এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “কমল হাঁপিয়ে পড়ল এই কটি কথা বলেই।” – কমল কী কথা বলেছিল? তার হাঁপিয়ে পড়ার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“কমল হাঁপিয়ে পড়ল এই কটি কথা বলেই।” – কমল কী কথা বলেছিল? তার হাঁপিয়ে পড়ার কারণ কী?
কমলের বক্তব্য বিষয় – রবীন্দ্র সরোবরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনির সাঁতার দেখে ক্ষিতীশ নিজে থেকেই কোনির দাদাকে বলেন যে, কোনিকে তিনি সাঁতার শেখাবেন, এবং তার জন্য কোনো পয়সা দিতে হবে না। উত্তরে কোনির দাদা বলে যে, তারা খুবই গরিব। সাঁতার শিখতে হলে খাওয়াদাওয়ার খরচ আছে। তার বাবা প্যাকিং কারখানায় কাজ করতে গিয়ে টিবি রোগে মারা গেছেন। কমল নিজেও সাঁতার শিখত। সাঁতার কেটে এসে সে খিদেয় ছটফট করত, স্কুলে ঘুমিয়ে পড়ত। তারপর অভাবের কারণে সে সাঁতার ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। সাত ভাই-বোন আর মাকে নিয়ে তাদের বিরাট সংসার। গত বছর তার মেজো ভাই ট্রেনের ইলেকট্রিক তার গায়ে লেগে মারা গেছে, সেজো ভাই কাঁচরাপাড়ায় পিসির বাড়িতে থাকে। সে নিজে একটা মোটর গারাজে কাজ করে। ওভারটাইম করেও দেড়শো টাকার বেশি পায় না। তাতেই কোনোরকমে তাদের সংসার চলে।
হাঁপিয়ে পড়ার কারণ –
- অতিরিক্ত কাজ – কমল মোটর গারাজে অতিরিক্ত সময় কাজ করে। বাড়িতে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া হয় না। অভাবের সংসার বলে কোনোরকমে বেঁচে থাকার মতো খাবারটুকু জোগাড় করতেও তাকে হিমশিম খেতে হয়।
- টিবি রোগে আক্রান্ত – ক্ষিতীশের অনুমান, অপুষ্টিজনিত কারণে বাবার মতো কমলও বোধহয় টিবি রোগে আক্রান্ত। সে-কারণে একটু কথা বলেই সে হাঁপিয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন, আমি আপনার বোনকে সাঁতার শেখাতে চাই। – বক্তা কে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি উত্তরে কী জানিয়েছিলেন?
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কমল হাঁপিয়ে পড়ল এই কটি কথা বলেই।” – কমল কী কথা বলেছিল? তার হাঁপিয়ে পড়ার কারণ কী? তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!