পূর্ণিমা অপেক্ষা অমাবস্যার জোয়ার প্রবল হয় কেন? গঙ্গা নদীতে বান ডাকে কেন?

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে পূর্ণিমা অপেক্ষা অমাবস্যার জোয়ার প্রবল হয় কেন? গঙ্গা নদীতে বান ডাকে কেন? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় বারিমণ্ডলের প্রশ্ন। পূর্ণিমা অপেক্ষা অমাবস্যার জোয়ার প্রবল হয় কেন? গঙ্গা নদীতে বান ডাকে কেন? – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

পূর্ণিমা অপেক্ষা অমাবস্যার জোয়ার প্রবল হয় কেন গঙ্গা নদীতে বান ডাকে কেন

পূর্ণিমা অপেক্ষা অমাবস্যার জোয়ার প্রবল হয় কেন?

পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে থাকে। এই অবস্থায় পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের ঠিক সামনে আসে সেখানে চাঁদের মুখ্য জোয়ার ও সূর্যের গৌণ জোয়ার হয়। একে পূর্ণিমা তিথির ভরা জোয়ার বলে।
অন্যদিকে অমাবস্যা তিথিতে চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর একই দিকে ও একই সরলরেখায় অবস্থান করে। তাই চাঁদ ও সূর্যের মিলিত টানে পৃথিবীর জলরাশি বেশি আকর্ষিত হয়। তাই পূর্ণিমা অপেক্ষা অমাবস্যার জোয়ার বেশি প্রবল।

গঙ্গা নদীতে বান ডাকে কেন?

জোয়ারের সময় স্ফীত সমুদ্রের জল মোহানা দিয়ে প্রবল বেগে ফুলে ফেঁপে প্রায় 5-7 মিটার উঁচু হয়ে সশব্দে নদীতে প্রবেশ করে বলে, সেই ধ্বনি বা আওয়াজকে বলা হয় বান ডাকা। বর্ষাকালে গঙ্গানদীতে প্রায়ই বান ডাকার ঘটনা ঘটে। এর কারণ —

  • গঙ্গানদীর মোহানা ফানেল আকৃতির (অর্থাৎ, নদী মোহানা বেশ প্রশস্ত কিন্তু নদীখাত অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ)
  • নদীর মোহানায় অনেক চড়া আছে
  • বর্ষাকালে নদীতে প্রচুর জল থাকে
  • বঙ্গোপসাগরের জল গঙ্গানদীতে প্রবেশ করার সময় তা নদীর স্রোতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।

এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি যে অমাবস্যার জোয়ার পূর্ণিমার জোয়ারের তুলনায় কেন প্রবল হয়। আমরা দেখেছি যে সূর্য ও চাঁদের অবস্থান, পৃথিবীর জোয়ারভাটার উপর প্রভাব ফেলে। অমাবস্যায়, সূর্য ও চাঁদ পৃথিবীর একই দিকে অবস্থান করে। তাদের মিলিত মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর জলরাশিকে আরও বেশি টানে, যার ফলে প্রবল জোয়ার হয়।

আমরা গঙ্গা নদীতে বান ডাকার কারণও আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি যে বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, নদীতে জলপ্রবাহ বৃদ্ধি করে। এছাড়াও, হিমালয়ের বরফ গলে পানি নদীতে এসে পড়ে। এর ফলে নদীর জলধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করে বান ডাকে।

এই আর্টিকেলে আলোচিত বিষয়গুলি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই টিপসগুলি অনুসরণ করলে আপনি এই বিষয়গুলির জন্য পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন।

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।