আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে বর্জ্য পদার্থকে কীভাবে সম্পদে পরিণত করা যায়? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বর্জ্য পদার্থকে কীভাবে সম্পদে পরিণত করা যায়? – এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
বর্জ্য পদার্থ আমাদের পরিবেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। বর্জ্য পদার্থ যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করা হয়, তাহলে তা জল, বায়ু এবং মাটি দূষিত করতে পারে। বর্জ্য পদার্থ থেকে মশা-মাছি পোকামাকড় জন্মাতে পারে, যা বিভিন্ন রোগ ছড়াতে পারে।
বর্জ্য পদার্থকে কীভাবে সম্পদে পরিণত করা যায়?
মানুষের উন্নত চিন্তা, ভাবনা, নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা যায়, যেমন —
- পুনর্ব্যবহার – বাড়ির পুরোনো কাগজ, ছেঁড়া কাপড়, বাতিল পদার্থ দিয়ে নতুন নতুন ঘর সাজানোর বা প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করা যায়।
- পুনঃচক্রীকরণ – ভাঙা কাচ, পুরোনো কাগজ, টায়ার, প্লাস্টিক প্রভৃতি দ্রব্য থেকে যথাক্রমে নতুন কাচ, নতুন কাগজ, পিচবোর্ড, কাগজের মণ্ড, নতুন টায়ার, প্লাস্টিক প্রভৃতি তৈরি করা যায়।
- সার উৎপাদন – জীব বিশ্লেষক পৌর আবর্জনা থেকে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল বা সম্ভাব্য পদ্ধতি প্রয়োগ করে দু-চার মাসের মধ্যে জৈব সার উৎপাদন করা যায়। যা কৃষিক্ষেত্রে খুব কাজে লাগে।
- নীচু জমি ভরাট করা – কোনো নীচু জলাজমিকে ভরাট করতে বর্জ্যের প্রয়োজন হয়। এতে খরচও কমে আবার বর্জ্যও সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হয়।
- রাস্তা তৈরি – বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই এবং জীব অবিশ্লেষ্য পদার্থ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এতে বর্জ্যের পরিমাণ যেমন কমছে তেমনি বর্জ্যের ব্যবহার বাড়ছে।
- জ্বালানি – পয়ঃপ্রণালীর মলমূত্র, গোবর, পৌর আবর্জনা, শুকনো পাতা, প্রভৃতি থেকে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গ্যাস উৎপাদন সম্ভব, যা জ্বালানি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম কীভাবে বর্জ্যকে আবার নতুন কিছু উপকারী জিনিসে (সম্পদ) বানানো যায়! আমরা রিসাইক্লিং, কম্পোস্টিং এবং পুনঃব্যবহারের মতো পদ্ধতি জানলাম। বর্জ্য থেকে সম্পদ তৈরি করার অনেক লাভ আছে।