দশম শ্রেণি – বাংলা – অদল বদল – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

পান্নালাল প্যাটেলের লেখা অদল বদল গল্পটি দশম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যপুস্তকের একটি জনপ্রিয় গল্প। গল্পটিতে দুই বন্ধু অমৃত ও ইসাবের অদল বদলের ঘটনার মধ্য দিয়ে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে।

Table of Contents

দশম শ্রেণি – বাংলা – অদল বদল – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

অদল বদল গল্পটি কার রচিত?

অদল বদল গল্পটি প্রখ্যাত গুজরাতি লেখক পান্নালাল প্যাটেল রচিত।

অদল বদল গল্পটি কে বাংলায় তরজমা করেছেন?

অদল বদল গল্পটি বাংলায় তরজমা করেছেন অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত।

বলতে গেলে ছেলেদুটোর সবই একরকম, তফাত শুধু এই যে, – তফাতটা কী?

অমৃত আর ইসাবের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও তফাত ছিল এই যে, অমৃতের বাবা-মা আর তিন ভাই ছিল, ইসাবের ছিল শুধু তার বাবা।

হোলির দিন পড়ন্ত বিকেলে একদল ছেলে কী করছিল?

হোলির দিন পড়ন্ত বিকেলে একদল ছেলে নিম গাছের নীচে ধুলো ছোড়াছুড়ি করে খেলা করছিল।

অমৃত ও ইসাবের একরকম পোশাক দেখে দলের একটি ছেলে কী বলেছিল?

অমৃত ও ইসাবের একরকম পোশাক দেখে, দলের একটি ছেলে বলেছিল তাদের দুজনকে কুস্তি লড়তে হবে এবং তাহলেই বোঝা যাবে কে বড়ো পালোয়ান।

কুস্তি লড়ার কথা শুনে অমৃত কী বলেছিল?

কুস্তি লড়ার কথা শুনে অমৃত বলেছিল, যদি তার মা এ কথা জানতে পারে তাহলে তাকে ঠ্যাঙাবে।

বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় অমৃতের মা অমৃতকে কী বলেছিলেন?

বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় অমৃতের মা অমৃতকে সাবধান করে দিয়েছিলেন আর বলেছিলেন কোনোভাবেই যেন তার নতুন জামা ময়লা না হয় বা ছিঁড়ে না যায়।

শোনামাত্র অমৃত ফতোয়া জারি করেছিল – অমৃতের মা-বাবা তাকে জামা কিনে দিতে না চাইলে, সে কী ফতোয়া জারি করেছিল?

অমৃতের মা-বাবা অমৃতকে জামা কিনে দিতে না চাইলে যে ফতোয়া জারি করেছিল যে ইসাবের মতো একই জামা না পেলে সে স্কুলে যাবে না।

অমৃত নতুন জামা কেনার জন্য জেদ করলে তার মা তাকে কী বুঝিয়েছিলেন?

অমৃতের মা অমৃতকে বুঝিয়েছিলেন খেতে কাজ করতে গিয়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাওয়ায় তার নতুন জামা দরকার। কিন্তু অমৃতের জামা নতুনই থাকায় এখন তার নতুন জামার প্রয়োজন নেই।

অমৃত কীভাবে নিজের জামাটা ছিঁড়েছিল?

অমৃত নিজের জামার একটা ছোটো ছেঁড়া জায়গায় আঙুল ঢুকিয়ে জামাটা আরও ছিঁড়ে দিয়েছিল।

অমৃতের মা তাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য কী বলেছিলেন?

অমৃতের মা অমৃতকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বলেছিলেন, নতুন জামা কেনার আগে ইসাবের বাবা ইসাবকে খুব মেরেছিলেন। তাই অমৃতও যদি ইসাবের মতো মার খেতে রাজি থাকে তাহলেই সে নতুন জামা পাবে।

অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়। – ‘এতেও’ বলতে কোন্ ঘটনাকে নির্দেশ করা হয়েছে?

এতেও বলতে নতুন জামা পাওয়ার জন্য বাবার কাছে মার খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

জামা কেনার ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য অমৃতের মা কী বলেছিলেন?

জামা কেনার ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য অমৃতের মা অমৃতকে তার বাবার কাছে গিয়ে জামা কেনার কথা বলতে বলেছিলেন।

অমৃত নতুন জামা পাওয়ার জন্য কী কী কৌশল অবলম্বন করেছিল?

অমৃত নতুন জামা পাওয়ার জন্য স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল, খাওয়া ছেড়ে দিল এবং রাত্রে বাড়ি ফিরতে রাজি হল না।

বাড়ি থেকে জামা কিনে না দেওয়ায় অমৃত কোথায় গিয়ে লুকিয়েছিল?

বাড়ি থেকে জামা কিনে না দেওয়ায় বাড়ি না ফিরে অমৃত ইসাবের বাবার গোয়াল ঘরে লুকিয়েছিল।

অমৃত কুস্তি লড়তে রাজি ছিল না কেন?

অমৃত কুস্তি লড়তে রাজি ছিল না, কারণ তার জামাকাপড় নোংরা হোক সেটা সে চায়নি।

অমৃতকে কে, কেন খোলা মাঠে নিয়ে এসেছিল?

অমৃতকে কালিয়া কুস্তি লড়ার জন্য খোলা মাঠে নিয়ে এসেছিল।

ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল। – কখন ইসাবের মেজাজ চড়ে গিয়েছিল?

অমৃত কুস্তি লড়তে না চাওয়ায় কালিয়া অমৃতকে ছুঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয়, আর তাতেই ইসাবের মেজাজ চড়ে গিয়েছিল।

কুস্তি শুরু হয়ে গেল। – কার সঙ্গে কার কুস্তি শুরু হল?

ইসাবের সঙ্গে কালিয়ার কুস্তি শুরু হয়ে গিয়েছিল।

কালিয়াকে কুস্তিতে কে হারিয়ে দিয়েছিল?

কালিয়াকে কুস্তিতে ইসাব হারিয়ে দিয়েছিল।

কখন ইসাবের জামার ছেঁড়া অংশটা অমৃতের নজরে এল?

কালিয়াকে কুস্তিতে হারিয়ে ইসাব ও অমৃত দুজনে যখন বাড়ি ফিরছিল তখন, অমৃতের নজরে এল ইসাবের জামার পকেটের ছয় ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিঁড়ে গেছে।

ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল। – ভয় পাবার কারণ কী?

কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের জামার পকেটের ছ-ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিঁড়ে যাওয়ায় অমৃত ও ইসাব ভয়ে কাঠ হয়ে যায়।

ইসাবের বাবা কীভাবে কাপড় কিনে ইসাবের জন্য জামা সেলাই করিয়েছিলেন?

ইসাবের বাবা সুদখোরের কাছ থেকে টাকা ধার করে অনেক বেছে কাপড় কিনে ইসাবের জন্য জামা সেলাই করিয়েছিলেন।

এসো, আমরা কুস্তি লড়ি। — কে, কাকে বলেছিল?

পান্নালাল প্যাটেল রচিত ‘অদল বদল’ গল্পে উল্লিখিত মন্তব্যটি কালিয়া অমৃতকে করেছিল।

হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল – অমৃতের মাথায় কী বুদ্ধি এসেছিল?

ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেছে দেখে অমৃতের মাথায় নিজের সাথে ইসাবের জামা অদলবদল করার বুদ্ধি এসেছিল।

অমৃতের বুক ভয়ে ঢিপঢিপ করছিল কেন?

বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে জামা যাতে না ছেঁড়ে সে ব্যাপারে মা অমৃতকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। তাই ছেঁড়া জামা পরে বাড়ি ফিরলে মায়ের কাছে মার খেতে হবে ভেবে তার বুক ঢিপঢিপ করছিল।

অমৃতের জামা ছিঁড়ে যাওয়া সত্ত্বেও তার মা তাকে কিছু বললেন না কেন?

হোলির দিন অল্পবিস্তর ধস্তাধস্তি, টানাহ্যাঁচড়া হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা মনে করে অমৃতের মা একটু অসন্তুষ্ট হলেও অমৃতকে কিছু বললেন না।

অমৃত ও ইসাবের সব আনন্দ মাটি করে দেওয়ার জন্য কে, কী বলেছিল?

গ্রামের একটি ছেলে অমৃত ও ইসাবের জামা অদলবদল করা দেখেছিল। তাদের আনন্দ মাটি করে দেওয়ার জন্য ছেলেটি দুজনের কাছে গিয়ে বলেছিল যে, সে সব কিছু দেখে ফেলেছে।

ইসাবের বাবা জামা অদলবদলের সব ঘটনা জানতে পেরে কী করলেন?

ইসাবের বাবা জামা অদলবদলের ঘটনা জানার পর খুশি হয়ে অমৃতকে বুকে জড়িয়ে বলেছিলেন, আজ থেকে অমৃত তাঁরই ছেলে।

অমৃত ও ইসাবের জামা অদলবদলের গল্প কে বলল আর কারা শুনল?

অমৃত ও ইসাবের জামা অদলবদলের গল্প ইসাবের বাবা বললেন আর অমৃতের মা, পাড়াপড়শি মেয়ের দল শুনল।

জামা অদলবদলের কাহিনি সারা গ্রাম ঘুরে শেষে কার কানে পৌঁছোল?

জামা অদলবদলের কাহিনি সারা গ্রাম ঘুরে শেষে গ্রামপ্রধানের কানে পৌঁছোল।

অদল-বদলের গল্প গ্রামপ্রধানের কানে গেলে তিনি কী ঘোষণা করেছিলেন?

অদল-বদলের গল্প গ্রামপ্রধানের কানে গেলে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, সেদিন থেকে তাঁরা অমৃতকে অদল আর ইসাবকে বদল বলে ডাকবেন।

উনি ঘোষণা করলেন – কে, কী ঘোষণা করলেন?

জামা অদলবদলের গল্প শুনে গ্রামপ্রধান ঘোষণা করলেন, সবাই আজ থেকে অমৃত আর ইসাবকে যথাক্রমে ‘অদল’ এবং ‘বদল’ বলে ডাকবে।

অদল বদল গল্পে গ্রামপ্রধান কার নাম ‘অদল’ আর কার নাম ‘বদল’ দিয়েছিলেন এবং তাদের এই নাম শুনে কারা খুশি হয়েছিল?

গ্রামপ্রধান অমৃতকে ‘অদল’ ও ইসাবকে ‘বদল’ নাম দিয়েছিলেন আর তাদের এই নাম শুনে গ্রামের সমস্ত ছেলে খুশি হয়েছিল।

জামা বদলের সময় ইসাব অমৃতকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল আর অমৃত তার কী জবাব দিয়েছিল?

জামা বদলের সময় ইসাব জানতে চেয়েছিল, ছেঁড়া জামা দেখে অমৃতের বাবা যদি অমৃতকে মারেন তখন কী হবে। উত্তরে অমৃত বলেছিল, তাকে বাঁচানোর জন্য তার মা রয়েছেন।

ইসাবের বাবার শান্ত গলা শুনে ইসাব ও অমৃত কী ভেবেছিল?

ইসাবের বাবার শান্ত গলা শুনে ইসাব ও অমৃত ভেবেছিল, তিনি হয়তো তাদের জামা অদলবদলের ঘটনাটা জেনে গেছেন। এখন ভালোবাসার ভান করলেও পরে হয়তো ইসাবকে এর জন্য মার খেতে হবে।

সজল চোখে পাঠান বললেন – কী বললেন?

হাসান পাঠান সজল চোখে বলেছিলেন যে, অমৃতের জবাব তাঁকে বদলে দিয়েছে, অমৃত তাকে শিখিয়েছে খাঁটি জিনিস কাকে বলে।

ভয়ে অমৃতর বুক ঢিপঢিপ করছিল। – কেন?

ইসাবের সঙ্গে অমৃতের জামা বদলের বিষয়টা যদি অমৃতের মা বুঝে ফেলেন-এ কথা ভেবেই অমৃতের বুক ঢিপঢিপ করছিল।

কোন্ সময় ইসাব আর অমৃতের দুজনেরই ভয় কেটে গেল?

ছেঁড়া জামা দেখার পরও অমৃতের মা তাকে কিছু না বলে শুধু একটু অসন্তুষ্ট হয়ে ছুঁচ-সুতো নিয়ে জামাটা রিফু করে দিলে তাদের দুজনেরই ভয় কেটে গেল।

অমৃতের মা যখন ইসাবের ছেঁড়া জামা রিফু করে দিলেন তখন অমৃত ও ইসাব কী করল?

অমৃতের মা ছেঁড়া জামাটা রিফু করে দেওয়ার পর অমৃত ও ইসাব দুজনে হাত ধরাধরি করে গ্রামের ধারে বাজি আর বুড়ির বাড়ি পোড়ানো দেখতে গেল।

ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়ার পর কালিয়ার অবস্থা কেমন হয়েছিল?

ইসাব কালিয়াকে কুস্তিতে হারিয়ে দিয়েছিল। ইসাব তাকে এমনভাবে ল্যাং মেরে ফেলে দিয়েছিল যে কালিয়া ঠিক ব্যাঙের মতো হাত-পা ছড়িয়ে পড়েছিল এবং চিৎকার করছিল।

অমৃত-ইসাবের ভালোবাসার গল্প শুনে গ্রামবাসীর প্রতিক্রিয়া কীরূপ হয়?

অমৃত-ইসাবের ভালোবাসার গল্প শুনে গ্রামবাসীরা গর্বিত হয়েছিল।

অদল বদল গল্পটি একটি ছোট্ট গল্প হলেও এর মধ্যে গভীর জীবনদর্শন নিহিত। এই গল্পটি আমাদের মনে জাগিয়ে তোলে দয়া, সহানুভূতি ও মানবতার আদর্শ।

Share via:

মন্তব্য করুন