অবশেষে কোনি বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল। – কোনি কীভাবে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল তা সংক্ষেপে লেখো।

“অবশেষে কোনি বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “অবশেষে কোনি বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল।” – কোনি কীভাবে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল তা সংক্ষেপে লেখো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

উদ্ধৃতাংশটি মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার মেয়ে সাঁতারুদের দলে কোনির মনোনয়ন ও প্রণবেন্দু বিশ্বাসের ভূমিকা তুলে ধরে।

কোনি মাদ্রাজে যেতে পেরেছিল প্রণবেন্দু বিশ্বাসের সহায়তায়। তিনি কোনির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিয়া মিত্রের প্রশিক্ষক হলেও, কোনির প্রতিভা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে তিনি জুপিটারের কর্মকর্তাদের কাছে কোনির মনোনয়নের জন্য জোরালো দাবি তোলেন।

ক্ষিতীশ সিংহের কুচক্র – কেবলমাত্র ক্ষিতীশ সিংহকে খুশি করার জন্য কোনিকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা – বুঝতে পেরে প্রণবেন্দু স্পষ্টভাবে বলেন যে বাংলার স্বার্থে কোনিকে দলে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তিনি তুচ্ছ দলাদলি ছেড়ে বাংলার মানসম্মানের কথা ভাবার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।

প্রণবেন্দু দৃঢ়তার সাথে বলেন, মহারাষ্ট্রের রমা যোশীর সাথে ফ্রিস্টাইলে পাল্লা দেওয়ার মতো আর কেউ নেই, একমাত্র কোনি ছাড়া। কোনিকে বাদ দেওয়া হলে তিনি বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের মেয়েদেরও বাংলা দল থেকে প্রত্যাহার করে নেবেন বলে হুমকি দেন।

অবশেষে প্রণবেন্দু বিশ্বাসের লড়াই-ই কোনিকে বাংলা দলে জায়গা করে দেয়। ক্লাবের সংকীর্ণ দলাদলির ঊর্ধ্বে উঠে তিনি কোনির প্রতিভা ও যোগ্যতাকেই গুরুত্ব দেন।

এই অংশে প্রণবেন্দু বিশ্বাসের নীতিবোধ, স্পষ্টবাদিতা, ও কোনির প্রতি বিশ্বাস ও সমর্থন স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

অবশেষে কোনি বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল। - কোনি কীভাবে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল তা সংক্ষেপে লেখো।

“অবশেষে কোনি বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল।” – কোনি কীভাবে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল তা সংক্ষেপে লেখো।

অথবা, অবশেষে কোনি বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল। – কোনি কীভাবে বাংলার সাঁতার দলে জায়গা পেল তা পাঠ্য উপন্যাস অবলম্বনে আলোচনা করো।
অথবা, অবশেষে কোনি বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল। – কোনি কীভাবে বাংলা সাঁতার দলে স্থান পেল তা লেখো।

মাদ্রাজ যাওয়ার কারণ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের দ্বাদশ পরিচ্ছেদ থেকে গৃহীত হয়েছে আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটি। মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার মেয়ে সাঁতারুদের দলে কোনি মনোনয়ন পেয়েছিল। তাই সে মাদ্রাজ গিয়েছিল।

প্রণবেন্দু বিশ্বাসের ভূমিকা –

  • কথামুখ – কোনির মাদ্রাজ যাওয়া এবং বাংলা দলে স্থান পাওয়ার পিছনে বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের সাঁতার প্রশিক্ষক প্রণবেন্দু বিশ্বাসের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • বাংলার মানসম্মান রক্ষা – প্রণবেন্দু বিশ্বাস কোনির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিয়া মিত্রের প্রশিক্ষক। তবুও নির্বাচনী সভায় জুপিটারের কর্মকর্তারা যখন কোনিকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করছিলেন তখন তিনিই স্পষ্টভাবে বলেন, বেঙ্গলের স্বার্থেই কনকচাঁপা পালকে টিমে রাখতে হবে। তুচ্ছ দলাদলি, নীচ মানসিকতা ছেড়ে বাংলার মানসম্মানের কথা যে ভাবা উচিত তা তিনি-ই বাকিদের মনে করিয়ে দেন।
  • ফ্রিস্টাইলে পাল্লা – শুধু ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করাই যে জুপিটারের অভিপ্রায় তা ধরতে পেরে প্রণবেন্দু বিশ্বাস দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের রমা যোশির সঙ্গে ফ্রিস্টাইলে পাল্লা দেবার মতো কেউ নেই, একমাত্র কনকচাঁপা পাল ছাড়া।
  • উপসংহার – শেষপর্যন্ত অন্যদের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন যে কোনি নির্বাচিত না হলে বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের মেয়েদেরও তিনি বাংলা দল থেকে প্রত্যাহার করে নেবেন। ক্লাবের সংকীর্ণ দলাদলির ঊর্ধ্বে উঠে প্রণবেন্দু বিশ্বাসের এই লড়াই-ই কোনিকে বাংলা দলে জায়গা করে দেয়।

আরও পড়ুন, তাহলে একটু গুছিয়ে লিখে দিন – কে, কাকে বলেছিলেন? লেখার মূল বক্তব্য কী ছিল?

মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের দ্বাদশ পরিচ্ছেদের এই অংশে প্রণবেন্দু বিশ্বাসের চরিত্রটি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে। একজন সৎ, নীতিবান ও স্পষ্টবাদী ব্যক্তি হিসেবে তিনি কোনির প্রতিভা ও যোগ্যতাকে সমর্থন করে তাকে বাংলা দলে স্থান করে দেওয়ার জন্য সোচ্চার হন। তার এই লড়াই কেবল কোনির জন্যই নয়, বরং বাংলার স্বার্থ ও মানসম্মানের জন্যও।

এই অংশটি আমাদের শেখাচ্ছে যে, সৎ ও নীতিবান ব্যক্তিরা কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপস করে না। প্রণবেন্দু বিশ্বাসের চরিত্র আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায় যে, আমাদের সকলেরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষেই কথা বলতে হবে।

Share via:

মন্তব্য করুন