টেবিলের মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠল। – টেবিলের মুখগুলি বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? মুখগুলির উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কারণ কী?

“টেবিলের মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠল।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “টেবিলের মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠল।” – টেবিলের মুখগুলি বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? মুখগুলির উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর “কোনি” উপন্যাসের এই অংশে জুপিটার সুইমিং ক্লাবের একটি মিটিংয়ের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ (ক্ষিদ্দা) কে অপমান করা। ক্লাবের সম্পাদক ধীরেন ঘোষ, যজ্ঞেশ্বর ভট্টাচার্য, বদু চাটুজ্জে, হরিচরণ মিত্তির প্রমুখ এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি একজন অদক্ষ প্রশিক্ষক। তিনি কখনো সাঁতারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেননি এবং অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী হরিচরণ মিত্তিরের চেয়ে অনেক কম দক্ষ।

মিটিংয়ের শেষে ধীরেন ঘোষ প্রেসিডেন্ট বিনোদ ভড়কে জানান যে অভিযোগকারী সাঁতারুরা বাইরে অপেক্ষা করছে। প্রেসিডেন্ট চাইলে তারা মিটিংয়ে এসে সরাসরি অভিযোগ করতে পারে।

ক্ষিতীশ সিংহ ছাত্রদের দ্বারা সামনাসামনি অপমানিত হতে চাননি। তাই তিনি অভিযোগগুলি স্বীকার করে নেন।

এই মিটিংয়ের ফলে ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয় এবং ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে হরিচরণকে নিয়ে আসার পথ সুগম হয়।

টেবিলের মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠল। - টেবিলের মুখগুলি বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? মুখগুলির উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কারণ কী?

“টেবিলের মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠল।” – টেবিলের মুখগুলি বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? মুখগুলির উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কারণ কী?

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের উল্লিখিত অংশে জুপিটার সুইমিং ক্লাবের মিটিংয়ে উপস্থিত ক্লাবের সম্পাদক ধীরেন ঘোষ এবং অন্যান্য সম্পাদকবৃন্দ যেমন – যজ্ঞেশ্বর ভট্টাচার্য, বদু চাটুজ্জে, হরিচরণ মিত্তির প্রমুখের কথা বলা হয়েছে।

মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কারণ –

  • ক্ষিতীশের প্রতি অপমান প্রদর্শন – জুপিটার ক্লাবের তরফ থেকে সেদিন মিটিং ডাকার উদ্দেশ্যই ছিল সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ ওরফে ক্ষিদ্দাকে অপমান করা।
  • অদক্ষ প্রশিক্ষকের তকমা – সাঁতারুদের অভিযোগগুলি মিটিংয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়। তার সঙ্গে ক্ষিদ্দা যে সাঁতারু হিসেবে একেবারেই দক্ষ নন, তিনি যে-কোনো প্রতিযোগিতাতেই অংশগ্রহণ করেননি এবং অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা হরিচরণ তাঁর থেকে অনেক বেশি দক্ষতার অধিকারী-এ কথাও বলা হয়।
  • সাঁতারুদের দিয়ে সামনাসামনি অপমানের চেষ্টা – শেষপর্যন্ত ধীরেন ঘোষ প্রেসিডেন্ট বিনোদ ভড়কে বলেন যে, অভিযোগকারী সাঁতারুরা বাইরে অপেক্ষা করছে। প্রেসিডেন্ট চাইলে তারা নিজেরাই মিটিংয়ে এসে সব কথা বলতে পারে। ছাত্রদের দ্বারা সামনাসামনি এভাবে অপমানিত হতে চান না বলেই ক্ষিতীশ সিংহ অভিযোগের যথার্থতা মেনে নেন আর তাতেই টেবিলের মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। প্রথমত, এর দ্বারা ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি মান্যতা পায়। দ্বিতীয়ত, ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব থেকে ক্ষিতীশকে সরিয়ে হরিচরণকে নিয়ে আসার পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।

আরও পড়ুন, গ্রে স্ট্রিটে ট্রামলাইন ঘেঁষে একফালি ঘরে দোকানটি। – কার কোন্ দোকানের কথা বলা হয়েছে? কাহিনিতে দোকানের বিষয় কী তথ্য পাওয়া যায়?

উপসংহারে বলা যায়, জুপিটার সুইমিং ক্লাবের মিটিংয়ে ক্ষিতীশ সিংহকে অপমানিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। অদক্ষ প্রশিক্ষক বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। সাঁতারুদের দিয়ে সামনাসামনি অপমান করার চেষ্টা করা হলে ক্ষিতীশ অভিযোগগুলি মেনে নেন। এর ফলে ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি মান্যতা পায় এবং ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে হরিচরণকে নিয়ে আসার পথ পরিষ্কার হয়। এই ঘটনা ক্ষিতীশের জীবনে এক বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়।

Share via:

মন্তব্য করুন