জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট সম্পর্কে লেখো।

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের বৈশিষ্ট্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের বৈশিষ্ট্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের সপ্তম অধ্যায় “উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট সম্পর্কে লেখো।
Contents Show

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের বৈশিষ্ট্য লেখো।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট –

কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে ব্যবহার অনুসারে দু-ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. জিওস্টেশনারি।
  2. সান-সিনক্রোনাস স্যাটেলাইট।

যেসব কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর আবর্তন গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে 24 ঘণ্টায় পৃথিবীর চারিদিকে পশ্চিম থেকে পূর্বে পাক খেয়ে চলেছে, তাদের ভূসমলয় উপগ্রহ বা Geostationary satellite বলে। এগুলিকে সমুদ্র সমতল থেকে 36,000 কিমি উচ্চতায় নিরক্ষীয় তল বরাবর একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।

উদাহরণ – Insat 1A, 1B।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট -এর বৈশিষ্ট্য –

জিওস্টেশনারি উপগ্রহের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

  1. এই উপগ্রহগুলিকে সমুদ্র সমতল থেকে 36000 কিমি উচ্চতায় প্রতিস্থাপন করা হয়।
  2. এই উপগ্রহগুলি নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর অবস্থান করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
  3. পৃথিবীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে।
  4. পৃথিবীর পরিপ্রেক্ষিতে একই জায়গায় অবস্থান করে এবং বহু চিত্র গ্রাহক যন্ত্রে পাঠায়, ফলে বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত তথ্য, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ঝড়ের গঠন, গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে আবহবিদরা তথ্য দিতে পারে।
  5. এই উপগ্রহগুলি অনেক ওপরে অবস্থান করায় একটি গোলার্ধের আবহাওয়া চিত্র পাঠাতে পারে।
  6. বৃহৎ এলাকার চিত্র একই সঙ্গে সরবরাহ করায় অনেক সময় নিখুঁত চিত্র পাওয়া যায় না।

উদাহরণ – ভারতের INSAT।

জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্লোনাস উপগ্রহের কক্ষপথ
জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্লোনাস উপগ্রহের কক্ষপথ

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট কী?

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট হল এক ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ যা পৃথিবীর আবর্তন গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে 24 ঘণ্টায় একবার পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে এবং পৃথিবীর সাপেক্ষে স্থির মনে হয়।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট কত উচ্চতায় অবস্থান করে?

এগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 36,000 কিলোমিটার উচ্চতায় নিরক্ষীয় অঞ্চলে স্থাপন করা হয়।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের উদাহরণ দাও।

ভারতের INSAT সিরিজের উপগ্রহ (যেমন — INSAT-1A, INSAT-1B) জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের উদাহরণ।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী কী?

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে —
1. 36,000 কিমি উচ্চতায় অবস্থান।
2. নিরক্ষীয় অঞ্চলে বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘূর্ণন।
3. পৃথিবীর সাথে সমলয়ে আবর্তন (24 ঘণ্টায় একবার)।
4. আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, যোগাযোগ ও টেলিভিশন সম্প্রচারে ব্যবহৃত হয়।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট কেন পৃথিবীর সাপেক্ষে স্থির মনে হয়?

কারণ এটি পৃথিবীর ঘূর্ণনের সমান কৌণিক বেগে (প্রতি 24 ঘণ্টায় একবার) আবর্তন করে, ফলে পৃথিবী থেকে দেখলে এটি স্থির মনে হয়।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের সুবিধা কী?

এটি একটি স্থির অবস্থান থেকে অবিরাম ডেটা পাঠাতে পারে, যা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, যোগাযোগ ও টিভি সিগন্যাল প্রেরণের জন্য উপযোগী।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের সীমাবদ্ধতা কী?

এটি উচ্চ উচ্চতার কারণে ছোট বা নির্দিষ্ট এলাকার নিখুঁত চিত্র দিতে পারে না এবং মেরু অঞ্চল পর্যবেক্ষণে কম কার্যকর।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের প্রধান ব্যবহার কী?

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট মূলত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, টেলিকমিউনিকেশন (যেমন মোবাইল নেটওয়ার্ক ও স্যাটেলাইট টিভি) এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সাইক্লোন ও টর্নেডো মনিটরিংয়ে ব্যবহৃত হয়।

জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্রোনাস স্যাটেলাইটের পার্থক্য কী?

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট পৃথিবীর সাথে সমলয়ে ঘুরে (স্থির অবস্থান), অন্যদিকে সান-সিনক্রোনাস স্যাটেলাইট নিম্ন কক্ষপথে ঘুরে এবং সূর্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একই স্থানীয় সময়ে চিত্র ধারণ করে।

জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট কীভাবে আবহাওয়া পূর্বাভাসে সাহায্য করে?

এটি পৃথিবীর বৃহৎ এলাকার ক্রমাগত ছবি ও ডেটা পাঠায়, ফলে বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন, মেঘের গঠন ও ঝড়ের গতিপথ বিশ্লেষণ করা যায়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের বৈশিষ্ট্য লেখো। নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের বৈশিষ্ট্য লেখো। প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের সপ্তম অধ্যায় “উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির বর্ণনা দাও।

বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির বর্ণনা দাও।

সক্রিয় সেনসর ও নিষ্ক্রিয় সেনসর বলতে কী বোঝো? সক্রিয় সেনসর ও নিষ্ক্রিয় সেনসরের মধ্যে পার্থক্য করো।

সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় সেনসর বলতে কী বোঝো? সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় সেনসরের মধ্যে পার্থক্য

জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্রোনাস উপগ্রহ কী? জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্রোনাস উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য

জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্রোনাস উপগ্রহ কী? জিওস্টেশনারি ও সান-সিনক্রোনাস উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ধাতু নিষ্কাশনে তড়িৎবিশ্লেষণের প্রয়োগ উদাহরণসহ উল্লেখ করো।

তড়িৎলেপনের সময় কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নজর রাখা প্রয়োজন?

লোহায় তামার প্রলেপ দিতে কোন ধাতু ক্যাথোড ও অ্যানোড হিসেবে ব্যবহার হয়? তড়িৎবিশ্লেষ্য কী? বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখো।

তড়িৎলেপন পদ্ধতি বর্ণনা করো।

ধাতুর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ ও তড়িৎবিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।