এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন সম্পর্কে একটি টীকা লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন সম্পর্কে একটি টীকা লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন সম্পর্কে একটি টীকা লেখো।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন
1952 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে পোট্টি শ্রীরামালু দীর্ঘ দিন অনশন আন্দোলনের পর প্রাণ ত্যাগ করে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি প্রবল আকার ধারণ করে। এই অবস্থায় 1953 খ্রিস্টাব্দের 1 অক্টোবর মাদ্রাজ প্রদেশের তেলেগু ভাষাভাষী অঞ্চলগুলি বিযুক্ত হয়ে স্বতন্ত্র অন্ধ্রপ্রদেশ গঠন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করেন।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সদস্য –
1953 খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে 3 সদস্য বিশিষ্ট রাজ্য পুনর্গঠন আইন গঠন করা হয়; বিচারপতি ফজল আলির সভাপতিত্বে গঠন এই কমিশনের অপর দু’জন সদস্য ছিলেন-কে. এম. পানিক্কর এবং হৃদয়নাথ কুঞ্জরু।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশ –
1955 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করা হয় এবং ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হয়।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের কার্যকর –
1956 খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে কমিশনের রিপোর্ট সংসদের অনুমোদন লাভ করে। এর ফলে 14টি অঙ্গরাজ্য এবং 6টি ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।
রাজ্য পুনর্গঠনের রাজ্যসমূহ –
1956 খ্রিস্টাব্দে যে 14টি রাজ্য গঠিত হয় তা হল –
- অন্ধ্রপ্রদেশ,
- আসাম,
- উত্তর প্রদেশ,
- কেরালা,
- জম্মু ও কাশ্মীর,
- পাঞ্জাব,
- পশ্চিমবঙ্গ,
- বিহার,
- বোম্বাই,
- মাদ্রাজ,
- মধ্যপ্রদেশ,
- মহীশূর,
- ওড়িশা,
- রাজস্থান।
রাজ্য পুনর্গঠনের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ –
1956 খ্রিস্টাব্দে যে ছয়টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয় তাহল –
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ,
- ত্রিপুরা,
- দিল্লি,
- মনিপুর,
- লাক্ষাদ্বীপ এবং
- হিমাচল প্রদেশ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কী?
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ছিল ভারত সরকার কর্তৃক গঠিত একটি কমিশন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলির পুনর্গঠন করা।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কবে গঠিত হয়?
1953 সালের আগস্ট মাসে এই কমিশন গঠিত হয়।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সদস্য কারা ছিলেন?
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সদস্য ছিলেন –
1. সভাপতি – বিচারপতি ফজল আলি।
2. অন্যান্য সদস্য – কে. এম. পানিক্কর ও হৃদয়নাথ কুঞ্জরু।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠনের কারণ কী ছিল?
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠনের কারণ ছিল –
1. তেলেগু ভাষাভাষীদের দাবিতে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের পর অন্যান্য ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের চাপ বৃদ্ধি।
2. ভাষাগত বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে রাজ্যগুলির সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কখন তাদের রিপোর্ট জমা দেয়?
1955 সালের অক্টোবর মাসে কমিশন তাদের রিপোর্ট পেশ করে।
রাজ্য পুনর্গঠন আইন কখন পাস হয়?
1956 সালের নভেম্বর মাসে সংসদে এই আইন পাস হয়।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের প্রধান সুপারিশ কী ছিল?
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের প্রধান সুপারিশ ছিল – ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলির পুনর্গঠন করা।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন সম্পর্কে একটি টীকা লেখো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন সম্পর্কে একটি টীকা লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন