সম্ভবত নামটা তার ভালো লেগেছে। — কোন্ নামটা কার ভালো লেগেছে? ভালোলাগার কারণ বিশ্লেষণ করো।

“সম্ভবত নামটা তার ভালো লেগেছে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “সম্ভবত নামটা তার ভালো লেগেছে।’ — কোন্ নামটা কার ভালো লেগেছে? ভালোলাগার কারণ বিশ্লেষণ করো।” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস “কোনি”-তে, ‘কোনি’ নামটি ক্ষিতীশ সিংহের মনে বিশেষ ভাব জাগিয়ে তোলে। ক্ষিতীশ জুপিটার ক্লাবের সুইমিং ট্রেনার হলেও, প্রতিভাবান সাঁতারুর অভাবে তার মনে অতৃপ্তি ছিল। একদিন গঙ্গার ঘাটে বারুণীর সাথে সাঁতারের লড়াইয়ে কোনির সাহসী রূপ ক্ষিতীশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তার ক্ষিপ্রতা, জেদি মনোভাব এবং শারীরিক গঠন ক্ষিতীশের মনে একটা আশার সঞ্চার করে। সতীর্থদের মুখ থেকে ‘কোনি’ নামটি শুনে, ক্ষিতীশের মনে তার প্রতি বিশেষ আগ্রহ জন্মে। গঙ্গার ঘাটের সেই দৃশ্য বারবার তার মনে ফিরে আসে। লুকানো প্রতিভাকে আবিষ্কার করার সম্ভাবনা ‘কোনি’ নামটিকে ক্ষিতীশের কাছে আরও প্রিয় করে তোলে।

এই অংশে, ‘কোনি’ নামটি কেবল একটি নামের চেয়ে বেশি। এটি ক্ষিতীশের আশা, স্বপ্ন এবং লুকানো প্রতিভার প্রতি তার আগ্রহের প্রতীক।

সম্ভবত নামটা তার ভালো লেগেছে। — কোন্ নামটা কার ভালো লেগেছে? ভালোলাগার কারণ বিশ্লেষণ করো।

“সম্ভবত নামটা তার ভালো লেগেছে।” — কোন্ নামটা কার ভালো লেগেছে? ভালোলাগার কারণ বিশ্লেষণ করো।

নাম ও উদ্দিষ্টের পরিচয় – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র ক্ষিতীশ সিংহের ভালো লেগেছে ‘কোনি’ নামটা।

নামটি ভালো লাগার কারণ –

  • অতৃপ্তিবোধ – ক্ষিতীশ জুপিটার ক্লাবের সুইমিং ট্রেনার। কিন্তু সেখানে প্রতিভাবান সাঁতারু নেই। যারা আছে তাদের ওপরে ক্ষিতীশের আস্থা ছিল না। সেই কারণে ক্ষিতীশের মনে একটা অতৃপ্তি ছিল।
  • দৃষ্টি আকর্ষণ – ক্ষিতীশ ভাবতেন কোনোদিন যদি একজন উপযুক্ত সাঁতারু পান, তবে তাকে তিনি তৈরি করে দেখিয়ে দেবেন একজন ট্রেনারের মূল্য কতখানি। বারুণীর দিন গঙ্গার ঘাটে ভেসে যাওয়া আম সাঁতরে ধরার লড়াইয়ে তিনি কোনি নামক মেয়েটিকে প্রথম দেখেছিলেন। তার ক্ষিপ্রতা, জেদি মনোভাব এবং শারীরিক গঠন ক্ষিতীশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
  • মনের গভীরে স্থানগ্রহণ – সতীর্থদের চিৎকার থেকেই ক্ষিতীশ শুনেছিলেন কোনির নামটা। তারপর থেকেই তাঁর মনের গভীরতম স্থানে কোনি নামটা জায়গা করে নেয়। সবসময় তাঁর মনে চলে আসে গঙ্গার ঘাটের সেই দৃশ্য। তিনি যেন দেখতে পান ফণা তোলা কেউটের মতো হিলহিলে কাদায় লেপা সরু একটা দেহ, লম্বা লম্বা হাত এলোপাথারি ডাইনে-বাঁয়ে ঘোরাচ্ছে। তিনি কোনির মতোই একটা লুকানো প্রতিভাকে খুঁজছিলেন। সেই প্রতিভাকে আবিষ্কার করার সম্ভাবনায় ‘কোনি’ নামটি ক্ষিতীশের ভালো লেগে যায়।

আরও পড়ুন, বিষ্টু হতভম্ভ হয়ে লোকটির জগ করা দেখতে লাগল। – বিষ্টুর এই হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল লেখো।

মতি নন্দীর “কোনি” উপন্যাসে, ‘কোনি’ নামটি কেবল একটি নামের চেয়েও বেশি। এটি ক্ষিতীশ সিংহের আশা, স্বপ্ন এবং লুকানো প্রতিভার প্রতি তার আগ্রহের প্রতীক।

ক্ষিতীশ একজন অতৃপ্ত সাঁতার প্রশিক্ষক, যে একজন প্রতিভাবান সাঁতারু খুঁজছিলেন। গঙ্গার ঘাটে কোনির সাহসী রূপ দেখে তিনি মুগ্ধ হন এবং তার মনে আশার আলো জ্বলে ওঠে। ‘কোনি’ নামটি ক্ষিতীশের মনে লুকানো প্রতিভাকে আবিষ্কার করার সম্ভাবনার প্রতিনিধিত্ব করে।

এই নামটি ক্ষিতীশের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তিনি বারবার গঙ্গার ঘাটের সেই দৃশ্যের কথা ভাবেন, যেখানে কোনি কাদা মাখা দেহ এবং লম্বা হাত নিয়ে সাহসের সাথে সাঁতার কাটছিল।

‘কোনি’ নামটি ক্ষিতীশের জন্য কেবল একটি সুন্দর নাম নয়, বরং এটি তার স্বপ্ন, আশা এবং লক্ষ্যের প্রতীক।

উপন্যাসের শেষে, কোনি একজন দক্ষ সাঁতারুতে পরিণত হয় এবং ক্ষিতীশ তার প্রশিক্ষক হিসেবে গর্ববোধ করে। ‘কোনি’ নামটি তাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং ক্ষিতীশের স্বপ্ন পূরণের প্রতীক হয়ে ওঠে।

Share via:

মন্তব্য করুন