অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – টিকিটের অ্যালবাম – সুন্দর রামস্বামী

Gopi

অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের টিকিটের অ্যালবাম অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবে টিকিটের অ্যালবাম অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর গুলি যদি তোমরা প্রস্তুত করে না যাও তাহলে পরীক্ষায় টিকিটের অ্যালবাম অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর গুলোর উত্তর দিতে পারবে না। তাই টিকিটের অ্যালবাম অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর গুলি ভালো করে মুখস্ত করে গেলে তোমরা পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল পাবে।

রাজাপ্পা নামক এক কিশোরের ছিল টিকিট সংগ্রহের অদম্য আগ্রহ। কষ্ট করে সে একটি একটি করে টিকিট জোগাড় করে তার প্রিয় অ্যালবামে সাজিয়ে রাখত। একসময় তার এই অ্যালবামটি স্কুলের ছেলেমেয়েদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিল।

কিন্তু সিঙ্গাপুর থেকে নাগরাজন নামক তার বন্ধুর কাকা রাজাপ্পার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান টিকিট সমৃদ্ধ একটি অ্যালবাম পাঠিয়ে দিলে সবাই রাজাপ্পার অ্যালবামের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ঈর্ষায় রাজাপ্পা একদিন নাগরাজনের বাড়ি থেকে তার অ্যালবামটি চুরি করে ফেলে। কিন্তু চুরি করা অ্যালবাম রাজাপ্পার মনে অস্থিরতা ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনতে পারে না।

পরিশেষে রাজাপ্পা তার অপরাধের অনুশোচনা করে এবং নিজের তৈরি করা অ্যালবামটি নাগরাজনকে উপহার দেয়। নাগরাজন রাজাপ্পার এই সৎতার প্রতি মুগ্ধ হয়ে তার বন্ধুত্বের হাত গ্রহণ করে। এই ঘটনার মাধ্যমে রাজাপ্পা তার ভুল বুঝতে পারে এবং নতুন করে জীবন শুরু করে।

রাজাপ্পা দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে একটি সুন্দর অ্যালবাম তৈরি করে। কিন্তু তার সহপাঠী নাগরাজন তার কাকার কাছ থেকে একটি সুন্দর অ্যালবাম পেয়ে রাতারাতি ক্লাসে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রাজাপ্পার বন্ধুরা তার অ্যালবাম নিয়ে বিদ্রূপ করে, যা তাকে হতাশ করে। ঈর্ষার বশে রাজাপ্পা নাগরাজনের অ্যালবামটি চুরি করে নষ্ট করে দেয়। কিন্তু তারপর সে তার অন্যায় কাজের জন্য গভীর অনুতাপ বোধ করে। নাগরাজন তার অ্যালবাম হারিয়ে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। রাজাপ্পা তার ভুল স্বীকার করে এবং তার নিজের অ্যালবামটি নাগরাজনকে দিয়ে তার অন্যায় কাজের প্রায়শ্চিত্ত করে।

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – টিকিটের অ্যালবাম

টিকিটের অ্যালবাম অধ্যায়ের লেখক পরিচিতি

সুন্দর রামস্বামী আধুনিক তামিল সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ৩০ মে নাগেরকয়েলের একটি গ্রাম তাজহুভিয়া মহাদেভার কোভিল-এ। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন ‘থাকাজহি শিবশঙ্কর পিল্লাই’-এর মালয়ালম্ উপন্যাস অনুবাদের মধ্য দিয়ে। তিনি ‘পদুবিয়া’ ছদ্মনামে বহু গল্প, উপন্যাস রচনা করেছেন। সাহিত্যক্ষেত্রে তিনি সমধিক প্রসিদ্ধ ‘সুরা’ নামে। তাঁর উপন্যাসগুলি হল – ‘ওরু পুলিয়া মারাথিন কথাই’ (একটি তেঁতুল গাছের গল্প) এবং ‘কুঝানথৈকন, পেনকল, আনকল’ (স্ত্রী, নারী, পুরুষ)। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘ওরু পুলিয়া মারাথিন কথাই’ বিষয় ও আঙ্গিকগত দিক থেকে নতুন পরীক্ষার দ্বার খুলে দেয়। উপন্যাসটি ইংরেজি, হিন্দি, মালয়ালম্ এমনকি হিব্রু ভাষাতেও অনূদিত হয়েছে। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে ছদ্মনামে তাঁর প্রথম কবিতা ‘আন কাই নাগাম’ প্রকাশিত হয়। তিনি ‘কালাচুবাডু’ নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। তাঁর ঝুলিতে এসেছে বহু পুরস্কারও। যেমন – ‘কুমারন আসান স্মৃতি পুরস্কার’, ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে ‘কথা চূড়ামণি’ পুরস্কার ইত্যাদি। তিনি ইহজগৎ ছেড়ে চলে যান ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৪ অক্টোবর, ৭৪ বছর বয়সে।

টিকিটের অ্যালবাম অধ্যায়ের পাঠপ্রসঙ্গ

সাহিত্যকে কখনও দেশকালের সীমায় আবদ্ধ করে রাখা উচিত নয়। প্রত্যেক সাহিত্যরসিকের সামনে সাহিত্যকে পৌঁছে দেওয়া উচিত। তা ছাড়া সাহিত্যিকের একটি লক্ষ হল সৃষ্টিশীল মানুষ গড়ে তোলা, তাই তিনি সৃষ্টিশীল চিন্তার জাগরণ ঘটান সাহিত্যে এবং এর মাধ্যমে চিত্তশুদ্ধি ঘটে। এই প্রসঙ্গেই আলোচ্য গল্পটির অবতারণা করেছেন লেখক।

টিকিটের অ্যালবাম অধ্যায়ের বিষয়সংক্ষেপ

রাজাপ্পা নামক এক কিশোর বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ করছিল যে তাকে ছেড়ে গত তিনদিন ধরে স্কুলের সবাই নাগরাজনের চারপাশে ভিড় করছে। কারণ নাগরাজনের কাকা নাগরাজনকে সিঙ্গাপুর থেকে যে টিকিটের অ্যালবামটা পাঠিয়েছে সেটা সকলে দেখতে চায়। নাগরাজন একটুও অধৈর্য না হয়ে পরম আগ্রহে সেটি সকলকে দেখাচ্ছে। তবে তার একমাত্র শর্ত হল কেউ অ্যালবামটা ধরবে না। সে সবাইকে পাতা উলটিয়ে দেখাবে। মেয়েদের দলের পার্বতী মেয়েদের নাম করে নাগরাজনের কাছ থেকে সেটি চেয়ে আনত।

তবে একসময় রাজাপ্পার অ্যালবামও বেশ বিখ্যাত ছিল। রাজাপ্পা অনেক কষ্ট করে ওর প্রাণপ্রিয় টিকিটগুলিকে সংগ্রহ করত। অনেক সময় অন্যদের কাছ থেকে বিনিময়ের মাধ্যমেও টিকিটের সংগ্রহ বাড়াত। একবার এক রাজস্ব বিভাগের অফিসারের ছেলে সেটি পঁচিশ টাকায় কিনতে চাইলে রাজাপ্পা তাকে উচিত জবাব দেয়।

রাজাপ্পা বহুবার বন্ধুদের কাছে নাগরাজনের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছে, কিন্তু কেউ তা মেনে নেয়নি। এমনকি তার অ্যালবামটির জন্য তারা তাকে ব্যঙ্গও করেছে। রাজাপ্পা কখনোই নাগরাজনের অ্যালবামের দিকে সোজাসুজি তাকাতে রাজি নয়। তবে কৌতূহল তারও আছে। সে সেটি দেখত চোরাদৃষ্টিতে। অ্যালবামের উপর অ্যালবামহরণকারীর উদ্দেশে এক সতর্কবাণীও লেখা ছিল, যা তার বন্ধুরা নকল করত।

ঘটনাটিতে রাজাপ্পার অন্তর্দাহ শুরু হয়। স্কুলে যেতেও তার বিতৃষ্না জন্মায়। সকলের অবজ্ঞার কারণে নাগরাজনের অ্যালবামের তুলনায় নিজেরটাকে তার এক আঁটি ছেঁড়া ন্যাকড়া বলে মনে হয়। সিদ্ধান্ত নেয় সেই অপমান সে আর সহ্য করবে না। নাগরাজন অপেশাদার, শিক্ষার্থী মাত্র। রাজাপ্পা তাকে কমদামি টিকিট দিয়ে মূল্যবান টিকিটগুলি হাতিয়ে নিতে পারবে। সেই উদ্দেশ্যে সে নাগরাজনদের বাড়ি যায়। বাড়িতে তার বোন বলে যে নাগরাজন শহরে গেছে। সেও সেই অ্যালবামেরই প্রশংসা করে। রাজাপ্পা বলে সেটি শুধু বেঢপ বড়ো অ্যালবাম। এরপর হঠাৎই নিজের অবচেতনে সকলের অগোচরে ড্রয়ার থেকে অ্যালবামটা নিয়ে হাফপ্যান্টের ভিতরে রেখে শার্টটা নামিয়ে দেয়। বাড়িতে পৌঁছে ও অ্যালবামটা বই-এর র‍্যাকের পিছনে লুকিয়ে রাখে। উত্তেজনা ও ভয়ে তার মাথায় তখন রক্তের চাপ অনুভূত হচ্ছে, গলা শুকিয়ে কাঠ। রাতেও কিছু খায়ও না।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপ্পু এসে জানায় সে ও নাগরাজন শহর থেকে ফেরার পর থেকে নাগরাজনের অ্যালবামটা আর পাওয়া যাচ্ছে না। তার বোন বলেছে সেসময় রাজাপ্পাই নাকি তাদের বাড়িতে গিয়েছিল। রাজাপ্পা এক সন্দেহের আঁচ খুঁজে পায়। আপ্পু জানায় নাগরাজন অ্যালবাম হারানোর কষ্টে সারারাত কেঁদে চলেছে। ওর বাবা যেহেতু পুলিশসুপারের অফিসে কাজ করেন সেহেতু ওদের ইঙ্গিতমাত্রই পুলিশবাহিনী অ্যালবাম উদ্ধারের কাজে নেমে পড়বে। একটু বেলা হলে দরজার শব্দে রাজাপ্পা ভয় পেয়ে যায়, তার মনে হয় হয়তো পুলিশ এসেছে তল্লাশি করতে। স্নানের ঘরে ঢুকে উনুনে অ্যালবামটা ফেলে দেয় ভয়ে। সঙ্গে সঙ্গে অমূল্য সব টিকিট পুড়ে যায়। এরপর ঘরে এলে নাগরাজন তাকে তার দুঃখের কথা জানায়। যা শুনে রাজাপ্পার নিজেকে অত্যন্ত দোষী বলে মনে হয়। সে নাগরাজনকে নিজের অ্যালবামটি দিয়ে দেয়। নাগরাজন অবাক হয়ে যায়। নাগরাজন সেটি নিতে প্রথমে অসম্মত হলেও পরে নেয়। সে সেটি নিয়ে দরজার কাছে এসে পৌঁছোলে রাজাপ্পা মাত্র একটি রাত্রের জন্য অ্যালবামটা তার কাছে ধার চায়। এরপর ঘরে ঢুকে সেটি জাপটে ধরে হু-হু করে কাঁদতে থাকে।

টিকিটের অ্যালবাম অধ্যায়ের নামকরণ

নামকরণ সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিন্দুতে সিন্ধু দর্শনের মতো নামকরণের মধ্য দিয়ে পাঠকরা সাহিত্য-বিষয়টি সম্পর্কে খানিক ধারণা পেতে পারে। নামকরণ নানা প্রকারের হতে পারে। যেমন – চরিত্রপ্রধান, বিষয়কেন্দ্রিক, ব্যঞ্জনাধর্মী ইত্যাদি। তামিল লেখক সুন্দর রামস্বামীর ‘টিকিটের অ্যালবাম’ নামক গল্পটি আবর্তিত হয়েছে দুই কিশোর রাজাপ্পা ও নাগরাজনকে কেন্দ্র করে।

রাজাপ্পার নেশা ছিল ডাকটিকিট সংগ্রহ করা। তার টিকিটের আলবামটি একসময় স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু সিঙ্গাপুর থেকে কাকা নাগরাজনকে একটি টিকিটের অ্যালবাম পাঠালে সেটিই ক্রমশ বন্ধুমহলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রাজাপ্পার অ্যালবামকে আর কেউ পাত্তা দেয় না, এমনকি ব্যঙ্গও করে। এ ঘটনায় আহত হয়ে রাজাপ্পা সিদ্ধান্ত নেয় সেই অপমান সে আর সহ্য করবে না। অপেশাদার, শিক্ষার্থী নাগরাজনের কাছ থেকে কম দামি টিকিট দিয়ে দামি টিকিট হাতিয়ে নেবে সে। সেই উদ্দেশ্যে সে নাগরাজনদের বাড়িতে যায়। সেসময় নাগরাজন বাড়িতে ছিল না। তার অনুপস্থিতির সুযোগে নিজের অবচেতনে অ্যালবামটা আত্মসাৎ করে সে। আপ্পু এসে পরে জানায় যে নাগরাজনরা পুলিশে খবর দিতে পারে অ্যালবাম উদ্ধারের জন্য। দরজায় টোকা পড়ার শব্দে ভীত রাজাপ্পা উনুনের আগুনে ভস্মীভূত করে দেয় অ্যালবামটি। পরে দেখে পুলিশ নয়, বাড়িতে এসেছে নাগরাজন। তার দুঃখের কথা শুনে রাজাপ্পার নিজ কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা হয়, সে নিজের অ্যালবামটা নাগরাজনকে দিয়ে দেয়। নাগরাজন সেটি প্রথমে নিতে অসম্মত হলেও পরে নেয়। তবে সে চলে যাওয়ার সময় রাজাপ্পা তার কাছ থেকে সেটি এক রাতের জন্য চেয়ে নেয় এবং ঘরে গিয়ে সেটিকে জাপটে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে।

গল্পটির সম্পূর্ণ ঘটনাবৃত্ত আবর্তিত হয়েছে টিকিটের অ্যালবামকে কেন্দ্র করে। সেটিকে নিয়েই বন্ধুদের আলোচনা, উৎসাহ বা অনুৎসাহ। রাজাপ্পার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়া আবার তার চিত্তশুদ্ধি, নীতিরাজনের আনন্দ ও দুঃখ-সবই টিকিটের অ্যালবামকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে।

তাই গল্পটির বিষয়কেন্দ্রিক নামকরণ সার্থক হয়েছে বলেই মনে করি।

টিকিটের অ্যালবাম অধ্যায়ের শব্দার্থ ও টীকা

খেয়াল – চেতনা। জনপ্রিয়তা – অধিকাংশ লোকের ভালোবাসা। দাম্ভিক – অহংকারী। সিঙ্গাপুর – ভারতের পূর্বদিকে সমুদ্রবেষ্টিত একটি দেশ। টিকিট – ডাকটিকিট। অ্যালবাম – (এক্ষেত্রে) ডাকটিকিট ইত্যাদি সংরক্ষণের খাতাবিশেষ। জড় – একত্রীকৃত। ধাওয়া – ধেয়ে; বেগে যাওয়া। ডানপিটে – অসমসাহসী। মলাট – আবরণ। পাত্তা – গুরুত্ব। জোগাড় – সংগ্রহ। সংগ্রাহক – সংগ্রহকারী। বিনিময় – বদল; পরিবর্ত। রাজস্ব – রাজা বা সরকারকে দেয় খাজনা। বিভাগ – দফতর। সমুচিত – সম্পূর্ণ উচিত; উপযুক্ত। যোগ্যতা – সমকক্ষতা। অদ্বিতীয় – যার দ্বিতীয় নেই। নির্লজ্জ – লজ্জাহীন; বেহায়া। নকল-নবিশ – নকল বা অনুকরণ করতে পটু ব্যক্তি। হিংসুটে – ঈর্ষাপরায়ণ। ঠাট্টা – পরিহাস; রসিকতা। পিয়ন – পত্রবাহক; যে চিঠিপত্র বিলি করে। তফাত – পার্থক্য। ন্যাকড়া – ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো। ঠকিয়েছে – প্রতারণা করেছে। বেঢপ – বেমানান। খিল – দরজার অর্গল; হুড়কো। শেলফ – তাক। ইঙ্গিত – ইশারা; সংকেত। নিথর – নিশ্চল। অমূল্য – মূল্য দিয়ে পাওয়া যায় না এমন। হতবুদ্ধি – কিংকর্তব্যবিমূঢ়। জাপটে – আঁকড়ে।

“টিকিটের অ্যালবাম” গল্পটিতে আমরা দেখতে পাই ঈর্ষা, লোভ, অনুশোচনা এবং বন্ধুত্বের মিশেল মেলবন্ধন। রাজাপ্পা যখন দেখে নাগরাজনের অ্যালবাম তার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান, তখন তার মনে ঈর্ষা জাগে। সে কৌশলে নাগরাজনের অ্যালবাম চুরি করে। কিন্তু চুরির পর থেকে তার মনে অস্থিরতা দেখা দেয়। সে বুঝতে পারে যে সে ভুল করেছে।

পরের দিন সকালে রাজাপ্পা যখন জানতে পারে যে তার উপর অ্যালবাম চুরির সন্দেহ করা হচ্ছে, তখন সে ভয়ে পড়ে যায়। সে নিজেকে বাঁচাতে অ্যালবামটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। কিন্তু এতে তার মনের যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়।

কিছুক্ষণ পরে যখন নাগরাজন তার অ্যালবাম না পেয়ে হতাশ হয়ে রাজাপ্পার বাড়িতে আসে, তখন রাজাপ্পার মনে অনুশোচনা জাগ্রত হয়। সে বুঝতে পারে যে সে কত বড় অন্যায় করেছে। সে নিজের ভুল স্বীকার করে নাগরাজনের কাছে ক্ষমা চায় এবং তাকে তার সাধের অ্যালবামটি উপহার দেয়।

নাগরাজন রাজাপ্পার অনুশোচনা দেখে তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। সে রাজাপ্পার অ্যালবামটি গ্রহণ করে এবং তাদের বন্ধুত্ব পুনরুজ্জীবিত হয়।

এই গল্পের শেষে আমরা দেখতে পাই যে ঈর্ষা ও লোভ মানুষকে কতটা নীচে নামিয়ে দিতে পারে। কিন্তু অনুশোচনা ও সত্যের পথে হাঁটলে মানুষ তার ভুল সংশোধন করতে পারে এবং বন্ধুত্বের মতো মূল্যবান জিনিস পুনরায় অর্জন করতে পারে।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না –  ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer