসেছে, যা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থানকে নির্দেশ করে।
গাঙ্গেয় সমভূমি কি ধরনের সমভূমি?
গাঙ্গেয় সমভূমি একটি বিশাল নদী-নির্মিত সমভূমি।
আজকের আলোচনায় আমরা গঙ্গা সমভূমির বিভাজন এবং বিভাগগুলোর অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছি। গঙ্গা সমভূমিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়: উত্তর ভারতের সমভূমি, পূর্ব ভারতের সমভূমি এবং দক্ষিণ ভারতের সমভূমি। প্রতিটি বিভাগের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং অবস্থান রয়েছে। এই প্রশ্নটি দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ”-এর “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে।