এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কীভাবে ঝড়ের সৃষ্টি হয় ও ঝড় থামে? ঝড় আসার আগে পরিবেশ শান্ত থাকে কেন?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “কীভাবে ঝড়ের সৃষ্টি হয় ও ঝড় থামে? ঝড় আসার আগে পরিবেশ শান্ত থাকে কেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

কীভাবে ঝড়ের সৃষ্টি হয় ও ঝড় থামে?
জলভাগের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে তা বাষ্পে পরিণত হয়ে উপরে উঠে যায় এবং ওপরের ঠান্ডা পরিবেশে ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে। মেঘ যত ঘনীভূত ও শীতল হয় তত মেঘ দ্বারা সূর্যরশ্মি বাধাপ্রাপ্ত হয় ফলে মেঘের নীচের অংশের বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে এক নিম্নচাপ ক্ষেত্রের সৃষ্টি করে। মেঘের বিস্তার যত বেশি হয় তত বেশি নিম্নচাপ ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। এর ফলে পার্শ্ববর্তী উষ্ণ অঞ্চল থেকে উষ্ণ বায়ু অতি দ্রুত বেগে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধাবিত হয়। এর ফলে ঝড় সৃষ্টি হয়। বায়ুপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে মেঘের অপসারণ ঘটলে ঝড় থেমে যায়।
ঝড় আসার আগে পরিবেশ শান্ত থাকে কেন?
কোনো প্রাকৃতিক কারণে কোনো স্থানের বায়ু উত্তপ্ত হলে তা আয়তনে প্রসারিত হয় ও হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়। ফলে ওই স্থানে সাময়িকভাবে শূন্যতার কারণে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই সময়ে বায়ুর পার্শ্বপ্রবাহ বন্ধ থাকায় সাময়িকভাবে পরিবেশ শান্ত আছে বলে মনে হয়। ওই শূন্যতাকে পূরণ করার জন্য পাশ্ববর্তী স্থান থেকে ঠান্ডা ও ভারী বায়ু প্রবল বেগে এগিয়ে এসে ওই শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করে। ফলে ঝড়ের সৃষ্টি হয়। তাই ঝড় আসার আগে পরিবেশ শান্ত থাকে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ঝড় কীভাবে সৃষ্টি হয়?
ঝড় সৃষ্টির মূল কারণ হলো নিম্নচাপের সৃষ্টি। যখন জলভাগের উষ্ণতা বেড়ে যায়, তখন পানি বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে এবং ঠান্ডা হয়ে মেঘে পরিণত হয়। মেঘ ঘনীভূত হলে সূর্যের তাপ নিচের বায়ুকে আরও ঠান্ডা করে, ফলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে উষ্ণ বায়ু দ্রুত গতিতে এই নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়, যার ফলে ঝড়ের সৃষ্টি হয়।
ঝড় কীভাবে থামে?
ঝড়ের সময় প্রবল বায়ুপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে মেঘের শক্তি ক্ষয় হয়। যখন মেঘের অধিকাংশ জলীয় বাষ্প বৃষ্টি হিসেবে পড়ে যায় এবং বায়ুপ্রবাহের গতি কমে, তখন ঝড় ধীরে ধীরে থেমে যায়।
ঝড়ের প্রকারভেদ কী কী?
ঝড় বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন –
1. ঘূর্ণিঝড় (সাইক্লোন) – সমুদ্রে সৃষ্টি হয়, প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টি নিয়ে আসে।
2. টর্নেডো – ছোট কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিবায়ু।
3. বজ্রঝড় – মেঘে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলে বজ্রপাতসহ ঝড় হয়।
ঝড়ের সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
1. বাড়ির বাইরের জিনিসপত্র শক্ত করে বাঁধা।
2. জানালা-দরজা বন্ধ রাখা।
3. বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।
4. নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা।
ঝড়ের পূর্বাভাস কীভাবে জানা যায়?
আবহাওয়া অধিদপ্তর স্যাটেলাইট ও রাডারের মাধ্যমে ঝড়ের গতিপথ ও তীব্রতা পর্যবেক্ষণ করে সতর্কতা জারি করে।
বাংলাদেশে কোন সময় বেশি ঝড় হয়?
বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল-মে (কালবৈশাখী) এবং অক্টোবর-নভেম্বর (ঘূর্ণিঝড়) সময়ে ঝড় বেশি হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কীভাবে ঝড়ের সৃষ্টি হয় ও ঝড় থামে? ঝড় আসার আগে পরিবেশ শান্ত থাকে কেন?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “কীভাবে ঝড়ের সৃষ্টি হয় ও ঝড় থামে? ঝড় আসার আগে পরিবেশ শান্ত থাকে কেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন