এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্যবইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব। আলোচ্য প্রশ্নটি হলো –“যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করা হবে। মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি ভালোভাবে বোঝা প্রয়োজন।

যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না। - প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উৎস – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের সপ্তম পরিচ্ছেদ থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গ – ক্ষিতীশ কোনিকে সফল সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাকে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে রেখেছিলেন। ক্ষিতীশ জানেন, যতই ক্লান্তি আসুক, পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই-কোনিকে সেই উপদেশ দিতে গিয়েই ক্ষিতীশ আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

তাৎপর্য বিশ্লেষণ –

  • অবিরাম পরিশ্রম – ক্ষিতীশের কড়া নজরদারিতে অবিরাম পরিশ্রমে কোনির দেহমন অবসন্ন হয়ে পড়ে। তার ওপর খিদের তাড়নায় সে বারে বারে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। ক্ষিতীশও নাছোড়বান্দা। ডিম, কলা আর টোস্টের লোভ দেখিয়ে ক্ষিতীশ কোনিকে আরও এক ঘণ্টা জলে রাখতে চান।
  • লক্ষ্যপূরণ – ক্ষিতীশ বুঝতে পারেন কোনির ওপর অমানুষিক অত্যাচার করা হচ্ছে। কিন্তু কোনিকে থামলে চলবে না। লক্ষ্যে তাকে পৌঁছোতেই হবে। তাতে জীবন থাক আর যাক। কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কখনও সাফল্য আসে না। তাই কোনিকে যন্ত্রণার সঙ্গে লড়াই করা শিখতে হবে। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেই যন্ত্রণাকে হারাতে হবে। যার জীবনে যন্ত্রণা নেই, বাধা নেই, তার জীবনে সাফল্য বলে কিছু হয় না।
  • কঠিন প্রতিজ্ঞা – কঠিন প্রতিজ্ঞায় মানুষ অসাধ্যকেও সাধন করতে পারে। কোনিকে তা-ই করতে হবে। এই উপদেশের সাহায্যেই ক্ষিতীশ কোনিকে তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তাকে লড়াকু হয়ে সফল হয়ে উঠতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

আরও পড়ুন, সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেকে ঠেলে নিয়ে যেতে হবেই, নয়তো কিছুতেই সাধ্যটাকে বাড়ানো যাবে না। – এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার যে মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে “যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের জীবনের কঠিন সময়ে সংগ্রাম ও জয়লাভের গুরুত্ব বোঝাতে সহায়ক। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য উপকারী হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের সঙ্গে পোস্টটি শেয়ার করে তাদেরও উপকৃত হতে সাহায্য করবেন। ধন্যবাদ!

Share via:

মন্তব্য করুন