আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে লোয়েস ভূমি বা লোয়েস সমভূমি কী? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, লোয়েস ভূমি বা লোয়েস সমভূমি কী? আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
ধারণা – বায়ুবাহিত পীতরঙের চুনময় প্রবেশ্য সূক্ষ্ম কণাসমূহ লোয়েস নামে পরিচিত।
সৃষ্টির পদ্ধতি – সূক্ষ্ম কণাসমূহ মরুভূমি অথবা বহিঃধৌত সমভূমি থেকে বায়ুর দ্বারা বাহিত হয়ে ও বহু দূরে সঞ্চিত হয়ে যে নতুন ভূমিরূপের সৃষ্টি করে, তাকে লোয়েস ভূমি বা লোয়েস সমভূমি বলা হয়। উদাহরণ—মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে প্রতি বছর শীতের সময় মৌসুমি বায়ুর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বালিরাশি উত্তর চিনের হোয়াং হো নদী উপত্যকায় সঞ্চিত হয়ে লোয়েস ভূমি গঠন করেছে। এর গভীরতা 30 থেকে 200 মিটার। একইভাবে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি থেকে বালি উড়ে এসে ইজরায়েলের দক্ষিণাংশে লোয়েস ভূমি গঠন করেছে। পৃথিবীর অন্যান্য স্থানেও কিছু লোয়েস ভূমি দেখা যায়, যেমন — ইউরোপের ফ্রান্সে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি-মিসৌরি নদী উপত্যকার কোনো কোনো স্থানে এবং ভারতের উত্তর গুজরাতে।
আরও পড়ুন – মরু অঞ্চলে বায়ুর কার্যের প্রাধান্য লক্ষ করা যায় কেন?
এই আর্টিকেলে আমরা লোয়েস ভূমি বা লোয়েস সমভূমি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি যে:
- লোয়েস ভূমি হলো বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে বহনকৃত সূক্ষ্ম পলি দ্বারা গঠিত সমভূমি।
- লোয়েস শব্দের অর্থ হলো “সূক্ষ্ম পলি” বা “স্থানচ্যুত বস্তুকণা”।
- লোয়েস ভূমি সাধারণত মরুভূমির ধারে অবস্থিত।
- লোয়েস ভূমি কৃষিক্ষেত্রের জন্য খুব উর্বর।
- চীনের হোয়াংহো নদীর অববাহিকা বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত লোয়েস ভূমি।
দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য লোয়েস ভূমি বা লোয়েস সমভূমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই আর্টিকেলে আলোচিত তথ্যগুলো আপনাকে পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।