সেজন্য শুধু শরীর গড়লেই হয় না, মনকেও গড়তে হয়। – কে, কখন মন্তব্যটি করেছেন? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “সেজন্য শুধু শরীর গড়লেই হয় না, মনকেও গড়তে হয়।” – কে, কখন মন্তব্যটি করেছেন? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো। মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর সঠিক ব্যাখ্যা জানলে পরীক্ষায় ভাল ফল করতে সহায়ক হবে।

সেজন্য শুধু শরীর গড়লেই হয় না, মনকেও গড়তে হয়। - কে, কখন মন্তব্যটি করেছেন? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।

“সেজন্য শুধু শরীর গড়লেই হয় না, মনকেও গড়তে হয়।” – কে, কখন মন্তব্যটি করেছেন? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।

বক্তা ও প্রসঙ্গ –

  • উৎস – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদ থেকে আলোচ্য মন্তব্যটি গৃহীত হয়েছে।
  • বক্তা – গঙ্গার ঘাটে বিষ্টু ধরের শরীর দলাই-মলাই দেখে মজা-পাওয়া ব্যক্তিটি এ কথা বলেছেন।
  • প্রসঙ্গ – এই মানুষটি ক্রমশই তাঁর শারীরিক সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে বিষ্টু ধরকে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করে তোলেন। লোকটি বিষ্টু ধরকে সুঠাম শরীরের উপযোগিতা বোঝাতে চান। প্রচুর অর্থ থাকলেও ইচ্ছাশক্তি না থাকলে যে শরীরকে আয়ত্ত করা যায় না তিনি তা-ও বুঝিয়ে দেন। হাতেকলমে তা প্রমাণের জন্য তিনি বিষ্টু ধরকে পাঞ্জা লড়াইয়ের আহ্বান জানান। অনেক চেষ্টা করেও বিষ্টু ধর সেই লোকটির শুকনো শিকড়ের মতো হাতটাকে হারিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে লোকটি বিষ্টু ধরকে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেন।

ব্যাখ্যা – সাড়ে তিন মন ওজনের বিষ্টু ধরের তুলনায় তাঁর প্রতিপক্ষ লোকটি ছিলেন অত্যন্ত রোগা। কিন্তু তবুও বিষ্টু ধরকে তিনি অনায়াসে পরাজিত করেন। এর মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, গায়ের জোরই সব নয়, মনের জোর হল আসল শক্তি। ইচ্ছাশক্তি দিয়ে শরীরের দুর্বলতা ঠেকিয়ে রাখা যায়। মানুষের শরীর যতটা সক্ষম, ইচ্ছাশক্তি তাকে আরও বেশি ক্ষমতাবান করে তুলতে পারে। অর্থাৎ, মানুষের মন যে শরীরের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী, সে-কথাই লোকটি বলতে চেয়েছেন।

আরও পড়ুন, আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না। – বক্তা কাকে কেন এ কথা বলেছিলেন?

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সেজন্য শুধু শরীর গড়লেই হয় না, মনকেও গড়তে হয়।” – কে, কখন মন্তব্যটি করেছেন? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো, তা বিশদে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার পড়াশোনায় সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়, তবে আপনি মন্তব্যের মাধ্যমে বা টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই নিবন্ধটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

শিল্প পদ্ধতিতে ব্যবহৃত কঠিন অনুঘটককে তারজালির আকারে বা বিচূর্ণ অবস্থায় ব্যবহার করা হয় কেন?

শিল্প পদ্ধতিতে ব্যবহৃত কঠিন অনুঘটককে তারজালির আকারে বা বিচূর্ণ অবস্থায় ব্যবহার করা হয় কেন?

পরীক্ষাগারে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা করো। 1. প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপাদান, 2. বিক্রিয়ার শর্ত ও সমীকরণ, 3. গ্যাস সংগ্রহ - বিষয়গুলি উল্লেখ করো।

পরীক্ষাগারে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা করো।

অক্সিজেনের সঙ্গে হাইড্রোজেন সালফাইডের বিক্রিয়ায় কী কী পদার্থ উৎপন্ন হয়? বিক্রিয়ার সমীকরণ দাও।

অক্সিজেনের সঙ্গে হাইড্রোজেন সালফাইডের বিক্রিয়ায় কী কী পদার্থ উৎপন্ন হয়? বিক্রিয়ার সমীকরণ দাও।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

শিল্প পদ্ধতিতে ব্যবহৃত কঠিন অনুঘটককে তারজালির আকারে বা বিচূর্ণ অবস্থায় ব্যবহার করা হয় কেন?

পরীক্ষাগারে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা করো।

অক্সিজেনের সঙ্গে হাইড্রোজেন সালফাইডের বিক্রিয়ায় কী কী পদার্থ উৎপন্ন হয়? বিক্রিয়ার সমীকরণ দাও।

নাইট্রোলিম কী? এটি কী কাজে ব্যবহার করা হয়? নাইট্রোলিম সার কীভাবে তৈরি হয়?

সক্রিয় নাইট্রোজেন কাকে বলে? নাইট্রোজেনের ব্যবহার উল্লেখ করো।