এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “চেন্নাই বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

চেন্নাই বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।
অবস্থান – উৎকৃষ্ট ধরনের কৃত্রিম পোতাশ্রয়যুক্ত এই বন্দরটি তামিলনাড়ুর করমণ্ডল উপকূলে অবস্থিত। এটি ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বন্দর। ভারতের পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী চেন্নাই বন্দরটি পূর্বে মাদ্রাজ বন্দর নামে পরিচিত ছিল।
পশ্চাদ্ভূমি – এই বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি তামিলনাড়ুর অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরল রাজ্যের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত।
চেন্নাই বন্দর গড়ে ওঠার কারণসমূহ –
- উৎকৃষ্ট কৃত্রিম পোতাশ্রয় – এই বন্দরের পোতাশ্রয়টি কৃত্রিম হলেও, বন্দর গড়ে তোলার অন্যান্য সুযোগসুবিধা থাকায় অগভীর ও অভগ্ন উপকূলে কৃত্রিম বন্দর গড়ে তুলতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
- সমৃদ্ধ পশ্চাদ্ভূমি – এই বন্দরের পশ্চাদভূমি কৃষি, খনিজ এবং শিল্পে সমৃদ্ধ। বন্দরের দ্বারা কাঁচামাল আদানপ্রদানের বিশেষ সুবিধা রয়েছে।
- শিল্পায়ন – এই অঞ্চলের শিল্পের বিকাশে বন্দরের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বন্দর সংলগ্ন অঞ্চলে কার্পাস বয়ন শিল্প, তৈলশোধনাগার, রাসায়নিক সার, সিমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, মোটরগাড়ি ও রেলগাড়ি নির্মাণের কারখানা গড়ে উঠেছে।
- উন্নত পরিবহণ – বন্দরটির পশ্চাদ্ভূমি উন্নত রেলপথ ও সড়কপথের সঙ্গে যুক্ত। দক্ষিণ রেলপথের সদর কার্যালয় হল চেন্নাই যা চেন্নাই বন্দরের কাজকর্মের উন্নতির সহায়ক হয়েছে।
রপ্তানিকৃত পণ্য – তৈলবীজ, কার্পাস বস্ত্র, কফি, তামাক, চা, রবার, বিভিন্ন মশলা, এবং মৎস্যজাত দ্রব্য।
আমদানিকৃত পণ্য – খাদ্যশস্য, রাসায়নিক দ্রব্য, খনিজ তেল, কাগজ ও নিউজপ্রিন্ট, পরিবহণের সাজসরঞ্জাম, ইস্পাতজাত দ্রব্য প্রভৃতি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
চেন্নাই বন্দরটি ভারতের কোথায় অবস্থিত?
চেন্নাই বন্দরটি তামিলনাড়ুর করমণ্ডল উপকূলে অবস্থিত এবং এটি ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বন্দর।
চেন্নাই বন্দরের পূর্ব নাম কী ছিল?
চেন্নাই বন্দরটি পূর্বে মাদ্রাজ বন্দর নামে পরিচিত ছিল।
চেন্নাই বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি কোন কোন রাজ্য নিয়ে গঠিত?
এই বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরল রাজ্যের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত।
চেন্নাই বন্দর গড়ে ওঠার প্রধান কারণ কী?
চেন্নাই বন্দর গড়ে ওঠার প্রধান কারণ হলো এর উৎকৃষ্ট কৃত্রিম পোতাশ্রয়, সমৃদ্ধ পশ্চাদ্ভূমি, শিল্পায়ন এবং উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা।
চেন্নাই বন্দরের পোতাশ্রয় কী ধরনের?
চেন্নাই বন্দরের পোতাশ্রয়টি কৃত্রিমভাবে নির্মিত, যা অগভীর ও অভগ্ন উপকূলের সুবিধা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
চেন্নাই বন্দর সংলগ্ন কোন শিল্পগুলি গড়ে উঠেছে?
চেন্নাই বন্দর সংলগ্ন অঞ্চলে কার্পাস বয়ন শিল্প, তৈলশোধনাগার, রাসায়নিক সার, সিমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, মোটরগাড়ি ও রেলগাড়ি নির্মাণের কারখানা গড়ে উঠেছে।
চেন্নাই বন্দরের রপ্তানিকৃত প্রধান পণ্যগুলি কী কী?
চেন্নাই বন্দর থেকে তৈলবীজ, কার্পাস বস্ত্র, কফি, তামাক, চা, রবার, মশলা ও মৎস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করা হয়।
চেন্নাই বন্দরের মাধ্যমে কী কী পণ্য আমদানি করা হয়?
এই বন্দরের মাধ্যমে প্রধানত খাদ্যশস্য, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য ও পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য আমদানি করা হয়।
চেন্নাই বন্দরের পরিবহণ ব্যবস্থা কেমন?
চেন্নাই বন্দরটি উন্নত রেলপথ ও সড়কপথের সাথে যুক্ত এবং দক্ষিণ রেলপথের সদর কার্যালয় চেন্নাইতে অবস্থিত, যা বন্দরের কাজকর্মকে সহজতর করে।
চেন্নাই বন্দর ভারতের পূর্ব উপকূলে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় পূর্ব ভারতের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং দক্ষিণ ভারতের শিল্প ও অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “চেন্নাই বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন