আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের দ্বিতীয় পাঠের প্রথম অধ্যায়, ‘দাম’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো
বিভীষিকাপূর্ণ লোকটি স্কুলে কোন্ বিষয় পড়াতেন? –
- বিজ্ঞান
- ইতিহাস
- অঙ্ক
- বাংলা
উত্তর – 3. অঙ্ক
খসখস করে ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলত –
- লাঠি
- খড়ি
- পেন
- পেনসিল
উত্তর – 2. খড়ি
হঠাৎ খড়ি ভেঙে গেলে মাস্টারমশাই টুকরো দুটো নিয়ে –
- টেবিলের উপরে জমিয়ে রাখতেন
- পকেটে রেখে দিতেন
- ছাত্রদের দিকে ছুঁড়ে দিতেন
- জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে দিতেন
উত্তর – 3. ছাত্রদের দিকে ছুঁড়ে দিতেন
‘ছবির মতো ___ সাজিয়ে দিয়েছেন।’ –
- স্লেটটা
- অঙ্কটা
- ব্ল্যাক বোর্ডটা
- ঘরটা
উত্তর – 2. অঙ্কটা
‘ছবির মতো অঙ্কটা সাজিয়ে দিয়েছেন।’ – কার কথা বলা হয়েছে? –
- অঙ্ক শিক্ষক
- লেখক
- অধ্যাপক
- ছাত্রটি
উত্তর – 1. অঙ্ক শিক্ষক
‘পৃথিবীতে যত ___ ছিল, সব যেন ওঁর মুখস্থ।’ –
- অঙ্ক
- সূত্র
- কবিতা
- গল্প
উত্তর – 1. অঙ্ক
ওঁর ভয়ে তারাই তটস্থ হয়ে থাকত –
- যারা অঙ্কে একশোর মধ্যে একশো পায়
- যাদের টেনেটুনে কুড়িও উঠতে চায়
- যারা অঙ্কে পাস করে
- যারা অঙ্কে ফেল করে
উত্তর – 1. যারা অঙ্কে একশোর মধ্যে একশো পায়
প্রকাণ্ড হাতের প্রচণ্ড চড় খেয়ে –
- মাথা ফেটে যেত
- মাথা ঘুরে যেত
- মাথায় হাত পড়ত
- মাথা ব্যথা হত
উত্তর – 2. মাথা ঘুরে যেত
চোখে এক ফোঁটা জল দেখলেই ক্লাস ফাটিয়ে হুংকার ছেড়ে বলতেন –
- পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেবো
- পা ধরে মাটিতে আছাড় দেবো
- ঘাড় ধরে ক্লাস থেকে বের করে দেবো
- মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেবো
উত্তর – 1. পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেবো
‘তা উনি পারতেন’ – কী দেখে এমন আন্দাজ করেছিলেন কথক? –
- তাঁর সুবিশাল বলিষ্ঠ দেহ দেখে
- তাঁর চড়ের জোর দেখে
- তাঁর ক্লাস ফাটানো হুংকার শুনে
- তাঁর শাস্তি দেওয়ার বহর দেখে
উত্তর – 2. তাঁর চড়ের জোর দেখে
পুরুষ মানুষের পক্ষে এমন অঘটন কল্পনাও করতে পারতেন না মাস্টারমশাই যে –
- আবৃত্তি করতে না পারা
- ফুটবল খেলতে না পারা
- অঙ্ক করতে না পারা
- গাছে চড়তে না পারা
উত্তর – 3. অঙ্ক করতে না পারা
প্লেটোর দোরগোড়ায় লেখা ছিল – ‘এখানে তার প্রবেশ নিষেধ।’ এখানে যাদের কথা বলা হয়েছে –
- যে ছবি আঁকতে জানে না
- যে গান গাইতে জানে না
- যে দাবা খেলতে জানে না
- যে অঙ্ক জানে না
উত্তর – 4. যে অঙ্ক জানে না
স্বর্গের দরজাতেও নাকি লেখা রয়েছে – ‘এখানে তার প্রবেশ নিষেধ।’ এখানে যাদের কথা বলা হয়েছে –
- যে ফুটবল খেলতে জানে না
- যে গান গাইতে জানে না
- যে দাবা খেলতে জানে না
- যে অঙ্ক জানে না
উত্তর – 4. যে অঙ্ক জানে না
‘যদি সেখানে (স্বর্গে) যেতে চাস,’ তা হলে –
- তীর্থযাত্রা কর
- শরীরচর্চা কর
- দানধ্যান কর
- অঙ্ক অভ্যাস কর
উত্তর – 4. অঙ্ক অভ্যাস কর
প্লেটো হলেন –
- দার্শনিক
- গণিতজ্ঞ
- পূর্বোক্ত দুটিই
- পূর্বোক্ত কোনোটিই নয়
উত্তর – 3. পূর্বোক্ত দুটিই
ম্যাট্রিকুলেশনের গণ্ডি পার হওয়ার পর কথক কীসের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন? –
- অঙ্কের হাত থেকে
- মাস্টারমশাইয়ের হাত থেকে
- পূর্বোক্ত দুইটির হাত থেকে
- পূর্বোক্ত কোনোটিই নয়
উত্তর – 3. পূর্বোক্ত দুইটির হাত থেকে
কথক কোন্ ক্লাস পাস করার পরও স্বপ্ন দেখতেন লাস্ট বেল পড়ো পড়ো অথচ একটা অঙ্কও মিলছে না?
- এমএ
- আইএ
- বিএ
- ম্যাট্রিকুলেশন
উত্তর – 1. এমএ
কথকের স্বপ্নে দেখা পরীক্ষার হলের গার্ড মাস্টারমশাইয়ের দু-চোখ থেকে ঝরে পড়ছিল –
- জল
- আগুন
- কান্না
- রক্ত
উত্তর – 2. আগুন
‘এখন আর আমাকে স্কুলে অঙ্ক কষতে হয় না,’ কারণ –
- আমি স্কুলে বাংলা পড়াই
- আমি কলেজে অঙ্ক করাই
- আমি কলেজে বাংলা পড়াই
- আমি স্কুলে সংস্কৃত পড়াই
উত্তর – 3. আমি কলেজে বাংলা পড়াই
‘একদিন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ফরমাশ এল’ –
- আমার ছেলেবেলার গল্প শোনাতে হবে
- আমার বিদ্যালয় জীবনের গল্প শোনাতে হবে
- আমার শিক্ষকমশাইদের গল্প শোনাতে হবে
- আমার পরিবারের গল্প শোনাতে হবে
উত্তর – 1. আমার ছেলেবেলার গল্প শোনাতে হবে
গল্পকথকের ছেলেবেলার গল্পে কারো কৌতূহল নেই বলে তিনি জানিয়েছেন, কারণ লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন –
- নিতান্ত অপরিচিত
- নিতান্ত সামান্য ব্যক্তি
- নিতান্ত অখ্যাত ব্যক্তি
- নিতান্ত নবাগত ব্যক্তি
উত্তর – 2. নিতান্ত সামান্য ব্যক্তি
‘অতএব আমি ভাবলুম, তা হলে নির্ভয়ে লিখতে পারি।’ কারণ –
- ওঁদের কাগজ কেবল গ্রাম্য পাঠকেরাই পড়তেন
- ওঁদের কাগজ কেবল শহরের শিক্ষিত পাঠকেরাই পড়তেন
- ওঁরা নিজেরা ছাড়া ওঁদের কাগজের বিশেষ পাঠক ছিল না
- ওঁদের কাগজ খুব দামি ছিল বলে সকলে কিনে পড়তেন না
উত্তর – 3. ওঁরা নিজেরা ছাড়া ওঁদের কাগজের বিশেষ পাঠক ছিল না
‘ওটা প্রীতির ব্যাপার, পদমর্যাদার নয়।’ – কথকের এমন ধারণ হওয়ার কারণ –
- তিনি কয়েকটি ঘরোয়া মানুষের কাছে ঘরোয়া গল্প বলবেন
- তিনি কয়েকটি গ্রাম্য মানুষের কাছে গল্পটা বলবেন
- তিনি কয়েকটি সাহিত্যরসবোধে অক্ষম মানুষের কাছে গল্প বলবেন
- তিনি কয়েকটি অপরিচিত মানুষের কাছে গল্প বলবেন
উত্তর – 1. তিনি কয়েকটি ঘরোয়া মানুষের কাছে ঘরোয়া গল্প বলবেন
‘লিখলুম তাঁকে নিয়েই।’ – এই তিনি হলেন –
- কলেজের বাংলার অধ্যাপকমশাই
- কলেজের অঙ্কের অধ্যাপকমশাই
- স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক
- স্কুলের বাংলার শিক্ষক
উত্তর – 3. স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক
‘ছবিটা যা ফুটল’, তা ছিল –
- খুব রঙিন
- খুব উজ্জ্বল নয়
- খুব উজ্জ্বল
- খুব সাদামাটা
উত্তর – 2. খুব উজ্জ্বল নয়
লেখার সময় কল্পনার খাদ -এর সঙ্গে মিশেছিল –
- সদুপদেশ
- নীতিকথা
- হিতোপদেশ
- অকারণ জ্ঞানদানের চেষ্টা
উত্তর – 1. সদুপদেশ
‘গাধা পিটিয়ে ___ করতে গেলে গাধাটাই পঞ্চত্ব পায়।’ –
- হাতি
- উট
- বলদ
- ঘোড়া
উত্তর – 4. ঘোড়া
‘মাস্টারমশাই আমাকে এত প্রহার করেও ___ শেখাতে পারেননি।’ –
- ব্যাকরণ
- অঙ্ক
- ইতিহাস
- বিজ্ঞান
উত্তর – 2. অঙ্ক
পত্রিকা কর্তৃপক্ষ গল্প লেখার দক্ষিণা দিয়েছিলেন –
- একশো টাকা
- হাজার টাকা
- দশ টাকা
- দশ হাজার টাকা
উত্তর – 3. দশ টাকা
মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে গল্পকথকের নগদ লাভের পরিমাণ ছিল –
- একশো টাকা
- হাজার টাকা
- দশ হাজার টাকা
- দশ টাকা
উত্তর – 4. দশ টাকা
গল্পকথকের জীবনে বিনিদ্র রাত্রিযাপনের মতো সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কারণ –
- তাঁর দুশ্চিন্তা বেড়েছিল
- তাঁর বয়স বেড়েছিল
- তাঁর হাঁপানি বেড়েছিল
- তাঁর শরীরে মেদ বেড়েছিল
উত্তর – 2. তাঁর বয়স বেড়েছিল
গল্পকথকের স্মৃতির দিকে তাকাবারও অবসর ছিল না, কারণ –
- ভবিষ্যতের দাবি ছিল জোরালো
- কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল জোরালো
- পত্রিকা কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল জোরালো
- বর্তমানের দাবি ছিল জোরালো
উত্তর – 4. বর্তমানের দাবি ছিল জোরালো
বাংলাদেশের কোনো এক প্রান্তের কলেজে বক্তৃতা করতে যেতে হয়েছিল কথককে –
- ওঁদের বার্ষিক উৎসবে যোগ দিতে
- ওঁদের নবীনবরণ উৎসবে যোগ দিতে
- ওঁদের কলেজপত্রিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে
- ওঁদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে
উত্তর – 1. ওঁদের বার্ষিক উৎসবে যোগ দিতে
তা ছাড়া কলকাতা থেকে কেউ বক্তৃতা দিতে বাইরে গেলে তাঁর সংবর্ধনা মেলে –
- পণ্ডিতের মতো
- রাজার মতো
- মন্ত্রীর মতো
- রাজনীতিকের মতো
উত্তর – 2. রাজার মতো
‘এখানকার চড়ুই পাখিও সেখানে ___ সম্মান পায়।’ –
- ময়ূরের
- রাজহংসের
- কোকিলের
- উটপাখির
উত্তর – 2. রাজহংসের
‘আমি সুযোগটা ছাড়তে পারলুম না।’ – কীসের সুযোগ? –
- কলেজে বক্তৃতা দেওয়া
- পত্রিকাতে লেখা
- উৎসবে যোগদান
- সংবর্ধনা নেওয়া
উত্তর – 1. কলেজে বক্তৃতা দেওয়া
‘রোমাঞ্চিত কলেবরে আমি স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে ___ বিতরণ করতে লাগলুম’। –
- লাড্ডু
- বাণী
- সন্দেশ
- উপদেশ
উত্তর – 2. বাণী
গল্পকথক তার বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছিলেন –
- দশটা
- বারোটা
- ছটা
- পাঁচটা
উত্তর – 2. বারোটা
গল্পকথক একটা ইংরেজি কোটেশন তার বক্তৃতায় চালিয়ে দিয়েছিলেন –
- ওয়ার্ডসওয়ার্থের নামে
- শেলির নামে
- কীট্স -এর নামে
- বার্নার্ড শ -এর নামে
উত্তর – 4. বার্নার্ড শ -এর নামে
কথক বক্তৃতা শেষ করেছিলেন কোন্ আহ্বান জানিয়ে? –
- তরুণদের জাগ্রত হতে বলে
- তরুণদের স্বপ্নসন্ধানী হতে বলে
- কর্মের আহ্বান জানিয়ে
- মনোযোগ দিয়ে অঙ্ক কষতে বলে
উত্তর – 1. তরুণদের জাগ্রত হতে বলে
বুড়ো প্রিন্সিপ্যাল কথকের বক্তৃতাতে মুগ্ধ হয়ে কী বলেছিলেন –
- সারগর্ভ বক্তৃতা
- সুমধুর বক্তৃতা
- যেমন সারগর্ভ তেমনই সুমধুর
- তথ্যসমৃদ্ধ
উত্তর – 3. যেমন সারগর্ভ তেমনই সুমধুর
গল্পকথকতার একটিমাত্র সম্বল সর্বার্থসাধক বক্তৃতাই এদিক-ওদিক করে চালিয়ে দিতেন –
- বনমহোৎসবে
- রবীন্দ্র জন্মোৎসবে
- পূর্বোক্ত উভয় অনুষ্ঠানেই
- পূর্বোক্ত দুই-এর কোনো উৎসবেই নয়
উত্তর – 3. পূর্বোক্ত উভয় অনুষ্ঠানেই
স্তুতিতে স্ফীত গল্পকথক কীসের পেয়ালায় চুমুক দিতেন? –
- ঠান্ডা পানীয়ের
- গরম দুধের
- কফির
- চায়ের
উত্তর – 4. চায়ের
হলের বাইরের ছোটো মাঠটা ঢাকা ছিল –
- তরল অন্ধকারে
- ত্রিপলের ছাউনিতে
- লতাপাতার ছায়ায়
- গাছের ছায়ায়
উত্তর – 1. তরল অন্ধকারে
‘তারপর চোখে পড়ল মানুষটিকে।’ – মানুষটি ছিল –
- কুঁজো লম্বা চেহারার
- বেঁটে চেহারার
- ধবধবে ধুতি পরা চেহারার
- মোটাসোটা লম্বা চেহারার
উত্তর – 1. কুঁজো লম্বা চেহারার
কথককে কোন্ নামে অঙ্কের শিক্ষক ডেকেছিলেন? –
- প্রকাশ
- বিকাশ
- শ্রীকুমার
- সুকুমার
উত্তর – 4. সুকুমার
‘আমি চমকে উঠলুম।’ – কথক চমকে উঠলেন কারণ –
- আশ্চর্য লোকটিকে দেখে
- নাম ধরে ডাকাতে
- অঙ্কের ভয়ে
- অঙ্কের শিক্ষকমশাইকে দেখে
উত্তর – 2. নাম ধরে ডাকাতে
মাস্টারমশাইয়ের ডাক শুনে ছেলেবেলায় কথকের রক্ত কেমন হয়ে যেত? –
- জল
- হিম
- উষ্ণ
- বরফ
উত্তর – 2. হিম
সেই ভয়ের কঙ্কাল লুকিয়ে ছিল –
- পোড়ো বাড়ির চোরাকুঠুরিতে
- কবরখানার চোরাকুঠুরিতে
- গোরস্থানের চোরাকুঠুরিতে
- মনের চোরাকুঠুরিতে
উত্তর – 4. মনের চোরাকুঠুরিতে
রিটায়ার করার অর্থ হল –
- চাকরিতে যোগ দেওয়া
- চাকরি থেকে সাময়িক ছুটি নেওয়া
- কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করা
- চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করা
উত্তর – 4. চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করা
গল্পকথক তার বক্তৃতার ফাঁপা ফানুস দিয়ে মাস্টারমশাইকে ভোলাতে সক্ষম হয়েছিলেন, কারণ হিসেবে জানিয়েছেন মাস্টারমশাই -এর –
- দেহের বয়স বেড়েছে
- মনের বয়স বেড়েছে
- শরীরে রোগ বাসা বেঁধেছে
- তিনি স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছেন
উত্তর – 2. মনের বয়স বেড়েছে
‘তোমরাই তো আমাদের গর্ব, আমাদের পরিচয়।’ – এ কথা বলেছিলেন –
- অঙ্কের মাস্টারমশাই
- বাংলার অধ্যাপক
- বুড়ো প্রিন্সিপ্যাল
- সুকুমারবাবু
উত্তর – 1. অঙ্কের মাস্টারমশাই
‘কিছুই দিতে পারিনি, খালি শাসন করেছি, পীড়ন করেছি।’ – এ কথা বলেছিলেন –
- সুকুমার বাবু
- বুড়ো প্রিন্সিপ্যাল
- কলেজের বাংলার অধ্যাপক
- অঙ্কের মাস্টারমশাই
উত্তর – 4. অঙ্কের মাস্টারমশাই
‘বলতে বলতে জামার পকেট থেকে বের করলেন শতচ্ছিন্ন এক ___’। –
- টাকা
- বই
- পত্রিকা
- ছবি
উত্তর – 3. পত্রিকা
কথকের গল্প মাস্টারমশাই অন্যদের দেখিয়ে কী বলেছেন –
- ছাত্র তাকে অমর করে দিয়েছে
- কথক ভালো গল্প লেখেন
- মাস্টারমশাই খুব খুশি হয়েছেন
- তার ছাত্র বিখ্যাত লেখক
উত্তর – 1. ছাত্র তাকে অমর করে দিয়েছে
‘মুহূর্তে আমার ___ শুকিয়ে গেল’। –
- গলা
- চোখ
- জিভ
- ঘা
উত্তর – 3. জিভ
‘আমি বলি, শোনাবে কেন – কত ___ নিয়ে লিখেছে।’ –
- ভরসা
- ভালোবাসা
- আশা
- শ্রদ্ধা
উত্তর – 4. শ্রদ্ধা
‘কিন্তু পাঠাতে সাহস হয়নি।’ – কার কোন্ বিষয়ে সমস্যা হয়েছিল? –
- মাস্টারমশাইয়ের ছাত্রকে অভিনন্দনবার্তা পাঠাতে
- মাস্টারমশাইয়ের ছাত্রকে চিঠি পাঠাতে
- পুষ্পস্তবক পাঠাতে
- দেখা করার কথা জানাতে
উত্তর – 2. মাস্টারমশাইয়ের ছাত্রকে চিঠি পাঠাতে
সেই ___ কোটি মণি-মাণিক্য দিয়ে যার পরিমাপ হয় না’। –
- স্নেহ
- ভালোবাসা
- মমতা
- ক্ষমা
উত্তর – 1. স্নেহ
‘সেই ___ যার দাম সংসারের সব ঐশ্বর্যের চাইতে বেশি’। –
- ক্ষমা
- স্নেহ
- মায়া
- মমতা
উত্তর – 4. মমতা
‘সেই ___ কুবেরের ভাণ্ডারকে ধরে দিয়েও যা পাওয়া যায় না।’ –
- স্নেহ
- দয়া
- ক্ষমা
- মমতা
উত্তর – 3. ক্ষমা
গল্পকথক ‘তাঁকে’ বিক্রি করেছিলেন মাত্র –
- দশ টাকায়
- একশো টাকায়
- হাজার টাকায়
- কুড়ি টাকায়
উত্তর – 1. দশ টাকায়
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
স্কুলে কে বিভীষিকা ছিলেন?
স্কুলে বিভীষিকা ছিলেন অঙ্কে আশ্চর্য দক্ষতাসম্পন্ন এক মাস্টারমশাই, যাঁর শাসনে তটস্থ হয়ে থাকত ছাত্ররা।
জটিল অঙ্ক মাস্টারমশাই কেমন করে কষে দিতেন?
জটিল অঙ্ক মাস্টারমশাই একবার মাত্র দেখে নিয়েই ব্ল্যাকবোর্ডে গিয়ে খড়ি দিয়ে খসখস করে ঝড়ের গতিতে কষে ফেলতেন।
হঠাৎ খড়ি ভেঙে গেলে মাস্টারমশাই কী করতেন?
হঠাৎ খড়ি ভেঙে গেলে মাস্টারমশাই বিরক্ত হয়ে টুকরোদুটো ছাত্রদের দিকে ছুঁড়ে দিতেন। তারপর আর একটি খড়ি তুলে নিয়ে অঙ্কটা কষে দিতেন ছবির মতো করে।
ছাত্ররা রোমাঞ্চিত হয়ে কী দেখত?
ছাত্ররা রোমাঞ্চিত হয়ে দেখত মাস্টারমশাই কেমন আশ্চর্য দক্ষতায় ব্ল্যাকবোর্ডে ছবির মতো করে সাজিয়ে দিতেন অঙ্কের সমাধান।
‘পৃথিবীতে যত অঙ্ক ছিল, সব যেন ওঁর মুখস্থ।’ – ছাত্রদের এমন মনে হওয়ার কারণ কী?
মাস্টারমশাই সব অঙ্কই কষে ফেলতেন আশ্চর্য দক্ষতায়। যে-কোনো অঙ্ক একবার দেখেই তিনি সমাধান করে ফেলতেন বলে ছাত্রদের এমনটা মনে হত।
মাস্টারমশাই -এর সব অঙ্ক নিমেষে কষে ফেলার দক্ষতা দেখে ছাত্ররা কী ভাবত?
ছাত্রদের মনে হত অদৃশ্য অক্ষরে অঙ্কগুলি আগে থেকেই বোর্ডে কষা রয়েছে। মাস্টারমশাই কেবল সেটি দেখতে পাচ্ছেন এবং তার উপর দিয়ে খড়ি বুলিয়ে চলেছেন।
মাস্টারমশায় -এর ভয়ে কারা তটস্থ হয়ে থাকত?
যে ছাত্ররা অঙ্কে একশোর মধ্যে একশো পায় তারাও মাস্টারমশাই -এর ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত।
অঙ্কে যারা কাঁচা তাদের অবস্থা কেমন হত মাস্টারমশাই -এর ক্লাসে?
কথকের মতো অঙ্ক-বিশারদেরা, যারা টেনেটুনেও অঙ্কে কুড়ি পেত না, মাস্টারমশাই -এর চড় খেয়ে তাদের মাথা ঘুরে যেত কিন্তু কাঁদবার জো ছিল না।
কথক নিজেকে ‘অঙ্ক-বিশারদ’ বলেছেন কেন?
কথকের মতো কেউ কেউ অঙ্কে কাঁচা থাকার কারণে টেনেটুনেও কুড়ি পেতেন না। তাই ব্যঙ্গ করে নিজেকে ‘অঙ্ক-বিশারদ’ বলেছেন তিনি।
ছাত্ররা কাঁদলে কী করতেন মাস্টারমশাই?
ছাত্রদের চোখ দিয়ে একফোঁটা জল পড়লে ক্লাস ফাটিয়ে, হুংকার ছেড়ে মাস্টারমশাই বলতেন – ‘পুরুষ মানুষ হয়ে অঙ্ক পারিসনে’, ‘এখনি পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেবো।’
‘এখনি পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেবো।’ – মাস্টারমশাই এ কথা কেন বলতেন?
মাস্টারমশাই -এর প্রকাণ্ড হাতের প্রচণ্ড চড় খেয়ে যে ছাত্রদের চোখে জল আসত, তারা পুরুষ মানুষ হয়ে অঙ্ক কষতে পারে না ভেবে রেগে গিয়ে এ কথা বলতেন তিনি।
‘কাগজ কলম নিয়ে বসে গেলুম।’ – কে, কেন কাগজ কলম নিয়ে বসে গেল?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক একটা পত্রিকার আবদার মেটাতে নিজের শৈশবের গল্প লিখতে কাগজ কলম নিয়ে বসে গিয়েছিলেন।
‘লিখলুম তাঁকে নিয়েই।’ – কে, কাকে নিয়ে, কী লিখলেন?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক একটি পত্রিকার আবদার মেটাতে তার শৈশবের স্কুলজীবনের অঙ্কের মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্প লিখলেন।
কীভাবে ‘দাম’ গল্পের কথক মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্প লিখলেন?
পত্রিকার চাহিদায় ‘দাম’ গল্পের কথক কল্পনার খাদ মিশিয়ে, সদুপদেশ বর্ষণ করে মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্প লিখেছিলেন।
‘দাম’ গল্পের কথকের মাস্টারমশাইকে নিয়ে লেখা ছেলেবেলার গল্পের মূলকথা কী ছিল?
গল্পটির মূলকথা ছিল – অহেতুক তাড়না করে কাউকে শিক্ষা দেওয়া যায় না, গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করতে গেলে গাধাটাই পঞ্চত্ব পায়।
‘তার প্রমাণ আমি নিজেই।’ – এখানে কোন্ প্রমাণের কথা বলা হয়েছে?
গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করতে গেলে গাধাটাই পঞ্চত্ব পায় – এই প্রবাদটি প্রমাণিত হয়েছে কথকের জীবনে। মাস্টারমশাই প্রচণ্ড প্রহার করে কথককে অঙ্ক শেখাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অঙ্ক তো শেখাতে পারেননি বরং যা শিখেছিলেন পরবর্তীতে তাও ভুলে গেছেন।
‘পত্রিকার কর্তৃপক্ষ খুশি হয়ে আমাকে দশ টাকা দক্ষিণা দিয়ে গেছেন।’ – কাকে, কেন দক্ষিণা দিয়ে গেছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথককে ছেলেবেলার গল্পকথা লেখার জন্য খুশি হয়ে পত্রিকা-কর্তৃপক্ষ দশ টাকা দক্ষিণা দিয়ে গেছে।
‘আমার নগদ লাভ/’ – এখানে কার, কী লাভের কথা বলা হয়েছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পে কথক সুকুমারের শৈশবের অঙ্কের মাস্টারমশাই -এর অদ্ভুত অভিজ্ঞতাকে কল্পনার রং মিশিয়ে গল্প গড়ে পত্রিকায় ছেপে পত্রিকা-কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দশ টাকা দক্ষিণা পাওয়াকে ‘নগদ লাভ’ বলা হয়েছে।
‘তারপরে আরো অনেকদিন পার হয়ে গেল।’ – ‘তারপরে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
‘তারপরে’ বলতে প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমারের একটি পত্রিকায় মাস্টারমশাইকে নিয়ে লেখা আত্মকথা প্রকাশিত হওয়ার পরের কথা বলা হয়েছে।
‘সেই লেখার কথা ভুলে গেলুম’ – কোন্ লেখার কথা কে ভুলে গেল?
‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমার শৈশবের স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাইকে নিয়ে লেখা, একটি পত্রিকায় প্রকাশিত আত্মকথার কথা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভুলে গেলেন।
‘এমনি সময় বাংলাদেশের এক প্রান্তের একটি কলেজ থেকে ডাক এল।’ – কোন্ সময়ের কথা বোঝানো হয়েছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক যখন বাস্তবের দায়দায়িত্ব মেটাতে মেটাতে জীবনের অনেকগুলি দিন পেরিয়ে এসেছেন, সেই সময়ের কথা বোঝানো হয়েছে।
‘ওঁদের বার্ষিক উৎসব’ – কাদের উৎসব?
প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে বাংলাদেশের একপ্রান্তের একটি কলেজের বার্ষিক উৎসবের কথা বলা হয়েছে।
‘অতএব আতিথ্য নিতে যেতে হবে ওখানে।’ – কাকে, কোথায় আতিথ্য নিতে যেতে হবে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথককে বাংলাদেশের। এক প্রান্তের এক কলেজের বার্ষিক উৎসব উপলক্ষ্যে আতিথ্য নিতে যেতে হবে।
‘আমাদের মতো নগণ্যের পক্ষে ততই সুখাবহ।’ – সুখাবহ কী?
‘দাম’ গল্পের কথকের মতে কলকাতা থেকে বেশি দূরের কোনো কলেজে বক্তৃতা দিতে যাওয়াটা সুখাবহ।
‘এমন কি খানকয়েক অটোগ্রাফের খাতা পর্যন্ত এগিয়ে এল।’ – কার কাছে, কোথায় অটোগ্রাফের খাতা এগিয়ে এল?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পে বাংলাদেশের এক কলেজে বক্তৃতা করতে পৌঁছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় কথক সুকুমারের কাছে খানকয়েক অটোগ্রাফের খাতা এগিয়ে এসেছিল।
‘সভায় জাঁকিয়ে বক্তৃতা করা গেল।’ – কোন্ সভায়, কে বক্তৃতা করল?
বাংলাদেশের একপ্রান্তের একটি কলেজের বার্ষিক উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমার বক্তৃতা করেছিলেন।
বক্তৃতার মধ্যে কথক কী কী উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছিলেন?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক বক্তৃতার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের বারোটি উদ্ধৃতি এবং এক অজ্ঞাত পরিচয় সাহিত্যিকের ইংরাজি উদ্ধৃতি বার্নার্ড শ -এর নামে ব্যবহার করেছিলেন।
‘তখন অল্পের জন্যে ফুলদানিটা রক্ষা পেলো।’ – তখন বলতে কোন্ সময়ের কথা বোঝানো হয়েছে?
‘দাম’ গল্পের কথক যখন বাংলাদেশের কলেজে দেশের তরুণদের নিদারুণভাবে জাগ্রত হতে হবে এই বার্তা দিয়ে টেবিলে জোরদার হাত চাপড়ে বক্তৃতা শেষ করলেন, তখন অল্পের জন্য ফুলদানিটা রক্ষা পেয়েছিল।
কথকের বক্তব্য শুনে প্রিন্সিপ্যাল কী বলেছিলেন?
কথকের বক্তব্য শুনে বুড়ো প্রিন্সিপ্যাল বলেছিলেন – ‘ভারী চমৎকার বলেছেন আপনি, যেমন – সারগর্ভ, তেমনি সুমধুর’।
বক্তৃতা দেওয়ার পর সকলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার প্রতিক্রিয়ায় কথক কী বলেছিলেন?
কথক বিনীতভাবে হেসে বলেছিলেন, – ‘আজ শরীরটা তেমন ভালো নেই, তাই মনের মতো করে বলতে পারলুম না।’
‘দাম’ গল্পের কথক ‘সর্বার্থসাধক বক্তৃতা’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
কথক ‘সর্বার্থসাধক বক্তৃতা’ বলতে তার আয়ত্তে থাকা এমন একটি বক্তব্যের বিষয়কে বুঝিয়েছেন, যা দিয়ে রবীন্দ্র জন্মোৎসব থেকে বনমহোৎসব সব ধরনের অনুষ্ঠানকে ম্যানেজ করে দেওয়া যায়।
‘এমন সময় একটি ছেলে এসে খবর দিলে’ – কোন্ সময়ের কথা বোঝানো হয়েছে?
কথক যখন বক্তব্য শেষ করে চায়ের পেয়ালায় তৃপ্তি করে চুমুক দিয়েছেন, সেই সময়ের কথা এখানে বোঝানো হয়েছে।
‘এক বুড়ো ভদ্রলোক আমার সঙ্গে দেখা করতে চান।’ – বুড়ো ভদ্রলোকটি কে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্প থেকে গৃহীত আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে ‘বুড়ো’ ভদ্রলোক’ বলতে কথকের এককালের স্কুলের বিভীষিকা সেই অঙ্কের বৃদ্ধ মাস্টারমশায়ের কথা বোঝানো হয়েছে।
‘বেশ তো, ডেকে আনো এখানে।’ – কে, কাকে, কোথায় ডেকে আনতে বলেছেন?
বাংলাদেশের একটি কলেজের প্রিন্সিপ্যাল নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমারের বৃদ্ধ মাস্টারমশাইকে কলেজের বক্তৃতাকক্ষে ডেকে আনতে বলেছেন।
‘বাইরে মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।’ – কে, কেন দাঁড়িয়ে রয়েছেন?
‘দাম’ গল্পের কথকের বৃদ্ধ মাস্টারমশাই বহুদিন পর কথকের বক্তব্য শুনে মুগ্ধ হয়ে এবং পত্রিকায় পূর্বে প্রকাশিত কথকের লেখা পড়ে তাকে ধন্যবাদ এবং স্নেহাশীর্বাদ জানানোর জন্য কলেজের বাইরের মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
‘এ অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে।’ – কোন্ অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথকের বক্তৃতায় অভিভূত হয়ে কোনো ব্যক্তি তাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য অপেক্ষা করে থাকার অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে।
‘তারপর চোখে পড়ল মানুষটিকে।’ – এখানে কোন্ মানুষের কথা বলা হয়েছে?
‘দাম’ গল্পে বাংলাদেশের কলেজের বাইরের মাঠে কথকের জন্য অপেক্ষমান কুঁজো লম্বা চেহারার, সাদা চুলের বৃদ্ধ অঙ্কের মাস্টারমশায়ের কথা বলা হয়েছে।
বৃদ্ধ বয়সে মাস্টারমশাই -এর চেহারা কেমন হয়েছিল?
‘দাম’ গল্পের কথকের শৈশবকালের স্কুলের বিভীষিকা অঙ্কের মাস্টারমশাই -এর বৃদ্ধ বয়সে লম্বা চেহারা কুঁজো হয়ে গিয়েছিল এবং মাথার চুল সাদা হয়ে গিয়েছিল।
‘ডাকলেন, সুকুমার!’ – সুকুমার কে? কে ডাকলেন?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথকের নাম সুকুমার। তাকে ডাকলেন তার শিশুকালের অঙ্কের মাস্টারমশাই।
‘ভয় পাওয়ার অর্থটা বুঝতেও আর বাকি নাই।’ – কোন্ ভয়ের কথা বলা হয়েছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমারের স্কুলজীবনে অঙ্ক না পারায় মাস্টারমশায়ের শাস্তি-শাসনের ভয়ের কথা বোঝানো হয়েছে।
‘ওই ডাক শুনে ছেলেবেলায় বহুদিন আমার গায়ের রক্ত হিম হয়ে এসেছে’ – কোন্ ডাকের কথা বলা হয়েছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্প থেকে নেওয়া আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে ‘ওই ডাক’ বলতে কথকের স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই -এর কথকের নাম ধরে ডাকার কথা বলা হয়েছে।
‘আমার মাথা তখনই ওঁর পায়ে নেমে এল।’ – কার মাথা, কার পায়ে নেমে এল?
‘নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমারের মাথা নেমে এল তার স্কুলজীবনের অঙ্কের মাস্টারমশাই -এর পায়ে।
‘বেঁচে থাকো বাবা, যশস্বী হও।’ – কে, কাকে বলেছেন এ কথা?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পে কথকের মাস্টারমশাই প্রশ্নোদ্ধৃত কথাটি বলেছিলেন কথক সুকুমারকে।
‘আজ তুমি বক্তৃতা করবে শুনে ছুটে এসেছি।’ – কে, কার বক্তৃতার কথা শুনে ছুটে এসেছেন?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথকের বাংলাদেশের একটি কলেজে বক্তৃতা দেওয়ার কথা শুনে তার স্কুলজীবনের মাস্টারমশাই কলেজে ছুটে এসেছিলেন।
‘খুব খুশি হয়েছি।’ – কে, কেন খুশি হয়েছেন?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথকের মাস্টারমশাই তার বক্তব্য শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন।
‘অপরাধীদের মতো চাইলুম’ – কে, কার দিকে অপরাধীদের মতো চেয়েছেন?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক তার স্কুলজীবনের অঙ্কের মাস্টারমশাই -এর দিকে অপরাধীদের মতো চেয়েছিলেন।
‘জামার পকেট থেকে বের করলেন শতচ্ছিন্ন এক জীর্ণ পত্রিকা’ – এখানে কোন্ পত্রিকার কথা বোঝানো হয়েছে?
‘দাম’ গল্পের কথক যে পত্রিকায় মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্প লিখেছিলেন, এখানে সেই পত্রিকার কথা বোঝানো হয়েছে।
‘একদিন আমার ছেলে এইটে এনে আমাকে দেখালে।’ – কাকে, কী দেখালে?
‘দাম’ গল্পের কথকের মাস্টারমশাইকে তাঁর ছেলে সেই পত্রিকাটি দেখাল, যে পত্রিকায় কথক তার মাস্টারমশাইকে নিয়ে একটি গল্প লিখেছিলেন।
‘পড়ে আনন্দে আমার চোখে জল এল।’ – কী পড়ে, কার চোখে জল এল?
একটি পত্রিকায় তাঁকে নিয়ে ছাত্র সুকুমারের লেখা গল্প পড়ে আনন্দে মাস্টারমশাই -এর চোখে জল এসে গিয়েছিল।
‘সকলকে এই লেখা আমি দেখাই’ – এখানে কোন্ লেখার কথা বলা হয়েছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথকের পত্রিকায় প্রকাশিত মাস্টারমশাইকে নিয়ে লেখা গল্পের কথা এখানে বলা হয়েছে।
‘আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে।’ – কাকে, কে অমর করে দিয়েছে?
‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমার তার স্কুলজীবনের অঙ্কের মাস্টারমশাইকে অমর করে দিয়েছে।
‘আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে।’ – কীভাবে অমর করে দিয়েছে?
‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমার তার স্কুলজীবনের অঙ্কের মাস্টারমশাইকে নিয়ে একটি পত্রিকায় গল্প লিখে তাঁকে অমর করে দিয়েছে।
পত্রিকায় লেখা গল্পটি মাস্টারমশাই -এর কাছে রয়েছে শুনে কথকের কেমন অবস্থা হয়েছিল?
পত্রিকার লেখাটি মাস্টারমশাই পড়েছেন শুনে কথকের জিভশুকিয়ে গিয়েছিল; লজ্জায়, আত্মগ্লানিতে মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছিল।
পত্রিকায় প্রকাশিত সুকুমারের লেখা দেখে অন্যরা মাস্টারমশাইকে কী বলে?
‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমারের মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্প লেখা দেখে অন্যরা তাঁকে বলে – ‘যেমন ধরে ধরে মারতেন, তেমনি বেশ শুনিয়ে দিয়েছে আপনাকে।’
‘কত শ্রদ্ধা নিয়ে লিখেছে।’ – কে, কী শ্রদ্ধা নিয়ে লিখেছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমার তার ছেলেবেলার অঙ্কের মাস্টারমশাইকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পত্রিকায় গল্প লিখেছে।
‘বড়ো হলে সে অন্যায় আমার শুধরে দেবে বই কি।’ – কে, কার অন্যায় শুধরে দেবে?
‘দাম’ গল্পের কথক তথা ছাত্ররা বড়ো হয়েছে বলে ছেলেবেলার অঙ্কের মাস্টারমশায়ের অন্যায় শুধরে দেবে।
‘আর বলতে পারলেন না।’ – কে, কী বলতে পারলেন না?
‘দাম’ গল্পের কথকের মাস্টারমশাই কথককে তার পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাটি নিয়ে যে-কথা বলছিলেন, সেটা আর বলতে পারলেন না।
‘আর বলতে পারলেন না।’ – কেন বলতে পারলেন না?
‘দাম’ গল্পের অঙ্কের মাস্টারমশাই, ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে যান এবং তার চোখে জল এসে যায়। এই কারণে তিনি আর কথা বলতে পারলেন না।
মাস্টারমশাই কথকের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ থেমে গেলে কথক কী দেখলেন?
‘দাম’ গল্পের কথক মাস্টারমশাই -এর সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ থেমে যাওয়ার পর আবছা আলোয় দেখলেন, মাস্টারমশাই কাঁদছেন, তাঁর চোখে জল।
‘কোটি মণিমাণিক্য দিয়ে যার পরিমাপ হয় না’। – কীসের পরিমাপ করা যায় না?
ছাত্রদের প্রতি মাস্টারমশাই -এর স্নেহের পরিমাপ করা কোটি মণিমাণিক্য দিয়েও সম্ভব নয়, সে-কথাই এখানে বোঝানো হয়েছে।
‘যার দাম সংসারের সব ঐশ্বর্যের চাইতে বেশি’ – কোন্ দামের কথা এখানে বোঝানো হয়েছে?
ছাত্রদের প্রতি মাস্টারমশাই -এর প্রদর্শিত মমতার দাম সংসারের সব ঐশ্বর্যের চাইতে যে বেশি – সে-কথাই এখানে বলা হয়েছে।
‘কুবেরের ভাণ্ডারকে ধরে দিয়েও যা পাওয়া যায় না।’ – কী পাওয়া যায় না?
ছাত্রদের প্রতি মাস্টারমশাই -এর ক্ষমাশীল আচরণ কুবেরের ভাণ্ডারকে ধরে দিয়েও যে পাওয়া যায় না, সে-কথাই এখানে বলা হয়েছে।
‘এ অপরাধ আমি বইব কী করে, এ লজ্জা আমি কোথায় রাখব!’ – কোন্ অপরাধ, কোন্ লজ্জার কথা বলা হয়েছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক তাঁর মাস্টারমশাইকে নিয়ে লেখা গল্প একটি সাহিত্য পত্রিকায় দশ টাকার বিনিময়ে দিয়েছিলেন। কথক একেই অপরাধ ও লজ্জার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের দ্বিতীয় পাঠের প্রথম অধ্যায়, ‘দাম’ -এর কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন নিয়মিত আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তবে টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন