বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর কীরূপ ভূমিকা ছিল?

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর কীরূপ ভূমিকা ছিল?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর কীরূপ ভূমিকা ছিল?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায় “বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে 'কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ' -এর কীরূপ ভূমিকা ছিল?
Contents Show

বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর কীরূপ ভূমিকা ছিল?

আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার উদ্দেশ্যে ঔপনিবেশিক বাংলা তথা ভারতে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল, তার মধ্যে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ছিল অগ্রগণ্য।

‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর প্রতিষ্ঠা –

স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং তারকনাথ পালিত ও রাসবিহারী ঘোষের অর্থানুকূল্যে 1914 খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর বহুমুখী বিজ্ঞানচর্চা –

বিশুদ্ধ বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গবেষণার উদ্দেশ্যে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজে একে একে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিভাগ খোলা হয়।

‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর মৌলিক গবেষণা –

বিজ্ঞানচর্চার এই মুক্ত অঙ্গনে শিক্ষার্থী ও গবেষকরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার সুযোগ পান। ফলে বিজ্ঞানচর্চায় যথেষ্ট মানোন্নয়ন ঘটে। গবেষক ছাত্রদের জন্য এখানে আটটি বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়।

‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর খ্যাতনামা শিক্ষার্থীগণ –

স্বদেশি বাংলার বহু স্বনামধন্য শিক্ষক ও বিজ্ঞানীগণ এই শিক্ষায়তনে শিক্ষাদান করেন। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, ডঃ চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরমন প্রমুখ ছিলেন এই প্রথিতযশা শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এখানে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সঙ্গে এর যোগসূত্র স্থাপিত হয়।

‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর মন্তব্য –

অধ্যাপনা, গবেষণা ও পড়াশোনার জন্য ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই কলেজে যোগ দেন অধ্যাপক, গবেষক ও ছাত্রগণ। তাঁদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এই প্রতিষ্ঠান স্বদেশি যুগের বাংলা তথা ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং তারকনাথ পালিত ও রাসবিহারী ঘোষের আর্থিক সহায়তায় 1914 সালে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?

আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা ও মৌলিক গবেষণার প্রসারের জন্য এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিল। এটি বিশুদ্ধ বিজ্ঞান ও বিভিন্ন শাখায় গবেষণার সুযোগ প্রদান করত।

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজে কোন কোন বিষয়ে বিভাগ খোলা হয়েছিল?

পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভাগ চালু করা হয়েছিল।

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের গবেষণার সুযোগ কেমন ছিল?

শিক্ষার্থী ও গবেষকরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার সুযোগ পেতেন। এখানে আটটি বৃত্তির ব্যবস্থাও ছিল গবেষকদের জন্য।

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের কয়েকজন বিখ্যাত শিক্ষক ও বিজ্ঞানীর নাম উল্লেখ করো।

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের কয়েকজন বিখ্যাত শিক্ষক ও বিজ্ঞানীর নাম হল –
1. আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (রসায়নবিদ)।
2. ডঃ চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন (নোবেলজয়ী পদার্থবিদ)।

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের অবদান কী ছিল?

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের অবদান ছিল –
1. এটি বাংলা ও ভারতে বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
2. বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলে আন্তর্জাতিক স্তরে বিজ্ঞানচর্চার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
3. স্বাধীনতা-পূর্ব যুগে এটি ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত হয়।

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের সুবিধা ছিল?

গবেষণার জন্য বৃত্তি, আধুনিক ল্যাবরেটরি সুবিধা এবং স্বনামধন্য শিক্ষকদের উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করা হত।

বর্তমানে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের অবস্থান কী?

এটি এখন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ নামে পরিচিত এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর কীরূপ ভূমিকা ছিল?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ‘কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ’ -এর কীরূপ ভূমিকা ছিল?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায় “বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে নারীসমাজ কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিল? বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে নারীসমাজের সীমাবদ্ধতা কী?

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ ও সীমাবদ্ধতা লেখো।

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে বাংলার ছাত্র সমাজ কীরূপ ভূমিকা পালন করেছিল?

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে বাংলার ছাত্র সমাজ কীরূপ ভূমিকা পালন করেছিল?

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ ও সীমাবদ্ধতা লেখো।

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে বাংলার ছাত্র সমাজ কীরূপ ভূমিকা পালন করেছিল?

পরিবেশের ওপর বর্জ্য পদার্থের প্রভাব লেখো।

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি সম্পর্কে টীকা লেখো।