আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দগঠন ও বাংলা শব্দভাণ্ডার” -এর উপবিভাগ “বাংলা শব্দভাণ্ডার” নিয়ে আলোচনা করবো। এই অংশ নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

বাংলা শব্দভাণ্ডার
1. শব্দ কাকে বলে?
এক বা একাধিক ধ্বনি যুক্ত হয়ে সুস্পষ্ট অর্থপ্রকাশক শ্রুতিমধুর যে ভাষাখণ্ড তৈরি করে এবং যা বাক্যে স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হতে পারে ও ভাষার নিজস্ব সংকলনে (অভিধানে শব্দকোশে) স্থান পাবার যোগ্য হয় তাকে শব্দ বলে।
2. শব্দভাণ্ডার কাকে বলে?
ভাণ্ডার শব্দটির অর্থ ‘কোশাগার’। শব্দের কোশ বা শব্দ সম্পদের আগারই শব্দভাণ্ডার।
3. বাংলা শব্দভাণ্ডারের শব্দের রূপগুলি সারণির মাধ্যমে চিহ্নিত করো।
বাংলা শব্দভাণ্ডারে চোখ রাখলে আমরা বাংলা শব্দকে বিভিন্ন রূপে খুঁজে পাই। যথা –
- সংস্কৃতমূল,
- দেশি,
- আগন্তুক বা বিদেশি এবং
- সংকর।
এদের আবার বিভাজন করলে পাওয়া যায় –
- তৎসম,
- অর্ধতৎসম,
- তদ্ভব-সংস্কৃতমূল
- জ্ঞাতমূল,
- অজ্ঞাতমূল- দেশি
- বিদেশি,
- অন্যপ্রদেশীয়-আগন্তুক
তদ্ভব শব্দও দুভাগে বিভক্ত। যথা –
- কৃতঋণ তদ্ভব এবং
- নিজস্ব তদ্ভব।
এই জ্ঞাতমূল শব্দ আবার দুভাগে বিভক্ত যথা –
- দ্রাবিড়মূল,
- অস্ট্রিকমূল।
4. সংস্কৃতমূল শব্দকে কটিভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?
সংস্কৃতমূল শব্দকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা –
- তৎসম,
- অর্ধতৎসম,
- তদ্ভব।
5. তৎসম শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
তৎসম = তদ্ + সম। তদ্ = তার (সংস্কৃত), সম = সমান, অনুরূপ। যে সমস্ত সংস্কৃত শব্দ বাংলা ভাষায় অবিকল, অবিকৃত বা অপরিবর্তিতরূপে গৃহীত ও ব্যবহৃত হয়, তাদের তৎসম শব্দ বলে। যেমন – গৃহ, পিতা, মাতা, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি। বাংলা সাধুভাষার শতকরা প্রায় পঁয়তাল্লিশ ভাগ শব্দই তৎসম।
6. অর্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
অর্ধতৎসম = অর্ধেক সংস্কৃতের সমান বা অনুরুপ। যে সমস্ত সংস্কৃত শব্দ বাঙালির মুখের ভাষায় বা কবিতার ভাষায় উচ্চারণ সুবিধা বা বিকৃতিতে সামান্য পরিবর্তিত রূপে ও বানানে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, তাদের অর্ধতৎসম শব্দ বলে। উদাহরণ – ‘বোষ্টম কেত্তন গাইছে’। বাক্যটিতে বৈয়ব ‘বোষ্টম’ হয়েছে, কীর্তন হয়েছে ‘কেত্তন’। পরিবর্তিত এই ‘বোষ্টম’ ও ‘কেত্তন’ শব্দ দুটিই অর্ধতৎসম শব্দ। এ ছাড়াও কুৎসিত > কুচ্ছিত, শ্রী ছিরি, রৌদ্র > রোদ্দুর, জ্যোৎস্না > জোছনা, পুত্র > পুতুর, কৃষ্ণ > কেষ্ট ইত্যাদি। একে ভাঙা তৎসম বা ভগ্ন তৎসম শব্দও বলা হয়।
7. তদ্ভব শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
তদ্ভব = তৎ+ ভব। তৎ = সংস্কৃত, ভব = জাত বা উৎপন্ন। যে সমস্ত সংস্কৃত শব্দ পালি-প্রাকৃত-অপভ্রংশের মধ্য দিয়ে এসে বাংলা ভাষায় নতুন রূপ পেয়েছে তাদের তদ্ভব শব্দ বলে।
উদাহরণ –
| সংস্কৃত | প্রাকৃত | অপভ্রংশ | প্রাচীন বাংলা | আধুনিক বাংলা |
| দুহিতা | ধিতা | ধিঅ | ঝিঅ | ঝি |
| কৃষ্ণ | কন্হ | কাহ্ন | কেষ্ট | কানু, কানাই |
8. তদ্ভব শব্দ কত প্রকারের ও কী কী?
তদ্ভব শব্দ সাধারণত দুই প্রকারের। যথা –
- নিজস্ব তদ্ভব এবং
- কৃতঋণ তদ্ভব।
9. নিজস্ব তদ্ভব শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
বৈদিক বা সংস্কৃত যেসব শব্দ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা শব্দরূপ পেয়েছে তাদের নিজস্ব তদ্ভব শব্দ বলা হয়। যেমন – উপাধ্যায়> ওঝা, কৃষ্ণ > কানাই ইত্যাদি।
10. কৃতঋণ তদ্ভব শব্দ কাকে বলা হয়? উদাহরণ দাও।
যেসব শব্দ অন্য ভাষা থেকে সংস্কৃতে এসে বিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা শব্দরূপ পেয়েছে তাদের কৃতঋণ তদ্ভব শব্দ বলা হয়। যেমন – (গ্রিক) দ্রামে > (সংস্কৃত) দ্রম্য (প্রাকৃত) দম্ম > (বাংলা) দাম।
11. অর্ধতৎসম ও তদ্ভব শব্দের মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়?
মিল –
- এদের দুজনেরই মূল রূপটি সংস্কৃত।
- এরা দুজনেই সংস্কৃত রূপটি হারিয়ে ফেলেছে।
অমিল –
- তদ্ভব শব্দ তৎসম শব্দের বিবর্তিত রূপ। অর্ধতৎসম শব্দ তৎসম শব্দের বিকৃত রূপ।
- তদ্ভব শব্দ বাংলার নিত্য ব্যবহার্য কথ্য ও লেখ্য ভাষার অধিকাংশ জুড়ে আছে। অর্ধতৎসম শব্দ মূলত উচ্চারণ বিকৃতি বা অশিক্ষিত, অশুদ্ধ উচ্চারণের ফল।
- তদ্ভব শব্দ সাধু-চলিত উভয় ভাষারীতিতেই ব্যবহৃত। অর্ধতৎসম শব্দ চলিতভাষা, কথ্য উপভাষায় ব্যবহৃত।
12. দেশি শব্দ কাকে বলে?
আর্যরা ভারতে আসার আগে কোল, ভিল, দ্রাবিড়, অস্ট্রিক ইত্যাদি গোষ্ঠী ভারতবর্ষে বাস করত। পরবর্তীকালে এইসব আদিম অধিবাসীদের ভাষার বহু শব্দই বাংলা ভাষার শব্দভান্ডারে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রাচীন বা আদিম অধিবাসীদের ভাষা (অনার্য ভাষা) থেকে যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান পেয়েছে তাদেরই দেশি শব্দ বলে। যেমন – ঢেঁকি, ঝাঁটা, উলু, পাঁঠা, পেট, বাদুড়, মুড়ি, কুকুর ইত্যাদি।
13. দেশি শব্দ কত প্রকার ও কী কী?
দেশি শব্দ দুই প্রকার। যথা –
- জ্ঞাতমূল এবং
- অজ্ঞাতমূল।
14. জ্ঞাতমূল দেশি শব্দ কাকে বলে? একে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
যেসব দেশি শব্দের উৎস কোন্ আদিম ভাষা থেকে জানা যায়, তাকে জ্ঞাতমূল শব্দ বলে। একে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –
- দ্রাবিড়মূল দেশি শব্দ → (তামিল) পিল্লৈ > পিলে।
- অস্ট্রিকমূল দেশি শব্দ → চিংড়ি, ডাব, ঢাক, ঢৌল।
15. অজ্ঞাতমূল দেশি শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যেসব দেশি শব্দগুলির উৎস প্রাচীন-উপলব্ধি করা গেলেও, তাদের মূল খুঁজে পাওয়া যায় না, তাদের অজ্ঞাতমূল দেশি শব্দ বলে। যেমন – কোপাই, কাঁসাই, রিষড়া ইত্যাদি।
16. আগন্তুক শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
ভারতের বাইরে থেকে বা ভারতের অন্য প্রদেশ থেকে যেসব শব্দ বাংলা ভাষার স্বরূপে বা কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে এসেছে তাদের আগন্তুক শব্দ বলে। যেমন – আতর, অজুহাত, কাঁচি, অক্সিজেন ইত্যাদি।
17. আগন্তুক শব্দকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
আগন্তুক শব্দকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –
- বিদেশি শব্দ এবং
- ভারতের অন্য প্রদেশীয় শব্দ।
18. বিদেশি শব্দ কাদের বলে?
ভারতবর্ষের বাইরের দেশগুলি থেকে বিভিন্ন ভাষার যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে, তাদের বিদেশি শব্দ বলে।
19. কোন্ কোন্ বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারে গৃহীত হয়েছে?
বাংলা শব্দভাণ্ডারে আরবি, ফারসি, তুর্কি, ইংরেজি, পোর্তুগিজ, ফরাসি, চিনা, জাপানি, বর্মি, ইতালীয়, ওলন্দাজ ইত্যাদি ভাষা থেকে আগত শব্দ গৃহীত হয়েছে।
20. ভারতের অন্য কোন্ কোন্ প্রদেশের শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারে গৃহীত হয়েছে?
বাংলা শব্দভাণ্ডারে গুজরাটি, মারাঠি, তামিল, তেলেগু, পাঞ্জাবি ইত্যাদি প্রাদেশিক ভাষা থেকে শব্দ গৃহীত হয়েছে।
21. সংকর শব্দ বা মিশ্র শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
এক ভাষার শব্দ, উপসর্গ, প্রত্যয় ইত্যাদির সঙ্গে অন্য ভাষার শব্দ, উপসর্গ, প্রত্যয় ইত্যাদি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করলে তাকে সংকর বা মিশ্র শব্দ বলে। যেমন – বিদেশি শব্দ + বাংলা প্রত্যয় = মাস্টারি।
22. ভাষাঋণ বলতে কী বোঝো?
এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় উপাদান গ্রহণ আসলে ভাষাঋণ বা ভাষাধার; তা কখনও সম্পূর্ণরূপে অন্য ভাষায় আসে, কখনও বিদেশি ভাষাকে সরাসরি গ্রহণ না করে তার অর্থ অবিকৃত রেখে শব্দ বা বাক্য অনুবাদ করে ভাষায় নতুন শব্দ তৈরি হয়।
23. অনূদিত শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
অন্য ভাষা, বিশেষত ইংরেজি ভাষা থেকে কিছু শব্দকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। এই ধরনের শব্দকে অনূদিত শব্দ বলা হয়। যেমন – newspaper > সংবাদপত্র।
24. বিদেশি ভাষার অর্থ অবিকৃত রেখে অনুবাদে সৃষ্ট দুটি শব্দের উদাহরণ দাও।
ইংরেজি University > বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি Wrist Watch > বাংলা হাতঘড়ি।
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো
‘ভাণ্ডার’ শব্দটির অর্থ –
- পাত্র
- ঠাকুরঘর
- টাকাপয়সা
- কোশাগার
উত্তর – 1. কোশাগার
বাংলা শব্দভাণ্ডারে কত রকমের শব্দ পাওয়া যায়?
- 5 রকম শব্দ
- 4 রকম শব্দ
- 2 রকম শব্দ
- 10 রকম শব্দ
উত্তর – 2. 4 রকম শব্দ
সংস্কৃতমূল শব্দের বিভাগগুলি হল –
- তৎসম, তদ্ভব, বিদেশি
- জ্ঞাতমূল, অজ্ঞাতমূল
- তৎসম, অর্ধতৎসম, বিদেশি
- তৎসম, তদ্ভব, অর্ধতৎসম
উত্তর – 4. তৎসম, তদ্ভব, অর্ধতৎসম
‘তৎসম’ শব্দ বলতে বুঝি –
- সমান সমান
- সংস্কৃতের সমান
- বাংলা ভাষার সমান
- বিদেশি ভাষার সমান
উত্তর – 2. সংস্কৃতের সমান
‘তদ্ভব’ শব্দ বলতে বুঝি –
- সদ্য উদ্ভূত
- প্রাচীন উদ্ভূত
- সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত
- বাংলা থেকে উদ্ভূত
উত্তর – 2. সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত
দেশি শব্দের দুটি ভাগ –
- দেশি-বিদেশি
- তৎসম-অর্ধতৎসম
- জ্ঞাতমূল-অজ্ঞাতমূল
- আগন্তুক-সংকর
উত্তর – 3. জ্ঞাতমূল-অজ্ঞাতমূল
অন্ত্যবিসর্গ বর্জিত হয়েছে –
- বাংলা ভাষায়
- সংস্কৃত ভাষায়
- প্রাকৃত ভাষায়
- বিদেশি ভাষায়
উত্তর – 1. বাংলা ভাষায়
প্রাচীন বা আদিম অধিবাসীদের ভাষার অপর নাম –
- বাংলা ভাষা
- সংস্কৃত ভাষা
- আর্য ভাষা
- অনার্য ভাষা
উত্তর – 4. অনার্য ভাষা
সংকর শব্দ নির্মাণে এক ভাষার উপসর্গ, প্রত্যয়, শব্দের সঙ্গে যোগ হয় –
- অন্য ভাষার শব্দ, বিভক্তি, অনুসর্গ
- অন্য ভাষার শব্দ, উপসর্গ, অনুসর্গ
- অন্য ভাষার শব্দ, প্রত্যয়, উপসর্গ
- অন্য ভাষার শব্দ, বিভক্তি, প্রত্যয়
উত্তর – 3. অন্য ভাষার শব্দ, প্রত্যয়, উপসর্গ
ভাষাঋণের দুটি অংশ –
- তদ্ভব-তৎসম শব্দ
- দেশি-বিদেশি শব্দ
- আগন্তুক ও সংকর শব্দ
- প্রচলিত শব্দ ও অপ্রচলিত শব্দ
উত্তর – 3. আগন্তুক ও সংকর শব্দ
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
নিম্নলিখিত শব্দগুলির উৎসগত শ্রেণি নির্ণয় করো –
- নবাবি = মিশ্র শব্দ (বিদেশি শব্দ + বাংলা প্রত্যয়)।
- কাগজ = ফারসি শব্দ।
- গ্রন্থ = তৎসম শব্দ।
- জোছনা = অর্ধতৎসম শব্দ।
- শাক = তদ্ভব শব্দ।
- পিতা = তৎসম শব্দ।
- আতর = আরবি শব্দ।
- বিদায় = আরবি শব্দ।
- কানাই = তদ্ভব শব্দ।
- বারো = তদ্ভব শব্দ।
- পিলে = তামিল শব্দ।
- জানোয়ার = ফারসি শব্দ।
- জামা = ফারসি শব্দ।
- স্কুল = ইংরেজি শব্দ।
- কোমর = ফারসি শব্দ।
- বৃক্ষ = তৎসম শব্দ।
- আদালত = আরবি শব্দ।
- রুটি = তদ্ভব শব্দ।
- চিংড়ি = দেশি শব্দ।
- পুত্তর = অর্ধতৎসম শব্দ।
- বিদ্যালয় = তৎসম শব্দ।
- মাস্টারি = মিশ্র শব্দ (বিদেশি শব্দ + বাংলা প্রত্যয়)।
- তাঁতি = তদ্ভব শব্দ।
- মাইক = ইরেজি শব্দ (খণ্ডিত শব্দ)।
- শহিদ = আরবি শব্দ।
- গোমস্তা = ফারসি শব্দ।
- ওকালত = আরবি শব্দ।
- হাসনুহানা = জাপানি শব্দ।
- চামচা = মারাঠি শব্দ।
- গোলাপি = মিশ্র শব্দ (বিদেশি শব্দ বাংলা প্রত্যয়)।
- বেহালা = পোর্তুগিজ শব্দ।
- চাহিদা = পাঞ্জাবি শব্দ।
- প্যান্ডেল = তেলেগু শব্দ।
- পর্বত = তৎসম শব্দ।
- পাঁউরুটি = পোর্তুগিজ শব্দ।
- ঘরময় = মিশ্র শব্দ।
- তারিখ = আরবি শব্দ।
- আঙুর = ফারসি শব্দ।
- কাতলা = দেশি শব্দ।
- পনেরো = তদ্ভব শব্দ।
- ধূপদানি = মিশ্র শব্দ (তৎসম + বিদেশি)।
- হেডপণ্ডিত = মিশ্র শব্দ।
- ঢেঁকি = দেশি শব্দ।
- বালিকা = তৎসম শব্দ।
- পাথর = তদ্ভব শব্দ।
- মোচ্ছব = অর্ধতৎসম শব্দ।
- মিস্ত্রি = পোতুর্গিজ শব্দ।
- আস্তাবল = ইংরেজি শব্দ।
- ভোটকর্মী = মিশ্র শব্দ।
- গ্রহণ = তৎসম শব্দ।
- পরাচিত্তির = অর্ধতৎসম শব্দ।
- খুল্লতাত = তৎসম শব্দ।
- কেষ্ট = অর্ধতৎসম শব্দ।
- মাস্টারমশাই = মিশ্র শব্দ।
- চন্দ্র = তৎসম শব্দ।
- ঘুগনি = বর্মি শব্দ।
- দারোগা = তুর্কি শব্দ।
- জমাদার = মিশ্র শব্দ (বাংলা শব্দ + বিদেশি প্রত্যয়)।
- মুহুরি = আরবি শব্দ।
- ঝি = তদ্ভব শব্দ।
- ছবি = আরবি শব্দ।
- লুঙ্গি = বর্মি শব্দ।
- চিনি = চিনা শব্দ।
- পিতাঠাকুর = মিশ্র শব্দ (তৎসম + বাংলা শব্দ)।
- চুরুট = তামিল শব্দ।
- অফিসপাড়া = মিশ্র শব্দ (বিদেশি শব্দ + বাংলা শব্দ)।
- তুরুপ = ওলন্দাজি শব্দ।
- পিয়ানো = ইতালি শব্দ।
- কুলি = তুর্কি শব্দ।
- আসামি = আরবি শব্দ।
- গর্দভ = তৎসম শব্দ।
- বহুরূপী = তৎসম শব্দ।
- দুশমন = ফারসি শব্দ।
- ঘুড়ি = দেশি শব্দ।
- কদর = আরবি শব্দ।
- জননী = তৎসম শব্দ।
- ঝিঙে = দেশি শব্দ।
- গোঁসাই = অর্ধতৎসম শব্দ।
- রেস্তোরাঁ = ফরাসি শব্দ।
- পৃথিবী = তৎসম শব্দ।
- ছেলেবেলা = মিশ্র শব্দ।
- রোদ্দুর = অর্ধতৎসম শব্দ।
- মগজ = ফারসি শব্দ।
- ডাল = দেশি শব্দ। লীলাম
- ম্যানেজার = ইংরেজি শব্দ।
- আঁচল = তদ্ভব শব্দ।
- সত্যি = অর্ধতৎসম শব্দ।
- ইস্পাত = পোর্তুগিজ শব্দ।
- চাটাই = দেশি শব্দ।
- আতা = পোর্তুগিজ শব্দ।
- আনারস = পোর্তুগিজ শব্দ।
- দপ্তর = আরবি শব্দ।
- আজ = তদ্ভব শব্দ।
- শুক্কুরবার = অর্ধতৎসম শব্দ।
- মাছ = তদ্ভব শব্দ।
- শ্রদ্ধা = তৎসম শব্দ।
- কায়েত = অর্ধতৎসম শব্দ।
- শিক্ষক = তৎসম শব্দ।
- বিটকেল = দেশি শব্দ।
- হপ্তা = ফারসি শব্দ।
- ওলকপি = সংকর শব্দ।
- বোম্বেটে = তদ্ভব শব্দ।
- তরমুজ = ফারসি শব্দ।
- খরচ = ফারসি শব্দ।
- বাদুড় = দেশি শব্দ।
প্রয়োগ ও নির্ণয়মূলক প্রশ্নোত্তর
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি
1. দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার।
অঙ্গ – তৎসম শব্দ।
2. উত্তর পবনে মেঘ ডাকে দুর দুর।
পবন – তৎসম শব্দ।
মেঘ – তৎসম শব্দ।
ডাক – দেশি শব্দ।
3. খুলে আচ্ছাদিত হইল।
ধুলো – অর্ধতৎসম শব্দ।
4. জল দেয় অষ্ট গজরাজ।
জল – তৎসম শব্দ।
অষ্ট – তৎসম শব্দ।
গজরাজ – তৎসম শব্দ।
5. পড়ে বেঙ্গ-তড়কা বাজ।
তড়কা – দেশি শব্দ।
বাজ – তদ্ভব শব্দ।
6. পড়য়ে শিল বিদারিয়া চাল।
চাল – দেশি শব্দ।
7. বহে ঢেউ পর্বত-বিশাল।
ঢেউ – দেশি শব্দ।
পর্বত – তৎসম শব্দ।
নোঙর
1. সারারাত মিছে দাঁড় টানি।
দাঁড় – তদ্ভব শব্দ।
2. নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে।
নোঙর – বিদেশি শব্দ।
3. স্রোতের প্রবল প্রাণ করে আহরণ।
প্রাণ – তৎসম শব্দ।
4. আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে।
বাঁধা – তদ্ভব শব্দ।
5. যতই মাস্তুলে বাঁধি পাল।
মাস্তুল – বিদেশি শব্দ।
6. স্রোতের বিদ্রূপ শুনি প্রতিবার দাঁড়ের নিক্ষেপে।
নিক্ষেপ – তৎসম শব্দ।
7. যতই তারার দিকে চেয়ে করি দিকের নিশানা।
নিশানা – বিদেশি শব্দ।
8. তরী ভরা পণ্য নিয়ে পাড়ি দিতে সপ্তসিন্ধুপারে।
তরী – তৎসম শব্দ।
পণ্য – তৎসম শব্দ।
খেয়া
1. সকাল হইতে সন্ধ্যা করে আনাগোনা।
সন্ধ্যা – তৎসম শব্দ।
2. সভ্যতার নব নব কত তৃষ্ণা ক্ষুধা।
তৃষ্ণা – তৎসম শব্দ।
3. দোঁহা পানে চেয়ে আছে দুইখানি গ্রাম।
দোঁহা – তৎসম শব্দ।
গ্রাম – তৎসম শব্দ।
4. এই খেয়া চিরদিন চলে নদীস্রোতে।
নদী – তৎসম শব্দ।
আকাশে সাতটি তারা
1. আকাশে সাতটি তারা যখন ফুটেছে।
সাত – তদ্ভব শব্দ।
2. নরম ধানের গন্ধ।
ধান – তদ্ভব শব্দ।
3. পুকুরের জল।
জল – তৎসম শব্দ।
4. পৃথিবীর কোনো পথে।
পৃথিবী – তৎসম শব্দ।
5. শীত হাতখান।
হাত – তদ্ভব শব্দ।
6. আমার মুখের পরে।
মুখ – তদ্ভব শব্দ।
7. পৃথিবীর কোনো পথে।
পথ – তৎসম শব্দ।
8. আমার চোখের পরে।
চোখ – তদ্ভব শব্দ।
আবহমান
1. লাউমাচাটার পাশে।
লাউ – দেশি শব্দ।
2. কে এইখানে এসেছিল অনেক বছর আগে।
বছর – তদ্ভব শব্দ।
3. কে এইখানে ঘর বেঁধেছে নিবিড় অনুরাগে।
ঘর – তদ্ভব শব্দ।
4. তেমনি করেই সূর্য ওঠে।
সূর্য – তৎসম শব্দ।
5. নেভে না তার যন্ত্রণা যে।
যন্ত্রণা – তৎসম শব্দ।
6. এখনও সেই ফুল দুলছে।
ফুল – তদ্ভব শব্দ।
7. তেমনি করেই সূর্য ওঠে, তেমনি করেই ছায়া।
ছায়া – তৎসম শব্দ।
8. নামলে আবার ছুটে আসে সান্ধ্য নদীর হাওয়া।
নদী – তৎসম শব্দ।
8. সারাটা রাত তারায়-তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখে।
স্বপ্ন – তৎসম শব্দ।
ভাঙার গান
1. কারার ওই লৌহকপাট।
কারা – তৎসম শব্দ।
লৌহকপাট – তৎসম শব্দ।
2. ভেঙে ফেল কররে লোপাট।
লোপাট – তদ্ভব শব্দ।
3. রক্ত জমাট শিকল–পূজার পাষাণ বেদী।
রক্ত – তৎসম শব্দ।
জমাট – বিদেশি শব্দ।
শিকল – তদ্ভব শব্দ।
পূজা – তৎসম শব্দ।
পাষাণ বেদী – তৎসম শব্দ।
4. ওরে ও তরুণ ঈশান।
তরুণ – তৎসম শব্দ।
ঈশান – তৎসম শব্দ।
5. বাজা তোর প্রলয় বিষাণ।
প্রলয় – তৎসম শব্দ।
বিষাণ – তৎসম শব্দ।
6. ধ্বংস নিশান উড়ুক…।
ধ্বংস – তৎসম শব্দ।
নিশান – বিদেশি শব্দ।
7. গাজনের বাজনা বাজা।
গাজন – তদ্ভব শব্দ।
8. কে মালিক কে সে রাজা?
মালিক – বিদেশি শব্দ।
রাজা – তদ্ভব শব্দ।
9. কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?
সাজা – বিদেশি শব্দ।
মুক্ত – তৎসম শব্দ।
স্বাধীন – তৎসম শব্দ।
10. গারদগুলা জোরসে ধার হেঁচকা টানে।
হেঁচকা – দেশি শব্দ।
11. কাঁধে নে দুন্দুভি–ঢাক।
দুন্দুভি – তৎসম শব্দ।
ঢাক – দেশি শব্দ।
12. লাথি মার ভাঙ্গ রে তালা।
তালা – তদ্ভব শব্দ।
13. যতসব বন্দিশালা।
বন্দিশালা – মিশ্র শব্দ।
14. আগুন জ্বালা।
আগুন – তদ্ভব শব্দ।
15. নাচে ওই কালবোশেখী।
কালবোশেখী – অর্ধতৎসম শব্দ।
আমরা
1. মুক্তবেণীর গঙ্গা যেথায় মুক্তি বিতরে রঙ্গে।
গঙ্গা – তৎসম শব্দ।
মুক্তি – তৎসম শব্দ।
রঙ্গ – তৎসম শব্দ।
2. বাম হাতে যার কমলার ফুল।
হাত – তদ্ভব শব্দ।
3. শত তরঙ্গ ভঙ্গে।
তরঙ্গ – তৎসম শব্দ।
4. বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া আমরা বাঁচিয়া আছি।
বাঘ – তদ্ভব শব্দ।
5. আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ।
ছেলে – দেশি শব্দ।
6. এক হাতে মোরা মগেরে রুখেছি।
মগ – দেশি শব্দ।
7. চাঁদ-প্রতাপের হুকুমে হটিতে হয়েছে দিল্লীনাথে।
হুকুম – বিদেশি।
8. যশের মুকুট পরি।
যশ – তৎসম শব্দ।
9. সপটু পটুয়া লীলায়িত তুলিকায়।
পটুয়া – তদ্ভব শব্দ।
10. শুধু গরমিলে মিলাইয়া।
গরমিল – বিদেশি শব্দ।
11. জবাব দিয়েছি জগতের আগে।
জবাব – বিদেশি শব্দ।
জগৎ – তৎসম শব্দ।
ইলিয়াস
1. সম্বলের মধ্যে রইল শুধু কাঁধে একটা বোঁচকা।
বোঁচকা – তুর্কি শব্দ।
2. তার পশমের কোট।
কোট – ইংরেজি শব্দ।
3. একটা লোমের তৈরি টুপি।
টুপি – বিদেশি শব্দ।
4. জুতো আর বুট।
বুট – ইংরেজি শব্দ।
5. কুমিস তৈরি করতে পারবে।
কুমিস – বিদেশি শব্দ।
6. আমাদের একমাত্র কাজ প্রভুর সেবা করা।
প্রভু – তৎসম শব্দ।
7. দূর-দূরান্তর থেকে অতিথিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে।
অতিথি – তৎসম শব্দ।
8. সকলেরই বিয়ে হয়ে গেছে।
বিয়ে – তদ্ভব শব্দ।
9. ইলিয়াসের দুই ছেলে, এক মেয়ে।
মেয়ে – তদ্ভব শব্দ।
10. কিন্তু বড়োলোক হওয়ার পরে তারা আয়েশি হয়ে উঠল।
আয়েশি – বিদেশি শব্দ।
দাম
1. অল্পের জন্য ফুলদানিটা রক্ষা পেল।
ফুলদানি – মিশ্র শব্দ।
2. চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়েছি।
পেয়ালা – বিদেশি শব্দ।
3. ওরা ছাত্র, ওরা সন্তান।
ছাত্র – তৎসম শব্দ।
সন্তান – তৎসম শব্দ।
4. সংসারের সব ঐশ্বর্যের চাইতে বেশি।
ঐশ্বর্য – তৎসম শব্দ।
5. ঘণ্টার পর ঘণ্টা পণ্ডশ্রম করেছি।
পণ্ডশ্রম – মিশ্র শব্দ।
6. কাঁদবার জো ছিল না।
জো – দেশি শব্দ।
7. এখনি পা ধরে স্কুলের পুকুরে ফেলে দেবো।
পা – তদ্ভব শব্দ।
স্কুল – ইংরেজি শব্দ।
পুকুর – তদ্ভব শব্দ।
8. আমরা কোনোদিন মাথা ঘামায়নি।
মাথা – তদ্ভব শব্দ।
9. লক্ষযোজন দূরে থাকাই নিরাপদ বোধ করতুম।
যোজন – তৎসম শব্দ।
10. দু’চোখ দিয়ে তাঁর আগুন ঝরছে।
চোখ – তদ্ভব শব্দ।
আগুন – তদ্ভব শব্দ।
11. আমার বইপত্রের স্তূপ।
বইপত্র – মিশ্র শব্দ।
12. পত্রিকার পক্ষ থেকে ফরমাস এল।
ফরমাস – বিদেশি শব্দ।
13. রাজোচিত সম্বর্ধনা মেলে।
সম্বর্ধনা – তৎসম শব্দ।
নিরুদ্দেশ
1. একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছ?
আশ্চর্য – তৎসম শব্দ।
2. তার সমস্তই নিশ্চল স্তব্ধ।
স্তব্ধ – তৎসম শব্দ।
3. এবার মা-র ক্রুদ্ধ স্বর শোনা যায়।
ক্রুদ্ধ – তদ্ভব শব্দ।
4. বাড়ির কর্ত্রী মুমূর্ষু।
কর্ত্রী – তৎসম শব্দ।
মুমূর্ষু – তৎসম শব্দ।
5. মুমূর্ষুর নিষ্প্রভ দৃষ্টিতে কোনো কিছু ধরা পড়বে না।
নিষ্প্রভ – তৎসম শব্দ।
6. নায়েবমশাই -এর হাতে অনেকগুলো টাকার নোট।
টাকা – তদ্ভব শব্দ।
7. সাহস করে জিজ্ঞাসা করেন।
জিজ্ঞাসা – তৎসম শব্দ।
রাধারাণী
1. আর দুই আনা মুনাফা লইতেন।
মুনাফা – বিদেশি শব্দ।
2. মা দেখিয়া বলিলেন, একখানা নোট।
নোট – বিদেশি শব্দ।
3. পরদিন মাতায় কন্যায়, রুক্মিনী কুমার রায়ের অনেক সন্ধান করিল।
কন্যা – তৎসম শব্দ।
4. বালিকার বয়স একাদশ পরিপূর্ণ হয় নাই।
একাদশ – তৎসম শব্দ।
5. মোকদ্দমাটি বিধবা হাইকোর্টে হারিল।
মোকদ্দমা – বিদেশি শব্দ।
হাইকোর্ট – বিদেশি শব্দ।
6. সে হারিবা মাত্র, ডিক্রীদার জ্ঞাতি ডিক্রী জারি করিয়া ভদ্রাসন হইতে উহাদিগকে বাহির করিয়া দিল।
ডিক্রী – বিদেশি শব্দ।
7. এজন্য কাজে কাজেই তাহার উপবাস।
উপবাস – তৎসম শব্দ।
8. কিন্তু রথের টান অর্দ্ধেক হইতে না হইতেই বড় বৃষ্টি নামিল।
অর্দ্ধেক – তৎসম শব্দ।
9. সন্ধ্যা হইল-রাত্রি হইল।
রাত্রি – তৎসম শব্দ।
10. দুই গণ্ডবিলম্বী ঘন কৃষ্ণ অলকাবলী বাহিয়া।
কৃষ্ণ – তৎসম শব্দ।
11. রাধারাণী রোদন বন্ধ করিয়া বলিল।
রোদন – তৎসম শব্দ।
12. অন্ধকারে, বৃষ্টিতে পথ পাইতেছি না।
অন্ধকার – তৎসম শব্দ।
13. তুমি আমার হাত ধর।
হাত – তদ্ভব শব্দ।
14. আমাকে যে এত যত্ন করিয়া হাত ধরিয়া….।
যত্ন – তৎসম শব্দ।
15. তারপর প্রদীপ জ্বালিও।
প্রদীপ – তৎসম শব্দ।
16. আমার ব্যামো হয় না।
ব্যামো – অর্ধতৎসম শব্দ।
17. এখনই আমাকে নগদ দাম দিয়া….।
নগদ – বিদেশি শব্দ।
18. আমি বলি তোমাদের কুটুম্বু।
কুটুম্ব – তৎসম শব্দ।
চন্দ্রনাথ
1. কালপুরুষ নক্ষত্রের সঙ্গে চন্দ্রনাথের তুলনা করিয়া আমার আনন্দ হয়।
কালপুরুষ – তৎসম শব্দ।
আনন্দ – তৎসম শব্দ।
2. আগ্নেয়গিরি গর্ভের মধ্যে কল্পনাতীত বিচিত্র সমাবেশ।
আগ্নেয়গিরি – মিশ্র শব্দ (তৎসম + বিদেশি)।
3. বড়ো আয়নাটির মধ্যে আমারই প্রতিবিম্ব।
আয়না – বিদেশি শব্দ।
4. তমসা-পারাবারের মধ্যে ডুব দিল।
ডুব – দেশি শব্দ (সাঁওতালি)।
5. হুঁকাটি হাতে ধরাই ছিল।
হুঁকা – বিদেশি শব্দ।
6. স্কুলের সেক্রেটারির ভাইপো।
ভাইপো – তদ্ভব শব্দ।
7. ভদ্রলোক নির্বিরোধী শান্ত প্রকৃতির মানুষ।
মানুষ – তদ্ভব শব্দ।
8. অঙ্কের পরীক্ষার দিন।
অঙ্ক – দেশি শব্দ (কন্নড়)।
9. তোমার বউদি বলত।
বউদি – মিশ্র শব্দ।
10. বুকে দাগ কাটা দৃষ্টি।
বুক – তদ্ভব শব্দ।
কাটা – তদ্ভব শব্দ।
11. জানালার ভিতর দিয়া আখড়ার তমাল গাছটার দিকে চাহিলেন।
জানালা – বিদেশি শব্দ।
আখড়া – তদ্ভব শব্দ।।
তমাল – তৎসম শব্দ।
গাছ – তদ্ভব।
12. তামাক টানিতে টানিতে বলিলেন।
তামাক – বিদেশি শব্দ।
13. আর বিঘে কয় জমি, কিছু বাসন।
বিঘা – তদ্ভব শব্দ।
কয় – তদ্ভব শব্দ।
14. স্কুলের সঙ্গে দেনা-পাওনা আমার মিটে গেছে।
দেনা – বিদেশি শব্দ।
15. পরীক্ষার খবর বাহির হইল।
খবর – বিদেশি শব্দ।
16. নির্জন বাড়িখানা খাঁ খাঁ করিতেছিল।
বাড়িখানা – মিশ্র শব্দ।
17. চিনা লণ্ঠন ও রঙিন কাগজের মালা।
রঙিন – বিদেশি শব্দ।
18. বিশিষ্ট অতিথিও অনেক।
অতিথি – তৎসম শব্দ।
19. আয়ত কোমল চোখ।
আয়ত – তৎসম শব্দ।
20. বিলেত যেতে হবে আমাকে।
বিলেত – বিদেশি শব্দ।
21. অধিকারের গণ্ডি পার হইল।
গণ্ডি – দেশি শব্দ।
22. ‘তুই‘ নয়, তুমি।
তুই – তদ্ভব শব্দ।
তুমি – তদ্ভব শব্দ।
23. পড়ব আমি।
আমি – তদ্ভব শব্দ।
24. আমার কাছে তার স্মৃতিচিহ্ন।
কাছে – তদ্ভব শব্দ।
25. পোঁটলা বাঁধিয়া পথে একা চলিয়াছে।
পোঁটলা – অর্ধতৎসম শব্দ।
নব নব সৃষ্টি
1. পাঠান-মোগল যুগে আইন-আদালত খাজনা-খারিজ নতুনরূপে দেখা দিল বলে আমরা আরবি ও ফার্সি থেকে প্রচুর শব্দ গ্রহণ করেছি।
আইন – বিদেশি শব্দ।
আদালত – বিদেশি শব্দ।
খাজনা – বিদেশি শব্দ।
2. আব্রু দিয়ে, ইজ্জৎ দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে।
আব্রু – বিদেশি শব্দ।
ইজ্জৎ – বিদেশি শব্দ।
ইমান – বিদেশি শব্দ।
3. আরবি-ফার্সি শব্দের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা।
জিহাদ – বিদেশি শব্দ।
4. মোগলাই রেস্তোরাঁর বর্ণনাতে ভাষা অনেকখানি ‘হুতোম’-ঘ্যাঁষা হতে যেতে বাধ্য।
রেস্তোরাঁ – বিদেশি শব্দ।
5. বিদ্যাসাগর ‘সাধু‘ রচনায় বিদেশি শব্দ ব্যবহার করতেন না।
সাধু – তৎসম শব্দ।
6. মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ খাঁটি কানুরূপ ধারণ করেছেন তাই নয়, শ্রীমতী শ্রীরাধাও যে একেবারে খাঁটি বাঙালি মেয়ে সে-বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
শ্রীকৃষ্ণ – তৎসম শব্দ।
কানু – তদ্ভব শব্দ।
শ্রীরাধা – অর্ধতৎসম শব্দ।
হিমালয় দর্শন
1. যথাসময় যাত্রা করিয়া শিলিগুড়ি স্টেশনে আসিয়া পঁহুছিলাম।
স্টেশন – বিদেশি শব্দ।
2. শিলিগুড়ি হইয়া হিমালয় রেলরোড আরম্ভ হইয়াছে।
রোড – বিদেশি শব্দ।
3. আমরা ট্রেন অনেক আঁকাবাঁকা পথ অতিক্রম করিয়া ধীরে ধীরে উপরে উঠিতে লাগিল।
ট্রেন – বিদেশি শব্দ।
4. ক্রমে আমরা সমুদ্র হইতে তিনহাজার ফিট উচ্চে উঠিয়াছে।
ফিট – বিদেশি শব্দ।
5. শীতল জলদর্শনে চক্ষু জুড়ায়, দর্শনে হস্ত জুড়ায়।
হস্ত – তৎসম শব্দ।
চক্ষু – তৎসম শব্দ।
6. ঢেঁকি শাককে আমি ক্ষুদ্র গুল্ম বলিয়াই জানিতাম।
ঢেঁকি – দেশি শব্দ।
7. সর্প এবং ছিনে জোঁক আছে।
জোঁক – দেশি শব্দ।
8. গায়ে জ্যাকেট।
জ্যাকেট – ইংরেজি শব্দ।
9. ভুটিয়ানিরা সাত গজ লম্বা কাপড় ঘাঘরার মতো করিয়া পরে।
ঘাঘরা – বিদেশি শব্দ।
1. ইহাদের এই তামাশা দেখিতেই আমার সময় অতিবাহিত হয়।
তামাশা – বিদেশি শব্দ।
চিঠি
1. একখানি চিঠি কাল পেয়েছি।
চিঠি – বিদেশি শব্দ।
2. তাতে এ পত্রখানিও আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
পত্রখানি – মিশ্র শব্দ।
আবশ্যক – তৎসম শব্দ।
3. জাতি ও স্পর্শ সম্বন্ধে বিকট ধারণা।
স্পর্শ – তৎসম শব্দ।
বিকট – তৎসম শব্দ।
4. শহরের বাইরে কোথাও ইউরোপীয় সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য…।
শহর – বিদেশি শব্দ।
ইউরোপ – বিদেশি শব্দ।
6. কর্মে ঝাঁপ দেওয়ার পূর্বে…।
ঝাঁপ – তদ্ভব শব্দ।
7. মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত।
মরদ – বিদেশি শব্দ।
হাতি – তদ্ভব শব্দ।
8. খাঁটি লোকের কথারও তেমনই নড়চড় নেই।
খাঁটি – দেশি শব্দ।
9. একটু সাবধান করা দরকার।
সাবধান – বিদেশি শব্দ।
10. কারও পক্ষপুটে আশ্রয় নিলে চলবে না।
পক্ষপুটে – তৎসম শব্দ।
11. মিস মুলার চমৎকার মহিলা।
চমৎকার – তৎসম শব্দ।
12. তিনি আজন্ম নেত্রী।
নেত্রী – তৎসম শব্দ।
13. দুনিয়াকে ওলটপালট করে দিতে টাকা ছাড়া…।
দুনিয়া – বিদেশি শব্দ।
14. একটা বাড়ি ভাড়া নেবেন।
বাড়ি – তদ্ভব শব্দ।
15. দূর থেকেই বন্ধুত্ব করা ভালো।
বন্ধুত্ব – তৎসম শব্দ।
16. সেই পারি-ফ্যাশনের পোশাক পরিহিতা…।
ফ্যাশন – বিদেশি শব্দ।
17. লন্ডনের কাজ পণ্ড হওয়ায়…।
পণ্ড – তৎসম শব্দ।
ধীবর-বৃত্তান্ত
1. মহর্ষি কণ্ঠের তপোবনে তাঁর অনুপস্থিতিতে শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে গেছেন।
তপোবন – তৎসম শব্দ।
বিয়ে – তদ্ভব শব্দ।
2. আমি জাল, বড়শি ইত্যাদি নানা উপায়ে মাছ ধরে সংসার চালাই।
বড়শি – দেশি শব্দ।
মাছ – তদ্ভব শব্দ।
3. তবে কি তোকে সদ্ ব্রাহ্মণ বিবেচনা করে রাজা এটা দান করেছেন?
ব্রাহ্মণ – তৎসম শব্দ।
রাজা – তদ্ভব শব্দ।
4. তারপর নগর-রক্ষায় নিযুক্ত রাজ-শ্যালক এবং…।
শ্যালক – তৎসম শব্দ।
5. আপনারা অনুগ্রহ করে শুনুন।
অনুগ্রহ – তৎসম শব্দ।
6. শচীতীর্থে স্নানের পর অঞ্জলি দেওয়ার সময় হাত থেকে খুলে পড়ে গেছে শকুন্তলার হাতের আংটি।
স্নান – তৎসম শব্দ।
হাত – তদ্ভব শব্দ।
7. ঘটনাচক্রে সে আংটি পেল ধীবর।
ধীবর – তৎসম শব্দ।
8. তপোবনে এলেন ঋষি দুর্বাসা।
ঋষি – তৎসম শব্দ।
9. চল রে গাঁটকাটা।
গাঁটকাটা – দেশি শব্দ।
10. প্রভু, অনুগ্রহীত হলাম।
অনুগৃহীত – তৎসম শব্দ।
11. আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?
আজ – তদ্ভব শব্দ।
সংসার – তৎসম শব্দ।
12. যে বৃত্তি নিয়ে মানুষ জন্মেছে।
বৃত্তি – তৎসম শব্দ।
মানুষ – তদ্ভব শব্দ।
13. না হয় কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হবে।
কুকুর – দেশি শব্দ।
14. যে পরিমাণ পারিতোষিক দেখছি।
পারিতোষিক – তৎসম শব্দ।
15. হয় তোকে শকুন দিয়ে খাওয়ানো হবে।
শকুন – তৎসম শব্দ।
16. তুমি আমার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হলে।
বন্ধু – তৎসম শব্দ।
17. মুহূর্তের জন্য রাজা বিহ্বলভাবে চেয়ে রইলেন।
বিহ্বল – তৎসম শব্দ।
18. মণিখচিত, রাজার নাম খোদাই করা এই আংটি তুই কোথায় পেলি।
মণি – তৎসম শব্দ।
ব্যোমযাত্রীর ডায়রি
1. একটা লেখার প্রুফ দেখছি।
প্রুফ – বিদেশি শব্দ।
2. তারকবাবু একটু হেসে হাত বাড়িয়ে আমার মশলার কৌটোটা….।
মশলা – বিদেশি শব্দ।
3. আমি গেসলাম ওই মওকায়।
মওকা – বিদেশি শব্দ।
4. …কেমন যেন খটকা লাগল।
খটকা – দেশি শব্দ।
5. তারপর প্রহ্লাদকে বললাম চা আনতে।
চা – বিদেশি শব্দ।
6. ডালিমের রসে ডাইলিউট করে খেয়ে দেখেছি।
ডাইলিউট – বিদেশি শব্দ।
7. অদৃশ্য শক্তি আমার অজ্ঞাতে আমার উপর খোদকারি করছে।
খোদকারি – বিদেশি শব্দ।
8. আজ দিনের শুরুতেই একটা বিশ্রী কাণ্ড ঘটে গেল।
বিশ্রী – তৎসম শব্দ।
9. এ নস্যির যা তেজ।
নস্যি – তৎসম শব্দ।
10. আঁজলা করে তুলে চেখে দেখি অমৃত।
আঁজলা – তদ্ভব শব্দ।
অমৃত – তৎসম শব্দ।
11. তারপর নিউটনকে খেতে দেখে ভরসা পেলাম।
ভরসা – বিদেশি শব্দ।
12. সবুজ রঙে লালের ছোপ পড়েছে।
ছোপ – তদ্ভব শব্দ।
13. কিন্তু রকেটটা উড়ল কি করে?
রকেট – বিদেশি শব্দ।
কর্ভাস
1. আমাদের কাছে বন্দুক রয়েছে।
বন্দুক – বিদেশি শব্দ।
2. নিউটন পাখি পছন্দ করে না।
পাখি – তদ্ভব শব্দ।
3. শেখবার বিষয় সমস্তই আগে থেকে রেকর্ড করা।
রেকর্ড – বিদেশি শব্দ।
4. খানিকটা পেয়ারার জেলি ওর সামনে রেখেছিলাম।
পেয়ারা – বিদেশি শব্দ।
5. তোমার গাড়ি বাড়ি খ্যাতি অর্থ নিয়ে তুমি থাকো।
গাড়ি – দেশি শব্দ।
6. সেটা কর্ভাসের খাঁচা।
খাঁচা – দেশি শব্দ।
স্বর্ণপণী
1. আটবার শার্ট বদল করতে হয়?
বদল – বিদেশি শব্দ।
2. আমি সোফায় হেলান দিলাম।
সোফা – বিদেশি শব্দ।
3. ব্যারামের হাত থেকে রেহাই পেল।
রেহাই – বিদেশি শব্দ।
4. তাদের অনেকেই ইহুদি।
ইহুদি – বিদেশি শব্দ।
5. এক একটি মূর্তিমান শয়তান।
শয়তান – বিদেশি শব্দ।
6. সকাল দশটায় ট্যাক্সি নিয়ে এখানে এসে হাজির।
সকাল – তদ্ভব শব্দ।
7. একপাশে একটা খাটে লেপের তলায় একজন প্রৌঢ় শুয়ে আছেন।
লেপ – বিদেশি শব্দ।
8. ঝলমলে দোকানপাট।
দোকান – বিদেশি শব্দ।
9. প্রোফেসরের ঘর খালি।
খালি – দেশি শব্দ।
10. ভদ্র পোশাক পরে নাও।
পোশাক – বিদেশি শব্দ।
11. চার ইঞ্চি ডুবে গেলাম।
ইঞ্চি – বিদেশি শব্দ।
12. মাথা গরম হয়ে গেল।
গরম – বিদেশি শব্দ।
13. একটা টেলিগ্রামের খসড়া করে চোখ বুলোচ্ছি।
খসড়া – বিদেশি শব্দ।
14. দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ।
দরজা – বিদেশি শব্দ।
কড়া – তদ্ভব শব্দ।
15. ডাক্তারি মহলে আলোড়ন চলছে।
মহল – বিদেশি শব্দ।
16. 16 নভেম্বর পোর্টসমাউথ বন্দরে জাহাজ থেকে নেমে ট্রেনে এলাম।
জাহাজ – বিদেশি শব্দ।
17. ঘাসে ঢাকা অসমতল ময়দান।
ময়দান – বিদেশি শব্দ।
18. দেখো তো আমার কী আক্কেল!
আক্কেল – বিদেশি শব্দ।
19. আমি উতরে গেছি।
উতরে – তদ্ভব শব্দ।
20. তার চোখে চশমা।
চশমা – বিদেশি শব্দ।
21. আমি সন্ডার্সের প্রস্তাবে রাজি হলাম।
রাজি – বিদেশি শব্দ।
22. পরস্পরকে ছবি পাঠানো হল।
ছবি – বিদেশি শব্দ।
23. খামের উপর হাতের লেখা সন্ডার্সের নয়।
খাম – বিদেশি শব্দ।
24. তোমাকে খবরটা জানাতে আমার কী মনের অবস্থা হচ্ছে বোঝাতে পারব না।
খবর – বিদেশি শব্দ।
25. এই ভণিতার পরেই বজ্রাঘাত।
ভণিতা – তৎসম শব্দ।
26. তার মেয়াদ আর মাত্র দু’মাস।
মেয়াদ – বিদেশি শব্দ।
27. দুটো বড়ি খাইয়ে দেবে।
বড়ি – তৎসম শব্দ।
28. দেড় মাস কেটে গেল।
দেড় – তদ্ভব শব্দ।
29. ডাক্তারেরা সবাই জবাব দিয়ে গেছে।
ডাক্তার – বিদেশি শব্দ।
জবাব – বিদেশি শব্দ।
30. সঙ্গে একটা কাগজের মোড়ক।
কাগজ – বিদেশি শব্দ।
মোড়ক – দেশি শব্দ।
31. সামনের টেবিলে রেখেছে।
টেবিল – বিদেশি শব্দ।
32. এটা আমি আন্দাজ করেছিলাম।
আন্দাজ – বিদেশি শব্দ।
33. দক্ষিণ দিকে দেয়ালের সামনে স্বর্ণপর্ণী শোভা পাচ্ছে।
দেয়াল – বিদেশি শব্দ।
34. ভারতবাসীর উপর টান আমার এখনও অম্লান।
টান – দেশি শব্দ।
35. আড়াই দিন লাগল কালকা পৌঁছোতে।
আড়াই – তদ্ভব শব্দ।
36. খানিকটা হালকা বোধ করলাম।
হালকা – তদ্ভব শব্দ।
37. মিনিট পনেরো যেতে না যেতেই একটা কুল কুল শব্দ পেলাম।
মিনিট – বিদেশি শব্দ।
পনেরো – তদ্ভব শব্দ।
38. কসৌলির বাজার থেকে কেনা একটা কোদাল ছিল।
কোদাল – দেশি শব্দ।
39. এটাকে বাগানের একপাশে পুঁতে ফেলো।
বাগান – বিদেশি শব্দ।
40. তোয়াজ করলে নিশ্চয়ই আরেকটা গাছ গজাবে।
তোয়াজ – বিদেশি শব্দ।
41. গিরিডিবাসী উকিল জয়গোপাল মিত্র গুরুতরভাবে অসুস্থ।
উকিল – বিদেশি শব্দ।
42. চাকরের হাতে মাল তুলে দিয়ে বাবার ঘরে গিয়ে অদ্ভুত দৃশ্য দেখলাম।
হাত – তদ্ভব শব্দ।
43. এর কোনও চিকিৎসা নেই।
চিকিৎসা – তৎসম শব্দ।
44. আমার কাছে এনে হাজির করে।
হাজির – বিদেশি শব্দ।
45. জরুর হোতা।
জরুর – বিদেশি শব্দ।
46. গাছ নয়, গাছড়া।
গাছ – তদ্ভব শব্দ।
47. এই গাছড়ার হদিস কেউ পায়নি।
হদিস – বিদেশি শব্দ।
48. সোনেপত্তীর পাতা ছিল।
পাতা – তদ্ভব শব্দ।
49. বৈঠকখানায় বসে আছি।
বৈঠকখানা – মিশ্র শব্দ।
50. আমার তৈরি ওষুধ মার্জারিন।
মার্জারিন – তৎসম শব্দ।
51. মিরাকিউরলের পরে এলো অ্যানাইহিলিন পিস্তল।
পিস্তল – বিদেশি শব্দ।
52. বাবা স্বভাবতই রোজগার করেছিলেন অনেক!
রোজগার – বিদেশি শব্দ।
53. তুই আর চাকরির কথা ভাবিস না।
চাকরি – বিদেশি শব্দ।
54. বিশ বছর বয়সে অধ্যাপকের কাজ পাই।
বছর – তদ্ভব শব্দ।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণের “ব্যাকরণ ও নির্মিতি” থেকে “শব্দগঠন ও বাংলা শব্দভাণ্ডার” -এর উপবিভাগ “বাংলা শব্দভাণ্ডার” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই অংশটি নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন