নবম শ্রেণি – বাংলা – নিরুদ্দেশ – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

Gopi

নবম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যপুস্তকে প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা নিরুদ্দেশ গল্পটি পাঠ্য। এই গল্পটি একটি শিক্ষক ও তার ছাত্রের সম্পর্কের গল্প। গল্পের শিক্ষক শ্রীযুক্ত সেনগুপ্ত একজন আদর্শ শিক্ষক। তিনি তার ছাত্রদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ও দয়ালু। তিনি তার ছাত্রদের জীবনে সঠিক পথ নির্দেশনা দেন। গল্পের ছাত্র অমিত একজন মেধাবী ছাত্র। কিন্তু তিনি আর্থিকভাবে দরিদ্র। তাই তার পড়াশোনার খরচ চালাতে তার বাবা-মাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। গল্পের শেষে অমিত শিক্ষক সেনগুপ্তের সহযোগিতায় একটি ভালো চাকরি পায়।

Table of Contents

বাংলা – নিরুদ্দেশ – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

দিনটা ভারী বিশ্রী। — দিনটা বিশ্রী কেন?

শীতের দিন হলেও বাদলার কারণে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং পৃথিবী স্নান হয়ে উঠেছে। তাই দিনটা এত বিশ্রী।

একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছ? — আশ্চর্য ব্যাপার-টি কী ছিল?

আশ্চর্য ব্যাপার-টি ছিল খবরের কাগজে একসঙ্গে সাত- সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন বেরোনো।

সোমেশ হঠাৎ এসে পড়ায় কথকের কী সুবিধা হয়েছিল?

সোমেশ হঠাৎ এসে পড়ায় কথকের শীতের মেঘলা দুপুর কাটানোর সুবিধা হয়েছিল।

কাগজে সাতটি বিজ্ঞাপনের কথা শুনে সোমেশের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

বিজ্ঞাপনের কথা শুনে সোমেশ কোনো কৌতূহল না দেখিয়ে উদাসীনভাবে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে থাকেন।

আমার হাসি পায়। — কীসে বক্তা হাসি পাওয়ার কথা বলেছেন?

কথক বলেছেন যে কাগজে নিরুদ্দেশ-এর বিজ্ঞাপনগুলো দেখলে তাঁর হাসি পায়।

নিরুদ্দেশ গল্পে ছেলের পীড়াপীড়িতে মা কী করেছিলেন?

নিরুদ্দেশ গল্পে ছেলের পীড়াপীড়িতে মা লুকোনো পুঁজি থেকে টাকা বের করে তাকে দিয়েছিলেন।

নিরুদ্দেশ গল্পে বাবা তাঁর থিয়েটার-দেখতে-যাওয়া ছেলে ফিরলে কী করবেন বলেছেন?

নিরুদ্দেশ গল্পে বাবা তাঁর থিয়েটার দেখে ফেরা ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন বলেছেন।

ছেলে নিরুদ্দেশে চলে যাওয়ার পরে মা-র কী অবস্থা হয়?

ছেলে নিরুদ্দেশে চলে যাওয়ার পরে মা খাওয়া বন্ধ করে দেন এবং বিছানা ছেড়ে ওঠেন না।

এ অশান্তির চেয়ে বনবাস ভালো। — একথা বলে বাবা কী করেন?

এ অশান্তির চেয়ে বনবাস ভালো।–একথা বলে বাবা খবরের কাগজের অফিসে যান।

বাবা ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য কী করতে গিয়েছিলেন?

বাবা ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে গিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির বাবার কাছে কী কী জানতে চাওয়া হয়েছিল?

বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির বাবার কাছে স্পেসের পরিমাপ ও বিজ্ঞাপনের কপি এনেছেন কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল।

নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনে বাবা কী লিখতে চেয়েছিলেন?

নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনে বাবা ছেলেকে ফিরে আসার আবেদন জানাতে চেয়েছিলেন।

ছেলের নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময়ে বাবা সবথেকে বেশি কী নিয়ে চিন্তিত ছিলেন?

বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময়ে নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির মায়ের জলগ্রহণ না করার বিষয়টি নিয়েই তার বাবা সবথেকে বেশি চিন্তিত ছিলেন।

খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগেই কী ঘটনা ঘটল?

খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগেই নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটি বাড়িতে ফিরে এসেছিল।

ছেলেটি বাড়িতে ফিরে এসেছিল কেন?

ছেলেটি তার গোটাকতক বই নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে এসেছিল।

অত আদর ভালো নয়! — কে কাকে বলেছেন?

প্রেমেন্দ্র মিত্র রচিত নিরুদ্দেশ গল্পে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ও আবার ফিরে আসা ছেলের মা তার বাবাকে আলোচ্য কথাটি বলেছেন।

পুরানো খবরের কাগজের ফাইল যদি উলটে দেখো – কী দেখা যাবে?

পুরোনো খবরের কাগজের ফাইল ওলটালে দেখা যাবে দিনের পর দিন একটি বিশেষ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন ধারাবাহিকভাবে বেরিয়েছে।

মনে হয় ছাপার লেখায় সত্যি যেন কান পাতলে কাতর আর্তনাদ শোনা যাবে। – এই আর্তনাদ কীসের জন্য ছিল?

এই আর্তনাদ ছিল নিরুদ্দিষ্ট ছেলের ফিরে আসার জন্য মায়ের কাতর আবেদন।

শোভনের পরিচয়জ্ঞাপক কী বিশেষ চিহ্ন ছিল?

শোভনের পরিচয়জ্ঞাপক বিশেষ চিহ্ন হিসেবে তার ঘাড়ের দিকে ডান কানের কাছে ছিল একটি বড়ো জড়ুল।

তা মনে কোরো না। — কী মনে না করার কথা বলা হয়েছে?

শোভন নামের ছেলেটি বাড়ি ছেড়েছিল কোনো অভিমানের বশে, এমনটা মনে না করার কথা বলা হয়েছে।

হঠাৎ করে বিজ্ঞাপন বন্ধ হওয়ার কারণ কী ছিল?

ছেলের ফিরে না-আসার চূড়ান্ত হতাশা থেকেই বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়েছিল, কারণ নিরুদ্দিষ্টের মায়ের শরীর এতটাই খারাপ হয়েছিল যে বিজ্ঞাপন অর্থহীন হয়ে গিয়েছিল।

তার উদাসীন মনও বিচলিত হয়ে উঠল। – এর কারণ কী?

যেদিন কাগজে নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গেল সেদিন শোভনের মনও বিচলিত হয়ে উঠল।

প্রায় দুই বৎসর তখন কেটে গেছে। — কীসের পরে দু-বছর কেটে গেছে?

শোভন নিরুদ্দেশ হওয়ার পরে দু-বছর কেটে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

শোভনই তার একমাত্র উত্তরাধিকারী। — শোভন কীসের উত্তরাধিকারী?

এক প্রাচীন জমিদারি যা অনেক দুর্দিনের মধ্যেও নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছে শোভন তার একমাত্র উত্তরাধিকারী।

এতটা আশঙ্কা করেনি। — কী আশঙ্কা না করার কথা বলা হয়েছে?

দু-বছর নিরুদ্দেশে থাকার ফলে তার কিছু পরিবর্তন হলেও জমিদারির কর্মচারীরা তাকে চিনতে পারবে না এটা শোভন আশঙ্কা করেনি।

নায়েব মশাই তার দিকে খানিক তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে তারপর একটু স্মিতহাস্যে বললেন। — নায়েবমশাই কী বলেছিলেন?

নায়েবমশাই শোভনকে তাড়াহুড়ো না-করে বারবাড়িতে বিশ্রাম করতে বলেছিলেন।

সে যেন আশ্বস্ত হলো। – কে কীসে আশ্বস্ত হল?

শোভন পরিচিত খাজাঞি মশাইকে দেখে আশ্বস্ত হল।

মিছিমিছি কেলেংকারি করে লাভ নেই। — কাকে কেলেংকারি বলা হয়েছে?

জোর করে শোভনের বাড়ির ভিতরে যাওয়ার চেষ্টাকে বৃদ্ধ নায়েবমশাই কেলেংকারি বলেছেন।

একটা ড্রয়ার খুলে তিনি একটা জিনিস এনে শোভনের হাতে দিলেন। –এখানে কী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?

ড্রয়ার খুলে নায়েবমশাইয়ের সোমেশকে শোভনের পুরোনো ফোটো দেওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে।

নাঃ, এ অসহ্য। — কী অসহ্য বলা হয়েছে?

যেভাবে ফোটো দেখিয়ে শোভনকে পরীক্ষা করা হচ্ছিল যে, তার নিজের ছবি সে নিজে চিনতে পারে কিনা তা শোভনের কাছে অসহ্য মনে হয়েছিল।

শোভন উদ্‌ভ্রান্তভাবে সকলের, দিকে চেয়ে দেখল। — শোভন তাকিয়ে কী দেখেছিল?

শোভন উদ্‌ভ্রান্তভাবে সকলের দিকে তাকিয়ে দেখেছিল যে সকলের দৃষ্টিতেই তার প্রতি অবিশ্বাস রয়েছে।

শোভনের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে বলে নায়েবমশাই জানিয়েছিল?

শোভনের মৃত্যু গাড়ি চাপা পড়ে অপঘাতে হয়েছে বলে নায়েবমশাই জানিয়েছিলেন।

বাড়ি থেকে বাবাকে বেরোতে দেখে শোভনের কী মনে হয়েছিল?

দীর্ঘ দু-বছর পর বাড়ি থেকে বাবাকে বেরোতে দেখে শোভনের ঝড়ে ভাঙা গাছের কথা মনে হয়েছিল।

নায়েব ও কর্মচারীরা ব্যাপারটা বুঝে যখন তার পিছু নিলে — এই পিছু নেওয়ার কারণ কী?

শোভন বাবাকে দেখে তাঁর দিকে ছুটে গেলে তাকে আটকাতে নায়েব ও কর্মচারীরা তার পিছু নেয়।

বৃদ্ধ স্খলিতপদে এক পা এগিয়ে আবার থমকে গেলেন। — কখন এই থমকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল?

নিরুদ্দিষ্ট শোভন বাড়িতে ফিরে বাবা তাকে চিনতে পারছেন কিনা জানতে চাইলে বৃদ্ধ বাবা থমকে যান।

এই নিয়ে তিনবার হলো! — এখানে কীসের কথা বলা হয়েছে?

বিজ্ঞাপন দেখে নিজেকে নিরুদ্দিষ্ট শোভন দাবি করে তিনজন ব্যক্তির আসার কথা এখানে বলা হয়েছে।

বৃদ্ধ তাকে থামিয়ে বললেন — বৃদ্ধ কী বলেছিলেন?

শোভনের বৃদ্ধ বাবা নায়েবকে বলেছিলেন শোভনকে কিছু না বলে চলে যেতে দিতে।

নিরুদ্দেশ গল্পটি মূলত একটি জীবনদর্শনমূলক গল্প। গল্পে অমলের চরিত্রের মাধ্যমে জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। অমল তার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলে এবং জীবনের কোনো অর্থ খুঁজে পায় না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে তার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য খুঁজে পায় এবং একটা সুখী ও স্বাভাবিক জীবন শুরু করে।

গল্পটি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, জীবনে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আমাদেরকে জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Tom Loses a Tooth

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

The North Ship

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer