এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি’ সহায়ক পাঠ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ঘুমের মধ্যেই কোনির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল— কী কারণে ঘুমের মধ্যে কোনির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল?” এর উত্তর বিশ্লেষণ করব। মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন।
“ঘুমের মধ্যেই কোনির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল।” — কী কারণে ঘুমের মধ্যে কোনির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল লেখো।
- কথামুখ – আলোচ্য অংশটি মতি নন্দীর কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।
- ক্ষিতীশের আদর – একদিন ক্ষিতীশ তাড়াতাড়ি খাওয়া সেরে ঘরে এসে দেখলেন দিনভর পরিশ্রমে ক্লান্ত কোনি অকাতরে ঘুমোচ্ছে। বালিশ নেই। তার বদলে দুটো হাত জড়ো করে মাথার নীচে রাখা। ক্ষিতীশ বসলেন ওর পাশে। তারপর তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন। হঠাৎ ক্ষিতীশ শুনলেন, কোনি ঘুমের মধ্যে আপনমনে কী যেন বলছে। তিনি একটু ঝুঁকে পড়লেন শোনার জন্য, একটা পাতলা হাসির রেখা দেখলেন কোনির মুখে। ঘুমের মধ্যেই সে বলছে, “আমায় কুমির দেখাবে বলেছিলে।” এ কথা শুনে ক্ষিতীশ ফিসফিস করে বললেন, “দেখাব, তোকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাব।” এরপর আরও অনেক জায়গা দেখানোর কথাও বললেন ক্ষিতীশ। তারপর বললেন, “তুই যাবি দিল্লি, মুম্বাই, মাদ্রাজ-আরো দূরে টোকিও, লন্ডন, বার্লিন, মস্কো, নিউইয়র্ক।”
- অবদমিত আবেগের বহিঃপ্রকাশ – ঘুমের আবেশ তখনও কাটেনি কোনির। ঘুমের মধ্যে সে মনে করে যেন তার দাদার সঙ্গে কথা বলছে। ক্ষিতীশের কথাগুলোকে সে দাদার কথাই মনে করেছে। তাই ঘুরতে যাবার কথা শুনে ঘুমের মধ্যেই কোনির মুখ আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। জেগে থাকা অবস্থায় যা সে বলতে পারে না, অবদমিত সেই আবেগ যেন তার ঘুমের মধ্যে প্রকাশ পায়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, “ঘুমের মধ্যেই কোনির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল।” — কী কারণে ঘুমের মধ্যে কোনির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল – তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য উপকারী হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!