কোনি উপন্যাসে লেখকের যে সমাজসচেতন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখো।

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠকোনি” থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “কোনি উপন্যাসে লেখকের সমাজসচেতন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় নিজের ভাষায় লেখো।” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমরা এর ওপর বিশদ আলোচনা করব এবং লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে সমাজের বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিফলন ঘটায়, তা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব।

কোনি উপন্যাসে লেখকের যে সমাজসচেতন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখো।

কোনি উপন্যাসে লেখকের যে সমাজসচেতন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখো।

  • শুরুর কথা – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসটিতে সাঁতার ও সাঁতারকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর সমাজের ছবি ফুটে উঠেছে।
  • গোষ্ঠী রাজনীতির শিকার – উপন্যাসটিতে দেখা যায় ক্লাবের গোষ্ঠী রাজনীতির শিকার হন সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ।
  • লড়াই ও সংগ্রাম – একইসাথে শুরু হয় ক্ষিতীশের অন্য এক লড়াই। শ্যামপুকুরের বস্তিতে থাকা হতদরিদ্র, প্রায় অশিক্ষিত, কালো, শীর্ণকায় কোনির মধ্যেই তিনি সমস্ত লড়াই ও সংগ্রামের অস্ত্র খুঁজে পান।
  • অভাব ও প্রতিকূলতা – এই লড়াই শুধু ক্ষিতীশের স্বপ্ন পূরণের নয়, এই লড়াই অভাব ও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধেও। ডিম-কলা খাওয়ার পরিবর্তে ক্ষিতীশ সিংহের থেকে পয়সা নিয়ে যখন কোনি সেটা দিয়ে তার পরিবারকে সাহায্য করতে চায় তখন তার মাধ্যমে অভাবের তীব্রতম রূপই প্রকাশিত হয়। অভাবের কারণেই কোনির দাদা কমলের মতো প্রতিভার মৃত্যু ঘটে যায়।
  • অর্থনৈতিক বিভাজন – কোনির মুখ দিয়ে যখন লেখক বলেন – “বড়োলোকরা গরিবদের ঘেন্না করে”, তখন সমাজের অর্থনৈতিক বিভাজনটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় অবহেলিত কোনির ওপরেই যখন সমগ্র বাংলার সম্মান নির্ভর করে, তখন কোনি বলে – “আমি গরীব, আমাকে দেখতে খারাপ, লেখাপড়া জানি না, কত কথা শুনলাম। এখন ঠেকায় পড়ে এসেছ আমার কাছে।”
  • শেষের কথা – সমগ্র সমাজের বিরুদ্ধে এ হল কোনির প্রতিবাদ। তার সাফল্য যেন সমস্ত অন্যায় বৈষম্যের উপযুক্ত জবাব হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন, লড়াকু এবং অনুপ্রেরণামূলক উপন্যাস হিসেবে কোনি তোমার মনকে কতটা স্পর্শ করেছে লেখো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—“কোনি উপন্যাসে লেখকের যে সমাজসচেতন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখো।” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি আশা করি এই নিবন্ধটি আপনার পড়াশোনায় সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

ওহমের সূত্রটিকে লেখচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করো।

ওহমের সূত্রটিকে লেখচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করো।

বৈদ্যুতিক তার হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠতর ও কেন?

বৈদ্যুতিক তার হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠতর ও কেন?

ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও। অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো?

ওহমীয় পরিবাহী ও অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ওহমের সূত্রটিকে লেখচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করো।

বৈদ্যুতিক তার হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠতর ও কেন?

ওহমীয় পরিবাহী ও অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান – চলতড়িৎ – রোধ

শ্রেণি ও সমান্তরাল সমবায়ে তুল্য রোধের তুলনামূলক বিশ্লেষণ