এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “কান্ডালা বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

কান্ডালা বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।
অবস্থান – কান্ডালা বন্দর গুজরাট রাজ্যে কচ্ছ উপদ্বীপে কচ্ছ উপসাগরের তীরে অবস্থিত। এটি একটি সমুদ্র বন্দর, এটি বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বন্দর যা প্রধানত আমদানি বাণিজ্যের বন্দর।
পশ্চাদ্ভূমি – গুজরাট, পাঞ্জাব, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশ প্রভৃতি এই বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি।
কান্ডালা বন্দর সম্পর্কে গড়ে ওঠার কারণ –
এই বন্দর গড়ে ওঠার অনুকূল কারণগুলি হল –
- বিকল্প বন্দরের প্রয়োজনীয়তা – দেশ বিভাগের কারণে করাচি বন্দর পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কান্ডালা বন্দর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।
- ভৌগোলিক অবস্থান – মুম্বই বন্দরের তুলনায় কান্ডালা বন্দর দিল্লি মহানগরীর নিকটবর্তী।
- ভগ্ন উপকূল – উপকূলভাগ ভগ্ন হওয়ায় এই বন্দরের স্বাভাবিক পোতাশ্রয়টি গড়ে উঠেছে।
- গভীরতা – উপকূল সংলগ্ন জলভাগ গভীর হওয়ায় বড়ো বড়ো জাহাজ সহজেই বন্দরে প্রবেশ করতে পারে।
- পশ্চাদভূমি – পশ্চাদ্ভূমি অত্যন্ত সমৃদ্ধ হওয়ায় আমদানি-রপ্তানির মালপত্রের অভাব হয় না।
- অন্যান্য – নিকটবর্তী গান্ধিধাম অংশে একটি মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল (শুল্কমুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল) পত্তন হওয়ার ফলে বন্দর হিসেবে এর উন্নতি দ্রুততর হয়েছে।
রপ্তানিকৃত পণ্য – কার্পাস, কার্পাসজাত দ্রব্য, লবণ, তৈলবীজ, হাড়, ন্যাপথা, সোপস্টোন, সিমেন্ট প্রভৃতি।
আমদানিকৃত পণ্য – খাদ্যশস্য, অপরিশোধিত খনিজ তেল, গন্ধক, সার, যন্ত্রপাতি, রক ফসফেট প্রভৃতি।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
কান্ডালা বন্দরটি কোথায় অবস্থিত?
কান্ডালা বন্দরটি ভারতের গুজরাট রাজ্যের কচ্ছ উপদ্বীপে কচ্ছ উপসাগরের তীরে অবস্থিত।
কান্ডালা বন্দরটি কী ধরনের বন্দর?
এটি একটি সমুদ্র বন্দর এবং বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে বিবেচিত হয়।
কান্ডালা বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি বলতে কোন অঞ্চলগুলোকে বোঝায়?
গুজরাট, পাঞ্জাব, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশ এই বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি হিসেবে বিবেচিত হয়।
কান্ডালা বন্দর গড়ে ওঠার প্রধান কারণ কী ছিল?
দেশ বিভাগের পর করাচি বন্দর পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হলে বিকল্প বন্দর হিসেবে কান্ডালা বন্দর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
কান্ডালা বন্দরের ভৌগোলিক অবস্থানের বিশেষত্ব কী?
মুম্বই বন্দরের তুলনায় এটি দিল্লি ও উত্তর ভারতের নিকটবর্তী, যা বাণিজ্যের জন্য সুবিধাজনক।
কান্ডালা বন্দরের পোতাশ্রয় গড়ে ওঠার কারণ কী?
এই অঞ্চলের উপকূল ভগ্ন প্রকৃতির হওয়ায় প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় গঠিত হয়েছে।
কান্ডালা বন্দরে বড় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে কেন?
উপকূল সংলগ্ন জলভাগ গভীর হওয়ায় বড়ো বড়ো জাহাজ সহজেই প্রবেশ করতে পারে।
কান্ডালা বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি সমৃদ্ধ হওয়ার অর্থ কী?
এর পশ্চাদ্ভূমি অঞ্চলগুলি শিল্প ও কৃষিতে উন্নত হওয়ায় আমদানি-রপ্তানির জন্য পর্যাপ্ত মালপত্র পাওয়া যায়।
গান্ধিধামের মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল কীভাবে কান্ডালা বন্দরকে সাহায্য করেছে?
গান্ধিধামে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল স্থাপনের ফলে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
কান্ডালা বন্দর থেকে কী কী পণ্য রপ্তানি হয়?
কার্পাস, কার্পাসজাত দ্রব্য, লবণ, তৈলবীজ, হাড়, ন্যাপথা, সোপস্টোন, সিমেন্ট ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি হয়।
কান্ডালা বন্দরে কী কী পণ্য আমদানি হয়?
প্রধানত খাদ্যশস্য ও অপরিশোধিত খনিজ তেল আমদানি করা হয়।
কান্ডালা বন্দরকে ভারতের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বন্দর বলা হয় কেন?
এটি আমদানি বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “কান্ডালা বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন