ওইটেই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি। – কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

Sourav Das

“ওইটেই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।”ওইটেই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি।” – কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ দিনের ৪×১০০ মিটারে প্রখ্যাত সাঁতারু রমা যোশিকে হারিয়ে কোনি জয়লাভ করে। কোনিকে অভিনন্দন জানাতে আসা বহু মানুষের ভিড়ে সে ক্ষিতীশকে দেখতে পায়নি। শেষে ক্ষিতীশকে দেখতে পেয়ে সে রেগে গিয়ে তার বুকে দুমদুম করে ঘুসি মারতে থাকে আর বলে যে, সে যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছিল। এই কথার প্রসঙ্গেই ক্ষিতীশ আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

দীর্ঘদিনের কঠিন পরিশ্রমের ফল পেয়েছে কোনি। এই কোনিকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্যই ক্ষিতীশ সংসার ভুলেছেন, নিজের ব্যক্তিসুখ বিসর্জন দিয়েছেন। তাঁকে বহু লাঞ্ছনা-অপমান সহ্য করতে হয়েছে। তবু তিনি কখনও ভেঙে পড়েননি।

ক্ষিতীশ সবসময় বুকের মধ্যে অনুভব করেছেন জুপিটারের সতীর্থদের কাছ থেকে পাওয়া অপমানের তীব্র যন্ত্রণা। হয়তো এই যন্ত্রণাটা না থাকলে ক্ষিতীশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে পারতেন না, তৈরি করতে পারতেন না কোনিকে। ক্ষিতীশ নিজেই যেন একটা প্রতিজ্ঞার নাম।

লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ক্ষিতীশের প্রচেষ্টা আর ধৈর্য ছিল অবিচল। যন্ত্রণার আগুনে পুড়ে ক্ষিতীশ হয়ে উঠেছেন ইস্পাতকঠিন। আলোচ্য উক্তিটি প্রকৃতপক্ষে ক্ষিতীশের সংগ্রামী চেতনারই উদ্ভাসিত রূপ।

এই উক্তিটির মাধ্যমে ক্ষিতীশ আমাদের জানাতে চেয়েছেন যে, জীবনে যতই বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন, লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। যন্ত্রণাকে ক্ষমতা হিসেবে গ্রহণ করে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। ক্ষিতীশের এই সংগ্রামী চেতনা আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়।

ওইটেই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি। - কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“ওইটেই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি।” – কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উৎস – আলোচ্য উক্তিটি মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাস থেকে গৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গ – মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ দিনের ৪×১০০ মিটারে রমা যোশির মতো প্রখ্যাত সাঁতারুকে হারিয়ে কোনি জয়লাভ করে। কোনিকে অভিনন্দন জানাতে আসা বহু মানুষের ভিড়ে সে ক্ষিতীশকে দেখতে পায়নি। শেষে ক্ষিতীশকে দেখতে পেয়ে সে রেগে গিয়ে তার বুকে দুমদুম করে ঘুসি মারতে থাকে আর বলে যে, সে যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছিল। এই কথার প্রসঙ্গেই ক্ষিতীশ আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

তাৎপর্য বিশ্লেষণ –

  • ব্যক্তিসুখ বিসর্জন – দীর্ঘদিনের কঠিন পরিশ্রমের ফল পেয়েছে কোনি। এই কোনিকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্যই ক্ষিতীশ সংসার ভুলেছেন, নিজের ব্যক্তিসুখ বিসর্জন দিয়েছেন। তাঁকে বহু লাঞ্ছনা-অপমান সহ্য করতে হয়েছে। তবু তিনি কখনও ভেঙে পড়েননি।
  • অপমানের তীব্র যন্ত্রণা – ক্ষিতীশ সবসময় বুকের মধ্যে অনুভব করেছেন জুপিটারের সতীর্থদের কাছ থেকে পাওয়া অপমানের তীব্র যন্ত্রণা। হয়তো এই যন্ত্রণাটা না থাকলে ক্ষিতীশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে পারতেন না, তৈরি করতে পারতেন না কোনিকে। ক্ষিতীশ নিজেই যেন একটা প্রতিজ্ঞার নাম।
  • সংগ্রামী চেতনার বহিঃপ্রকাশ – লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ক্ষিতীশের প্রচেষ্টা আর ধৈর্য ছিল অবিচল। যন্ত্রণার আগুনে পুড়ে ক্ষিতীশ হয়ে উঠেছেন ইস্পাতকঠিন। আলোচ্য উক্তিটি প্রকৃতপক্ষে ক্ষিতীশের সংগ্রামী চেতনারই উদ্ভাসিত রূপ।

আরও পড়ুন,কাম অন অমিয়া, কাম অন বেঙ্গল চ্যামপিয়ন। ফাইট কোনি, ফাইট – এই দুই স্লোগান ব্যবহারের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

ক্ষিতীশের এই উক্তিটি তার জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্যের এক সুন্দর প্রতিফলন। দীর্ঘদিনের কঠিন পরিশ্রম, ত্যাগ ও তিতিক্ষার মাধ্যমে তিনি কোনিকে একজন সফল সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ক্ষিতীশের এই উক্তি আমাদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়।

ক্ষিতীশের জীবন থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, জীবনে যতই বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন, লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। যন্ত্রণাকে ক্ষমতা হিসেবে গ্রহণ করে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

ক্ষিতীশের এই উক্তিটি আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়। আমরা সকলেই ক্ষিতীশের মতো সংগ্রামী চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারি।

ক্ষিতীশের জীবন ও সংগ্রাম আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা। তার এই উক্তিটি আমাদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়। আশা করি, আমরা সকলেই ক্ষিতীশের মতো সংগ্রামী চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারব।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

মাধ্যমিক - ভূগোল - বারিমন্ডল - জোয়ার ভাটা - রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক – ভূগোল – বারিমন্ডল – জোয়ার ভাটা – রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

Class 10 English – The Passing Away of Bapu – About Author and Story

Class 10 English – The Passing Away of Bapu – About Author and Story

The Passing Away of Bapu

Class 10 English – The Passing Away of Bapu – Question and Answer

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer