ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয় কেন?

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয় কেন? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় বারিমণ্ডলের প্রশ্ন। ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয় কেন? – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয় কেন?

অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে চাঁদ ও সূর্যের সম্মিলিত আকর্ষণে ভরা জোয়ার হয় বলে সমুদ্রের জলস্ফীতি প্রবল হয়। কিন্তু শুক্ল ও কৃয়পক্ষের সপ্তমী তিথিতে চাঁদ ও সূর্য পরস্পরের সমকোণে থেকে পৃথিবীকে আকর্ষণ করে (অর্থাৎ সূর্যের আকর্ষণ, চাঁদের আকর্ষণের বিরোধিতা করে বা কার্যহীন বলের সৃষ্টি হয়) বলে সমুদ্রের জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়। এজন্য এই দু-দিন মরা জোয়ার হয়। অর্থাৎ মরা জোয়ারের জলস্ফীতি ভরা জোয়ারের তুলনায় অনেক কম হয়।

আজকের আলোচনা জলস্ফীতির তারতম্য বিষয়ে চাঁদ ও সূর্যের অবস্থানের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করল। আমরা জানলাম যে, ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়।

ভরা জোয়ারের সময় চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর একই দিকে অবস্থান করে। ফলে, তাদের মহাকর্ষীয় বল একত্রিত হয়ে জলকে টানতে থাকে, যার ফলে জলস্তর অনেক বেশি বেড়ে যায়।

অন্যদিকে, মরা জোয়ারের সময় চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর ৯০° কোণে থাকে। ফলে, তাদের মহাকর্ষীয় বল একে অপরকে প্রতিহত করে। এই প্রতিহতকরণের ফলে জল টানার ক্ষমতা কমে যায়, ফলে মরা জোয়ারের সময় জলস্তর তেমন বেশি বৃদ্ধি পায় না।

এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা দেখতে পেলাম যে, চাঁদ ও সূর্যের অবস্থানের তারতম্যের কারণেই ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়। মাধ্যমিক ভূগোলের দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে রাখা জরুরি।

Please Share This Article

Related Posts

দুটি কঠিন পদার্থ ‘A’ ও ‘B’ -এর ঘন জলীয় দ্রবণ উত্তপ্ত করলে একটি বর্ণহীন ও গন্ধহীন গ্যাসীয় পদার্থ ‘C’ ও জল উৎপন্ন হয়। একটি জ্বলন্ত পাটকাঠি ‘C’ গ্যাসের মধ্যে প্রবেশ করালে তা নিভে যায়। একটি ম্যাগনেসিয়াম ফিতা ‘C’ গ্যাসে প্রবেশ করালে তা জ্বলতে থাকে এবং একটি সাদা অবশেষ ‘D’ উৎপন্ন হয়। ‘D’ ফুটন্ত জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন করে। A, B, C ও D -কে শনাক্ত করো ও সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়ার সমীত সমীকরণ দাও।

A ও B উত্তপ্তে গ্যাস C ও জল সৃষ্টি হয়; C-তে Mg জ্বলে D দেয়, D ফুটন্ত জলে NH₃ উৎপন্ন করে — A, B, C, D শনাক্ত করো।

ধাতব লবণ শনাক্তকরণে H₂S গ্যাসের প্রয়োগ উদাহরণ সহযোগে বুঝিয়ে দাও।

ধাতব লবণ শনাক্তকরণে H₂S গ্যাসের প্রয়োগ উদাহরণ সহযোগে বুঝিয়ে দাও।

HCl প্রস্তুতিতে H₂SO₄ -এর পরিবর্তে HNO₃ ব্যবহার করা যায় না কেন?

HCl প্রস্তুতিতে H₂SO₄ -এর পরিবর্তে HNO₃ ব্যবহার করা যায় না কেন?

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

A ও B উত্তপ্তে গ্যাস C ও জল সৃষ্টি হয়; C-তে Mg জ্বলে D দেয়, D ফুটন্ত জলে NH₃ উৎপন্ন করে — A, B, C, D শনাক্ত করো।

ধাতব লবণ শনাক্তকরণে H₂S গ্যাসের প্রয়োগ উদাহরণ সহযোগে বুঝিয়ে দাও।

HCl প্রস্তুতিতে H₂SO₄ -এর পরিবর্তে HNO₃ ব্যবহার করা যায় না কেন?

লা ব্লাঙ্ক পদ্ধতিতে কীভাবে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড প্রস্তুত করা হয়?

স্পর্শ পদ্ধতিতে SO₂ ও O₂ মিশ্রণ বিশুদ্ধ ও ধূলিমুক্ত রাখা কেন প্রয়োজন?