আজকের আলোচনার বিষয় খাল সেচ। এই পদ্ধতিতে, জলাধার বা নদী থেকে খালের মাধ্যমে জল টেনে জমি সেচ করা হয়। খাল সেচ দীর্ঘদিন ধরে ভারতে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এখনও ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য, খাল সেচের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” এবং “ভারতের জলসম্পদ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
খালের মাধ্যমে জলসেচের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি কী কী?
খালের মাধ্যমে জলসেচের সুবিধা –
- খাল যদি নিত্যবহ হয় তবে সারাবছর ধরে জলসেচ করা যায়। অর্থাৎ সারাবছর কৃষিকাজ সম্ভব।
- খাল তৈরিতে প্রাথমিক ব্যয় বেশি হলেও পরবর্তীকালে খালসেচের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক কম।
- নদীর পলি খালের মাধ্যমে আসে বলে কৃষিজমিতেও পলি সঞ্চয় ঘটে তাই কৃষিজমি উর্বর হয়ে ওঠে।
খালের মাধ্যমে জলসেচের অসুবিধা –
- কেবলমাত্র সমভূমি অঞ্চলেই জলসেচ করা সম্ভব।
- এই পদ্ধতিতে অতিরিক্ত জলসেচ করা হয় বলে মাটি অনেকসময় লবণাক্ত হয়ে যায়।
- খালের প্রবাহ বর্ষাকালে অনেকসময় বন্যা সৃষ্টি করে।
খালের মাধ্যমে জলসেচ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর –
জলসেচ কাকে বলে?
নদী, পুকুর, খাল, জলাশয় থেকে জল সংগ্রহ করে কৃষি জমিতে প্রয়োগ করার প্রক্রিয়াটিকে জলসেচ বলে।
ভারতের কোন রাজ্যে বাঁশের মাধ্যমে জলসেচ ব্যবস্থা চালু আছে?
মেঘালয়।
ভারতের সর্বাধিক জলসেচ হয় কোন পদ্ধতিতে?
ভারতের মোট সেচসেবিত এলাকার প্রায় 38% কূপ ও নলকূপের সাহায্যে জলসেচ করা হয়ে থাকে।
দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে বেশি জলসেচ হয় কোন পদ্ধতিতে?
কূপ ও নলকূপ।
কূপের সাহায্যে জলসেচ ভারতের কোন অঞ্চলে বেশি দেখা যায় ও কেন?
কুপের মাধ্যমে ভারতের উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি জলসেচ করা হয়।
আজকের আলোচনায় আমরা খাল সেচের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করেছি। এই বিষয়টি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের জলসম্পদ” বিভাগের একটি অংশ।