এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওজোন স্তরের অবক্ষয় বা বিনাশ কাকে বলে? ওজোন স্তরের অবক্ষয়ের ফলে জলবায়ুর ক্ষেত্রে কীরূপ প্রভাব পড়বে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওজোন স্তরের অবক্ষয় বা বিনাশ কাকে বলে? ওজোন স্তরের অবক্ষয়ের ফলে জলবায়ুর ক্ষেত্রে কীরূপ প্রভাব পড়বে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ওজোন স্তরের অবক্ষয় বা বিনাশ কাকে বলে?
ওজোন স্তরের ধ্বংস –
মূলত অতিরিক্ত বায়ুদূষণজনিত কারণে ওজোন স্তরের অবক্ষয় বা ধ্বংস ঘটে থাকে। ওজোন গ্যাস সৃষ্টির তুলনায় ধ্বংস বেশি হলে ওজোন স্তর পাতলা হতে শুরু করে। একেই ওজোন স্তরের অবক্ষয় বা বিনাশ বলে। ওজোন স্তরের বিনাশের ফলে ওজোন গহ্বর বা ওজোন হোল সৃষ্টি হয়।
ওজোন স্তরের অবক্ষয়ের ফলে জলবায়ুর ক্ষেত্রে কীরূপ প্রভাব পড়বে?
ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলে ওজোনস্তর পাতলা হওয়ার ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি অধিকতর মাত্রায় পৃথিবীপৃষ্ঠে পৌঁছলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলস্বরূপ মেরু অঞ্চলের বরফ গলবে এবং সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বাড়বে। তাছাড়া ওজোনের পরিমাণ হ্রাস পেলে ট্রপোস্ফিয়ারের হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড (H2O2) -এর পরিমাণ বাড়বে এবং এর ফলে অম্লবৃষ্টির পরিমাণও বাড়বে। তা ছাড়া ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে ভূপৃষ্ঠে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব বাড়বে এবং আলোক-রাসায়নিক বিক্রিয়া বৃদ্ধি পেয়ে ‘ধোঁয়াশা’ সৃষ্টির প্রবণতাও বাড়বে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ওজোন স্তরের অবক্ষয় বা বিনাশ বলতে কী বোঝো?
ওজোন স্তরে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ কমে গেলে বা ধ্বংস হওয়ার প্রক্রিয়াকে ওজোন স্তরের অবক্ষয় বলে। যখন ওজোন গঠনের চেয়ে ধ্বংসের হার বেশি হয়, তখন স্তরটি পাতলা হয়ে যায়, যা শেষে ওজোন হোল (গহ্বর) সৃষ্টি করে।
ওজোন স্তর ধ্বংসের প্রধান কারণ কী?
মূলত বায়ুদূষণ, বিশেষ করে CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন), হ্যালন, নাইট্রোজেন অক্সাইডের মতো রাসায়নিক পদার্থ ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে।
ওজোন হোল কী?
ওজোন স্তরের যে অংশে গ্যাসের ঘনত্ব অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, তাকে ওজোন হোল বলে। এটি প্রধানত অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে দেখা যায়।
ওজোন স্তর ক্ষয়ের ফলে জলবায়ুর কী প্রভাব পড়ে?
ওজোন স্তর ক্ষয়ের ফলে জলবায়ুর প্রভাবগুলি হলো –
1. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (UV) পৃথিবীতে বেশি প্রবেশ করবে।
2. ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়বে, মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাবে।
3. অম্লবৃষ্টি (Acid Rain) ও ধোঁয়াশা (Smog) বৃদ্ধি পাবে।
অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব কী?
অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবগুলি হলো –
1. মানুষের চর্ম ক্যান্সার, চোখের সমস্যা (ক্যাটারাক্ট) বাড়তে পারে।
2. উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও সামুদ্রিক জীবনের ক্ষতি হয়।
ওজোন স্তর রক্ষার জন্য কী করা উচিত?
ওজোন স্তর রক্ষার জন্য আমাদের করণীয় –
1. CFC যুক্ত প্রোডাক্ট (এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ, স্প্রে) ব্যবহার কমাতে হবে।
2. মন্ট্রিল প্রটোকল (1987 খ্রিস্টাব্দ) মেনে পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহার করা।
3. বনায়ন বাড়ানো ও দূষণ কমানো।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওজোন স্তরের অবক্ষয় বা বিনাশ কাকে বলে? ওজোন স্তরের অবক্ষয়ের ফলে জলবায়ুর ক্ষেত্রে কীরূপ প্রভাব পড়বে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওজোন স্তরের অবক্ষয় বা বিনাশ কাকে বলে? ওজোন স্তরের অবক্ষয়ের ফলে জলবায়ুর ক্ষেত্রে কীরূপ প্রভাব পড়বে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন