দশম শ্রেণি – বাংলা – প্রলয়োল্লাস – সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর


আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা পাঠের পঞ্চম পাঠের তৃতীয় বিভাগ ‘প্রলয়োল্লাস’ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এসব প্রশ্ন প্রায়শই পরীক্ষায় আসে। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সহায়ক হবে।

প্রলয়োল্লাস – সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
প্রলয়োল্লাস – সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

তোরা সব জয়ধ্বনি কর! – কাদের উদ্দেশ্যে কবির এই আহ্বান? কবিতায় কেন এই আহ্বানটি পুনরাবৃত্ত হয়েছে লেখো।

অথবা, তোরা সব জয়ধ্বনি কর। – তোরা বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? তারা কেন জয়ধ্বনি করবে?

অথবা, প্রলয়োল্লাস কবিতায় একদিকে ধ্বংসের চিত্র আঁকা হয়েছে আবার অন্যদিকে নতুন আশার বাণী ধ্বনিত হয়েছে-কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো।

যাদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান – প্রলয়োল্লাস কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এই আহ্বান জানিয়েছেন।

আহ্বানের পুনরাবৃত্তির কারণ – প্রলয়োল্লাস কবিতায় মোট 19 বার “তোরা সব জয়ধ্বনি কর” এই আহ্বানসূচক পঙক্তিটি উচ্চারিত হয়েছে, যা বুঝিয়ে দেয় এই পঙক্তিটিতেই কবি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। আসলে ‘প্রলয়োল্লাস’ হলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সৃষ্টির বন্দনা। স্বাধীনতাপ্রিয় যে তরুণের দল তাদের দুর্জয় সাহস আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে পরাধীনতা এবং সামাজিক বৈষম্যের অবসান ঘটাতে চায়, কবি তাদেরই জয়ধ্বনি করতে বলেছেন। কবির কথায় তারা হলো ‘অনাগত প্রলয়-নেশার নৃত্য-পাগল’, কিন্তু তারাই সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে আঘাত করে নতুন চেতনা, বিপ্লবের বার্তা বয়ে আনে। অসুন্দরকে দূর করতে তারা আপাতত ভয়ংকরের বেশ ধারণ করে। এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে নবপ্রাণের প্রতিষ্ঠা ঘটে, প্রাণহীনতার বিনাশ হয়। জগৎজুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে / জরায়-মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ-লুকানো ওই বিনাশে। প্রলয়ংকর শিবের মতো রুদ্রমূর্তিতে যে বিপ্লবী শক্তির অভ্যুদয় ঘটে, তারাই ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সৃষ্টির কারিগর। তাই তাদের অভ্যর্থনা জানাতে হবে, সমাজকে সুন্দর করে তুলতে। এ কারণেই ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ পঙক্তিটি কবিতায় পুনরাবৃত্ত হয়েছে। এটি বিপ্লবী যুবশক্তির প্রতি কবির মুগ্ধ অভিবাদন।

প্রলয়োল্লাস কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলোচনা করো।

অথবা, প্রলয়োল্লাস কবিতায় প্রলয়ের মধ্যে কবি উল্লাস অনুভব করেছেন কীভাবে বুঝিয়ে লেখো।

অথবা, প্রলয়োল্লাস কবিতায় কবি প্রলয় ও আশাবাদের সুর কীভাবে ব্যক্ত করেছেন তা বর্ণনা করো।

  • প্রাককথন – কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা মূলত কবির জীবন-উল্লাসের প্রকাশ। শোষণ-বঞ্চনা এবং পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে জীবনের জাগরণ এবং স্বাধীনতা ও সাম্যের ভোরকে কবি উল্লাসের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছেন। 1922 সালে গ্রন্থাকারে ‘প্রলয়োল্লাস’ প্রকাশিত হয়, সেই একই বছরে নজরুল তাঁর ধূমকেতু পত্রিকায় লিখেছিলেন – “পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে আমাদের প্রথমে বিদ্রোহ করতে হবে। সকল নিয়ম-কানুন, বাঁধন এবং শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে।”
  • সুন্দরের আবির্ভাব – ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় দেখা যায়, “সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল।” এই পংক্তিটি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, কবি বিদ্রোহের ডাক দিয়েছেন। ভয়ংকরের বেশে এখানে সুন্দরের আবির্ভাব ঘটে। প্রবল তেজ ও বিপর্যয় নিয়ে যে বিপ্লবী শক্তি আসে, তা প্রথমে শঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু তার উদ্দেশ্য বিশ্বমায়ের আসনে চিরসুন্দরের প্রতিষ্ঠা করা।
  • চিরসুন্দরের প্রতিষ্ঠা – কবি দেখেছেন, “অন্ধ কারার বন্ধ কূপে/দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যূপে।” এখানে ‘দেবতা’ স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। কারার অন্ধকার থেকে মুক্তির সময় এসেছে, রথচক্রের গর্জন শোনা যাচ্ছে। তাই কবিতায় কবি বলেছেন, এই ধ্বংস দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই প্রলয় হচ্ছে প্রাণহীন অসুন্দরের বিনাশের জন্য, আর এর পরেই চিরসুন্দরের প্রতিষ্ঠা ঘটবে। তাকেই স্বাগত জানানোর জন্য কবি সকলকে আহ্বান করেছেন।

প্রলয়োল্লাস কবিতাটিতে কবির রচনারীতির যে যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে, তা লেখো।

  • রচনাশৈলী – বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী’ কবি হিসেবে নজরুলের প্রতিষ্ঠা হলেও সেই বিদ্রোহের সুরকে কবিতায় সার্থক করে তুলেছেন নজরুল তাঁর অনবদ্য রচনাশৈলীর মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে শব্দ ব্যবহারের বৈচিত্র্য তাঁর কবিতাকে বিশেষত্ব দিয়েছে।
  • শব্দ প্রয়োগ – পবিত্র সরকার নজরুল সম্পর্কে বলেছেন, “বাংলার প্রায় সমস্ত কবির তুলনায় নজরুলের অভিধান বিস্তৃততর।” কিন্তু আরবি-ফারসি শব্দের যে বিপুল ব্যবহার নজরুলের কবিতায় সাধারণত দেখা যায়, তা ‘প্রলয়োল্লাস’-এ নেই। বরং তৎসম শব্দবাহুল্য থাকা সত্ত্বেও এই কবিতায় ধ্বনিময়তা ও গাম্ভীর্য এসেছে। যেমন – “দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা, ভয়াল তাহার নয়নকটায়, দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়!”
  • পঙ্ক্তি বিন্যাস – কবিতার চালচলনে একইসঙ্গে উচ্ছ্বাস ও গাম্ভীর্য মিলে যাওয়া নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। কবিতার পঙ্ক্তিগুলি অসম হলেও, তার অন্ত্যমিল সার্থকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ধ্রুবপদের মতো ফিরে এসেছে “তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” পঙ্ক্তিটি। এই জয়ধ্বনিই কবিতার মূলকথা—স্বাধীনতার ও নবযুগের।
  • ভাষা ও ছন্দের মিশেল – বিপ্লবীশক্তির যে জীবনোল্লাস কবিতার প্রাণ, তা ভাষা ও ছন্দের মধ্যে অনায়াসে মিশিয়ে দিয়েছেন কবি। তীব্র বেদনা, ক্রোধ, এবং সেখান থেকে নতুন জাগরণের স্বপ্ন — কবিতার নির্মাণে এগুলো ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে।

প্রলয়োল্লাস কবিতা অবলম্বনে কাজী নজরুল ইসলামের সংগ্রামী চেতনার পরিচয় দাও।

  • কথামুখ – কবি কাজী নজরুল ইসলাম কলমকে তরবারিতে রূপান্তরিত করে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের একজন প্রধান অংশীদার হয়েছিলেন। তাঁর কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’ তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক চেতনার এক অনবদ্য প্রকাশ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে নজরুলের কবি-প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে এবং তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে কলম ধরেন।
  • সামাজিক অবক্ষয় – কবি নজরুল সমকালীন সমাজের সর্বব্যাপী অবক্ষয় স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তিনি এই পচনশীল সমাজ ধ্বংস করে নতুন এক সমাজ গড়ার অদম্য ইচ্ছা বুকে ধারণ করে ছিলেন। এ কারণে তিনি মহাকালরূপী শিবের আগমন কামনা করেছেন, যিনি ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সমাজকে নতুন করে গড়ে তুলবেন।
  • নটরাজ শিবের আগমন – নজরুল জানতেন, সমাজের সর্বব্যাপী দুর্দশা আর অবক্ষয় থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে রক্ষক ও সংহারক নটরাজ শিবের প্রয়োজন। এই অলৌকিক শক্তিই সামাজিক পাঁকের মধ্য থেকে মানবিকতার পদ্ম ফুটিয়ে তুলবে। নজরুলের সংগ্রামী চেতনাই এই নটরাজ শিবের ভাবনার জন্ম দিয়েছে।
  • সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা – মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হলেই সমাজে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা ঘটবে। এজন্য জীর্ণতা ও পচনের অবসান চাই। ধ্বংসরূপী শিব তাঁর বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে রুদ্রমূর্তিতে আবির্ভূত হবেন, এবং বিপথগামী ও জড়তাগ্রস্ত সমাজকে ভেঙে নতুন সমাজ গড়ে তুলবেন। কবি তাঁর কাব্যের মাধ্যমে এই শিবকে আবাহন করেছেন।
  • শিবের সংহারক মূর্তি – সমগ্র কবিতায় প্রলয়রূপী শিবের সংহারক মূর্তিকেই কবি তুলে ধরেছেন। এই শিবই সমাজের পচনশীল অবস্থা ধ্বংস করে দিনবদলের সূচনা করবেন। নজরুলের সংগ্রামী চেতনার পথ ধরে এই নটরাজ শিবের আবাহন হয়েছে।
  • দেশপ্রেমের স্বরূপ – নজরুল শিবের প্রতীকের মাধ্যমে তারুণ্যের শক্তিকে মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁর কবিতা সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠার জন্য যে সংগ্রাম করেছে, তা তাঁর দেশপ্রেমের প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ করে। কবির দৃষ্টিতে, শিবের এই সংগ্রামী ও সংহারক মূর্তি দেশের তরুণদের মুক্তির পথে পরিচালিত করবে।

প্রলয়োল্লাস কবিতায় নজরুল সমাজ পরিবর্তনের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তার বর্ণনা দাও।

অথবা, প্রলয়োল্লাস কবিতার পটভূমি আলোচনা প্রসঙ্গে নজরুলের কবিমানসের পরিচয় দাও।

  • কথামুখ – ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে, ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে ইংরেজ সরকার সন্ত্রস্ত হয়ে কঠোর দমননীতির আশ্রয় নিয়েছিল। নজরুল এ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, বিপ্লবীরা দেশের স্বাধীনতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
  • মূল্যবোধের অবক্ষয়: পাশাপাশি, ধর্মের নামে ভণ্ডামি চলছে চারদিকে। মেকি দেশনেতারা স্বার্থের খেলায় মেতে উঠেছে। কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয়কে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
  • সমাজ পরিবর্তন – নজরুল অনুভব করেছিলেন যে, সমাজকে পালটাতে হলে আগে মানুষকে জাগ্রত করতে হবে। জড়তাগ্রস্ত, মৃতপ্রায় মানুষদের জীবনের আলোয় ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রলয়রূপী শিবের মতো কোনো অলৌকিক শক্তির।
  • সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা – সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে জাতিকে গ্রাস করবে অসুন্দর। নজরুল কামনা করেছেন নটরাজ শিবের আবির্ভাব। এই নটরাজ শিবই হলেন নববিধানের বাণীবাহক। তিনি পুরোনো ও জীর্ণ সমাজকে ধ্বংস করে সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠা করবেন। নজরুল আশাবাদী এই ভেবে – “এবার মহানিশার শেষে/আসবে ঊষা অরুণ হেসে।”
  • জয়ধ্বনি – নতুন সৃষ্টির জন্য তিনি প্রলয়ংকরের জয়ধ্বনি করেছেন। ধ্বংস দেখে ভয় নয়, বরং সৃষ্টির আনন্দে ভরে উঠেছে কবির মন। সুন্দরের প্রতিষ্ঠায় ভয়ংকরের ভীষণ রূপ তখন আর ভীতিজনক মনে হয়নি। বরং তাঁকে বরণ করার প্রত্যাশায় নজরুল দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন।

কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয়োল্লাস কবিতার নামকরণ কতদূর সার্থক হয়েছে বিচার করো।

নামকরণ হলো যে কোনো সাহিত্যকর্মের ক্ষেত্রে প্রবেশের মূল চাবিকাঠি। নামকরণের মাধ্যমে লেখক তার রচনাটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রদান করেন। আলোচ্য “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় কাজী নজরুল ইসলামের শুভচেতনার বাণী প্রতিফলিত হয়েছে। সত্য, শিব এবং সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি এই কবিতায় ধ্বংসের দেবতা শিবকে আহ্বান করেছেন। “প্রলয়োল্লাস” নামকরণের মাধ্যমে শিবের ভাঙাগড়ার গভীর তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে।

শিব হলেন প্রলয়ের দেবতা। একদিকে তিনি যেমন সৃষ্টির দেবতা, অন্যদিকে তেমনই ধ্বংসের দেবতা। আলোচ্য কবিতায় প্রলয়দেবের ধ্বংসাত্মক রূপই মুখ্য। তিনি আসছেন কালবৈশাখী ঝড়ের রূপ ধারণ করে, সামাজিক অসংগতি, ধর্মান্ধতা, পরাধীনতা এবং সর্বব্যাপী অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটাতে। নটরাজ শিবের আগমনে কবি আকাশে নতুনের পতাকা উড়তে দেখেছেন। প্রলয়নৃত্যে মত্ত শিব বন্দি ভারতবাসীকে মুক্তি দেবেন। মহাভয়ংকর রূপে বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে তিনি আসছেন। জগৎজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবে কবি বলতে চেয়েছেন, সেই আতঙ্ক সাময়িক। কারণ মহাকাল শিব নিত্য ভাঙাগড়ার খেলায় মগ্ন। তিনি সামাজিক অন্ধকার দূর করে শুভচেতনার উদয় ঘটাবেন। নতুন সৃষ্টির জন্য ভাঙনই তাঁর নেশা। তাই প্রলয়ের সময়ও তাঁর উল্লাস ধরা পড়ে। কবিও সেই কথাই বলেছেন – “প্রলয় বয়েও আসছে হেসে/মধুর হেসে।” কবির অভিপ্রেত বক্তব্যকে সামনে রেখে বলা যায় যে, কবিতাটির নামকরণ একেবারে সার্থক।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের তৃতীয় বিভাগ ‘প্রলয়োল্লাস’ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকে বা কোনো বিষয়ে অসুবিধা হয়, তাহলে আমাকে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি সহায়তা করার চেষ্টা করব। এছাড়াও, নিচে পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন