এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

বিষ্টু ধর রাগে কথা বলতে পারছে না, শুধু চোখ দিয়ে কামান দাগতে লাগল। – বিষ্টু ধরের এই রেগে যাওয়ার কারণ আলোচনা করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব: “বিষ্টু ধর রাগে কথা বলতে পারছে না, শুধু চোখ দিয়ে কামান দাগতে লাগল।” – বিষ্টু ধরের এই রাগের কারণ বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিষ্টু ধর রাগে কথা বলতে পারছে না, শুধু চোখ দিয়ে কামান দাগতে লাগল। - বিষ্টু ধরের এই রেগে যাওয়ার কারণ আলোচনা করো।

“বিষ্টু ধর রাগে কথা বলতে পারছে না, শুধু চোখ দিয়ে কামান দাগতে লাগল।” – বিষ্টু ধরের এই রেগে যাওয়ার কারণ আলোচনা করো।

  • প্রাককথন – লেখক ‘কোনি’ উপন্যাসের সূচনাতেই বারুণীর দিনের গঙ্গার ঘাটের প্রসঙ্গ এনেছেন। বিষ্টুচরণ ধর সেইদিন ঘাটে এসেছিলেন মালিশওয়ালাকে দিয়ে তাঁর শরীর দলাই মলাই করানোর জন্য।
  • বিষ্টু ধরের মালিশের ভঙ্গিমা – সাড়ে তিন মন ওজনের বিষ্টু ধরের শরীর মালিশের ভঙ্গি ছিল যথেষ্ট কৌতুকের। কখনও ‘তানপুরো ছাড়’, ‘তবলা বাজা’, কখনও-বা ‘সারেগামা কর’-নানা সাংকেতিক ভাষায় বিষ্টু ধর বিভিন্ন ধরনের মালিশের জন্য নির্দেশ দিতে থাকেন। মালিশওয়ালাও নির্দেশ অনুসারে কখনও তাঁর শরীরের চর্বিগুলো খামচে ধরে ছেড়ে দিতে থাকে, কখনও দশ আঙুল দিয়ে গলা থেকে কোমর পর্যন্ত চাঁটি মারতে থাকে, কখনও পিঠে জোড়াতালুর কোদাল চালায়।
  • সমালোচকের ব্যঙ্গবাণ – বিষ্টু ধরের বিরক্তি বাড়িয়ে দেয় পনেরো হাত দূরে অবস্থান করা সাদা লুঙ্গি আর গেরুয়া পাঞ্জাবি পরা একটি মাঝবয়সি লোক। তিনি বিষ্টুবাবুর দিকে তাকিয়ে, হাসতে হাসতে জিজ্ঞাসা করেন – “ম্যাসেজ হচ্ছে না সংগীতচর্চা হচ্ছে?” এরপর উপযাচক হয়ে ব্লাডপ্রেশার, ব্লাডসুগার ইত্যাদি পরীক্ষার কথা বলেন। বিরক্ত হয়ে বিষ্টুবাবু তাঁকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু না গিয়ে সেই ভদ্রলোক আরও স্পষ্ট করে বলেন, তবে আপনার হার্টটা বোধহয় বেশিদিন এই গন্ধমাদন টানতে পারবে না। তারপরে আরও তির্যক ভঙ্গিতে বলেন যে, তিনি ভুলও বলতে পারেন। কারণ হাতি কিংবা হিপোর কখনও করোনারি অ্যাটাক হয়েছে বলে জানা যায়নি। এভাবে বিষ্টু ধরকে ঘুরিয়ে হাতি কিংবা হিপো বলায় তিনি অত্যন্ত রেগে যান। কিন্তু সেই রাগকে তিনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারেন না। শুধু দু-চোখ দিয়ে তিনি ক্রোধ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন, বিষ্টু হতভম্ভ হয়ে লোকটির জগ করা দেখতে লাগল। – বিষ্টুর এই হতভম্ব হয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল লেখো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, “বিষ্টু ধর রাগে কথা বলতে পারছে না, শুধু চোখ দিয়ে কামান দাগতে লাগল।” – বিষ্টু ধরের এই রেগে যাওয়ার কারণ আলোচনা করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও এই তথ্য থেকে উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Share via:

মন্তব্য করুন