ভারত একটি বহুদলীয় অর্থনীতি। এখানে বিভিন্ন ধরণের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বিদ্যমান। কৃষি, শিল্প, পরিষেবা এই তিনটি প্রধান অর্থনৈতিক খাতের পাশাপাশি এখানে মৎস্য, বন, খনিজ, পর্যটন ইত্যাদি অন্যান্য খাতও বিদ্যমান।
![মাধ্যমিক ভূগোল - ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ - ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা - রচনাধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন 1 মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ](http://solutionwbbse.com/wp-content/uploads/2023/12/মাধ্যমিক-ভূগোল-–-ভারতের-অর্থনৈতিক-পরিবেশ-1.webp)
মাধ্যমিক ভূগোল কোন দেশের ভূগোল এবং পরিবেশের পরিচিতি এবং জ্ঞান দেওয়ার একটি শিক্ষামূলক বিষয়। ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটি ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এই বিষয়ে আপনি ভারতের আয়, খরচ, উৎপাদনশীলতা, কৃষি এবং বাণিজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটি ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এই বিষয়ে আপনি ভারতের আয়, খরচ, উৎপাদনশীলতা, কৃষি এবং বাণিজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। ভারত একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং এটি বিভিন্ন খাতে প্রগতিশীল করার চেষ্টা করে আসছে। এই বিষয়ে আপনি ভারতের বিভিন্ন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের সাফল্য ও বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারেন।
ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটি দেশের উন্নয়ন ও প্রগতিশীলতার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এই বিষয়ে আপনি ভারতের বিভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থার কাজ ও প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারেন। ভারতের রেলপথ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থা এবং এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানবজনসংখ্যা ও পণ্যবাহী পরিবহন নিশ্চিত করে। ভারতের রেলপথ ব্যবস্থার স্থান অনেকটা উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটি দেশের অনেক স্থানে বিভিন্ন কন্টেনার পরিবহন এবং ব্যক্তিগত যাত্রীদের সেবা দেয়। সড়ক পরিবহন একটি অপরিহার্য সেবা এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক বানিজ্য এবং পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রচনাধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন হলো একটি প্রশ্ন পদ্ধতি, যেখানে প্রশ্নপত্রে একটি বিষয় দেওয়া হয় এবং ছাত্রদেরকে তাদের নিজস্ব বক্তব্যে একটি রচনার মতো উত্তর লেখতে বলা হয়। এই প্রশ্নপত্র দেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য অধিকতর নির্দিষ্ট করা হয়। এই প্রশ্নপত্রে ছাত্রদেরকে সাধারণত কিছু বিষয় উল্লেখ করে দেওয়া হয় যেমন বর্ণনা, তথ্য, অর্থ বা বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করা। ছাত্রদের প্রশ্নের উত্তর হিসাবে রচনা লিখতে হয় এবং তাদের নিজের বাক্য এবং বাণী দিয়ে তাদের মতামত ও ধারণাকে বুঝানো হয়। এই প্রশ্নপত্রে রচনার জন্য ছাত্রদের উপস্থিত জ্ঞান, ভাবনা এবং বিষয়ের পরিচয় উল্লেখ করা হয়।
![মাধ্যমিক ভূগোল - ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ - ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা - রচনাধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন 2 ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা](http://solutionwbbse.com/wp-content/uploads/2023/04/ভারতের-পরিবহণ-ও-যোগাযোগ-ব্যবস্থা.webp)
ভারতের পরিবহণের গুরুত্ব কতখানি ?
ভারতের পরিবহণ বাণিজ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বর্তমানে পরিবহণের গুরুত্ব অসীম —
ভারতের পরিবহণের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
- পণ্য আদানপ্রদান – একদেশের পণ্য অন্যদেশে পৌঁছে দেওয়ায় পরিবহণের গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন — ভারতের চা, পাট উন্নত পরিবহণের মাধ্যমে বিশ্বের বাজারে পৌঁছে দেওয়া যায় আবার বিদেশ থেকেও নানা পণ্য আমদানি করা যায়।
- শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ – শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির কারণেই সম্ভব হয়েছে। উন্নত পরিবহণের কারণেই কাঁচামাল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে শিল্পস্থাপন করা গেছে।
- বিপর্যয় মোকাবিলা – বন্যা, খরা, ভূমিকম্প প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলে সেখানে দ্রুত উদ্ধার কার্যের জন্য পরিবহণের ভূমিকা খুব বেশি।
- কৃষির উন্নতি – পরিবহণের মাধ্যমে গ্রামের কৃষিজমি থেকে শহরের বাজারে দ্রব্য সামগ্রী বিক্রয় বা কৃষির প্রয়োজনীয় সার, রাসায়নিক বীজ শহর থেকে পাঠানো যায়।
- প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহ – বনজ, প্রাণীজ, খনিজ দ্রব্য সংগ্রহ করার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি বাঞ্ছনীয়। আমাজন অববাহিকায় অথবা কানাডার উত্তরে পরিবহণ ব্যবস্থা খুব ভালো না হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের অনুসন্ধান ও সংগ্রহ পিছিয়ে রয়েছে।
- পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা – সুপরিবহণ থাকার জন্যই বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীর দামের মধ্যে স্থিতিশীলতা দেখা যায়। এমনকি দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমেই সারাদেশে পণ্য সামগ্রীর দর একই থাকে।
ভারতের পরিবহণের সামাজিক গুরুত্ব
- শহর ও নগরের সৃষ্টি – পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নতি ঘটে। এতে মূল শহর থেকে দুরে ছোটো বড়ো শহর ও নগরের সৃষ্টি হয়।
- শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নতি – পরিবহণের মাধ্যমেই মানুষ এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করে। এতে পারস্পরিক শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতি ঘটে।
ভারতের পরিবহণের রাজনৈতিক গুৰুত্ব
- প্রতিরক্ষা – দুর্গম অঞ্চলে সেনা, তাদের রসদ, অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোতে পরিবহণের ভূমিকা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ, দেশরক্ষায় কাজে বা প্রতিরক্ষায় পরিবহণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- জাতীয় ঐক্য স্থাপন – পরিবহণ সারাদেশের নানা সংস্কৃতি, ভাষাভাষি, ধর্মের লোকেদের একসূত্রে বেঁধে দেয়। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ভ্রমণের মাধ্যমে, এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যাতায়াতের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ভারতের অর্থনীতিতে রেলপথের গুরুত্ব লেখো বা ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের অবদান কতখানি?
রেলপথ ভারতের শ্রেষ্ঠ পরিবহণ মাধ্যম। ভারতের মতো দেশে আর্থসামাজিক পরিবর্তনে এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
- যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ – প্রচুর যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণে রেলের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। অতিদ্রুত এবং খুব কম খরচে এই পরিবহণ করা সম্ভব। রেলই দেশের অভ্যন্তরে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ সর্বাধিক মাত্রায় করে।
- কৃষির উন্নতি – ভারতে কৃষি উন্নতির জন্য রেলপথের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। রেলপথে কৃষিতে প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক, বীজ, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি খুব কম খরচে দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো হয়। আবার রেলপথের মাধ্যমেই উদ্ভূত ফসল খাদ্য ঘাটতি অঞ্চলে দ্রুত পাঠানো যায়।
- শিল্পের উন্নতি – ভারতে শিল্পের উন্নতিতে রেলের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি। রেল শিল্পের কাঁচামাল, জ্বালানি, যন্ত্রপাতি, যেমন — কারখানাগুলিতে পাঠায় তেমনি রেলপথের মাধ্যমেই উৎপাদিত পণ্য সারাদেশের বিভিন্ন বাজারগুলিতে পাঠানো হয়। রেলপথের মাধ্যমেই শিল্প আরও উন্নত হয়ে ওঠে।
- তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন – কয়লা খনি থেকে কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে রেলপথের মাধ্যমে সরবরাহ হয়। সুতরাং, তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে রেলপথের ভূমিকা কম নয়।
- বহির্বাণিজ্যে উন্নতি – রেলপথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্বৃত্ত পণ্য বন্দরগুলিতে পাঠানো হয়। রেলপথ ছাড়া এটা সম্ভব হত না। ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশগুলির কয়েকটিতে ভারতীয় রেল সরাসরি পণ্য রপ্তানি করে। এভাবেই রেল বহির্বাণিজ্যে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে।
- দেশরক্ষা – দেশরক্ষায় যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য, যুদ্ধের সাজসরঞ্জাম, রসদ দ্রুত পৌঁছে দিতে রেলের ভূমিকা সদর্থক। সেদিক থেকে ভারতীয় রেল দেশরক্ষার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
- অন্যান্য – ভারতীয় রেল অতিদ্রুত মানুষ এবং পণ্যকে এক শহর থেকে অন্য শহরে পৌঁছে দেয়। বন্যা এবং খরায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দিতে রেলের ভূমিকা খুব বেশি। গ্রাম থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক রেলপথে শহর ও নগরে কাজ করে দিনের শেষে রেলে করে বাড়ি ফিরে যায়। তাই রেল ভারতের ধমনিস্বরূপ।
যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ? আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ধারণা দাও।
সংবাদ বা তথ্য এবং ভাবের আদানপ্রদানকে এককথায় যোগাযোগ বলে। যোগাযোগ হল একটি প্রণালী বা সিস্টেম। এর তিনটি অংশ রয়েছে —
- কাজ বা কাজের শুরুতে একাধিক জোগান বা ইনপুট
- কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্ভরযোগ্য মাধ্যম বা থ্রুপুট এবং
- কাজের শেষে ফলপ্রাপ্তি বা আউটপুট।
ভারতের আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা
- ডাক ব্যবস্থা – এটি প্রাচীন পদ্ধতি। চিনে খ্রিস্টপূর্ব 900 সালে এই ব্যবস্থা প্রথম চালু হয়। ভারতে 1766 সালে ডাক ব্যবস্থার শুরু হয়। বর্তমানে স্পিড পোস্ট, স্যাটেলাইট পোস্ট, এক্সপ্রেস পোস্ট, বিজনেজ ও মিডিয়া পোস্ট ডাক ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
- টেলিফোন – তারের সাহায্যে সংযুক্ত এই ব্যবস্থায় পৃথিবীর দুই প্রান্তের মানুষ কথপোকথনের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে। 1875 সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল এই যন্ত্র আবিষ্কার করলেও ভারতের প্রথম টেলিফোন পরিসেবা কলকাতায় চালু হয় 1881-82 সালে।
- মোবাইল ফোন – উপগ্রহ ব্যবস্থার মাধ্যমে মোবাইল ফোন বা সেল ফোনের সাহায্যে পৃথিবীর যে – কোনো মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যায়। মোবাইল ফোন থেকে SMS, MMS করা যায়। বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মোবাইল ফোনের সাহায্যে যোগাযোগ করে।
- ইন্টারনেট – পৃথিবীর সমস্ত কম্পিউটারকে মোডেমের মাধ্যমে টেলিফোন লাইনের সাহায্যে একসূত্রে বেঁধে ফেলার নামই ইন্টারনেট। এই ব্যবস্থায় পৃথিবীর যে-কোনো বার্তা, চিঠিপত্র, তথ্য, সংবাদ খুব তাড়াতাড়ি পাঠানো যায় বা সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে ইন্টারনেটকে সব তথ্যের আধার বলে।
- ই-মেল – বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে পাঠানো চিঠিকে ই-মেল বলে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে নামমাত্র খরচে যে-কোনো চিঠিপত্র একলহমায় পৃথিবীর যে-কোনো জায়গায় পাঠানো যায় ৷
- অন্যান্য – এ ছাড়া, টেলেক্স, টেলিফ্যাক্স, ভিডিয়ো কনফারেন্সিং, বেতার, সংবাদপত্র ও আরও অন্যান্য মাধ্যমের সাহায্যে মানুষ মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। মূলত মহাকাশে পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন ধরনের পরিবহণ ব্যবস্থার তুলনা করো।
ভারতের বিভিন্ন ধরনের পরিবহণ ব্যবস্থা —
তুলনার বিষয় | সড়ক পরিবহণ | রেল পরিবহণ | জল পরিবহণ | আকাশ পরিবহণ |
মাধ্যম | লরি, বাস, মোটরগাড়ি, দ্বিচক্রযান, ত্রিচক্রযান প্রভৃতি। | রেলগাড়ি, যাত্রী পরিবহণ ও পণ্য পরিবহণ। | যাত্রী ও পণ্যবাহী জাহাজ, লঞ্চ, স্টিমার প্রভৃতি। | এরোপ্লেন, হেলিকপ্টার, প্রভৃতি। |
দূরত্ব | কম এবং মাঝারি দূরত্বে সড়ক পরিবহণ বেশি কার্যকরী। | মাঝারি এবং বেশি দূরত্বে রেল পরিবহণ বেশি কার্যকরী। | অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহণের সাথে সাথে পণ্য পরিবহণও করা হয়। | সবচেয়ে বেশি দূরত্বে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণ করা হয়। |
গতিবেগ | দ্রুত গতির পরিবহণ। | অতি দ্রুত গতির পরিবহণ। | ধীর গতিসম্পন্ন পরিবহণ। | সর্বাধিক গতিসম্পন্ন পরিবহণ। |
নির্মাণ ব্যয় | রেলপথ অপেক্ষা প্রাথমিক ব্যয় কম। | সড়কপথের থেকে প্রাথমিক ব্যয় বেশি। | পথ তৈরিতে খরচ নেই, কিন্তু বন্দর নির্মাণ ব্যয়বহুল। | পথনির্মাণে খরচ নেই, কিন্তু বিমানবন্দর নির্মাণ ব্যয়বহুল। |
পরিবাহিত দ্রব্যের প্রকৃতি | হালকা থেকে মাঝারি ওজনের দ্রব্য পরিবাহিত হয়। | মাঝারি ও ভারী ওজনের দ্রব্য পরিবাহিত হয়। | সবথেকে বেশি ভারী দ্রব্য জলপথে পরিবাহিত হয়। | সবথেকে হালকা পণ্য পরিবাহিত হয়। |
বাণিজ্য | অন্তর্দেশীয় বাণিজ্যের উপযোগী। অনেকসময় বহির্বাণিজ্যও হয়। | অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের উপযোগী। | বৈদেশিক বাণিজ্যের উপযোগী। | অন্তর্দেশীয় এবং বহির্বাণিজ্যের উপযোগী। |
যাত্রী ওঠানামা | যে-কোনো জায়গা থেকে যাত্রী ও পণ্য ওঠানামা করতে পারে। | নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মেই যাত্রী ও পণ্য ওঠানো নামানো যায়। | নির্দিষ্ট বন্দরেই কেবল যাত্রী ও পণ্য ওঠানামা করতে পারে। | নির্দিষ্ট বিমানবন্দরেই কেবল যাত্রী ও পণ্য ওঠানামা করতে পারে। |
প্রসার | সর্বত্র সড়কপথ প্রসারিত এমনকি দুর্গম অঞ্চলেও পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। | মূলত সমভূমি এবং মালভূমি অঞ্চলে রেল পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। | নির্দিষ্ট বন্দর এলাকাগুলি পরিবহণের উপযোগী। | দুর্গম অঞ্চলে বিস্তৃত হলেও যেখানে বিমানবন্দর আছে সেখানেই এই পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। |
মাধ্যমিক ভূগোল, ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ, ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং এই বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে রচনাধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন সমস্তই ভারতের ভূগোলের অধ্যয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বুঝতে অবশ্যই প্রয়োজন। এছাড়াও, এই বিষয়গুলির উপর রচনা লেখার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা প্রতিভার উন্নয়ন সম্ভব হয়। একটি সম্পূর্ণ ধারণা পেতে এই বিষয়গুলি ভালোভাবে বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা ভারতের ভূগোল, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বাস্তব পরিবেশ সম্পর্কে একটি গভীর ধারণা পাবেন।
ভারতের অর্থনীতি একটি বৈচিত্র্যময় এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে ভারতের অর্থনীতির উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন