দশম শ্রেণি – বাংলা – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

Gopi

আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার তৃতীয় পাঠের দ্বিতীয় অংশ, “হারিয়ে যাওয়া কালি কলম” এর ওপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো পরীক্ষায় প্রায়শই দেখা যায়। আশা করছি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সহায়ক হবে।

দশম শ্রেণি – বাংলা – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম - অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন ও উত্তর

ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনাটি যে গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে, সেটি হল –

  1. যখন ছাপাখানা এলো
  2. কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই
  3. আজব নগরী
  4. বটতলা

উত্তর – 2. কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই

শ্রীপান্থের আসল নাম –

  1. অন্নদাশঙ্কর রায়
  2. নিখিলনাথ রায়
  3. নিখিল সরকার
  4. সুবোধ ঘোষ

উত্তর – 3. নিখিল সরকার

নিখিল সরকার ওরফে ‘শ্রীপান্থ’-র জন্ম হয় –

  1. 1930 খ্রিস্টাব্দে
  2. 1931 খ্রিস্টাব্দে
  3. 1932 খ্রিস্টাব্দে
  4. 1933 খ্রিস্টাব্দে

উত্তর – 3. 1932 খ্রিস্টাব্দে

নিখিল সরকার রচিত একটি গ্রন্থ হল –

  1. মেটিয়াবুরুজের নবাব
  2. কঙ্কাবতী
  3. আমরা বাঙালি
  4. রামায়ণ

উত্তর – 1. মেটিয়াবুরুজের নবাব

কথায় আছে, কালি কলম মন, লেখে জন। –

  1. এক
  2. দুই
  3. তিন
  4. চার

উত্তর – 3. তিন

“কালি কলম মন, লেখে তিন ___ nজন।” – এটি হল –

  1. ধাঁধা
  2. প্রবাদ
  3. রূপকথা
  4. উপকথা

উত্তর – 2. প্রবাদ

লেখক যেখানে কাজ করেন, সেটা হল –

  1. ছাপাখানা
  2. পুথি লেখার কারখানা
  3. লেখালেখির অফিস
  4. গল্প লেখার আসর

উত্তর – 3. লেখালেখির অফিস

লেখক যেখানে কাজ করেন সেখানে সবাই –

  1. লেখক
  2. পুলিশ
  3. আড্ডাবাজ
  4. চাকর

উত্তর – 1. লেখক

লেখক তাঁর অফিসে কোন্ জিনিসের কথা বলেছেন যা শুধু তাঁরই আছে? –

  1. একটি অভিধান
  2. একটি কম্পিউটার
  3. কলম
  4. বই

উত্তর – 3. কলম

লেখকের হাতে কলম এবং বাকিদের সামনে কী? –

  1. টাইপরাইটার
  2. কম্পিউটার
  3. প্রচুর বই
  4. দোয়াত ও পেন

উত্তর – 2. কম্পিউটার

“আমি যা লিখি ওঁরা ভালোবেসে আমার লেখাকেও এভাবে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন।” – ‘ওরা’ বলতে লেখকের –

  1. বন্ধুরা
  2. শিক্ষক-শিক্ষিকারা
  3. সহপাঠীরা
  4. সহকর্মীরা

উত্তর – 4. সহকর্মীরা

লেখক একদিন কলম নিয়ে যেতে ভুলে গেলেই বিপদ কেন? –

  1. কারও কলমে কালি নেই
  2. কারও সঙ্গে কলম নেই
  3. সবার সঙ্গে কথা বন্ধ
  4. কলম চাওয়া নিষেধ

উত্তর – 2. কারও সঙ্গে কলম নেই

“তবে তাতে লিখে আমার সুখ নেই” – কেন? –

  1. গলা শুকনো ভোঁতামুখের কলম
  2. অনেক দামি পেন
  3. পেন দিয়ে কালি ঝরে না
  4. ভালো মনে কেউ দেয় না

উত্তর – 1. গলা শুকনো ভোঁতামুখের কলম

লেখকের কাছে তাঁর অফিস তাঁর –

  1. জন্মস্থান
  2. কারখানা
  3. মৃত্যুস্থান
  4. ঘরান্নাঘর

উত্তর – 2. কারখানা

বাংলায় প্রচলিত কথা “কালি নেই, কলম নেই বলে আমি_” –

  1. কবি
  2. লেখক
  3. মুনশি
  4. কলমবিদ

উত্তর – 3. মুনশি

“কালগুণে বুঝিবা আজ আমরাও তাই।” – আমরাও কী? –

  1. লেখক
  2. মুনশি
  3. কবি
  4. পণ্ডিত

উত্তর – 2. মুনশি

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম রচনায় লেখকের বয়স কত বলে ধারণা করা হয়েছে? –

  1. 40-50 বছর
  2. 50-60 বছর
  3. 60-70 বছর
  4. 70-80 বছর

উত্তর – 2. 50-60 বছর

লেখক ছেলেবেলায় কলম তৈরি করতেন –

  1. কাশফুলের খড় দিয়ে
  2. রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে
  3. পেয়ারা ডাল কেটে
  4. শ্যাওড়া ডাল কেটে

উত্তর – 2. রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে

কলম তৈরির সময় বড়োরা শিখিয়েছিলেন –

  1. কলমের মুখটা চিরে দিতে হবে
  2. কলমের মাথাটা ভোঁতা হতে হবে
  3. কলমের মাথার দুটো অংশ থাকবে
  4. কলমের মুখ চেরা চলবে না

উত্তর – 1. কলমের মুখটা চিরে দিতে হবে

লেখার পাতা বলতে শৈশবে লেখকদের কী ছিল? –

  1. কলাপাতা
  2. লাউ পাতা
  3. তাল পাতা
  4. শাল পাতা

উত্তর – 1. কলাপাতা

“আমরা তাতে হোম-টাস্ক করতাম।” – ‘তাতে’ বলতে –

  1. বড়ো খাতায়
  2. ব্ল‍্যাকবোর্ডে 
  3. কলাপাতায়
  4.  লাউ পাতায়

উত্তর – 3. কলাপাতায়

কলাপাতায় হোমটাস্ক করে লেখক কোথায় নিয়ে যেতেন? –

  1. অফিসে
  2. স্কুলে
  3. গুরুমশায়ের কাছে
  4. বাবার কাছে

উত্তর – 2. স্কুলে

হোমটাস্ক করা কলাপাতাগুলি মাস্টারমশাইকে দেখানোর পর লেখকরা কী করতেন? –

  1. বাড়িতে রেখে দিতেন
  2. বাবা-মাকে দেখাতেন
  3. স্কুলে রেখে আসতেন
  4. পুকুরে ফেলে দিতেন

উত্তর – 4. পুকুরে ফেলে দিতেন

বাইরে না ফেলে লেখক হোমটাস্কের কলাপাতাগুলি পুকুরেই ফেলতেন, কারণ বাইরে ফেললে –

  1. গোরু খেলে অমঙ্গল হবে
  2. রাস্তার লোকে পা দিলে পাপ হবে
  3. বাইরের লোকে দেখে ফেলবে
  4. সরস্বতী খুশি হবেন

উত্তর – 1. গোরু খেলে অমঙ্গল হবে

অক্ষরজ্ঞানহীনকে লোকে বলে –

  1. ওর কাছে সব অন্ধকার
  2. ওর কাছে ক-অক্ষর গোমাংস
  3. ও একটা গোরু
  4. ও একটা বোকা গাধা

উত্তর – 2. ওর কাছে ক-অক্ষর গোমাংস

“ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি।” – এখানে ‘মসি’ শব্দের অর্থ –

  1. লোহা
  2. ধুলো
  3. কালি
  4. পেন

উত্তর – 3. কালি

কালি তৈরি করতে লাগে –

  1. আলু
  2. ত্রিফলা
  3. চুন
  4. মিছরি

উত্তর – 2. ত্রিফলা

লেখক যখন ছোটো তখন তাদের বাড়িতে রান্না হত –

  1. গোবর গ্যাসে
  2. কাঠের উনুনে
  3. স্টোভে
  4. গ্যাস ওভেনে

উত্তর – 2. কাঠের উনুনে

কড়াইয়ের তলায় কালি জমার কথা বলা হয়েছে। কারণ –

  1. গোবর গ্যাসে রান্না হত
  2. কাঠের উনুনে রান্না হত
  3. স্টোভে রান্না হত
  4. মাটি লেপে দেওয়া হত

উত্তর – 2. কাঠের উনুনে রান্না হত

কড়াইয়ের তলায় জমা কালি কী দিয়ে ঘষে তোলা হত? –

  1. কলাপাতা
  2. লাউ পাতা
  3. শাল পাতা
  4. পেয়ারা পাতা

উত্তর – 2. লাউ পাতা

লেখকের ছোটোবেলায় লেখালেখির প্রথম সঙ্গী হিসেবে ছিল –

  1. বাঁশের কলম
  2. মাটির দোয়াত
  3. ঘরে তৈরি কালি
  4. সবগুলি

উত্তর – 4. সবগুলি

পঞ্চাশ-ষাট বছর বয়সে লেখকের কষ্ট হয়েছে কী নিয়ে? –

  1. কলম হাতছাড়া হতে চলেছে
  2. দোয়াত-কালি নেই
  3. ফাউন্টেন পেনের দাম বেড়েছে
  4. বাঁশ গাছ কমে গেছে

উত্তর – 1. কলম হাতছাড়া হতে চলেছে

নীল নদের তীর থেকে লেখক কী নিয়ে আসতেন? –

  1. নলখাগড়া
  2. স্টাইলাস
  3. জ্ঞানাঞ্জন শলাকা
  4. ব্রোঞ্জের শলাকা

উত্তর – 1. নলখাগড়া

লেখক কী হলে বনপ্রান্ত থেকে একটা হাড় কুড়িয়ে নিতেন? –

  1. মিশরীয়
  2. ফিনিসীয়
  3. ভারতীয়
  4. ইরানীয়

উত্তর – 2. ফিনিসীয়

“আমি যদি রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হতাম” – কোন্ অধীশ্বরের কথা বলা হয়েছে? –

  1. জুলিয়াস সিজার
  2. আলেকজান্ডার
  3. ফ্রেডারিক
  4. নেপোলিয়ন

উত্তর – 1. জুলিয়াস সিজার

ব্রোঞ্জের শলাকার পোশাকি নাম হল –

  1. স্কাইলাস
  2. স্টাইলাস
  3. স্টাইলিস
  4. স্কাইলস

উত্তর – 2. স্টাইলাস

সিজার স্টাইলাস দিয়ে কাকে আঘাত করেছিলেন? –

  1. কাসকাকে
  2. মুনশিকে
  3. ওয়াটারম্যানকে
  4. ম্যাকলানকে

উত্তর – 1. কাসকাকে

সিজার যে কলমটি দিয়ে কাসকাকে আঘাত করেছিলেন, তার পোশাকি নাম –

  1. রিজার্ভার
  2. স্টাইলাস
  3. পার্কার
  4. পাইলট

উত্তর – 2. স্টাইলাস

চিনারা চিরকালই লেখার জন্য ব্যবহার করে আসছে –

  1. তুলি
  2. ব্রোঞ্জের শলাকা
  3. হাড়
  4. নলখাগড়া

উত্তর – 1. তুলি

‘শ্রীপান্থ’ ছদ্মনামে লিখেছেন –

  1. অন্নদাশঙ্কর রায়
  2. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
  3. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
  4. নিখিল সরকার

উত্তর – 4. নিখিল সরকার

গ্রামাঞ্চলেও আজ আর কীসের কলম খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে লেখক ভেবেছেন? –

  1. বাঁশের কঞ্চির কলম
  2. খাগের কলম
  3. পার্কার পেন
  4. ফাউন্টেন পেন

উত্তর – 1. বাঁশের কঞ্চির কলম

কোন্ কলম একমাত্র সরস্বতী পুজোর সময় দেখা যায়? –

  1. বাঁশের কঞ্চির কলম
  2. খাগের কলম
  3. ফাউন্টেন পেন
  4. বল-পেন

উত্তর – 2. খাগের কলম

সরস্বতী পুজোতে কাচের দোয়াতে কালির বদলে কী দেওয়া হয়? –

  1. জল
  2. মধু
  3. দুধ
  4. চিনির জল

উত্তর – 3. দুধ

পালকের কলমের ইংরেজি নাম –

  1. ফাদার পেন
  2. জাপানি পাইলট
  3. কুইল
  4. ডট-পেন

উত্তর – 3. কুইল

বাঙালি সাংবাদিকদের কে ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’ বলতেন? –

  1. লর্ড ক্যানিং
  2. লর্ড কার্জন
  3. লর্ড ওয়েলেসলি
  4. লর্ড বেন্টিঙ্ক

উত্তর – 2. লর্ড কার্জন

লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের গরম গরম ইংরেজি দেখে বলতেন –

  1. বেঙ্গলি পাওয়ার্স
  2. বেঙ্গলি হর্স
  3. বাবু কুইল ড্রাইভারস
  4. বাবু বিদেশি

উত্তর – 3. বাবু কুইল ড্রাইভারস

এখন কোন্ কলম দেখতে হলে তৈলচিত্র বা ফোটোগ্রাফের ওপর নির্ভর করতে হয়? –

  1. পালকের কলম
  2. খাগের কলম
  3. ফাউন্টেন কলমঘ
  4. বাঁশের কলম

উত্তর – 1. পালকের কলম

একটা চিত্র যেখানে দোয়াতগোঁজা পালকের কলম দেখা যায় –

  1. কেরি সাহেবের স-মুনশি ছবিতে
  2. রাধাকৃষ্ণের ছবিতে
  3. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে
  4. সরস্বতী মূর্তিতে

উত্তর – 1. কেরি সাহেবের স-মুনশি ছবিতে

পেনসিল শার্পনারের মতো যন্ত্র সাহেবরা কেন বানিয়েছিলেন? –

  1. পালক কেটে কলম তৈরির জন্য
  2. কালি তৈরির জন্য
  3. বাঁশ কেটে কলম বানানোর জন্য
  4. খাগ কেটে কলম বানানোর জন্য

উত্তর – 1. পালক কেটে কলম তৈরির জন্য

“কোনও কোনও আপিসে দেখা যায় টেবিলের উপর সাজানো রয়েছে দোয়াতকলম।” – আসলে সেগুলি –

  1. বল-পেন
  2. ফাউন্টেন পেন
  3. পার্কার পেন
  4. নিব-পেন

উত্তর – 1. বল-পেন

চৌরঙ্গি যে শহরের এলাকা –

  1. বহরমপুর
  2. কলকাতা
  3. কৃষ্ণনগর
  4. বর্ধমান

উত্তর – 2. কলকাতা

পণ্ডিতমশাইয়ের কলম খ্যাত ছিল কেন? –

  1. খোঁচা দেওয়ার জন্য
  2. কানে গুঁজে রাখার জন্য
  3. বইয়ের পাতার মধ্যে রাখার জন্য
  4. ছাত্রদের শাস্তি দেওয়ায় ব্যবহৃত হওয়ার জন্য

উত্তর – 2. কানে গুঁজে রাখার জন্য

লেখক দার্শনিক তাঁকেই বলেছেন যিনি –

  1. কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন
  2. বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকেন
  3. সবসময় চশমা পরে থাকেন
  4. সবসময় ভাবনার জগতে থাকেন

উত্তর – 1. কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন

ছেলেবেলায় লেখক যে দারোগাকে দেখেছিলেন তার কলমটি কোথায় গোঁজা ছিল? –

  1. টুপিতে
  2. প্যান্টের পকেটে
  3. পায়ের মোজায়
  4. জামার পকেটে

উত্তর – 3. পায়ের মোজায়

লেখক অতি আধুনিক ছেলেদের কলম বুকপকেটের বদলে কোথায় দেখেছিলেন? –

  1. কাঁধের ছোটো পকেটে
  2. প্যান্টের পকেটে
  3. জামার কলারের পিছনে
  4. পায়ের মোজায়

উত্তর – 1. কাঁধের ছোটো পকেটে

“এক সময় বলা হতো- ‘কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে ___।” –

  1. রাখাল
  2. গোপাল
  3. রাজপুত
  4. ডাকাত

উত্তর – 3. রাজপুত

“কালির অক্ষর নাইকো পেটে, চণ্ডী পড়েন ___।” –

  1. কোলাঘাটে
  2. কালীঘাটে
  3. পাড়ার হাটে
  4. মাঠেঘাটে

উত্তর – 2. কালীঘাটে

সস্তা এবং সর্বভোগ্য হওয়ার ফলে কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য বলে লেখক মন্তব্য করেছেন? –

  1. পকেটমারদের কাছে
  2. লেখকদের কাছে
  3. কবিদের কাছে
  4. চাকরদের কাছে

উত্তর – 1. পকেটমারদের কাছে

পণ্ডিতদের মতে কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটিয়েছে –

  1. ফাউন্টেন পেন
  2. বল-পেন সুলেখা
  3. কালি
  4. পার্কার পেন

উত্তর – 1. ফাউন্টেন পেন

ফাউন্টেন পেনের নামটা বাংলায় রবীন্দ্রনাথ কী দিয়েছেন? –

  1. ঝরনা কলম
  2. জল-পেন
  3. জলপ্রপাত পেন
  4. ধারাপ্রবাহ পেন

উত্তর – 1. ঝরনা কলম

ফাউন্টেন পেন আবিষ্কার করেছিলেন –

  1. এম ফাউন্টেন
  2. লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান
  3. ওয়াথনাট ওয়াটারম্যান
  4. রবার্ট ওয়াটারম্যান

উত্তর – 2. লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান

কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে একটা নামি দোকানে লেখক কী কিনতে গিয়েছিলেন? –

  1. বই
  2. ম্যাগাজিন
  3. ফাউন্টেন পেন
  4. পেনের কালি

উত্তর – 3. ফাউন্টেন পেন

কোন্ ঘটনার কয়েক বছর পর কলেজ স্ট্রিটে ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়েছিলেন লেখক? –

  1. দেশের স্বাধীনতালাভের পর
  2. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
  3. ফাউন্টেন পেন আবিষ্কারের পর
  4. রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির পর

উত্তর – 2. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর

কলেজ স্ট্রিটে ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়ে লেখক যেসব পেনের নাম শুনেছিলেন, সেগুলি হল –

  1. পার্কার
  2. শেফার্ড
  3. ওয়াটারম্যান
  4. সবগুলি

উত্তর – 4. সবগুলি

দোকানদার লেখককে সস্তার একটা পাইলট কিনতে বলেছিলেন। সেটা ছিল –

  1. চিনা কলম
  2. জাপানি কলম
  3. ভারতীয় কলম
  4. জার্মান কলম

উত্তর – 2. জাপানি কলম

“তা লেখককে নেশাগ্রস্ত করে”। – ‘তা’ বলতে বোঝানো হয়েছে –

  1. খাতা-পেন
  2. বাঁশের পেন
  3. পালকের পেন
  4. ফাউন্টেন পেন

উত্তর – 4. ফাউন্টেন পেন

লেখক কোন্ বিখ্যাত সাহিত্যিকের সংগ্রহে প্রায় দু-ডজন ফাউন্টেন পেন দেখেছিলেন? –

  1. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
  2. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
  3. অন্নদাশঙ্কর রায়
  4. শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়

উত্তর – 4. শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়

ফাউন্টেন পেনের নেশা শৈলজানন্দ যার কাছ থেকে পেয়েছিলেন, তিনি হলেন –

  1. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
  2. ওয়াটারম্যান
  3. বঙ্কিমচন্দ্র
  4. রবীন্দ্রনাথ

উত্তর – 1. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

“তাঁরও ছিল ফাউন্টেন পেনের নেশা” – তিনি হলেন –

  1. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
  2. রাজশেখর বসু
  3. সুবোধ ঘোষ
  4. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

উত্তর – 4. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল –

  1. রিজার্ভার পেন
  2. বল-পেন
  3. ঝরনা কলম
  4. ব্যারেল পেন

উত্তর – 1. রিজার্ভার পেন

লেখক কাচের দোয়াতে কালি ভরেছেন যা দিয়ে, তা হল –

  1. কালি ট্যাবলেট
  2. জল কালি
  3. আলতা
  4. নীল রং

উত্তর – 1. কালি ট্যাবলেট

“তাদের বাহারি সব নাম” – কী নাম? –

  1. সুলেখা কালি
  2. বাবা কালিন
  3. আলতা কালি
  4. স্থায়ী কালি

উত্তর – 1. সুলেখা কালি

পালকের কলম তাড়াতাড়ি ভোঁতা হয়ে যেত, তাই টেকসই করার জন্য কীসের নিব তৈরি হয়েছিল? –

  1. গোরুর শিঙের
  2. কচ্ছপের খোলের
  3. 1 ও 2 উভয়ই
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 3. 1 ও 2 উভয়ই

ফাউন্টেন পেন বাজার দখল করে সরিয়ে দিয়েছিল –

  1. দোয়াত আর কলমকে
  2. বল-পেনকে
  3. পালকের পেনকে
  4. বাঁশের কলমকে

উত্তর – 1. দোয়াত আর কলমকে

“দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে” – যেমন –

  1. কাচের
  2. জেডের
  3. পিতলের
  4. সবগুলির

উত্তর – 4. সবগুলির

লেখক কার কাছে সোনার দোয়াতকলম দেখেছিলেন? –

  1. সুভো ঠাকুরের কাছে
  2. শৈলজানন্দের কাছে
  3. শরৎচন্দ্রের কাছে
  4. অন্নদাশঙ্করের কাছে

উত্তর – 1. সুভো ঠাকুরের কাছে

দোয়াতের কালি দিয়ে লিখে অমর হয়েছেন এমন সাহিত্যিকের উদাহরণ হিসেবে লেখক কার কথা বলেছেন? –

  1. মতি নন্দী
  2. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
  3. কাশীরাম দাস
  4. মধুসূদন দত্ত

উত্তর – 3. কাশীরাম দাস

ফাউন্টেন পেনের পর যে পেন বাজার দখল করেছে, তা হল –

  1. নিব-পেন
  2. বল-পেন
  3. পালকের কলম
  4. খাগের কলম

উত্তর – 2. বল-পেন

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একের পর এক যেসব পেন এসেছে তার ক্রমতালিকাটি হল –

  1. বাঁশের পেন-পালকের পেন-ফাউন্টেন পেন-বল-পেন
  2. বল-পেন-পালকের পেন-ফাউন্টেন পেন-বাঁশের পেন
  3. বাঁশের পেন-বল-পেন-ফাউন্টেন পেন-পালকের পেন
  4. পালকের পেন-ফাউন্টেন পেন-বল-পেন-বাঁশের পেন

উত্তর – 1. বাঁশের পেন-পালকের পেন-ফাউন্টেন পেন-বল-পেন

লেখক একটা বিদেশি কাগজে ফাউন্টেন পেনের বিজ্ঞাপনের কী বিশেষত্ব দেখেছিলেন? –

  1. তাদের 700 রকম নিব আছে
  2. তাদের 1000 রকমের রঙের পেন আছে
  3. সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি পেন আছে
  4. একটি পেনে একসঙ্গে পাঁচ ধরনের নিব আছে

উত্তর – 1. তাদের 700 রকম নিব আছে

সব পেনকেই কে জাদুঘরে পাঠানোর প্রতিজ্ঞা করেছে? –

  1. কম্পিউটার
  2. টাইপরাইটার
  3. মোবাইল
  4. ট্যাব

উত্তর – 1. কম্পিউটার

“লাঠি তোমার দিন ফুরাইয়াছে।” – এই কথাটির রচয়িতা হলেন –

  1. শরৎচন্দ্র
  2. শ্রীপান্থ
  3. বঙ্কিমচন্দ্র
  4. রবীন্দ্রনাথ

উত্তর – 3. বঙ্কিমচন্দ্র

যাঁরা ওস্তাদ কলমবাজ, তাঁদের বলা হয় –

  1. লিপিকুশলী
  2. পণ্ডিত
  3. লেখক
  4. দার্শনিক

উত্তর – 1. লিপিকুশলী

চার খণ্ড রামায়ণ কপি করে একজন লেখক অষ্টাদশ শতকে কত টাকা পেয়েছিলেন? –

  1. সাত টাকা
  2. আট টাকা
  3. ন-টাকা
  4. দশ টাকা

উত্তর – 1. সাত টাকা

উনিশ শতকে বত্রিশ হাজার অক্ষর লিখে পাওয়া যেত – 

  1. বারো আনা
  2. চোদ্দো আনা
  3. দশ আনা
  4. পনেরো আনা

উত্তর – 1. বারো আনা

লেখকের কালের কোন্ লেখক টাইপরাইটারে লিখেছেন বলা হয়েছে? –

  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  2. অন্নদাশঙ্কর রায়
  3. ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
  4. মধুসূদন দত্ত

উত্তর – 2. অন্নদাশঙ্কর রায়

সম্ভবত শেষপর্যন্ত নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন কে? –

  1. সুভাষ মুখোপাধ্যায়
  2. সত্যজিৎ রায়
  3. অন্নদাশঙ্কর রায়
  4. মধুসূদন দত্ত

উত্তর – 2. সত্যজিৎ রায়

___ বলা হয় তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর। –

  1. কবিকে
  2. কলমকে
  3. সেনাপতিকে
  4. পণ্ডিতকে

উত্তর – 2. কলমকে

লিপিশিল্প কথাটির সঙ্গে কার নাম সংযুক্ত? –

  1. সত্যজিৎ রায়
  2. রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র
  3. সন্দীপ রায়
  4. সমরেশ বসু

উত্তর – 1. সত্যজিৎ রায়

সত্যজিৎ রায়ের সুস্থ সুন্দর নেশার মধ্যে অন্যতম ছিল –

  1. লিপিশিল্প
  2. বয়নশিল্প
  3. হস্তশিল্প
  4. মৃৎশি

উত্তর – 1. লিপিশিল্প

হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির পাতায় কার চিত্রশিল্পী হওয়ার সূচনা? –

  1. সত্যজিতের
  2. মধুসূদনের
  3. রবীন্দ্রনাথের
  4. অবনীন্দ্রনাথের

উত্তর – 3. রবীন্দ্রনাথের

লেখক কোন্ লেখকের মৃত্যুতে নিবের কলমের খুনির ভূমিকা দেখেছেন?

  1. শৈলজানন্দ
  2. অন্নদাশঙ্কর
  3. সুভাষ মুখোপাধ্যায়
  4. ত্রৈলোক্যনাথ

উত্তর – 4. ত্রৈলোক্যনাথ

‘কঙ্কাবতী’, ‘ডমরুধর’ লিখেছিলেন –

  1. শ্রীপান্থ
  2. ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
  3. অখিল নিয়োগী
  4. সত্যজিৎ রায়

উত্তর – 2. ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়

“সেই আঘাতেরই পরিণতি নাকি তাঁর মৃত্যু।” – কার কথা বলা হয়েছে?

  1. শরৎচন্দ্রের
  2. সুভো ঠাকুরের
  3. শৈলজানন্দের
  4. ত্রৈলোক্যনাথের

উত্তর – 4. ত্রৈলোক্যনাথের

“অনেক ধরে ধরে টাইপ-রাইটারে লিখে গেছেন মাত্র একজন” – তিনি হলেন –

  1. সত্যজিৎ রায়
  2. অন্নদাশঙ্কর রায়
  3. রাজশেখর বসু
  4. সুবোধ ঘোষ

উত্তর – 2. অন্নদাশঙ্কর রায়

নিজের হাতের কলমের আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল যে লেখকের বনফুল –

  1. পরশুরাম
  2. ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
  3. মুখোপাধ্যায়
  4. শৈলজানন্দ 

উত্তর – 2. ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়

দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও।

শ্রীপান্থ কোন সাহিত্যিকের ছদ্মনাম?

শ্রীপান্থ হল নিখিল সরকারের ছদ্মনাম।

পাঠ্য ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনাটি কোন্ গ্রন্থের অন্তর্গত?

পাঠ্য ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনাটি নিখিল সরকার রচিত কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই গ্রন্থের অন্তর্গত।

কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই গ্রন্থটি ছাড়া নিখিল সরকার রচিত অপর দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।

কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই গ্রন্থটি ছাড়া নিখিল সরকার রচিত অপর দুটি গ্রন্থ হল যখন ছাপাখানা এলো এবং মেটিয়াবুরুজের নবাব।

“লেখে তিন জন।” – এই তিন জন বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় ব্যবহৃত উদ্ধৃতাংশে তিন জন বলতে কালি, কলম এবং মনকে বোঝানো হয়েছে।

লেখক যেখানে কাজ করেন সেটা কীসের অফিস এবং সবাই সেখানে কী?

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় লেখক শ্রীপান্থ যেখানে কাজ করেন, সেটা লেখালেখির অফিস এবং সেখানে সবাই লেখক।

লেখকের অফিসে লেখক ছাড়া সকলের সামনে কী থাকে?

লেখকের অফিসে লেখক ছাড়া সকলের সামনে চৌকো আয়নার মতো একটা কাচের স্ক্রিন বা পর্দা, অর্থাৎ কম্পিউটার থাকে।

“লেখকরা অনবরত তা দিয়ে লিখে চলেছেন” – ‘তা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে ‘তা’ বলতে ছাপা হরফ-সহ কম্পিউটারের কী-বোর্ডকে বোঝানো হয়েছে।

লেখক একদিন অফিসে কলম নিয়ে যেতে ভুলে গেলে ‘তবেই বিপদ’ কেন বলেছেন?

এক্ষেত্রে বিপদ হল, লেখক ছাড়া তাঁর অফিসে কেউ লেখার কাজে কলম ব্যবহার করেন না। এমনকি কারও কাছে কলম পাওয়া গেলেও সেই ভোঁতা মুখের কলমে লিখে লেখক সুখ পান না।

“দায়সারা ভাবে কোনও মতে সেদিনকার মতো কাজ সারতে হয়।” – ‘দায়সারা’ কথাটি ব্যবহার করেছেন কেন?

অফিসে লেখকই একমাত্র কলম ব্যবহার করতেন। তাই কোনোদিন অফিসে কলম নিয়ে যেতে ভুলে গেলে কারও ভোঁতা মুখের কলমেই অগত্যা কাজ চালাতে হত তাঁকে। এজন্য লেখক ‘দায়সারা’ কথাটি ব্যবহার করেছেন।

“বাংলায় একটা কথা চালু ছিল।” – কোন্ কথা চালু ছিল?

বাংলায় চালু কথাটি ছিল – “কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি মুনশি।”

“কালগুণে বুঝিবা আজ আমরাও তা-ই।” – ‘আমরাও তা-ই’ বলতে লেখক কী বলেছেন?

বাংলার এক প্রচলিত প্রবাদ ছিল ‘কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি মুনশি’। কম্পিউটারের বহুল ব্যবহারের ফলে লেখক বলেছেন, কালি ও কলম ছাড়া এখন সবাই মুনশি বা লেখক হয়ে উঠেছে।

“বড়োরা শিখিয়ে দিয়েছিলেন” – বড়োরা কী শিখিয়েছিলেন?

ছোটোবেলায় কলম তৈরি করার সময় বড়োরা শিখিয়েছিলেন, বাঁশের কঞ্চির ছুঁচোলো মুখটা চিরে দিতে, তবেই কালি একসঙ্গে না গড়িয়ে ধীরে ধীরে পড়বে।

লেখকদের শৈশবে লেখার পাত কেমন ছিল?

শৈশবে লেখকদের লেখার পাত বলতে ছিল কলাপাতা। এটিকে কাগজের মতো ব্যবহার করে তাতে লেখক ও তাঁর সহপাঠীরা হোমটাস্ক করতেন।

কলাপাতায় হোমটাস্ক করার পর সেগুলি নিয়ে শৈশবে লেখকরা কী করতেন?

লেখকরা কলাপাতায় হোমটাস্ক করে সেগুলি বান্ডিল বেঁধে স্কুলে নিয়ে গিয়ে মাস্টারমশাইকে দেখাতেন। মাস্টারমশাই সেগুলো দেখার পর আড়াআড়িভাবে ছিঁড়ে ফেরত দিলে তাঁরা সেটা পুকুরে ফেলে দিতেন।

“গোরুকে অক্ষর খাওয়ানোও নাকি পাপ।” – তাই লেখকরা শৈশবে কী করতেন?

শৈশবে লেখকরা মাস্টারমশাইয়ের ফেরত দেওয়া ছেঁড়াখোঁড়া কলাপাতার টুকরোগুলি পুকুরে ফেলে দিতেন। কারণ সেযুগে মনে করা হত, ওগুলো গোরু খেলে অমঙ্গল হবে।

কালি তৈরির উৎকৃষ্ট পদ্ধতি সম্পর্কে প্রচলিত প্রবাদটি লেখো।

কালি তৈরির উৎকৃষ্ট প্রচলিত প্রবাদটি হলো – “তিল ত্রিফলা সিমুল ছালা/ছাগ দুগ্ধে করি মেলা/লৌহপাত্রে লোহায় ঘসি/ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি।”

বড়োদের সাহায্য নিয়ে শৈশবে লেখকরা কীভাবে নিজেরাই কালি তৈরি করতেন?
অথবা, “আমাদের ছিল সহজ কালি তৈরি পদ্ধতি।” – সহজ পদ্ধতিটি কী ছিল?

শৈশবে লেখকরা বড়োদের সাহায্য নিয়ে কাঠের উনুনে ব্যবহৃত কড়াইয়ের নিচে জমে থাকা কালিকে লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে, পাথরের বাটিতে জলে গুলে কালি তৈরি করতেন।

“বলতে গেলে তাই নিয়ে আমাদের প্রথম লেখালেখি।” – কী কী নিয়ে প্রথম লেখালেখি ছিল?

প্রথম লেখালেখি শুরু হয়েছিল বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি এবং লেখার জন্য কলাপাতা দিয়ে।

“তখন মনে কষ্ট হয় বইকী!” – কী কারণে মনে কষ্ট হয়েছে?

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনার লেখক শ্রীপান্থ কলম ক্রমশ উধাও হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় মনে কষ্ট পেয়েছেন।

লেখকের জন্ম মিশরে হলে লেখক কী করতেন বলেছেন?

লেখক যদি মিশরে জন্মাতেন, তাহলে নীল নদের তীর থেকে নলখাগড়া সংগ্রহ করে তা দিয়ে কলম বানিয়ে লিখতেন।

প্রাচীন সুমেরীয়রা কীভাবে কলম বানাত?

প্রাচীন সুমেরীয়রা নলখাগড়া সংগ্রহ করে সেটাকে ভোঁতা করে তুলি বানিয়ে লিখতেন।

ফিনিসীয় হলে লেখক কী করতেন?

লেখক জানিয়েছেন, তিনি ফিনিসীয় হলে বনপ্রান্ত থেকে হাড় কুড়িয়ে তা দিয়ে কলম তৈরি করতেন।

“এমনকী আমি যদি রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হতাম।” – কোন্ রোমান অধীশ্বরের কথা বলা হয়েছে?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনার আলোচ্য অংশে রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হিসেবে জুলিয়াস সিজারের কথা বলা হয়েছে।

স্টাইলাস কী?

ব্রোঞ্জের সরু কাঠি বা শলাকার পোশাকি নাম স্টাইলাস। প্রাচীন রোমে কলম হিসেবে ব্রোঞ্জের শলাকা ব্যবহার করা হত।

স্টাইলাসকে ঘিরে রোমের ইতিহাসের কোন ঘটনার কথা লেখক বলেছেন?

স্টাইলাস বা ব্রোঞ্জের এক শলাকা দিয়ে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার কাসকাকে আঘাত করেছিলেন। সে-কথাই লেখক এখানে বলেছেন।

“আমরা ফেরার পথে কোনও পুকুরে তা ফেলে দিয়ে আসতাম।” – বক্তা কেন তা পুকুরে ফেলে দিতেন?

শৈশবে লেখক কলাপাতায় হোমটাস্ক করতেন, যা গোরু খেয়ে ফেললে অমঙ্গল হবে বলে প্রচলিত ধারণা ছিল। এজন্য সেগুলি পুকুরে ফেলে দেওয়া হত।

লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কীসে ‘হোম-টাস্ক’ করতেন?

লেখক শ্রীপান্থ কলাপাতাকে কাগজের মাপে কেটে নিয়ে হোম-টাস্ক করতেন।

খাগের কলমের ব্যবহার এখন কোন্ সময়ে দেখা যায়?

সরস্বতী পুজোর সময় এখনো খাগের কলমের ব্যবহার দেখা যায়।

পালকের কলমের ইংরেজি নাম কী?

পালকের কলমের ইংরেজি নাম হলো কুইল (Quill)।

বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি দেখে কে, কী বলতেন?

লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি দেখে বলতেন “বাবু কুইল ড্রাইভারস”।

পালকের কলম বর্তমানে দেখার জন্য কীসের ওপর নির্ভর করতে হয়?
অথবা, ‘কুইল’ এখন কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?

পালকের কলম বর্তমানে পুরোনো তৈলচিত্র বা ফোটোগ্রাফে দেখা যায়।

এমন দুটি চিত্রের উল্লেখ করো যাতে পালকের কলম দেখা যায়।

উইলিয়াম জোন্স ও স-মুনশি কেরি সাহেবের চিত্রে পালকের কলম দেখা যায়।

পালক কেটে কলম তৈরি করার জন্য সাহেবরা কী করেছিলেন?

পালক কেটে কলম তৈরি করার জন্য সাহেবরা এক ধরনের যন্ত্র তৈরি করেছিলেন, যা দেখতে পেনসিল শার্পনারের মতো ছিল এবং তাতে ব্লেড ছিল।

“কিন্তু সে সব ফাঁকি মাত্র।” – এই উক্তির তাৎপর্য কী?

লেখক বলেছেন, পালক কলম এবং দোয়াত কলমের পরিবর্তে অফিসে ছদ্মবেশী বল-পেন সাজানো থাকে, যাকে লেখক “ফাঁকি মাত্র” বলেছেন। এটি প্রকৃত কলমের প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং এটি এক ধরনের সস্তা এবং আধুনিক প্রতিস্থাপন, যা কালি কলমের মৌলিকত্ব হারিয়ে যাওয়ার প্রতীক।

“কিছুকাল আগে একজন বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন” – কী লিখেছিলেন?

কিছুকাল আগে একজন বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন যে, কলকাতার চৌরঙ্গিতে তিনজন ফেরিওয়ালার মধ্যে একজন কলম বিক্রেতা। এই ঘটনা লেখক উল্লেখ করেছেন কলমের ব্যাপক প্রচলন এবং সস্তা প্রাপ্তির উদাহরণ হিসেবে।

“দার্শনিক তাঁকেই বলে” – দার্শনিক কাকে বলা হয়?

লেখক উল্লেখ করেছেন যে, ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় যিনি কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন তাকেই দার্শনিক বলা হয়। এখানে দার্শনিক বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে যিনি নিজের চিন্তা-ভাবনা এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে জীবনকে উপলব্ধি করেন।

“কেউ কেউ অবশ্য চুলেও কলম ধারণ করেন।” – এই প্রসঙ্গে শ্রীপান্থ কী উদাহরণ দিয়েছেন?

শ্রীপান্থ উদাহরণ দিয়েছেন যে, ভিড় ট্রাম বা বাস থেকে নামার সময় দেখা যায়, কোনো কোনো মহিলা যাত্রীর খোঁপায় কলম গোঁজা রয়েছে। এটি মূলত সমাজে কলমের সর্বজনীন ব্যবহার এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে ওঠা বোঝাতে বলা হয়েছে।

“কলম এখন সর্বজনীন।” – তাৎপর্য কী?

লেখক শ্রীপান্থ বলছেন যে, কলম এখন সস্তা এবং সর্বজনীন হয়ে গেছে। এটি আর শুধু লেখক বা শিক্ষিত মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সাধারণ মানুষের হাতেও পৌঁছে গেছে। সস্তা এবং সবার জন্য সহজলভ্য হওয়ার কারণে এটি সর্বজনীন হয়ে উঠেছে।

“কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।” – অস্পৃশ্য কেন?

কলম অতি সস্তা এবং সর্বভোগ্য হওয়ার ফলে পকেটমারও এখন কলম চুরি করে না। তাই বলা হয়েছে তাদের কাছে কলম অস্পৃশ্য।

“কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।” – কাদের কাছে?

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় লেখক বলেছেন, কলম সস্তা হয়ে যাওয়ার ফলে হাত সাফাইয়ের কাজে নিযুক্ত পকেটমারদের কাছে কলম অস্পৃশ্য হয়ে যায়।

কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব কীভাবে ঘটেছে?

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় লেখক বলেছেন কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটেছে ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারের ফলে।

“নামটা রবীন্দ্রনাথের দেওয়াও হতে পারে।” – কোন্ নামের কথা বলা হয়েছে?

ফাউন্টেন পেনের যে বাংলা নাম ঝরনা কলম একদা প্রচলিত ছিল, এখানে সেই নামের কথা বলা হয়েছে।

ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক কে?

ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক ছিলেন লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান।

“আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন পেন কেনার কথা।” – কোথায় লেখক ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়েছিলেন?

লেখক কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের একটি নামকরা দোকানে ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়েছিলেন।

পেনের দোকানদার লেখকের পকেটের অবস্থা বুঝতে পেরে কী পেন দিয়েছিলেন?

পেনের দোকানদার লেখকের পকেটের অবস্থা বুঝতে পেরে একটি সস্তা জাপানি পাইলট পেন দিয়েছিলেন।

“এই দেখো। নিব ঠিক আছে।” — কোন ঘটনায় দোকানদার এরুপ বলেছিলেন?

দোকানদার একটি কাঠের বোর্ডের দিকে পাইলট পেনটির খাপ খুলে সেটি ছুঁড়ে দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে পেনটির নিব অক্ষত আছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তিনি উক্ত মন্তব্যটি করেছিলেন।

“তা লেখককে নেশাগ্রস্ত করে।” — কী, কীভাবে লেখককে নেশাগ্রস্ত করে?

এখানে ফাউন্টেন পেনের কথা বলা হয়েছে। ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের আনন্দ লেখককে নেশাগ্রস্ত করে।

কোন লেখকের ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ দেখে লেখক নেশাগ্রস্ত হওয়ার কথাটি এনেছেন?

সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ দেখে লেখক ‘নেশাগ্রস্ত’ হওয়ার কথা বলেছেন।

“জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন” – ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্তটি উল্লেখ করো।

লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানের হাত ধরে ফাউন্টেন পেনের জন্ম হয়েছে। প্রথমে এর নাম ছিল ‘রিজার্ভার পেন’।

দুজন সাহিত্যিকের নাম করো যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা।

সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশা ছিল।

দোকানদার লেখককে কলম বিক্রি করার আগে কী দেখিয়েছিলেন?

লেখক কলম দেখতে চাইলে, দোকানদার কলমের খাপ খুলে সেটি ছুঁড়ে দেন টেবিলের পাশে দাঁড়ানো কাঠের বোর্ডের দিকে। তবুও কলমটির নিব অক্ষত ছিল, এটি দেখানোর জন্যই তিনি এমনটি করেছিলেন।

প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম কী ছিল?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় জানা যায়, প্রথমে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন।

“আমি ছিলাম কালি কলমের ভক্ত।” – এখানে কী বলতে চেয়েছেন লেখক?

লেখক পুরোনো দিনের দোয়াত-ভরা কালি আর নিবের ভক্ত ছিলেন। আলোচ্য অংশে লেখক সেই কথাটিই বলতে চেয়েছেন।

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে দোয়াতে এবং বোতলে তৈরি করে রাখা কালির কী কী নাম পেয়েছ?

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে দোয়াতে এবং বোতলে তৈরি করে রাখা কালির কাজল কালি, সুলেখা ইত্যাদি নাম পাওয়া যায়।

বিদেশে উন্নত ধরনের নিব টেকসই করার জন্য কী দিয়ে বানানো হত?

বিদেশে উন্নত ধরনের নিব টেকসই করার জন্য গোরুর শিং অথবা কচ্ছপের খোল কেটে বানানো হত।

“ক্রমে হঠিয়ে দেওয়া হলো দোয়াত আর কলমকে।” – কীভাবে হঠিয়ে দেওয়া হল?

ফাউন্টেন পেনের সস্তা, দামি, উন্নত নানা ধরনের সম্ভার বাজারে আসার ফলে দোয়াত এবং কলম ক্রমশ বাজার থেকে হটে গেল।

একসময় লেখা শুকোনো হত কী দিয়ে?

শ্রীপান্থ রচিত হারিয়ে যাওয়া কালি কলম রচনা থেকে জানা যায়, প্রথমে বালি এবং পরে ব্লটিং পেপার দিয়ে লেখা শুকোনো হত।

“না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত।” – কী প্রসঙ্গে লেখক এরূপ বলেছেন?

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় দোয়াতের বৈচিত্র্য প্রসঙ্গে লেখক এই কথা বলেছেন।

গ্রামে কেউ দু-একটা পাস করতে পারলে বুড়োবুড়িরা কী বলে আশীর্বাদ করতেন?

গ্রামে কেউ দু-একটা পাস করতে পারলে বুড়োবুড়িরা তাকে ‘সোনার দোয়াতকলম হোক’ বলে আশীর্বাদ করতেন।

“সোনার দোয়াত কলম যে সত্যিই হতো” তা লেখক কীভাবে জেনেছিলেন?

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা থেকে জানা যায়, সোনার দোয়াতকলম যে সত্যিই হত, তা লেখক সুভো ঠাকুরের দোয়াতের সংগ্রহ দেখে জেনেছিলেন।

সুভো ঠাকুরের দোয়াতের সংগ্রহ দেখে অবাক হয়ে মনে মনে লেখক কী ভেবেছিলেন?

লেখক অবাক হয়ে মনে মনে ভেবেছিলেন, এই ধরনের দোয়াতের কালি ও কলম দিয়েই শেকসপিয়র, দান্তে, মিল্টন, কালিদাস, কাশীরাম, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ সাহিত্যিক তাঁদের অমর রচনা লিখেছেন।

“ক্রমে তা-ও বুঝিবা যায় যায়।” — কেন লেখক এরূপ বলেছেন?

যন্ত্রযুগের উন্নতির কারণে ফাউন্টেন পেনও তার আধিপত্য এবং বাজারজোড়া সর্বজনীন রূপ হারিয়ে বল-পেনের জয় দেখতে চলেছে। সেই প্রসঙ্গেই লেখক এরূপ বলেছেন।

ফাউন্টেন পেন বিক্রি করে এমন একটি কোম্পানি গর্ব প্রকাশ করে কী বিজ্ঞাপন দিয়েছিল?

ফাউন্টেন পেন বিক্রি করে, এমন একটি কোম্পানি গর্ব করে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল যে, তাদের তহবিলে সাতশো রকমের নিব রয়েছে।

“যন্ত্রযুগ সকলের দাবি মেটাতেই তৈরি।” – উক্তিটির প্রসঙ্গ লেখো।

গায়ক, শিল্পী, শ্রুতিলেখক, বাম হাতে লেখা লোক, এমনকি ধনী ব্যক্তি—সকলের আলাদা আলাদা নিবের চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে এরূপ বলা হয়েছে।

“আশ্চর্য, সবই আজ অবলুপ্তির পথে।” – কী আজ অবলুপ্তির পথে?

ফাউন্টেন পেন থেকে বল পয়েন্ট পেন—সবই আজ অবলুপ্তির পথে। কম্পিউটার যুগে কলমের ব্যবহার কমতে থাকায় লেখক এই কথা বলেছেন।

“আমার মতো আরো কেউ কেউ নিশ্চয় বিপন্ন বোধ করছেন।” – কী বিষয়ে বিপন্ন বোধের কথা বলা হয়েছে?

লেখকের মতো যারা কলম ব্যবহার করেন তাদের বিপন্ন অবস্থা, কারণ কম্পিউটারের দৌলতে কলম আজ ক্রমশ অবলুপ্তির পথে।

“কিন্তু ইতিহাসে ঠাঁই কিন্তু তার পাকা।” – লেখক কী প্রসঙ্গে এরুপ বলেছেন?

ইতিহাসে কলমের স্থান পোক্ত। কারণ প্রাচীনকাল থেকে কলম শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতিকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেছে।

ক্যালিগ্রাফিস্ট বা লিপিকুশলী কাদের বলা হয়?

পারদর্শী লিপিকার বা ক্যালিগ্রাফিস্টদের বলা হয় লিপিকুশলী।

“মুঘল দরবারে একদিন তাঁদের কত না খাতির” – কাদের কথা বলা হয়েছে?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনার অন্তর্গত প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে লিপিকুশলী বা ক্যালিগ্রাফিস্টদের কথা বলা হয়েছে।

“সমানি সম শীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ।” – বাংলা অর্থ কী?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনার অন্তর্গত থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটির বাংলা অর্থ হল—”সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন।”

“অথচ কত সামান্যই না রোজগার করতেন ওঁরা।” – এরকম বক্তব্যের কোন্ উদাহরণ লেখক দিয়েছেন?

উদ্ধৃত বক্তব্যের সপক্ষে উদাহরণ দিতে গিয়ে লেখক জানিয়েছেন, 18শ শতকে 4 খণ্ড রামায়ণ লিখে একজন লেখক পেয়েছিলেন নগদ 7 টাকা, কিছু কাপড় ও মিঠাই।

“লিখে কম রোজগার হত ” – এ-প্রসঙ্গে সাহেব কী লিখে গেছেন?

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, এক সাহেব লিখে গেছেন, 19শ শতকে 12 আনায় 32 হাজার অক্ষর লেখানো হত।

“তাকে ঘিরে লিপিকরের কত না গর্ব।” – এ প্রসঙ্গে লেখক কী বলেছেন?

কোনো কোনো পুথির লেখক পুথিতে এ কথাও লিখতেন যে, তাঁর পুথি যেন কেউ চুরি না করে। পুথিকে চুরির হাত থেকে রক্ষা করতে এইসব লিপিকর সম্ভাব্য বা কাল্পনিক চোরকে গালমন্দ ও অভিশাপও দিতেন। আলোচ্য প্রসঙ্গে লেখক উক্ত বক্তব্যটি করেছেন।

কলমকে কীসের চেয়েও শক্তিধর বলা হয়?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে কলমকে তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর বলা হয়েছে।

“ফাউন্টেন পেনও হয়তো আভাসে ইঙ্গিতে তা-ই বলতে চায়।” – আভাস ইঙ্গিতটি কীরকম?

শ্রীপান্থ তাঁর ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে মন্তব্য করেছেন, ফাউন্টেন পেন হয়তো আভাসে ইঙ্গিতে বলতে চায় যে, কলম তলোয়ারের চেয়ে শক্তিশালী।

কোন প্রবীণ কবি বা লেখক কলমের বদলে টাইপরাইটারে লিখেছেন?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, অন্নদাশঙ্কর রায় কলমের বদলে টাইপরাইটারে লিখেছেন।

আধুনিক যুগে নিবের কলম ব্যবহার করতেন কোন্ বিখ্যাত বাঙালি লেখক?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, আধুনিক যুগে নিবের কলম ব্যবহার করতেন সত্যজিৎ রায়।

রবীন্দ্রনাথের চিত্রশিল্পের সূচনা হয়েছিল কীভাবে?

রবীন্দ্রনাথের চিত্রশিল্পের সূচনা হয়েছিল হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির পাতায় অক্ষর কাটাকুটি করতে গিয়ে।

হাতে লেখা পান্ডুলিপিতে রবীন্দ্রনাথ কীভাবে সম্মানিত হয়েছেন?

হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির পাতায় অক্ষর কাটাকুটি করতে গিয়েই রবীন্দ্রনাথের চিত্রচর্চা শুরু, যা পরবর্তী সময়ে তাঁকে বিশ্বময় সম্মানিত করেছে।

“তবু যদি আমাকে হত্যা করতে চাও, আচ্ছা, তবে তা-ই হোক।” – কী প্রসঙ্গে লেখক এরূপ বলেছেন?

বাঁশের পেন, নিব-পেন ছেড়ে লেখক বল-পেনের কাছে আত্মসমর্পণ করে আধুনিক অগ্রগতির কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গেই লেখক এরূপ উক্তি করেছেন।

“একবার অন্তত নিবের কলমকে দেখা গেছে খুনির ভূমিকায়।” – কোন ঘটনা লেখক বলেছেন?

সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় অসাবধানতাবশত বুকে কলম ফুটে মারা যান। আলোচ্য অংশে সেই ঘটনার কথাই লেখক বলেছেন।

“সেই আঘাতেরই পরিণতি নাকি তাঁর মৃত্যু।” — এখানে কার মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ থেকে গৃহীত প্রশ্নোদ্ভূত অংশে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।

“সেই আঘাতের পরিণতি নাকি তাঁর মৃত্যু।” – কোন্ আঘাতের পরিণতিতে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে?

বিখ্যাত লেখক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় মারা গিয়েছিলেন নিজের হাতের কলম হঠাৎ অসাবধানতাবশত বুকে ফুটে গিয়ে। এখানে কলমের সেই আঘাতের পরিণতিতে ত্রৈলোক্যনাথের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’-এ বর্ণিত সবচেয়ে দামি কলমটির কত দাম?

শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে বর্ণিত সবচেয়ে দামি কলমটির দাম আড়াই হাজার পাউন্ড।


আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার তৃতীয় পাঠের দ্বিতীয় অংশ, ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনাদের উপকারী হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা থাকে, নির্দ্বিধায় টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি সহায়তার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন বা যাদের প্রয়োজন হতে পারে, তাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ইতিহাস - বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা - ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস - বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস - বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা - বিষয়সংক্ষেপ

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – বিষয়সংক্ষেপ

About The Author

Gopi

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা – বিষয়সংক্ষেপ

মাধ্যমিক ইতিহাস – সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর