এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “জওহরলাল নেহেরু বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

জওহরলাল নেহেরু বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।
অবস্থান – ভারতের পশ্চিম উপকূলে আরবসাগরের তীরে মুম্বাই বন্দর থেকে প্রায় 11 কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এই বন্দরটি অবস্থিত। মুম্বই অংশে নাভা এবং সেবা নামক ছোটো ছোটো দুটি দ্বীপকে একত্রিত করে 1989 খ্রিস্টাব্দের মে মাসে এই বন্দরটি গড়ে তোলা হয়েছে। এটি মুম্বই বন্দরের একটি সহযোগী বন্দর। এর পূর্বনাম ছিল নভোসেবা।
পশ্চাদ্ভূমি – মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশ নিয়ে এই বন্দরের পশ্চাদভূমি গঠিত হয়েছে।
জওহরলাল নেহেরু বন্দর গড়ে ওঠার কারণ –
- এই বন্দরের পোতাশ্রয়টি অত্যন্ত প্রশস্ত, সুরক্ষিত, সুগভীর এবং স্বাভাবিক।
- মুম্বাই বন্দরের চাপ হ্রাস করার উদ্দেশ্যে এই বন্দরটি গড়ে তোলা হয়েছে।
- দেশের অভ্যন্তরভাগের শিল্প বিকাশে এই বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। কার্পাসবস্ত্র বয়নশিল্প, রাসায়নিক শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের উন্নতিতে এই বন্দরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
- এই বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি কৃষি ও খনিজে বিশেষ সমৃদ্ধ। এই বন্দর দ্বারা কৃষিজাত দ্ব্যব্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
- এই বন্দরকে কেন্দ্র করে পশ্চাদ্ভূমির উন্নত সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
- বন্দরটি সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বলে শ্রমিকের বিশেষ প্রয়োজন হয় না।
রপ্তানিকৃত পণ্য – তৈলবীজ, তুলা, সুতিবস্ত্র, ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতি প্রভৃতি।
আমদানিকৃত পণ্য – খনিজ তেল, তুলা, খাদ্যশস্য প্রভৃতি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
জওহরলাল নেহেরু বন্দরটি কোথায় অবস্থিত?
জওহরলাল নেহেরু বন্দরটি ভারতের পশ্চিম উপকূলে আরব সাগরের তীরে, মুম্বাই বন্দর থেকে প্রায় 11 কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
এই বন্দরটি কীভাবে গঠিত হয়েছে?
মুম্বাইয়ের নাভা ও সেবা নামক দুটি ছোট দ্বীপকে যুক্ত করে 1989 খ্রিস্টাব্দের মে মাসে এই বন্দরটি তৈরি করা হয়েছে।
জওহরলাল নেহেরু বন্দরের পূর্ব নাম কী ছিল?
এই বন্দরটির পূর্ব নাম ছিল “নভোসেবা বন্দর”।
জওহরলাল নেহেরু বন্দর গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি কী কী?
জওহরলাল নেহেরু বন্দর গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি হলো –
1. মুম্বাই বন্দরের চাপ কমানোর জন্য এই বন্দর তৈরি করা হয়েছে।
2. এর পোতাশ্রয় প্রশস্ত, সুরক্ষিত, সুগভীর ও প্রাকৃতিকভাবে অনুকূল।
3. এটি পশ্চাদ্ভূমির শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
4. এই অঞ্চলের কৃষি ও খনিজ সম্পদ রপ্তানিতে সহায়তা করে।
এই বন্দরটি কী ধরনের পণ্য রপ্তানি করে?
এই বন্দর থেকে তৈলবীজ, তুলা, সুতিবস্ত্র এবং ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতি রপ্তানি করা হয়।
এই বন্দর দিয়ে কী কী পণ্য আমদানি করা হয়?
এই বন্দর দিয়ে খনিজ তেল, তুলা এবং খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়।
জওহরলাল নেহেরু বন্দর কীভাবে অন্যান্য বন্দর থেকে আলাদা?
এটি ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বন্দর, যেখানে শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা কম।
এই বন্দরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব কী?
এটি পশ্চিম ভারতের একটি প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং শিল্পোন্নয়ন, কৃষি ও খনিজ সম্পদ রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা কেমন?
এই বন্দরকে কেন্দ্র করে পশ্চাদ্ভূমিতে উন্নত সড়ক ও রেলপথ গড়ে উঠেছে, যা বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে সহজতর করেছে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “জওহরলাল নেহেরু বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন