বিষ্টু হতভম্ভ হয়ে লোকটির জগ করা দেখতে লাগল। – বিষ্টুর এই হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল লেখো।

দশম শ্রেণি – বাংলা – কোনি পাঠ্যপুস্তকের “কোনি” অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। এই অধ্যায়ে, বিষ্টু নামের একটি অদ্ভুত লোকের সাথে দেখা করে। লোকটির অদ্ভুত চেহারা, পোশাক এবং আচরণ বিষ্টুকে হতভম্ব করে দেয়।

এই প্রশ্নের উত্তরে, আমরা বিষ্টুর হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণগুলি আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি যে বিষ্টু হতভম্ব হয়ে যাওয়ার মূল কারণ ছিল লোকটির অদ্ভুত চেহারা, পোশাক এবং আচরণ।

বিষ্টুচরণ, যার ওজন ছিল সাড়ে তিন মন, গঙ্গার ধারে শরীর মালিশ করছিলেন। তখন বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি তার শরীর ও মালিশের ভঙ্গি নিয়ে কৌতুক করতে শুরু করেন।

লোকটি বিষ্টুচরণের অত্যধিক ওজনের জন্য হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলে। সে হাতি ও হিপোপটেমাসের উদাহরণ দেয় যে তাদের কখনও করোনারি অ্যাটাক হয়নি।

এরপর সে বিষ্টুচরণকে জিজ্ঞাসা করে যে যদি সে তার মাথায় চাঁটি মারে, তাহলে বিষ্টুচরণ তাকে ধরতে পারবে কি না। বলেই সে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং করতে শুরু করে।

বিষ্টুচরণ এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান। একজন অপরিচিত ব্যক্তির এত স্পর্ধাহীন আচরণ তাকে অবাক করে।

এই গল্পটির মাধ্যমে লেখক ধনী ও অহংকারী ব্যক্তিদের সমালোচনা করেছেন। বিষ্টুচরণ তার অঢেল সম্পদের দাপটে অভ্যস্ত ছিলেন। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষের ব্যঙ্গাত্মক কথায় সে হতভম্ব হয়ে যান।

এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা লাভ করি যে, অহংকার কখনোই কাম্য নয়। আমাদের সকলের সাথে বিনয়ী ও সম্মানের সাথে আচরণ করা উচিত।

বিষ্টু হতভম্ভ হয়ে লোকটির জগ করা দেখতে লাগল। - বিষ্টুর এই হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল লেখো।

“বিষ্টু হতভম্ভ হয়ে লোকটির জগ করা দেখতে লাগল।” – বিষ্টুর এই হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল লেখো।

বিষ্টু ধরের হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ –

  • বিষ্টুচরণের শরীরচর্চা নিয়ে ব্যঙ্গ – সাড়ে তিন মন ওজনের বিষ্টুচরণ ধর যখন গঙ্গার ধারে তাঁর শরীর দলাই মলাই করাচ্ছিলেন, তখন বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি তাঁর শরীর এবং মালিশের বিচিত্র ভঙ্গি নিয়ে কৌতুক করেন। তিনি অত্যধিক ওজনের ফলে বিষ্টু ধরের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনার কথা বলেন। তাঁর ক্রোধকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে লোকটি বলেন যে, হাতি কিংবা হিপোর কখনও করোনারি অ্যাটাক হয়েছে বলে তিনি শোনেননি। এই ধরনের কৌতুক করতে করতেই তিনি বিষ্টু ধরকে জিজ্ঞাসা করেন যে, যদি তিনি বিষ্টু ধরের মাথায় চাঁটি মারেন তাহলে বিষ্টু ধর তাঁকে দৌড়ে ধরতে পারবে কি না। এ কথা বলেই আবার তিনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং করতে শুরু করেন।
  • বিষ্টুচরণের প্রতিক্রিয়া – গোটা ঘটনায় বিষ্টু ধর হতভম্ব হয়ে যান। তার কারণ, একটি অপরিচিত লোক যে এত দুঃসাহস দেখাতে পারে, তা তাঁর ধারণার অতীত। প্রথমত, বিষ্টু ধরের কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপত্তি আছে। দ্বিতীয়ত, বিন্তু ধর হয়তো ভাবছিলেন যে সত্যিই যদি লোকটি তাঁকে চাঁটি মারে, তাহলে তিনি কী করবেন। এরকম অদ্ভুত ও আচমকা ঘটনায় তিনি হতভম্ব হয়ে যান।

আরও পড়ুন, বারুণী কী? বারুণীর দিনে গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা লেখো।

“বিষ্টুচরণের শরীরচর্চা নিয়ে ব্যঙ্গ” গল্পটি আমাদের সমাজের বেশ কিছু বাস্তবতা তুলে ধরে। এখানে আমরা দেখতে পাই যে, ধনী ও অহংকারী ব্যক্তিরা প্রায়শই সমালোচনার শিকার হন। বিষ্টুচরণ, যার অঢেল সম্পদ ও প্রভাব ছিল, একজন সাধারণ মানুষের ব্যঙ্গাত্মক কথায় হতভম্ব হয়ে যান।

এই গল্পটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, অহংকার কখনোই কাম্য নয়। আমাদের সকলের সাথে বিনয়ী ও সম্মানের সাথে আচরণ করা উচিত।

এছাড়াও, এই গল্পটি আমাদের হাস্যরসের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি শেখানোর চেষ্টা করেছে। লেখকের সাবলীল ও সহজবোধ্য ভাষা গল্পটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

Share via:

মন্তব্য করুন