ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে। – কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী?

Sourav Das

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে।” – কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমরা এর উত্তর বিশদে বিশ্লেষণ করব।

ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে। - কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী?

“ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে।” – কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী?

অপচয়ের পরিচয় – সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের চিলড্রেন পার্কে অবিরাম হাঁটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ক্ষিতীশ একে ‘স্পোর্ট’ বলতে চান না। আর-একবার তিনি গোলদিঘিতে ৯০ ঘণ্টা সাঁতার প্রতিযোগিতা দেখেছিলেন। তাঁর মতে সেটাও প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে না। কারণ সুশৃঙ্খল ট্রেনিং আর টেকনিক মারফত খেলা না হলে তার কোনো মূল্য নেই। এই ধরনের প্রতিযোগিতাকেই ক্ষিতীশ সময় ও শ্রমের অপচয় বলে মনে করেছেন।

বিরক্তবোধের কারণ –

  • নিয়ন্ত্রণহীন প্রতিযোগিতা – ক্ষিতীশের কাছে অবিরাম হাঁটা প্রতিযোগিতা বা ৯০ ঘণ্টা সাঁতার প্রতিযোগিতা কোনো খেলা বলেই গণ্য হয় না। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় কোনো শৃঙ্খলা বা নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
  • কেবলই পাক খাওয়া – অবিরাম হাঁটায় বুদ্ধির দরকার হয় না, গতি লাগে না, পেশির শক্তির প্রয়োজন হয় না, পাল্লা দিতে হয় না অন্য একজন মানুষের সঙ্গে। ক্ষিতীশের মনে হয়েছে, এ “যেন বলদের মতো শুধু পাক খাওয়া।”
  • নিয়মিত অনুশীলন – কিন্তু সাঁতারের একটা ব্যাকরণ আছে। তা মেনেই নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। না হলে তা হবে শুধুই শ্রম আর সময়ের অপচয়। এই কারণেই ক্ষিতীশ এই ধরনের প্রতিযোগিতা দেখে বিরক্ত বোধ করতেন।

আরও পড়ুন, কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল খাবে। – বক্তা কে? কী প্রসঙ্গে তার এই উক্তি? এই উক্তিতে বক্তার কীরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে।” – কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী? নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হবে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

শিশির, কুয়াশা প্রভৃতি অধঃক্ষেপণ নয় কেন

অধঃক্ষেপণ কাকে বলে? অধঃক্ষেপণের রূপভেদ গুলি আলোচনা করো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখো।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

About The Author

Sourav Das

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

অধঃক্ষেপণ কাকে বলে? অধঃক্ষেপণের রূপভেদ গুলি আলোচনা করো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখো।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

বিংশ শতকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতে সংঘটিত কৃষক বিদ্রোহগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে কৃষক সমাজ কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিল?