অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে তৈরি হয়?

Rahul

নদী তো জানো, সবসময় বয়ে চলে। কখনো এদিক, কখনো সেদিক। নদী যখন বহু বছর ধরে বয়ে চলে, তখন নদীর ধারে নানা রকমের আকৃতি তৈরি হয়। এর মধ্যে একটা আকৃতি দেখতে অনেকটা ঘোড়ার খুরের মতো। তাই একে বলা হয় অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ।

নদী যখন দীর্ঘদিন ধরে একই পথে বয়ে চলে, তখন নদীর ধারে অনেক পলি জমা হয়। এই পলির কারণে নদীর ধারা ক্রমশ সরু হতে থাকে। এক সময় নদীর ধারার দুটি বাঁক একে অপরের এত কাছে চলে আসে যে নদী পুরোনো খাদ ছেড়ে নতুন খাদে প্রবাহিত হতে শুরু করে। পুরোনো খাদটি তখন জলে ভরে ঘোড়ার খুরের মতো আকৃতি ধারণ করে।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে জন্য যে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কি? অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে তৈরি হয়? এই দুটি প্রশ্ন দশম শ্রেণীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও দুটি প্রশ্ন আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে তৈরি হয়?

অবস্থান – মধ্যগতির শেষের দিকে এবং নিম্নগতিতে নদীর প্রবাহপথে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের (ox-bow lake) সৃষ্টি হয়।

সৃষ্টির কারণ – এই সময় নদীর গতিবেগ খুব কম থাকে বলে সামান্য কোনো বাধা পেলেই নদী এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। নদীর। আঁকাবাঁকা গতিপথকে বলা হয় মিয়েন্ডার। নদী যখন এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয় তখন প্রবাহপথের অন্তঃবাকের (উত্তল পাড়) তুলনায় বহিঃবাঁকে (অবতল পাড়) গতিবেগ বেশি থাকে। তাই বহিঃবাকে ক্ষয়কার্য চলে, কিন্তু অন্তঃবাঁকে পলি, কাদা ইত্যাদি সঞ্চিত হয়। নদী যখন খুব বেশি এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়, দুই বাঁক বা জলধারার মধ্যবর্তী ভূমি কালক্রমে সম্পূর্ণ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। (বহিঃবাঁক ক্ষয় প্রক্রিয়ার জন্য) এবং তার ফলে তখন নদীর ওই দুটি বাঁক বা জলধারার সংযুক্তি ঘটে, অর্থাৎ বাঁকা পথ ছেড়ে নদী তখন সোজা পথে প্রবাহিত হয় এবং পরিত্যক্ত বাঁকটি হ্রদে পরিণত হয়। এই হ্রদ দেখতে ঘোড়ার খুরের মতো হয় বলে এর নাম অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ।

উদাহরণ – নিম্নগতিতে গঙ্গা এবং তার শাখানদীগুলির গতিপথে এই ধরনের অনেক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ সৃষ্টির বিভিন্ন পর্যায়

অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ কি?

অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ হলো এমন একটি হ্রদ যা নদী দ্বারা তৈরি হয় এবং তার আকৃতি ঘোড়ার খুরের মতো হয়।

অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে তৈরি হয়?

অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ তৈরি হয় যখন নদীর গতিবেগ কম এবং নদী এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। এক সময়ে নদীর দুই বাঁক একে অপরের কাছে চলে আসে এবং পুরোনো খাদ ছেড়ে নতুন খাদে প্রবাহিত হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়ায় হ্রদ তৈরি হয় এবং এর আকৃতি অশ্বখুরার মতো হয়।

Please Share This Article

Related Posts

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও-মাধ্যমিক ভূগোল

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য লেখো

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করো।

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণি – বাংলা – ইলিয়াস – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণি – বাংলা – ইলিয়াস – বিষয়সংক্ষেপ

নবম শ্রেণি বাংলা – আমরা – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আমরা – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আমরা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর