অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি যদি তোমরা প্রস্তুত করে না যাও তাহলে পরীক্ষায় হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলোর উত্তর দিতে পারবে না। তাই হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি ভালো করে মুখস্ত করে গেলে তোমরা পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল পাবে।
শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার প্রথম পর্বে, রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের সন্ধান করছিলেন। তার সত্যানুসন্ধানী দৃষ্টি তাকে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আকৃষ্ট করে, যিনি তখন অপরিচিত ছিলেন এবং খ্যাতি অর্জন করেননি। রবীন্দ্রনাথ, একজন পাকা জহুরি, হরিচরণের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অসাধারণ প্রতিভা চিনতে পেরেছিলেন এবং তাকে বাংলার গ্রাম থেকে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন।
হরিচরণের মধ্যে বিদ্যাচর্চার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। রবীন্দ্রনাথ তাকে “বঙ্গীয় শব্দকোষ” রচনার কাজ দিলে, তিনি আনন্দের সাথে তা গ্রহণ করেন। চল্লিশ বছরের নিরলস পরিশ্রমের পর, হরিচরণ এই অভিধান সম্পন্ন করেন। হীরেন্দ্রনাথ দত্ত তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রশংসা করেছেন। অশক্ত শরীর ও ক্ষীণ দৃষ্টি সত্ত্বেও, হরিচরণ সকল প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে এই বিশাল কাজ সম্পন্ন করেন।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু একজন বিদ্বানই ছিলেন না, তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুগামী। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শনের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা ছিল এবং তিনি শান্তিনিকেতনের ছাত্রদের মধ্যে সেই শিক্ষাদর্শন ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন ও কর্ম বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। রবীন্দ্রনাথের সত্যানুসন্ধানী দৃষ্টির মাধ্যমে আবিষ্কৃত, তিনি শান্তিনিকেতনের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত দুটি বই-এর নাম লেখো।
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত দুটি বই-এর নাম হল – ‘কালের যাত্রার ধ্বনি’ এবং ‘শেষ পারানির কড়ি’।
কোন্ নামে তিনি সমধিক পরিচিত?
হীরেন্দ্রনাথ দত্ত ‘ইন্দ্রজিৎ’ নামে সমধিক পরিচিত।
হরিচরণকে মাসিক বৃত্তি দেন – (মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী/বিধুশেখর শাস্ত্রী/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী।
হরিচরণ মারা যান – (বিরানব্বই/পঁচানব্বই/নব্বই) বছর বয়সে।
বিরানব্বই।
হরিচরণ অবসর নেন – (পঁয়ষট্টি/ষাট/পঁচাত্তর) বছর বয়সে।
পঁচাত্তর।
হরিচরণ সংক্রান্ত শ্লোকটি লিখেছেন – (রবীন্দ্রনাথ/হীরেন্দ্রনাথ/দ্বিজেন্দ্রনাথ)।
দ্বিজেন্দ্রনাথ।
গ্রন্থ সমাপ্তির পর হরিচরণ জীবিত ছিলেন – (বারো/পনেরো/চোদ্দো) বছর।
চোদ্দো।
_ খুব অরথে!
মুঠাচ্ছ।
দি ডিক্লাইন অ্যান্ড ফল অফ দি রোমান এম্পায়ার গ্রন্থের রচয়িতা _।
গিবন।
সেরেস্তার কাজ সেরে সন্ধেবেলা হরিচরণ _ করতেন।
সংস্কৃতচর্চা
হরিচরণ মাসিক _ টাকা বৃত্তি পেতেন।
পঞ্চাশ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হরিচরণকে _ স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করে।
সরোজিনী।
ক্ষিতিমোহন সেন কীসের পণ্ডিত ছিলেন?
ক্ষিতিমোহন সেন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন।
বিদ্যাকেন্দ্রের অন্যতম প্রধান কর্তব্য কী?
বিদ্যার্জনের পথ সুগম করে দেওয়া বিদ্যাকেন্দ্রের প্রধান কর্তব্য।
রবীন্দ্রনাথ কোন্ পুস্তক রচনায় নিযুক্ত ছিলেন?
রবীন্দ্রনাথ ‘সংস্কৃতপ্রবেশ’ নামক পুস্তক রচনায় নিযুক্ত ছিলেন।
হরিচরণ কৃত অভিধানের নাম কী?
হরিচরণ কৃত অভিধানের নাম ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’।
বাংলা ভাষায় প্রথম বিজ্ঞান গ্রন্থমালা কে রচনা করেন?
বাংলা ভাষায় প্রথম বিজ্ঞান গ্রন্থমালা রচনা করেন জগদানন্দ রায়।
কীর্তি কখনও কর্তাকে ছাড়িয়ে যায় না বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
কর্তা অর্থাৎ স্রষ্টার নিহিত প্রতিভা বা ক্ষমতাই তাঁর সৃষ্টিকে তৈরি করে। স্রষ্টার মাহাত্ম্য তাঁর সৃষ্টিকে মহৎ করে। তাই সৃষ্টির মধ্যেই স্রষ্টার যাবতীয় গুণাবলি প্রচ্ছন্ন থাকে। সৃষ্টি তো স্রষ্টারই মানসসন্তান।
রবীন্দ্রনাথ কেন উদ্বৃত্তের সন্ধান করতেন?
রবীন্দ্রনাথ জানতেন দৈনন্দিনের দাবি মিটিয়ে মানুষের মধ্যে যা কিছু উদ্বৃত্ত অর্থাৎ অবসর থাকে তারই সদ্ব্যবহারে মানুষ মহৎ কিছু করতে পারে। সংসারের দাবি মিটিয়ে বাড়তি কিছু দেওয়ার সম্বল থাকলে তবেই লোকহিতে আত্মনিয়োগ সম্ভব।
শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার প্রথম পর্বে, রবীন্দ্রনাথ শুধু ভবন ও पाठ्यक्रम গঠন করছিলেন না, বরং গড়ে তুলছিলেন এক অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই মহৎ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সারা বাংলার সেরা প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সন্ধান করছিলেন। তার সত্যানুসন্ধানী দৃষ্টি তাকে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অপরিচিত, অখ্যাত, কিন্তু অসাধারণ প্রতিভাবান ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়।
রবীন্দ্রনাথ, একজন জ্ঞানী জহুরির মতো, হরিচরণের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অপার জ্ঞান ও প্রতিভার আলো দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি হরিচরণকে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন, যেখানে তিনি তার প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ লাভ করতে পারেন।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু একজন বিদ্বানই ছিলেন না, তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুগামী। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শনের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা ছিল এবং তিনি শান্তিনিকেতনের ছাত্রদের মধ্যে সেই শিক্ষাদর্শন ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন।
চল্লিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে হরিচরণ সম্পন্ন করেন “বঙ্গীয় শব্দকোষ”, বাংলা ভাষার ইতিহাসে একটি অমূল্য সম্পদ। অশক্ত শরীর ও ক্ষীণ দৃষ্টি সত্ত্বেও, তিনি সকল প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে এই বিশাল কাজ সম্পন্ন করেন।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু শান্তিনিকেতনের নয়, সমগ্র বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। রবীন্দ্রনাথের সত্যানুসন্ধানী দৃষ্টির মাধ্যমে আবিষ্কৃত, তিনি শান্তিনিকেতনের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।