এটা হল যুদ্ধ ন্যায় অন্যায় বলে যুদ্ধে কিছু নেই। শত্রু মিত্র বাছবিচার করে কোনো লাভ নেই। – কে, কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছে আলোচনা করো।

“এটা হল যুদ্ধ-ন্যায় অন্যায় বলে যুদ্ধে কিছু নেই। শত্রু মিত্র বাছবিচার করে কোনো লাভ নেই।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “এটা হল যুদ্ধ-ন্যায় অন্যায় বলে যুদ্ধে কিছু নেই। শত্রু মিত্র বাছবিচার করে কোনো লাভ নেই।” – কে, কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছে আলোচনা করো। কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্যটি করা হয়েছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

ক্ষিতীশ জুপিটারের কাছ থেকে কোনিকে সাঁতার শেখানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু জুপিটার ক্ষিতীশকে প্রত্যাখ্যান করে। ক্ষিতীশ জুপিটারের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব অ্যাপোলোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অ্যাপোলোর ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জেকে জানান যে তিনি কখনোই অ্যাপোলোর লোক হবেন না। কোনির যদি কোনো সাফল্য হয়, তাহলে সেই সাফল্য হবে অ্যাপোলোর। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও ক্ষিতীশের মনে দ্বিধা দেখা দেয়। তিনি সারারাত ঘুমাতে পারেন না এবং অ্যাপোলোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কিনা তা নিয়ে চিন্তিত হন।

পরদিন সকালে ভেলো ক্ষিতীশের বাড়িতে আসেন। ভেলোই ক্ষিতীশকে জুপিটার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর অ্যাপোলোতে যোগদানের পরামর্শ দিয়েছিলেন। অ্যাপোলোতে যোগদানের খবর শুনে ভেলো ক্ষিতীশকে সমর্থন জানান। ভেলোর মতে, যুদ্ধে ন্যায়-অন্যায়ের কোনো স্থান নেই। শত্রুমিত্রেরও কোনো বাছবিচার নেই। জুপিটারের অপমানের প্রতিশোধ নিতে গেলে ক্ষিতীশকে পুরোনো স্মৃতিগুলো ভুলে যেতে হবে। ভেলো ক্ষিতীশকে আবেগ বর্জন করে আরও বাস্তববাদী হওয়ার পরামর্শ দেন।

এটা হল যুদ্ধ ন্যায় অন্যায় বলে যুদ্ধে কিছু নেই। শত্রু মিত্র বাছবিচার করে কোনো লাভ নেই। - কে, কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছে আলোচনা করো।

“এটা হল যুদ্ধ ন্যায় অন্যায় বলে যুদ্ধে কিছু নেই। শত্রু মিত্র বাছবিচার করে কোনো লাভ নেই।” – কে, কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছে আলোচনা করো।

বক্তা – কোনি উপন্যাসে এই মন্তব্যটি করেছে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশের বিশ্বস্ত অনুচর ভেলো।

ঘটনার প্রেক্ষিত – কোনিকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে জুপিটারের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্ষিতীশ জুপিটারের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব অ্যাপোলোতে যান। তিনি নিজে কোনোদিনও অ্যাপোলোর লোক হবেন না-অ্যাপোলোর ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জেকে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন যে, কোনি যদি কোনো সাফল্য পায় তাহলে সেই সাফল্য হবে অ্যাপোলোর। কিন্তু এ কথা বলার পরেও ক্ষিতীশের মনের মধ্যে দ্বিধা কাজ করে। সেদিন তাঁর সারারাত ঘুম আসে না এবং অ্যাপোলোয় গিয়ে তিনি ঠিক কাজ করেছেন কি না—এই বোধ তাঁকে বিচলিত করে। এই অবস্থায় পরদিন সকালেই ভেলো তাঁর বাড়িতে আসে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, ক্ষিদ্দা জুপিটার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পরে এই ভেলোই তাঁকে বলেছিল অ্যাপোলোতে যোগ দেওয়ার জন্য। এখন অ্যাপোলোয় যোগদানের খবর শুনে ভেলো তাঁকে সমর্থন জানায়। কারণ তার মতে যুদ্ধে কোনো ন্যায়-অন্যায়ের জায়গা নেই, শত্রুমিত্রেরও কোনো বাছবিচার নেই। জুপিটারের অপমানের প্রতিশোধ নিতে গেলে পুরোনো স্মৃতিগুলোকে ভুলে যেতেই হবে। এভাবে ক্ষিতীশকে ভেলো আবেগ বর্জন করে আরও বাস্তববাদী হওয়ার পরামর্শ দেয়।

আরও পড়ুন, বুকের মধ্যে প্রচণ্ড মোচড় সে অনুভব করল। চিকচিক করে উঠল চোখ দুটো — কার, কেন এমন হয়েছিল?

উপসংহারে বলা যায়, ক্ষিতীশ জুপিটারের অপমানের প্রতিশোধ নিতে অ্যাপোলোতে যোগদান করেন। তিনি জানেন যে এটি একটি অনৈতিক কাজ, কিন্তু তিনি তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। ভেলো তাকে বাস্তববাদী হওয়ার পরামর্শ দেয়, কিন্তু ক্ষিতীশ তার প্রতিশোধের আগুনে পুড়ছে।

এই উপসংহারে ক্ষিতীশের চরিত্রের দুটি দিক তুলে ধরা হয়েছে। একদিকে, তিনি একজন নীতিবান ব্যক্তি যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অন্যদিকে, তিনি একজন আবেগপ্রবণ ব্যক্তি যে প্রতিশোধের জন্য ন্যায়-অন্যায়ের ভেদাভেদ ভুলে যেতে পারে।

এই দুটি দিকের সংঘাত উপন্যাসের মূল থিম। ক্ষিতীশ শেষ পর্যন্ত কোন দিকে ঝুঁকবে তা উপন্যাসের পরবর্তী অংশে দেখা যাবে।

Share via:

মন্তব্য করুন