এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক। — কী পুষে রাখার কথা বলা হয়েছে? কী কারণে এই পুষে রাখা?

“এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক।” — কী পুষে রাখার কথা বলা হয়েছে? কী কারণে এই পুষে রাখা? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

কোনি এবং হিয়া দু’জনই রবীন্দ্র সরোবরের সাঁতারু। কোনি হিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে এবং তার প্রতি তার রাগ ও ঈর্ষা আছে। একদিন, কোনি এবং ক্ষিতীশ চিড়িয়াখানায় যায়। ক্ষিতীশের কাছে জল ছিল না, তাই কোনি কিছুটা দূরে থাকা স্কুলের মেয়েদের কাছে জল আনতে যায়। কিন্তু শিক্ষিকা তাকে অপমান করে ফিরিয়ে দেয়। এই অবস্থায়, সেই মেয়েদের মধ্যেই থাকা হিয়া জলভরা প্লাস্টিকের দুটো গ্লাস নিয়ে তাদের কাছে আসে। কিন্তু কোনি হাত দিয়ে হিয়ার গ্লাসে আঘাত করে। হাত থেকে তা ছিটকে পড়ে। চাই না তোমাদের জল। আমার কলের জলই ভালো। — কোনি এই বলে প্রবলভাবে প্রত্যাখ্যান করে হিয়াকে। ক্ষিতীশ চেয়েছিল এই রাগটাই মনের মধ্যে পুষে রাখুক কোনি।

ক্ষিতীশ হিয়ার প্রতি কোনির আচরণকে সমর্থন করতে পারেনি। কিন্তু কোনিকে দারুণ বকবে ভেবেও ক্ষিতীশ শেষপর্যন্ত কিছুই বলেনি। কারণ সে বুঝে গিয়েছিল যে হিয়াই কোনির ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বী। রবীন্দ্র সরোবরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় হিয়ার সাঁতার ক্ষিতীশ দেখেছে। বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবে গিয়েও সে হিয়ার ট্রেনিং দেখে এসেছে। এখান থেকেই ক্ষিতীশের মনে হয়েছে যে হিয়ার প্রতি কোনির হিংস্র আক্রোশটাকে ভোঁতা করে দেওয়া ঠিক হবে না। এই আক্রোশ কোনি তার বুকের মধ্যে পুষে রাখুক যা তাকে হিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি জোগাবে এবং সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে।

এই অংশে, আমরা দেখতে পাই যে কোনি হিয়ার প্রতি তার রাগ এবং ঈর্ষা প্রকাশ করে। ক্ষিতীশ হিয়ার প্রতি কোনির আচরণকে সমর্থন করতে পারেনি, তবে সে বুঝতে পেরেছিল যে এই আক্রোশ কোনিকে হিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে অনুপ্রাণিত করবে।

এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক। — কী পুষে রাখার কথা বলা হয়েছে? কী কারণে এই পুষে রাখা?

“এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক।” — কী পুষে রাখার কথা বলা হয়েছে? কী কারণে এই পুষে রাখা?

পুষে রাখার বিষয় – কোনি উপন্যাসে ক্ষিতীশের সঙ্গে কোনি গিয়েছিল চিড়িয়াখানা দেখতে। সেখানে ক্ষিতীশের কাছে খাবার থাকলেও জল ছিল না। কিছুটা দূরে থাকা স্কুলের মেয়েদের কাছে কোনি জল আনতে যায়। কিন্তু শিক্ষিকা তাকে অপমান করে ফিরিয়ে দেয়। এই অবস্থায় সেই মেয়েদের মধ্যেই থাকা হিয়া জলভরা প্লাস্টিকের দুটো গ্লাস নিয়ে তাদের কাছে আসে কিন্তু কোনি হাত দিয়ে হিয়ার গ্লাসে আঘাত করে। হাত থেকে তা ছিটকে পড়ে। চাই না তোমাদের জল। আমার কলের জলই ভালো। — কোনি এই বলে প্রবলভাবে প্রত্যাখ্যান করে হিয়াকে। ক্ষিতীশ চেয়েছিল এই রাগটাই মনের মধ্যে পুষে রাখুক কোনি।

পুষে রাখার কারণ – ক্ষিতীশ হিয়ার প্রতি কোনির আচরণকে সমর্থন করতে পারেনি। কিন্তু কোনিকে দারুণ বকবে ভেবেও ক্ষিতীশ শেষপর্যন্ত কিছুই বলেনি। কারণ সে বুঝে গিয়েছিল যে হিয়াই কোনির ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বী। রবীন্দ্র সরোবরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় হিয়ার সাঁতার ক্ষিতীশ দেখেছে। বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবে গিয়েও সে হিয়ার ট্রেনিং দেখে এসেছে। এখান থেকেই ক্ষিতীশের মনে হয়েছে যে হিয়ার প্রতি কোনির হিংস্র আক্রোশটাকে ভোঁতা করে দেওয়া ঠিক হবে না। এই আক্রোশ কোনি তার বুকের মধ্যে পুষে রাখুক যা তাকে হিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি জোগাবে এবং সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন, গণতন্ত্রে এই স্বাধীনতা আছে-লড়াইয়ের স্বাধীনতা। – কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

এই অংশে আমরা দেখতে পাই কোনির হিংস্র আবেগ এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিয়ার প্রতি তার তিক্ততা। কোনির এই আচরণ ক্ষিতীশের পছন্দ হয়নি, তবে সে বুঝতে পেরেছিল যে এই রাগ কোনিকে হিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। ক্ষিতীশ চায় কোনি তার এই রাগকে তার ভেতরেই পুষে রাখুক এবং তাকে তার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করুক।

এই অংশটি কোনির চরিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে। তার আবেগপ্রবণ ব্যক্তিত্ব এবং তার জয়ের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়। এছাড়াও, ক্ষিতীশের চরিত্রের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই যে প্রতিযোগিতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং একজন খেলোয়াড়ের জন্য তার প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কতটা জরুরি।

এই অংশটি “কোনি” উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় তৈরি করে। কোনির চরিত্রের এই বিকাশ আমাদেরকে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী করে তোলে।

Share via:

মন্তব্য করুন