সেজন্য শুধু শরীর গড়লেই হয় না, মনকেও গড়তে হয়। – কে, কখন মন্তব্যটি করেছেন? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।

দশম শ্রেণি – বাংলা – কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। এই উদ্ধৃতিটি মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদ থেকে নেওয়া হয়েছে। গঙ্গার ঘাটে বিষ্টু ধর নামে একজন দৈত্যাকার লোককে একজন রোগা ব্যক্তি পরাজিত করে এই কথাটি বলেন। এই ঘটনাটির মাধ্যমে লেখক বোঝাতে চেয়েছেন যে, শারীরিক শক্তির চেয়ে মানসিক শক্তি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বিষ্টু ধর ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী, কিন্তু তার ইচ্ছাশক্তি ছিল দুর্বল। অন্যদিকে, রোগা ব্যক্তিটি ছিলেন দৃঢ়চেতা এবং আত্মবিশ্বাসী। তিনি বিষ্টু ধরকে পরাজিত করতে সক্ষম হন কারণ তার মনোবল ছিল শক্তিশালী।

এই উদ্ধৃতিটির মাধ্যমে লেখক আমাদের শেখান যে, জীবনে সফল হতে হলে শুধু শারীরিকভাবে শক্তিশালী হলেই হবে না, মানসিকভাবেও শক্তিশালী হতে হবে। আমাদের মধ্যে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি এবং আত্মবিশ্বাস থাকা প্রয়োজন।

“মনের জোর থাকলে শরীরের জোর তুচ্ছ” এই উক্তিটি একটি চিরন্তন সত্য। জীবনে সফল হতে হলে আমাদের মধ্যে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি এবং আত্মবিশ্বাস থাকা প্রয়োজন।

সেজন্য শুধু শরীর গড়লেই হয় না, মনকেও গড়তে হয়। - কে, কখন মন্তব্যটি করেছেন? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।

“সেজন্য শুধু শরীর গড়লেই হয় না, মনকেও গড়তে হয়।” – কে, কখন মন্তব্যটি করেছেন? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।

বক্তা ও প্রসঙ্গ –

  • উৎস – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদ থেকে আলোচ্য মন্তব্যটি গৃহীত হয়েছে।
  • বক্তা – গঙ্গার ঘাটে বিষ্টু ধরের শরীর দলাই-মলাই দেখে মজা-পাওয়া ব্যক্তিটি এ কথা বলেছেন।
  • প্রসঙ্গ – এই মানুষটি ক্রমশই তাঁর শারীরিক সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে বিষ্টু ধরকে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করে তোলেন। লোকটি বিষ্টু ধরকে সুঠাম শরীরের উপযোগিতা বোঝাতে চান। প্রচুর অর্থ থাকলেও ইচ্ছাশক্তি না থাকলে যে শরীরকে আয়ত্ত করা যায় না তিনি তা-ও বুঝিয়ে দেন। হাতেকলমে তা প্রমাণের জন্য তিনি বিষ্টু ধরকে পাঞ্জা লড়াইয়ের আহ্বান জানান। অনেক চেষ্টা করেও বিষ্টু ধর সেই লোকটির শুকনো শিকড়ের মতো হাতটাকে হারিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে লোকটি বিষ্টু ধরকে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেন।

ব্যাখ্যা – সাড়ে তিন মন ওজনের বিষ্টু ধরের তুলনায় তাঁর প্রতিপক্ষ লোকটি ছিলেন অত্যন্ত রোগা। কিন্তু তবুও বিষ্টু ধরকে তিনি অনায়াসে পরাজিত করেন। এর মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, গায়ের জোরই সব নয়, মনের জোর হল আসল শক্তি। ইচ্ছাশক্তি দিয়ে শরীরের দুর্বলতা ঠেকিয়ে রাখা যায়। মানুষের শরীর যতটা সক্ষম, ‘ইচ্ছাশক্তি তাকে আরও বেশি ক্ষমতাবান করে তুলতে পারে। অর্থাৎ, মানুষের মন যে শরীরের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী, সে-কথাই লোকটি বলতে চেয়েছেন।

আরও পড়ুন, আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না। – বক্তা কাকে কেন এ কথা বলেছিলেন?

মনের জোর থাকলে শরীরের জোর তুচ্ছ” এই উক্তিটি মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। গঙ্গার ঘাটে রোগা লোকটি বিষ্টু ধরকে পরাজিত করে এই সত্যটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জীবনে সফল হতে হলে শুধু শারীরিকভাবে শক্তিশালী হলেই হবে না, মানসিকভাবেও শক্তিশালী হতে হবে। আমাদের মধ্যে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি এবং আত্মবিশ্বাস থাকা প্রয়োজন।

এই উক্তিটির মাধ্যমে লেখক আমাদের শেখান যে, শারীরিক শক্তির চেয়ে মানসিক শক্তি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিষ্টু ধর ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী, কিন্তু তার ইচ্ছাশক্তি ছিল দুর্বল। অন্যদিকে, রোগা ব্যক্তিটি ছিলেন দৃঢ়চেতা এবং আত্মবিশ্বাসী। তিনি বিষ্টু ধরকে পরাজিত করতে সক্ষম হন কারণ তার মনোবল ছিল শক্তিশালী।

Share via:

মন্তব্য করুন