পাগলাটে একটা লোকের বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে ফোঁপাচ্ছে-যে মেয়েটি এইমাত্র আশ্চর্য সাঁতার দিল, আর তার মাথায় টপটপ করে জল ঝরে পড়ছে। – উপন্যাসের শেষের এই ছবিটি তোমার ভাষায় বর্ণনা করো।

“পাগলাটে একটা লোকের বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে ফোঁপাচ্ছে-যে মেয়েটি এইমাত্র আশ্চর্য সাঁতার দিল, আর তার মাথায় টপটপ করে জল ঝরে পড়ছে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “পাগলাটে একটা লোকের বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে ফোঁপাচ্ছে-যে মেয়েটি এইমাত্র আশ্চর্য সাঁতার দিল, আর তার মাথায় টপটপ করে জল ঝরে পড়ছে।” – উপন্যাসের শেষের এই ছবিটি তোমার ভাষায় বর্ণনা করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর “কোনি” একটি অনুপ্রেরণামূলক উপন্যাস যা গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক এবং তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের গল্প বলে।কোনির সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি যিনি দরিদ্র মেয়ে কোনিকে একজন চ্যাম্পিয়ন সাঁতারুতে পরিণত করেন। ক্ষিতীশ শুধু কোনিকে সাঁতার কাটাতে শেখাননি, বরং তাকে জীবনের যুদ্ধে লড়াই করার শিক্ষাও দিয়েছেন।

কোনি তার প্রশিক্ষকের নির্দেশাবলী মেনে চলে এবং কঠোর পরিশ্রম করে। মাদ্রাজ জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কোনি অনেক বাধা এবং অপমানের সম্মুখীন হয়।কিন্তু সে হাল ছাড়ে না এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করে। উপন্যাসের শেষে কোনি তার সাফল্যের জন্য তার গুরুকে কৃতজ্ঞতা জানায়।

এই উপন্যাসটি আমাদের শেখানোর চেষ্টা করে যে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।

পাগলাটে একটা লোকের বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে ফোঁপাচ্ছে-যে মেয়েটি এইমাত্র আশ্চর্য সাঁতার দিল, আর তার মাথায় টপটপ করে জল ঝরে পড়ছে। - উপন্যাসের শেষের এই ছবিটি তোমার ভাষায় বর্ণনা করো।

“পাগলাটে একটা লোকের বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে ফোঁপাচ্ছে-যে মেয়েটি এইমাত্র আশ্চর্য সাঁতার দিল, আর তার মাথায় টপটপ করে জল ঝরে পড়ছে।” – উপন্যাসের শেষের এই ছবিটি তোমার ভাষায় বর্ণনা করো।

  • প্রাককথন – মতি নন্দী রচিত কোনি একটি অনুপ্রেরণামূলক উপন্যাস। গুরুকে শ্রদ্ধেয় হতে হবে শিষ্যের কাছে এবং চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে শুধু শিষ্যকেই নয়, গুরুকেও কঠোর জীবনযাপন করতে হবে – এই দুই ভাবনা যে মানুষটির মনে সদা জাগ্রত ছিল তিনি হলেন কোনির সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ।
  • অপমান ও লাঞ্ছনার জবাব – সাঁতার-অন্তপ্রাণ ক্ষিতীশ সংসারের কথা বিন্দুমাত্র না ভেবে তিলে তিলে বস্তির দরিদ্র মেয়ে কোনিকে চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলেন। তাঁরই হাতে গড়া কোনি মাদ্রাজ জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় শত অপমান, শত লাঞ্ছনার জবাব দিয়ে বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করে। উপন্যাসের শেষ অংশে দেখা যায় সোনার মেডেল পরা মেয়েটি নিজেকে সম্পূর্ণ সঁপে দিয়েছে তার গুরুর কাছে। গুরুও তার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করে সুদূর মাদ্রাজে উপস্থিত হয়েছিলেন।
  • অনুপ্রেরণার মন্ত্র – একটা ময়লা পাঞ্জাবি পরে দূর থেকেই ফাইট, কোনি ফাইট মন্ত্রে কোনিকে ক্ষিতীশ উজ্জীবিত করে চলেছিলেন। শীর্ণ শরীরের একটা পাগলাটে লোকের বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে কোনি তার সমস্ত যন্ত্রণা, আনন্দ, অভিমান, বঞ্চনা উজাড় করে নিজে মুক্ত হয়েছে। ক্ষিতীশও সমস্ত বঞ্চনা ও বিদ্রুপের উপযুক্ত জবাব দিয়ে তৃপ্তি লাভ করেছেন।

আরও পড়ুন, ওইটেই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি। – কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

মতি নন্দীর রচিত “কোনি” উপন্যাসটি একটি অনুপ্রেরণামূলক রচনা। গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক, কঠোর পরিশ্রমের ফল, এবং আত্মপ্রতিষ্ঠার গল্প এই উপন্যাসে ফুটে উঠেছে। ক্ষিতীশ সিংহ, কোনির সাঁতার প্রশিক্ষক, একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। তিনি শুধু কোনিকে সাঁতার কাটাতে শেখাননি, বরং তাকে একজন সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী নারী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। কোনির দারিদ্র্য ও প্রতিকূল পরিস্থিতি তাকে থামাতে পারেনি, কারণ তার ছিল ক্ষিতীশের অবিচল সমর্থন ও নিজের দৃঢ় সংকল্প।

মাদ্রাজ জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনি শুধু বাংলার জন্য স্বর্ণপদক জিতেননি, বরং সমাজের সকল পূর্বাচার ভেঙে নিজেকে একজন যোগ্য প্রতিযোগী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। উপন্যাসের শেষে কোনি তার গুরুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে, যিনি তাকে এই সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। “কোনি” শুধু একটি গল্প নয়, এটি একটি অনুপ্রেরণা, যা আমাদের সকলকে স্বপ্ন দেখতে এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করে।

Share via:

মন্তব্য করুন