নদী কী কী প্রক্রিয়ায় বহন করে?

Rahul

নদীর বহনক্ষমতা বলতে বোঝায় নদীর জলধারা কতটুকু পলি, বালি, কাঁকর, পাথর ইত্যাদি বহন করতে পারে। নদীর গতি, জলপ্রবাহের পরিমাণ, নদীর তলদেশের গঠন, পলির পরিমাণ ইত্যাদি বিষয় নদীর বহনক্ষমতা নির্ধারণ করে।

নদীর বহন প্রক্রিয়া

নদী চারভাবে বহন করে। এগুলি হল —

বহন প্রক্রিয়াবিবরণ
দ্রবণের মাধ্যমেচুনাপাথর, লবণ প্রভৃতিকে জলে গুলে বা দ্রবণের মাধ্যমে নদী বয়ে নিয়ে চলে।
ভাসমান প্রক্রিয়ায়কাদা, বালি প্রভৃতি হালকা পদার্থগুলি নদী ভাসিয়ে নিয়ে যায়। নদী যে পরিমাণ পদার্থ বহন করে, তার প্রায় | 70 শতাংশ বহন করে ভাসমান প্রক্রিয়ায়।
লক্ষনের মাধ্যমেকিছুটা বড়ো বা মাঝারি আকৃতির পাথরগুলি স্রোতের সঙ্গে যাওয়ার সময় নদীখাতে বার বার ধাক্কা খেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে যায়।
টান বা আকর্ষণ প্রক্রিয়ায়খুব বড়ো বড়ো পাথর নদীর স্রোতের আকর্ষণে বাহিত হয়।

নদীর বহনক্ষমতা কি?

নদীর বহনক্ষমতা বলতে বোঝায় নদীর জলধারা কতটুকু পলি, বালি, কাঁকর, পাথর ইত্যাদি বহন করতে পারে।

নদীর বহনক্ষমতা নির্ধারণ করে এমন বিষয়গুলি কি কি?

নদীর বহনক্ষমতা নির্ধারণ করে এমন বিষয়গুলি হল:
1. নদীর গতি: নদীর গতি যত বেশি হবে, বহনক্ষমতাও তত বেশি হবে।
2. জলপ্রবাহের পরিমাণ: নদীতে জলপ্রবাহের পরিমাণ যত বেশি হবে, বহনক্ষমতাও তত বেশি হবে।
3. নদীর তলদেশের গঠন: নদীর তলদেশ যদি শক্ত হয়, তাহলে বহনক্ষমতা কম হবে। নদীর তলদেশ যদি নরম হয়, তাহলে বহনক্ষমতা বেশি হবে।
4. পলির পরিমাণ: নদীতে পলির পরিমাণ যত বেশি হবে, বহনক্ষমতাও তত বেশি হবে।

নদী কীভাবে বহন করে?

নদী চারভাবে বহন করে:
1. দ্রবণের মাধ্যমে: চুনাপাথর, লবণ প্রভৃতিকে জলে গুলে বা দ্রবণের মাধ্যমে নদী বয়ে নিয়ে চলে।
2. ভাসমান প্রক্রিয়ায়: কাদা, বালি প্রভৃতি হালকা পদার্থগুলি নদী ভাসিয়ে নিয়ে যায়। নদী যে পরিমাণ পদার্থ বহন করে, তার প্রায় 70 শতাংশ বহন করে ভাসমান প্রক্রিয়ায়।
3. লক্ষনের মাধ্যমে: কিছুটা বড়ো বা মাঝারি আকৃতির পাথরগুলি স্রোতের সঙ্গে যাওয়ার সময় নদীখাতে বার বার ধাক্কা খেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে যায়।
4. টান বা আকর্ষণ প্রক্রিয়ায়: খুব বড়ো বড়ো পাথর নদীর স্রোতের আকর্ষণে বাহিত হয়।

নদীর বহনক্ষমতার প্রভাব কি কি?

নদীর বহনক্ষমতার প্রভাবগুলি হল:
1. ভূমিরূপ গঠন: নদীর বহনক্ষমতা ভূমিরূপ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নদী বহন করে আনা পলি, বালি, কাঁকর, পাথর ইত্যাদি দিয়ে নতুন ভূমিরূপ তৈরি হয়।
2. কৃষি: নদীর বহন করে আনা পলি কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
3. নৌ চলাচল: নদীর বহনক্ষমতা নৌ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
4. বাঁধ নির্মাণ: নদীর বহনক্ষমতা বাঁধ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নদীর বহনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ, নদীর বহনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আরও পড়ুন – নদী কী কী প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্য করে?

নদীর বহনক্ষমতা, জলের প্রবাহের চেয়ে অনেক বেশি, এটি প্রকৃতির একটি গোপন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা নদীর এই বিস্ময়কর ক্ষমতা সম্পর্কে শিখেছি এবং এটি কীভাবে ভূমিরূপ গঠন, কৃষি, নৌ চলাচল, এমনকি বাঁধ নির্মাণকেও প্রভাবিত করে।

Please Share This Article

Related Posts

শিশির, কুয়াশা প্রভৃতি অধঃক্ষেপণ নয় কেন

অধঃক্ষেপণ কাকে বলে? অধঃক্ষেপণের রূপভেদ গুলি আলোচনা করো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখো।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

অধঃক্ষেপণ কাকে বলে? অধঃক্ষেপণের রূপভেদ গুলি আলোচনা করো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখো।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

বিংশ শতকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতে সংঘটিত কৃষক বিদ্রোহগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে কৃষক সমাজ কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিল?