জাপানের উপকূলের কাছে মৎস্যক্ষেত্র দেখা যায় কেন?

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো জাপানের উপকূলের কাছে মৎস্যক্ষেত্র দেখা যায় কেন? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় বারিমণ্ডলের প্রশ্ন।জাপানের উপকূলের কাছে মৎস্যক্ষেত্র দেখা যায় কেন? – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

জাপানের উপকূলের কাছে মৎস্যক্ষেত্র দেখা যায় কেন?

উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে জাপান অবস্থিত এবং এই দেশটির পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে উষ্ণ কুরোশিয়ো বা জাপান স্রোত এবং শীতল কিউরাইল স্রোত। সুমেরু মহাসাগর থেকে আগত শীতল কিউরাইল বা কামচাটকা স্রোতের সঙ্গে বড়ো বড়ো হিমশৈলও থাকে, যেগুলি জাপানের উপকূলের কাছাকাছি উষ্ণ কুরোশিয়ো স্রোতের সংস্পর্শে এসে গলে যায়। এর ফলে হিমশৈলবাহিত বিভিন্ন পদার্থ, যেমন — শৈবাল, নুড়ি-পাথর ইত্যাদি এখানকার মহীসোপানে সঞ্চিত হতে থাকে। এইভাবে দীর্ঘকাল জমা হতে হতে জাপানের উপকূলের অদুরে অনেক অগভীর মগ্নচড়া সৃষ্টি হয়েছে, যেগুলিকে কেন্দ্র করে এখানে মাছের খাদ্য প্ল্যাঙ্কটন প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। এজন্য জাপানের উপকূলের কাছে বিভিন্ন ধরনের মাছের ব্যাপক সমাবেশ ঘটে এবং সমগ্র এলাকাটি মৎস্যক্ষেত্র হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, জাপানের উপকূলের কাছে মৎস্যক্ষেত্র দেখা যাওয়ার কারণগুলি বুঝতে পারলে দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। এই প্রশ্নটি বারিমণ্ডল অধ্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, তাই পরীক্ষার্থীদের এই প্রশ্নটি ভালোভাবে বুঝে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

জাপানের উপকূলের কাছে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় এবং এটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান মৎস্যক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। এর পেছনে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

প্রথমত, জাপানের উপকূলের কাছে উষ্ণ কুরোশিও স্রোত এবং শীতল কিউরাইল স্রোতের মিলন ঘটে। এই দুটি স্রোতের মিলনে প্রচুর পরিমাণে প্ল্যাঙ্কটন তৈরি হয়, যা মাছের প্রধান খাদ্য। দ্বিতীয়ত, জাপানের উপকূলের কাছে মহীসোপান অগভীর। এই অগভীর জলে মাছের ডিম পাড়া এবং পোনা বড় হওয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। শেষত, জাপানের উপকূলে প্রচুর খাড়ি, উপসাগর এবং দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। এই ভূপ্রকৃতি মাছের আবাসস্থল তৈরি করে এবং মাছ ধরার জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করে।

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।