এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

দশম শ্রেণি – বাংলা – প্রলয়োল্লাস – বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের তৃতীয় বিভাগ ‘প্রলয়োল্লাস’ নিয়ে কিছু বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর এবং তাদের উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

Table of Contents

প্রলয়োল্লাস – বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর
প্রলয়োল্লাস – বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

ওই নূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড়। – নূতনের কেতন কী? প্রলয়োল্লাস কবিতার বিষয়বস্তুর পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্যটির তাৎপর্য আলোচনা করো।

নূতনের কেতন – কেতন শব্দের অর্থ পতাকা। নূতনের কেতন অর্থাৎ নতুন যুগ বা পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে যে পতাকা উড়ছে, তা নতুন সমাজ বা নতুন স্বাধীনতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সমাজের প্রতীক।

তাৎপর্য – ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অগ্নিগর্ভ সময়ে কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি রচিত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন মুক্তি আন্দোলন ঘটছিল এবং কবি এসব আন্দোলনের প্রভাব সম্পর্কে সজাগ ছিলেন। এ থেকেই তাঁর মনে হয়েছিল যে নতুন দিনের আগমন অবশ্যম্ভাবী। সেই নতুন দিনের আগমন ‘কালবৈশাখীর ঝড়’-এর মতো আসবে — অর্থাৎ এক প্রচণ্ড সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। সর্বনাশের পথ ধরে এই পরিবর্তন আসবে — বস্ত্রশিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর বিপ্লবের আগমন। সর্বনাশী ধূমকেতুর মতো তার আবির্ভাব হবে। সশস্ত্র বিপ্লবের এই আগমনে স্থিতাবস্থার আসন টলে যাবে। মধ্যাহ্ন সূর্যের প্রখর তাপের মতো কিংবা মেঘের গর্জনের মতো বিপ্লবী শক্তির আগমন ঘটবে। মহাসমুদ্রও যেন সেই ভয়ংকরের আগমনে দুলে উঠবে। কিন্তু এই ভয়ংকরের আড়ালে সুন্দরের প্রতিশ্রুতি লুকিয়ে আছে। প্রলয়ের রূপ নিয়ে এ হল ‘চিরসুন্দর’-এর আগমন। ভাঙনের মধ্য দিয়েই সৃষ্টিই তাঁর লক্ষ্য। তাই কবি ভয়ংকরকে ভয় না পেয়ে, তারই জয়ধ্বনি করতে বলেছেন। কারণ ‘কালবৈশাখীর ঝড়’-এর মধ্যে দিয়েই ‘নূতনের কেতন’ উড়ছে —ভয়ংকর কালবৈশাখীর বেশে এবার নতুন দিনের সুন্দর আগমন ঘটছে।

বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর! – এখানে ভয়ংকর বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের কীভাবে আগমন ঘটছে নিজের ভাষায় লেখো।

ভয়ংকর – এর পরিচয় – কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘ভয়ংকর’ বলতে মহাকালের মতো চণ্ড মূর্তিতে যে তরুণ বিপ্লবীদের আগমন ঘটছে, তাদের কথা বলা হয়েছে।

ভয়ংকরের আগমন – যে তরুণ বিপ্লবীদের আগমন কবি প্রত্যক্ষ করেছেন, তাদের লক্ষ্য স্বাধীনতা। ইংরেজের দুর্গে আঘাত হানাই তাদের উদ্দেশ্য। কালবৈশাখীর ঝড়ের প্রচণ্ডতা নিয়ে তাদের আগমন ঘটে। তারা ‘নূতনের কেতন’ ওড়ায়। পুরোনো ব্যবস্থার বদল ঘটিয়ে তারা এক মানব-বাসযোগ্য সুন্দর সমাজ গড়তে চায়, যেখানে অত্যাচার ও অন্যায় অবসান ঘটবে। কিন্তু তার জন্য প্রথমে প্রয়োজন পুরোনো ব্যবস্থার বদল। তাই ধ্বংসের উন্মত্ততা নিয়ে তরুণ বিপ্লবীদের আগমন ঘটে। কবি তাদেরকে বলেছেন – অনাগত প্রলয়-নেশার নৃত্যপাগল। শিব যেমন তাঁর রুদ্র মূর্তিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়েছিলেন, এই তরুণদলও চায় সত্য, ন্যায় এবং সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করতে। ‘সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে’ অর্থাৎ সমুদ্রপারে আন্দামানের সেলুলার জেলের দরজা ভাঙতে চায় তারা। কারণ এই কারাগার ইংরেজের অত্যাচার ও দমনের প্রতীক। এই মৃত্যুপুরীতে মহাকালের চণ্ড-মূর্তিতে এভাবেই ভয়ংকরের আগমন ঘটে।

দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়। – মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। কবিতায় এই প্রসঙ্গটি উল্লেখের কারণ কী?

মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ – প্রলয়োল্লাস কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবল রূপকে তুলে ধরার জন্য এই উক্তিটি ব্যবহার করেছেন। মধ্যাহ্নের সূর্যের দীপ্তি ভয়ংকর, যা অগ্নিজ্বালা সৃষ্টি করে। আবার আকাশে যখন মেঘ জমে, মনে হয় যেন আগুনরঙা জটাজাল সৃষ্টি হয়েছে। সেই মেঘ থেকে ঝরে পড়া বৃষ্টি যেন দিগন্তের কান্না। বিন্দু বিন্দু করে পড়া সেই বৃষ্টি সপ্তমহাসমুদ্রকে আলোড়িত করে তোলে। কবি প্রলয়ের এই রূপকে শুধু প্রকৃতিতেই নয়, চারপাশের সমাজজীবনেও অনুভব করেছেন।

প্রসঙ্গটি উল্লেখের কারণ – প্রলয়ের ধ্বংসের মধ্যেই কবি বিশ্বমাতার সৃষ্টির অভিষেক দেখেছেন। নজরুল তাঁর যুগবাণী গ্রন্থের ‘নবযুগ’ রচনায় উল্লেখ করেছেন – “আজ মহাবিশ্বে মহাজাগরণ, আজ মহামাতার মহা আনন্দের দিন, আজ মহামানবতার মহাযুগের মহা উদ্বোধন।” বিক্ষোভ ও আন্দোলনের তীব্রতায় ধ্বংসের যে উন্মাদনা কবির চোখে পড়ে, তার সঙ্গে কবি প্রকৃতির ভয়ংকর রূপের মিল খুঁজে পান। যদিও সেই রূপ দেখে মানুষ শঙ্কিত ও দিশাহারা হয়, কবি এর মধ্যেই নতুন দিনের এবং নতুন জীবনের প্রতিশ্রুতি খুঁজে পেয়েছেন। সংগ্রামের ভয়ংকর রূপকে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে কবি এই মন্তব্যটি করেছেন।

জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে/জরায়-মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ-লুকানো ওই বিনাশে। – জগৎ জুড়ে প্রলয় কথাটির অর্থ লেখো। এই প্রলয়ের সার্থকতা কী?

জগৎজুড়ে প্রলয় – এর অর্থ – কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয়োল্লাস কবিতাটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে রচিত হলেও, পৃথিবীজুড়ে যে গণমুক্তির সংগ্রামগুলি কবি নানাভাবে সংঘটিত হতে দেখেছেন, সেগুলিও তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে। কাব্য রচনার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতাগুলোও তাঁকে প্রভাবিত করেছে। রাশিয়ার বিপ্লব, তুরস্কে কামাল পাশার উত্থান, আয়ারল্যান্ডের বিপ্লব ইত্যাদি ঘটনা নজরুলের মনে গভীর দাগ কেটেছিল। সংগ্রাম এবং শোষণমুক্তির বিভিন্ন রূপ বিক্ষিপ্ত আকারে থাকলেও, বিপ্লবের সেই উন্মাদনা নজরুলকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। ‘জগৎজুড়ে প্রলয়’ বলতে এই বিশ্বব্যাপী সংগ্রাম-আন্দোলনের কথাই বোঝানো হয়েছে।

প্রলয়ের সার্থকতা – প্রলয় যদিও ধ্বংসের বার্তাবাহক, তবুও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে এই প্রলয়কে কবি স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ, তাঁর মতে, এই প্রলয় প্রচলিত ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে নতুন দিনের সূচনা করবে, যা আসলে স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠা। যুগবাণী-র ‘নবযুগ’ রচনায় নজরুল লিখেছিলেন – “নরে আর নারায়ণে আজ আচার-ভেদ নাই। আজ নারায়ণ মানব। তাঁর হাতে স্বাধীনতার বাঁশি।” প্রলয়ের মধ্যে এই নতুন ব্যবস্থাকেই কবি দেখতে পেয়েছেন। তাই ভয়ংকরকে ভয় না পেয়ে, তার জয়ধ্বনি করার কথা বলেছেন তিনি।

ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর? প্রলয় নূতন সৃজন-বেদন। – কোন্ ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে? প্রলয়কে নূতন সৃজন-বেদন বলার তাৎপর্য কী?

ধ্বংসের পরিচয় – কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় রুদ্ররূপী শিবের সংহারমূর্তি কল্পনা করা হয়েছে। সেই সংহারমূর্তিতে শিব অসুন্দরকে ধ্বংস করে সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করবেন। এখানে মহাকাল শিবের ধ্বংসলীলার কথাই বলা হয়েছে।

নূতন সৃজন-বেদন বলার তাৎপর্য – জীর্ণ পাতা ঝরে গিয়েই গাছে গাছে নতুন পাতার জন্ম হয়। একইভাবে, সামাজিক জীর্ণতা ধ্বংস না হলে নতুন সৃষ্টি সম্ভব নয়।

  • মূল্যবোধের অবক্ষয় – সমকালীন বাংলা দেশে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কালো ছায়া নেমে এসেছিল। সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ শাসন মানুষের প্রাণের মুক্তিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। অন্যদিকে, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ইত্যাদি বিষয়গুলি সমাজের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। মনুষ্যত্বের অপমান, শোষণ, বঞ্চনা প্রভৃতি ছিল সাধারণ মানুষের ভাগ্যলিপি।
  • ধর্মান্ধ সমাজের ধ্বংস – নজরুল আন্তরিকভাবে এই সমাজের ধ্বংস চেয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্যেই তিনি প্রলয়রূপী শিবের আবির্ভাব কামনা করেছিলেন।
  • সংহারক ও রক্ষক – শিব হলেন একাধারে সংহারক ও রক্ষক। তিনি ধ্বংসের মধ্য দিয়েই সৃষ্টি করেন। তাঁর আবির্ভাবে প্রলয় সংঘটিত হয়। প্রলয় নিয়ে আসে ধ্বংস, আর সেই ধ্বংসের সঙ্গে আসে বিনাশের জন্য বেদনা।
  • সৃজন-বেদন – কিন্তু প্রলয়ের মধ্য দিয়ে সৃষ্টির আগমন সুনিশ্চিত হয়। আপাত ধ্বংসের পেছনে সৃষ্টির অবস্থান বলে কবি প্রলয়কে ‘সৃজন-বেদন’ বলেছেন।

কাল-ভয়ংকরের বেশে এবার ওই আসে সুন্দর! – কাল-ভয়ংকরের পরিচয় দাও। কীভাবে তিনি সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করবেন বলে কবির ধারণা?

কাল-ভয়ংকরের পরিচয় – কাল-ভয়ংকর হলেন ‘প্রলয়নেশার নৃত্যপাগল’ শিব। তিনি আসেন কালবৈশাখীর রূপ ধরে। তাঁর হাতে বজ্রশিখার মশাল। সর্বনাশী জ্বালামুখী ধূমকেতুর মতো তাঁর আগমন ঘটে। রক্তমাখা কৃপাণ হাতে অট্টহাসি হেসে তিনি যাবতীয় অশুভ শক্তির অবসান ঘটান। জীবনহীন অসুন্দরকে তিনি ছেদন করেন বলে তাঁর আগমন ধ্বংসাত্মক। সমাজ-সভ্যতা যদি রথের প্রতীক হয়, তবে তিনি সেই রথের সারথি। রক্ত-তড়িৎ চাবুক হেনে তিনি দুরন্ত ঘোড়ার গতিকে আরও বাড়িয়ে দেন। সেই ঘোড়ার খুরের দাপটে আকাশে উল্কার ছোটাছুটি বা স্থান পরিবর্তন ঘটে। এভাবে মহাবিশ্বের সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে।

সুন্দরের প্রতিষ্ঠা – সমাজের জীর্ণ-পুরাতনকে ধ্বংস করে মহাকাল শিব নতুনের বার্তা বয়ে আনেন। প্রলয়রূপী শিবের আগমনপ্রার্থনার মধ্য দিয়ে কবি নতুন সূর্যোদয় প্রার্থনা করেছেন। মানুষের অন্ধবিশ্বাস, বিপথগামিতা, দাসত্ব এবং মূল্যবোধের অবক্ষয় দূর না করলে সুন্দরের প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। শিব নিজেই সত্য ও সুন্দরের প্রতীক। তাঁর ধ্বংসমূর্তি যেমন প্রলয়কে আহ্বান করে, তেমনই তাঁর সৃষ্টিও সুন্দরেরই প্রতিষ্ঠা ঘটায়। তাই সমাজের জীর্ণ অচলায়তনের প্রাচীর ভেঙে দিয়ে তিনি সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করবেন। এই কারণেই কবি মহাকালরূপী শিবের আগমনে সকলকে জয়ধ্বনি দিতে বলেছেন।

ওই ভাঙা-গড়া খেলা যে তার কিসের তবে ডর? – প্রলয়োল্লাস কবিতায় ভাঙা-গড়ার কোন্ রূপকে কবি ফুটিয়ে তুলেছেন লেখো।

  • নবযৌবনের বন্দনা – প্রলয়োল্লাস কবিতায় কবি নজরুল চিরবিদ্রোহী নবযৌবনের বন্দনা করেছেন। এই বিপ্লবী শক্তির আগমন ঘটে ভয়ংকরের বেশ ধরে। ‘মহাকালের চণ্ড-রূপে’, অর্থাৎ শিবের প্রলয়ঙ্কর মূর্তিতে যেন তাদের আগমন।
  • মৃতপ্রায় সমাজের অবসান – ‘জয় প্রলয়ঙ্কর’ ধ্বনি তুলে জরাগ্রস্ত মৃতপ্রায় সমাজের তারা অবসান ঘটায়। চারপাশ দিশাহারা হয়ে যায় শক্তির সেই প্রচণ্ডতায়। রক্তাক্ততা, বিশৃঙ্খলা, এবং অস্থিরতার মধ্য দিয়ে তাদের এই আবির্ভাবে যে ধ্বংসের উন্মাদনা থাকে, তা মানুষকে শঙ্কিত করে তোলে।
  • সৃষ্টির নবনির্মাণ – ধ্বংসের এই প্রচণ্ডতা আসলে সৃষ্টির নবনির্মাণের জন্য। প্রলয়ের দেবতা শিব ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকে নিশ্চিত করেন। সেভাবেই বিপ্লবী শক্তিও আপাত নৈরাজ্যের আড়ালে সুস্থ, সুন্দর এক সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখে। কবির চোখে এই প্রলয় তাই জড়ত্বের অবসান ঘটানোর জন্য।
  • মানবতার প্রতিষ্ঠা – কালরাত্রির শেষেই রয়েছে ভোরের সূর্যোদয়। অন্ধকারাগারের হাড়িকাঠে যে দেবতা বাঁধা আছেন, তাকে মুক্ত করে মানবতার প্রতিষ্ঠা ঘটানোই এই তরুণদের লক্ষ্য। এই প্রলয় তাই ‘নূতন সৃজন-বেদন’।
  • নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত – জীবনহারা অসুন্দরকে ছিন্ন করার জন্য যার আগমন ঘটেছে। তাই ভাঙনের পেছনে থাকে সৃষ্টির স্বপ্ন। স্বাধীনতা, সাম্য এবং সম্প্রীতির বীজমন্ত্রে থাকে নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত।

আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের তৃতীয় বিভাগ ‘প্রলয়োল্লাস’ থেকে কিছু বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। যদি আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকে, তাহলে আমাকে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন