আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করবো ভারতের ভূপ্রকৃতি – পার্থক্যধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন নিয়ে। এই প্রশ্নগুলি দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় ভারতের ভূপ্রকৃতির প্রশ্ন ও উত্তর ।
মালনাদ ও ময়দানের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
মালনাদ ও ময়দানের পার্থক্যগুলি হল —
বিষয় | মালনাদ | ময়দান |
অবস্থান | কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিমের অংশ মালনাদ নামে পরিচিত। | কর্ণাটক মালভূমির পূর্বদিক ময়দান নামে পরিচিত। |
অর্থ | মালনাদ শব্দের অর্থ পাহাড়ি দেশ। | ময়দান কথার অর্থ নাতিউচ্চ ভূমিভাগ। |
প্রকৃতি | মালনাদ একধরনের ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি। | ময়দান একধরনের সমপ্রায় সমভূমি। |
কচ্ছ উপদ্বীপ এবং কাথিয়াবাড় উপদ্বীপের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
কচ্ছ ও কাথিয়াবাড় উপদ্বীপের পার্থক্যগুলি হল —
বিষয় | কচ্ছ উপদ্বীপ | কাথিয়াবাড় উপদ্বীপ |
অবস্থান | কচ্ছ উপসাগরের উত্তরে কচ্ছ উপদ্বীপটি গড়ে উঠেছে। | উত্তরে কচ্ছ উপসাগর, দক্ষিণ-পূর্বে খাম্বাত উপসাগর এবং পশ্চিমে আরব সাগরের মাঝে কাথিয়াবাড় উপদ্বীপটি অবস্থিত। |
গঠন | কচ্ছ উপদ্বীপ মূলত বেলেপাথর দিয়ে গঠিত। | কাথিয়াবাড় উপদ্বীপ মূলত লাভা দিয়ে গঠিত ভূমিভাগ। |
জলাভূমি | কচ্ছ উপদ্বীপে ভারতের অন্যতম রান বা জলাভূমি তৈরি হয়েছে। | কাথিয়াবাড়ে এমন ভূমিরূপ নেই। |
ভাঙ্গর ও খাদারের মধ্যে পার্থক্যগুলি লিখ।
ভাঙ্গর ও খাদারের পার্থক্যগুলি হল —
বিষয় | ভাঙ্গর | খাদার |
প্রকৃতি | প্রাচীন পলি গঠিত অঞ্চল ভাঙ্গর নামে পরিচিত। | নবীন পলি দিয়ে গঠিত ভূমিভাগ খাদার নামে পরিচিত। |
উর্বরতা | এটি প্রাচীন বলে উর্বরতা খাদার থেকে কম। | এই মাটির উর্বরতা বেশি। |
প্লাবন | ভাঙ্গর অঞ্চল উঁচু বলে এখানে প্রতি বছর প্লাবন হয় না। | এটি নীচু ভূমি বলে প্রায় প্রতিবছরই প্লাবিত হয়। |
মাটি ক্ষয় | প্রাচীন পলি গঠিত ভাঙ্গরের মাটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। | এই অঞ্চলে প্রতিবছর নতুন নতুন মাটি সঞ্চিত হয়। |
পূর্বঘাট এবং পশ্চিমঘাট পর্বতের মধ্যে পার্থক্যগুলি লিখ।
পূর্বঘাট এবং পশ্চিমঘাট পর্বতের পার্থক্যগুলি হল —
বিষয় | পূর্বঘাট পর্বত | পশ্চিমঘাট পর্বত |
অবস্থান | পূর্ব উপকূলে মহানদী নদীর অববাহিকায় দক্ষিণ সীমা থেকে ভাইগাই নদীর অববাহিকা পর্যন্ত। | পশ্চিম উপকূলে তাপ্তী নদীর অববাহিকা থেকে দক্ষিণে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত। |
প্রকৃতি | এটি একটি ক্ষয়জাত পর্বতমালা। | এটি তির্যক চ্যুতির স্তূপ পর্বত। |
উচ্চতা | পূর্বঘাট পর্বতের গড় উচ্চতা 600 মিটার। | এর গড় উচ্চতা প্রায় 900 মিটার। |
জলবিভাজিকা | পূর্বঘাট পর্বত কোনো জলবিভাজিকা হিসেবে অবস্থান করে না। | এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবিভাজিকা। |
ভাবর ও তরাই-এর মধ্যে পার্থক্যগুলি লিখ।
ভাবর ও তরাই-এর পার্থক্যগুলি হল –
বিষয় | ভাবর | তরাই |
অবস্থান | সিন্ধু থেকে তিস্তা পর্যন্ত শিবালিক পর্বতের পাদদেশের ভূমি ভাবর নামে পরিচিত। | ভাবরের দক্ষিণ অংশ তরাই নামে পরিচিত। |
গঠন | ছোটো ছোটো নুড়ি পাথর দিয়ে এই অংশটি তৈরি হয়েছে। | প্রধানত বালি, কাদা, পলি দিয়ে তরাই ভূমি গঠিত হয়েছে। |
উর্বরতা | মাটিতে নুড়ি, পাথর থাকে বলে এটি অনুর্বর মাটি, চাষবাস খুব ভালো হয় না। | এই মাটি চাষের জন্য যথেষ্ট উর্বর। |
বিস্তার | ভাবরের গড় বিস্তার 8-16 কিমি। | এর গড় বিস্তার 20-30 কিমি। |
পূর্ব হিমালয় ও পশ্চিম হিমালয়ের মধ্যে পার্থক্যগুলি লিখ।
পূর্ব হিমালয় ও পশ্চিম হিমালয়ের পার্থক্যগুলি হল —
বিষয় | পূর্ব হিমালয় | পশ্চিম হিমালয় |
উচ্চতা ও বিস্তার | পূর্ব হিমালয়ের উচ্চতা ও বিস্তার পশ্চিম হিমালয়ের তুলনায় কম। | পশ্চিম হিমালয় অনেক বেশি উঁচু ও বিস্তৃত। |
গিরিশৃঙ্গ ও হিমবাহ | পূর্ব হিমালয়ে গিরিশৃঙ্গ এবং হিমবাহের সংখ্যা খুব কম। | শৃঙ্গগুলি খুব উঁচু উঁচু এবং হিমবাহের পরিমাণ কম। |
ঢাল | পূর্ব হিমালয় বেশি ঢালবিশিষ্ট ও খাড়া। | পশ্চিম হিমালয়ের ঢাল কম এবং কম খাড়া। |
আজকের আলোচনায় আমরা ভারতের ভূপ্রকৃতি – পার্থক্যধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন বিশ্লেষণ করেছি। এই প্রশ্নগুলি দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায়ের একটি মূল অংশ।