অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – বোঝাপড়া – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী’ ও ‘বালক’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন।

ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশে তাঁর লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।

সত্য-কে।

জীবনে সবরকম প্রতিকূলতা বাঁচিয়ে চলতে পারবে।

সুখ।

আর্তরবে।

কুড়ুল।

সত্যেরে।

স্বভাব।

জখম।

ঠেলায়।

বোঝাপড়া কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি গল্প হল – ‘বলাই’, ‘দেনাপাওনা’।

মনকে বলতে হবে – ভালো মন্দ যাহাই আসুক/সত্যেরে লও সহজে।

অনেক ঝঞ্ঝা কাটিয়ে সুখের বন্দরে আসা যায়।

যেখানে কেউ কোনো শঙ্কা করে না, সেখানেই জাহাজ-ডুবি হয়।

জীবনে চলার পথে দ্বন্দ্ব-সংঘাত থাকবেই, অর্থাৎ মানুষে মানুষে মানসিকতার তফাত ঘটবেই – তাই বলে সকলের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হওয়াও যুক্তিগ্রাহ্য পথ নয়। সব কিছুকে মানিয়ে নিয়ে বোঝাপড়ার ভাব বা মানসিকতা গড়ে তোলা দরকার বলে কবি মনে করেছেন।

মান্ধাতার আমল বলতে প্রাচীনকালের কথা বোঝানো হয়েছে।
মান্ধাতার আমল থেকে চলে আসছে যে আমাকে কখনো ফাঁকে পড়তে হবে, আবার আমিও কখনো কাউকে ফাঁকি দেব; কিছুটা লাভ আমার ভাগে পড়বে, কিছুটা আবার পড়বে পরের ভোগে।

জলের তলে ‘পাহাড়’ লুকিয়ে ছিল।
সেই পাহাড় বুকের গভীরে আঘাত করতে পারে।

ভেসে থাকার শিক্ষাই হল শ্রেষ্ঠ শিক্ষা।
এই শিক্ষা অর্জন করতে না পারলে বিনা বাক্যে টুপ করে ডুবে মরতে হবে।

আলোচ্য অংশে কবি অপ্রত্যাশিত আঘাতের ঘটনাকেই সামান্য বলে উল্লেখ করেছেন। কোনোরকম উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ যেখানে থাকে না সেখানেই আচমকা জাহাজডুবির মতো ঘটনা ঘটে যায়।