মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ার কাকে বলে? মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ারের পার্থক্য

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ার কাকে বলে? মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ারের পার্থক্য এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় বারিমণ্ডলের প্রশ্ন। মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ার কাকে বলে? মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ারের পার্থক্য – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

মুখ্য জোয়ার – 

ভূপৃষ্ঠে জোয়ারভাটা সৃষ্টির কারণ হিসেবে চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ এবং পৃথিবীর আবর্তনজনিত কেন্দ্রাতিগ বলের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে প্রধানত চাঁদের আকর্ষণেই পৃথিবীতে জোয়ারভাটা হয়। তাই আবর্তন করতে করতে পৃথিবীর যে জায়গা যখন চাঁদের সামনে আসে, সেই জায়গার জল চাদের আকর্ষণে খুব বেশি ফুলে ওঠে অর্থাৎ সেখানে তখন হয় জোয়ার। এইভাবে ভূপৃষ্ঠের কোনো জায়গায় চাঁদের সরাসরি আকর্ষণের ফলে যে জোয়ার হয়, তাকে মুখ্য জোয়ার বলা হয়।

গৌণ জোয়ার মুখ্য – 

জোয়ারের সময় চাঁদের আকর্ষণস্থলের বিপরীত দিকে বা প্রতিপাদ স্থানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তুলনায় কেন্দ্রাতিগ বল অনেক বেশি প্রবল থাকে। ফলে ওই স্থানের জলরাশিও ফুলে ওঠে অর্থাৎ জোয়ারের সৃষ্টি হয়। একে বলা হয় গৌণ জোয়ার। অবশ্য অনেকে বলেন যে, গৌণ জোয়ার প্রকৃতপক্ষে, ভূপৃষ্ঠে চাঁদের আকর্ষণস্থলের বিপরীত প্রান্তে জলভাগ ও স্থলভাগের সরণের পার্থক্যের জন্য হয়।

মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ারের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়মুখ্য জোয়ারগৌণ জোয়ার
অবস্থানপৃথিবীর যে স্থান চাঁদের সামনে থাকে, সেখানে মুখ্য জোয়ার হয়।মুখ্য জোয়ারের প্রতিপাদ বা বিপরীত স্থানে গৌণ জোয়ার হয়।
সৃষ্টির কারণমুখ্য জোয়ার মূলত চাদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে সৃষ্টি হয়।গৌণ জোয়ার পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ বল।
প্রাবল্য ও জলস্ফীতিচাদের আকর্ষণে হয় বলে মুখ্য জোয়ারের প্রাবল্য ও জলস্ফীতি অনেক বেশি হয়।গৌণ জোয়ারের প্রাবল্য ও জলস্ফীতি অনেক কম হয়।

এই আর্টিকেলে আমরা মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ারের ধারণা এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জেনেছি। এই বিষয়টি দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য।

মুখ্য জোয়ার হলো যখন সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী একই সরলরেখায় থাকে, তখন পৃথিবীর জলরাশির উপর সূর্য ও চাঁদের মিলিত আকর্ষণের ফলে সৃষ্ট জোয়ার। গৌণ জোয়ার হলো যখন সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী সমকোণে থাকে, তখন পৃথিবীর জলরাশির উপর সূর্য ও চাঁদের আকর্ষণের ফলে সৃষ্ট জোয়ার।

Please Share This Article

Related Posts

ভারতে খরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়

ভারতে প্রায়ই খরা হয় কেন? ভারতে খরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

ভারতের বন্যা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়

ভারতে প্রায়ই বন্যা হয় কেন? ভারতের বন্যা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

দশম শ্রেণি - বাংলা - নদীর বিদ্রোহ - পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ

দশম শ্রেণি – বাংলা – নদীর বিদ্রোহ – পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ

About The Author

Rahul

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণি – বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – বিষয়সংক্ষেপ

ভারতে প্রায়ই খরা হয় কেন? ভারতে খরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?